Planespotting flight tracking resources map of southern England

Planespotting: An Updated Guide to Tracking Aircraft Around the World

In 2019, GIJN first launched its guide to planespotting and flight tracking around the world. In the wake of the 2022 invasion of Ukraine, which led to a great migration of Russian oligarchs and their assets, as well as Elon Musk’s efforts to block bots from tracking planes in real time on Twitter, we’ve now updated this reporting guide to account for these recent developments.

Planespotting flight tracking resources map of southern England

প্লেনস্পটিং: বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ ট্র্যাকিংয়ের হালনাগাদ গাইড

English

বিশ্বজুড়ে প্লেনস্পটিং ও ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ের নির্দেশিকাটি জিআইজেএন প্রথম প্রকাশ করে ২০১৯ সালে। কিন্তু ইউক্রেনে ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর থেকে অনেক রুশ অলিগার্ক তাদের সম্পদ নিয়ে দেশ ছাড়তে শুরু করে এবং টুইটারে রিয়েল টাইমে প্লেন ট্র্যাকিং থেকে বটগুলোকে বিরত রাখতে ইলন মাস্ককেও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। সাম্প্রতিক এই পরিবর্তনগুলোকে তুলে ধরতে আমরা আমাদের রিপোর্টিং নির্দেশিকাটি হালনাগাদ করেছি। এটি হালনাগাদের কাজে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও ডিক্টেটর অ্যালার্টের পরিচালক ইমানুয়েল ফ্রয়েডেনথালের বিশেষজ্ঞ অবদানের জন্য জিআইজেএন কৃতজ্ঞ।

বিমান ট্র্যাকিং একটি অমূল্য অনুসন্ধানী হাতিয়ার।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা দুর্নীতি উন্মোচন, যুদ্ধের গতিবিধি অনুসরণ, রাজনীতিবিদ ও আমলাদের ট্র্যাক করা এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা বোঝাতে বিমানের তথ্য ব্যবহার করেছেন।

সব বিমানের একটি স্বতন্ত্র শনাক্তকরণ নম্বর থাকে। বিমানের গতিপথ অনুসরণ এবং সেগুলোর মালিকদের শনাক্ত করতে এই নম্বর ব্যবহার করা যায়। সবসময় না হলেও, কখনও কখনও তো বটেই।

বাণিজ্যিক ও অলাভজনক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ফ্লাইটের তথ্য পাওয়া যায়। সংস্থাগুলো অনেক ফ্লাইটের ডেটা জড়ো করে এবং তা সহজে পাওয়ার উপায় করে দেয়। ফলে নির্দিষ্ট বিমানের গতিবিধি অনুসরণ, নির্দিষ্ট স্থানে নজর রাখা, ধরন চিহ্নিত করা এবং আরো অনেক কিছুই সম্ভব হয়।

অনেক শৌখিন পর্যবেক্ষণকারী বিমান ট্র্যাকিংয়ের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন… এই উৎসাহী কমিউনিটি সাংবাদিকদের জন্য সম্ভাব্য রিসোর্স।বিমানে থাকা অবস্থান শনাক্তকরণ ব্যবস্থার কারণে প্লেনস্পটিং সম্ভব হয়। এর একটি প্রাথমিক প্রযুক্তি এডিএস-বি, ইংরেজিতে যার অর্থ হলো অটোমেটিক ডিপেন্ডেন্ট সার্ভেইল্যান্স-ব্রডকাস্ট। এডিএস-বি সংকেত সবার জন্য উন্মুক্ত এবং শৌখিন পর্যবেক্ষকেরাও এই সস্তা এডিএস-বি ট্র্যাকিং স্টেশনগুলো (১০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলার) ব্যবহার করতে পারেন।

অনেক ওয়েবসাইটে ফ্লাইটের গতিপথ পোস্ট করা হয়, ফলে প্রাথমিক পর্যায়ের ট্র্যাকিং বেশ সহজ হয়। তবে কম্পিউটারের সাহায্যে র’ (অপ্রক্রিয়াজাত) ডেটা বিশ্লেষণ করে আরও অনেক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তথ্য পাওয়া সম্ভব, যা চলাচলের প্রবণতা জানতে এবং অ্যালার্ট তৈরিতে সহায়তা করে।

অনেকগুলো জটিলতার কারণে প্লেন-ট্র্যাকিং বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিমানচালক ট্র্যাকিং সংকেত বন্ধ রাখতে পারেন। জাতীয় আইনানুসারে, কোনো কোনো বিমানের জন্য কিছু এলাকায় ফ্লাইটের স্থানাঙ্ক জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকে না। সামরিক বিমান ট্র্যাক করা বেশ কঠিন (তবে অসম্ভব নয়)। যুক্তরাষ্ট্রে কিছু বিধি বিধানের কারণে ব্যক্তিগত জেটগুলোর জন্য বেনামী ফ্লাইট পরিচালনা সহজ হয়৷ আর এডিএস-বি এর বিস্তার সীমিত, কারণ বিশ্বের অনেক প্রান্তে রিসিভিং স্টেশনের স্বল্পতা আছে।

অনেক শৌখিন পর্যবেক্ষণকারী বিমান ট্র্যাকিংয়ের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন (যারা “প্লেনস্পটার” বা “এভিয়েশন গিক” নামে পরিচিত)। এই উৎসাহী কমিউনিটি সাংবাদিকদের জন্য সম্ভাব্য রিসোর্স। অনেক প্লেনস্পটার অস্বাভাবিক বিমানের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে বিমানবন্দরের কাছে অবস্থান করেন। এমনকি এয়ারপোর্ট স্পটিং নামে একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিশ্বব্যাপী বিমানবন্দরে কোথায় দাঁড়াতে হবে, এমন তথ্যও থাকে।

অন্য স্পটাররা তাদের কম্পিউটারে আস্থা রাখেন। সেলিব্রিটি, ব্যবসায়িক নির্বাহী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে মানুষ পছন্দ করে। অনেক স্পটার যুদ্ধাঞ্চলে চলাচলরত ফ্লাইটের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখে।

বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ককে বিরক্ত করার কারণে একজন প্লেনস্পটারের কর্মকাণ্ড সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জ্যাক সুইনি এমন একটি টুইটার বট তৈরি করেছিলেন যা মাস্কের প্রধান জেটের (এন৬২৮টিএস) গতিবিধি পোস্ট করতে পারে। টুইটারের নতুন মালিক হিসেবে মাস্কের প্রথম পদক্ষেপগুলোর একটি ছিল সুইনি এবং রিয়েল-টাইম ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা সরবরাহে জড়িত অন্যান্য স্পটারদের ফিড বন্ধ করা। 

এরপর সুইনি একটি সাবরেডিট অ্যাকাউন্ট (r/ElonJetTracker) চালু করেন এবং টুইটারে (@elonjetnextday) নতুনরূপে ফিরে আসেন। রিয়েল-টাইম অবস্থানের তথ্য সম্বলিত পোস্টে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে টুইটারের নতুন নিয়ম মেনে চলতে গিয়ে তাঁর টুইটার ফিডে তথ্য দিতে এখন ২৪-ঘন্টা দেরি হয়।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে টুইটার তাদের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) ব্যবহারের জন্য চার্জ ধার্যের ঘোষণা দিয়ে আরেকটি বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। অনেক প্লেনস্পটার লাভের জন্য নয়, বরং বিনোদনের খোরাক হিসেবে তথ্য পোস্ট করেন। টুইটারের ঘোষণার পর ধারণা করা হচ্ছিল, খরচের কারণে তাদের কর্মকাণ্ড কমে যাবে বা থেমে যাবে।

ফ্লাইট তথ্যের প্রাথমিক উৎস
রিয়েল-টাইম ফ্লাইটের তথ্য হাতের নাগালেই পাওয়া যায়, যার বেশিরভাগই মেলে বিনা খরচে।

ট্র্যাকিং সাইটগুলোর বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা থাকে। যেমন, ঐতিহাসিক ডেটার জন্য অনেক সময় সাবস্ক্রিপশন এবং/অথবা ফিস দিতে হয়। তবে, প্রাথমিক তথ্যের জন্য খরচ অনেক কম (প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ মার্কিন ডলার) আর মূল্যবান তথ্যের জন্য খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে।

এই ওয়েবসাইটগুলো অনেকটাই বিশ্বজুড়ে অ্যান্টেনা বসানো শৌখিন পর্যবেক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। নিজেদের অ্যান্টেনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য যারা ওয়েবসাইটগুলোকে “সরবরাহ” করে, তারা বেশ ব্যয়বহুল সাবস্ক্রিপশন বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পান।

সকলের জ্ঞাতার্থে দ্রষ্টব্য: কিছু ট্র্যাকিং সাইট সাংবাদিকদের সুযোগ দেয় এবং বিনামূল্যে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। দরকার হলে দ্বিধা ছাড়াই তাদের জিজ্ঞেস করুন। এছাড়াও সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য কিছু সাইট চ্যাট বোর্ড ও নির্দেশনামূলক ব্লগ জুড়ে দিয়েছে।

প্লেন ট্র্যাকিংয়ের প্রধান সাইটগুলো হলো:

এডিএস-বি এক্সচেঞ্জ – এই সাইটটি অন্যান্য ফ্লাইট-ট্র্যাকিং সেবাগুলোর তুলনায় বেশি ফ্লাইট সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে। এটিকে পছন্দের কারণ হলো, মার্কিন বিধিবিধানের আওতায় বেনামী ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ জানানো মার্কিন বিমানের তথ্য এই সাইট ফিল্টার করে না৷ ( এ সম্পর্কিত আরও তথ্য নিচে দেওয়া হয়েছে) এখানে বিনামূল্যে যেকোনো বিমানের পুরনো ফ্লাইট-তথ্য খোঁজা যায়। ট্র্যাকিং ম্যাপে চোখ রাখুন, তারপর যে কোনো প্লেনে ক্লিক করুন বা সার্চ  করুন। বাম প্যানেলে, “হিস্ট্রি” দেখুন। অপ্রিক্রিয়াজাত ডেটার জন্য সাধারণত খরচ হয়। মানচিত্র সম্পর্কিত সহায়তা পেতে  এখানে দেখুন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এডিএস-বি এক্সচেঞ্জকে জেটনেটের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এতে কিছু ব্যবহারকারী উদ্বিগ্ন হলেও জেটনেট ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।

এই তিনটি সাইট সাংবাদিকদের কাজের জন্য বেশি উপযোগী।ইকারাস ফ্লাইটস – অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সিফরঅ্যাডস) তৈরি করা এই ফ্লাইট-ট্র্যাকিং টুল এডিএস-বি এক্সচেঞ্জ ডেটা ব্যবহার করে। এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। যেমন: ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারে, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ বিমানের গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারে এবং উড়োজাহাজের মালিকানা সম্পর্কিত ডেটা জানতে চাইতে পারে। ইকারাস ফ্লাইটস সবাই ব্যবহার করতে পারে, তবে বিনামূল্যে সেবা পেতে এটি ব্যবহারে আগ্রহী অনুসন্ধানকারীদের অবশ্যই সিফরঅ্যাডস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

ওপেন স্কাই নেটওয়ার্ক হচ্ছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা। তারা দাবি করে, বিশ্বে বিমান চলাচলের সবচেয়ে বড় সার্ভেইল্যান্স ডেটার ভান্ডারটি তাদের দখলে। “আমরা প্রতিটি বিমান থেকে পাওয়া প্রতিটি বার্তাই সংরক্ষণ করি,” জিআইজেএনকে জানান তাদের একজন স্বেচ্ছাসেবী। তাদের এয়ারক্রাফট ডেটাবেজ-এ গিয়ে  উড়োজাহাজের লেজে থাকা নম্বরটি দিয়ে অনুসন্ধান করলে নিবন্ধন তথ্য, ফ্লাইট ইতিহাস এমনকি সেটি আকাশে নাকি মাটিতে, তা-ও জানিয়ে দিবে। এক্সপ্লোরার ফিচারে গেলে, যেসব উড়োজাহাজ আকাশে আছে শুধু সেগুলোই দেখাবে। যত উড়োজাহাজ ট্র্যাক করা হয়েছে তার সবগুলোর ৩০ দিনের ইতিহাসও দেয়া আছে। জরুরী সতর্কবার্তার তালিকা নিয়ে রয়েছে আরেকটি ফিচার।

ওপেনস্কাই মূলত একাডেমিক ও অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি। তবে সুনির্দিষ্ট অনুরোধ জানালে তারা সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা করে। ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং “পরিচিতি বাড়ানোর মাধ্যমে আমাদের লাভবান করে,” এমন বিষয়ে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করেছে।

জেটনেট এডিএস-বি এক্সচেঞ্জ কেনার পর থেকে দুটি নতুন সাইটের আবির্ভাব হয়েছে। অন্তত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক পর্যন্ত দুটোই বেশ কম ফিডার ও কম কভারেজ এবং আনফিল্টার্ড বলে মনে হয়েছে।

সেগুলো হলো:

দ্য এয়ারট্রাফিক ডট কম – জ্যাক সুইনি “এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোল ডিসকর্ড সার্ভারের সদস্যদের” চালু করা একটি সাইট, যেটি “সবসময় খোলা ও আনফিল্টার্ড থাকার” কথা।

এডিএসবি ডট ফাই – “একটি কমিউনিটি-পরিচালিত ফ্লাইট ট্র্যাকার, যেখানে বিশ্বজুড়ে ৫০০ টিরও বেশি সক্রিয় ফিডার” আছে। এই ট্র্যাকারে “বিশ্বব্যাপী এয়ার ট্রাফিক ডেটায় উন্মুক্ত ও আনফিল্টার্ড অ্যাক্সেস” নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
অন্যান্য ট্র্যাকিং সোর্স
অল্প কয়েকটি ট্র্যাকিং সেবা রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং ম্যাপ এবং বিমানের সাম্প্রতিক ভ্রমণগুলো বিনামূল্যে দেখাসহ আরও বেশকিছু সুবিধা দেয়।

তবে, এই ফ্লাইট-ট্র্যাকিং সেবাগুলো মালিকের অনুরোধক্রমে যে কোনো বিমানের তথ্য সরিয়ে নেয়৷ তবুও, সেগুলোর কভারেজ বিশ্বের কিছু অঞ্চলে (যেমন আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা) এডিএস-বি এক্সচেঞ্জের চেয়ে অনেক ভালো।

বিমান ছাড়ার সময়ের নোটিফিকেশন ও ঐতিহাসিক ফ্লাইট সম্পর্কিত ডেটা ব্যবহারের সুবিধা সহ বেশ কিছু সুবিধা অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হয়ে থাকে।

ফ্লাইট অ্যাওয়ার
ফ্লাইট রাডার টুয়েন্টি ফোর
প্লেন ফাইন্ডার
এয়ারন্যাভ রাডার বক্স

আরও কয়েকটি ট্র্যাকিং সেবাদাতা সাইট: এয়ার ফ্লিটস্,অ্যাভ ডেল্ফি, ফ্লাইট স্ট্যাটস্, ফ্লাইট বোর্ড, ফ্লাইট ভিউ, ফ্রিডার, প্লেন ম্যাপার, প্লেনপ্লটার, এবং স্কাইস্ক্যান ওয়ার্ল্ড।

বাণিজ্যিক বিমান ভ্রমণকারীদের জন্যেও কিছু সাইট রয়েছে।

এছাড়াও বিশেষায়িত কয়েকটি সাইট আছে। এগুলো হলো:

ডিক্টেটর অ্যালার্ট – এই প্রকল্প বিশ্বব্যাপী একনায়কতান্ত্রিক সরকারের বিমানগুলো সনাক্ত করে এবং বেশ কয়েকটি টুইটার বট চালায়, যেগুলো বাসেল-মুলহাউস-ফ্রেইবার্গের ইউরো এয়ারপোর্ট বা প্যারিস, লন্ডন, জেনেভায় বিমান অবতরণের সময় অবহিত করে।
বেলিংক্যাট – “কাজাখস্তানের সাম্প্রতিক ও পরিবর্তিত পরিস্থিতি আরও ভালভাবে বুঝতে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে অবতরণ করা ও সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ফ্লাইটগুলোকে ট্র্যাক করার একটি ওপেন সোর্স ডেটাবেস।”
লস এঞ্জেলেস, বাল্টিমোর, পোর্টল্যান্ড, মিনিয়াপোলিস ও লন্ডন সহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের উপর দিয়ে যখন কোনো বিমান উড়ে যায়, তখন অ্যাডভাইজরি সার্কুলার বট সেটি পোস্ট করে।

সামাজিক মাধ্যমও প্লেনস্পটারদের খুঁজে পাওয়া তথ্যে ভেসে যায়। টুইটার হ্যাশট্যাগগুলো দেখুন: #এভিয়েশন, #অ্যাভগিক, #প্লেনস্পটিং, #ফ্লাইট এবং #মিলঅ্যাভগিক।

বেশি টুইটকারী অনেকের মধ্যে কয়েকজন হলো: এভারগ্রিন ইন্টেল @vcdgf555, Gerjon @Gerjon, Aircraft Spots @AircraftSpots, SkyScanWorld @scan_sky, এবং Avi Scharf @avischarf।

এছাড়াও জাহাজ ও উড়োজাহাজ নিয়ে বেলিংক্যাটের ডিসকর্ড চ্যানেল দেখুন।
ট্র্যাকিংয়ের প্রাথমিক ধারণা
সব উড়োজাহাজের লেজের দিকে একটি শনাক্তকরণ চিহ্ন বা “টেইল নম্বর” থাকে (বা থাকা উচিত)।ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটগুলো বিমান শনাক্তের জন্য উপযোগী তথ্য তুলে ধরে।

“হেক্স কোড” নামে একটি শনাক্তকারণ চিহ্ন আছে (তবে অনেক সময় এস-মোড বা আইকাও বলা হয়)। ছয় বা সাত অক্ষর ও সংখ্যার এই সিরিজটি সরকারের জন্য বরাদ্দকৃত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা ((ICAO) এর ২৪-বিটের সাংকেতিক ঠিকানা থেকে নেওয়া হয়, যা থেকে কোডে থাকা বিমান নিবন্ধনের দেশ সম্পর্কে জানা যায়। বিমান বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত হেক্স নম্বর বদলায় না। নীতিগতভাবে, এটি বিমানের স্বতন্ত্র শনাক্তকরণ চিহ্ন, আর ট্র্যাকিং অ্যান্টেনাগুলো এই তথ্যই সংগ্রহ করে।

দ্বিতীয়ত, সব উড়োজাহাজের লেজের দিকে একটি শনাক্তকরণ চিহ্ন বা “টেইল নম্বর” থাকে (বা থাকা উচিত)। দেখার সুবিধার্থে এটি কমপক্ষে ১২ ফুট উচ্চতায় স্পষ্ট করে লেখা হয়। এই সংখ্যাগুলো হলো সংক্ষিপ্ত আলফানিউমেরিক স্ট্রিং, যা বিমান নিবন্ধনের দেশ নির্দেশ করতে অক্ষর দিয়ে শুরু হয়, (যুক্তরাষ্ট্রের জন্য N, জার্মানির জন্য D, ইত্যাদি)। উইকিপিডিয়ায় বিমান নিবন্ধন উপসর্গের (প্রিফিক্স) একটি সমৃদ্ধ তালিকা রয়েছে। এরপর থাকে কয়েকটি সংখ্যা এবং/অথবা নির্দিষ্ট বিমানের জন্য নির্দিষ্ট অক্ষর। (সামরিক বিমানগুলো বিভিন্ন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে।)

এছাড়াও “কল সাইনের” ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। বিমান চালক সেই ফ্লাইটে ঢুকানোর যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, কমবেশি তাই হলো কল সাইন। বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এর ফ্লাইট নম্বর হবে অনেকটা এমন – ডেল্টা এয়ারলাইন্সের হনলুলু থেকে মিনিয়াপোলিস পর্যন্ত  ফ্লাইট৩০৭ এর জন্য ফ্লাইট নম্বর হবে DAL307.

Tipsheet: How to Track Airplanes

বাংলা | Русский

All aircraft have unique markings that sometimes can be used to track their flights and identify their owners. Investigative journalists are using this information to uncover corruption, learn about surveillance flights, discover rendition operations and more.

টিপশিট: কীভাবে জানবেন বিমানটি কোথায় আছে?

English

বিশ্বের প্রতিটি বিমানের জন্য একটি অনন্য চিহ্ন থাকে। সেই চিহ্ন ধরে অনেক সময় বিমানগুলোর গতিপথ ট্র্যাক করা যায়। কখনো কখনো তাদের মালিকদেরকেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়েছেন–দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে, নজরদারিতে নিয়োজিত গোয়েন্দা বিমানের গতিপথ জানতে, কখনোবা আকাশপথে অপরাধী স্থানান্তরের ওপর নজর রাখতে। এমন অনেক প্রয়োজনেই আপনার কাজে আসেবে প্লেনস্পটিং।

বিমান কীভাবে ট্র্যাক করতে হয় তার একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করেছে জিআইজেএন। দীর্ঘ সেই নির্দেশিকার সারসংক্ষেপ এই টিপশিট। দীর্ঘ ও বিস্তারিত গাইডটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

আকাশে বিমানের গতিপথে নজর রাখার ব্যবস্থা এখন আরও উন্নত হয়েছে। এই কাজে এডিএস-বি (অটোমেটিক ডিপেনডেন্ট সার্ভেইল্যান্স-ব্রডকাস্ট) নামের একটি নতুন ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে সবাই গ্রহণ করে নিচ্ছে। এর দু’টি সুবিধা। প্রথমত, এটি আগের প্রযুক্তির চেয়ে আরও নির্ভুল তথ্য দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, মার্কিন আইন অনুযায়ী যেসব বিমান নিজেদের অবস্থান গোপন রেখে চলাচলের সুবিধা পায়, তারাও এই ট্র্যাকিং ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত।

বিশ্বব্যাপী উড়োজাহাজ ট্র্যাকিং করা সম্ভব হচ্ছে মূলত কিছু বাণিজ্যিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কারণে। তারা সরকারী ও বেসরকারি উৎস থেকে বিপুল পরিমান ফ্লাইট ডেটা সংগ্রহ করে। এখানে তেমন চারটি সাইটের বিবরণ দেওয়া হলো, যারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

এডিএসবি এক্সচেঞ্জ: এটি অন্যান্য ট্র্যাকিং সাইটের চেয়ে আলাদা। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে, নিজেদের উড়োজাহাজের গতিপথ গোপন রাখতে পারে। কিন্তু এডিএসবি এক্সচেঞ্জ, সেই সব মার্কিন উড়োজাহাজের তথ্যও প্রকাশ করে। এ কারণে সাইটটি সাংবাদিকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। এটি অ-বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত। সাংবাদিকেরা তাদের অনুসন্ধানী প্রকল্পের কাজে এই যোগাযোগ ফর্ম ব্যবহার করে সাহায্য চাইতে পারেন।

ফ্লাইটএওয়্যার: আপনি রেজি্স্টার না করেও অতিথি হিসেবে ফ্লাইটএওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন। তারা ফ্রি বিমান ট্র্যাকিংয়ের সুবিধা দেয়। চাইলে কোনো নির্দিষ্ট উড়োজাহাজের বিবরণ দিয়ে অ্যালার্টও সেট করে রাখতে

পারবেন। সাংবাদিকেরা বাড়তি সহায়তার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন তাদের বিপণন পরিচালক সারা ওরসির সঙ্গে, এই ইমেইল ঠিকানায়: sara.orsi@flightaware.com।

ফ্লাইটরাডার২৪: এটি একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং সার্ভিস। তবে তারা বিনা মূল্যে ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ের সুযোগ দেয়। ফ্লাইটরাডার এর আগে একাধিক সুনির্দিষ্ট প্রকল্পে সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজ করেছে। বাড়তি সহায়তার জন্য Ian@fr24.com, এই ঠিকানায় ইয়ান পেচেনিকের সাথে যোগাযোগ করুন।

ওপেনস্কাই নেটওয়ার্ক: ওপেনস্কাই নেটওয়ার্ক সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি অলাভজনক সংগঠন। তারা মূলত একাডেমিক এবং অলাভজনক গবেষণার কাজে নিয়োজিত, কিন্তু সুনির্দিষ্ট অনুরোধ পেলে সাংবাদিকদের সহায়তা করে।

বিমানের মালিকদের চিহ্নিত করা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, কিন্তু কার্যত বেশ কঠিন। কারণ, বেশির ভাগ দেশ উড়োজাহাজ মালিকদের নিবন্ধন তথ্য প্রকাশ করে না। খোঁজাখুঁজি শুরু করার জন্য এরোট্রান্সপোর্ট একটি ভালো জায়গা। এখানে কিছু অনুসন্ধান বিনা মূল্যে করা যায়। তার বাইরে, তথ্য পেতে হলে সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া এয়ারফ্রেমস এবং আরজেডজেটস দেখুন।

Data Journalism Top 10: Ramadan Fasting, Volcanic Eruptions, Climate Change Economics, China’s Forced Labor

Driving an electric car and buying solar panels are things individuals can do to help slow climate change. But according to a new study, most people don’t realize that achieving a real impact on greenhouse emissions requires significant lifestyle sacrifices. Our NodeXL #ddj mapping from April 12 to April 18 found a story by the Financial Times showing that the best way in individual can reduce their carbon footprint is to have one less child. We also feature an explainer of Ramadan fasting by Al Jazeera, a look into China’s polysilicon factories by Bloomberg, and Chinese tycoon Jack Ma’s jet-setting ways.

How They Did It: A Private Yacht, a Luxury Jet and Hungary’s Governing Elite

In the hot summer of 2018, Hungary’s Atlatszo tracked two luxury vehicles – a private plane and a yacht – that the Hungarian government elite, including Prime Minister Viktor Orbán and his closest allies, used to travel to business meetings, football games and vacations abroad. Here’s how they did it.