Global Investigative Journalism Network (https://archive.gijn.org/tag/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%88%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%a4%e0%a6%be/)
সংবাদমাধ্যমের প্রতি আস্থার সংকটের এই কালে সাংবাদিকদের এমন কোনো পদ্ধতিতে সংবাদ সংগ্রহ করা উচিত নয়, যা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। আবার জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যখন তথ্য পাওয়ার অন্য কোনো উপায়ই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন এমন ছলচাতুরি ন্যায়সঙ্গতও হতে পারে। ছদ্মবেশ ধারণ, ছলচাতুরি ও বিশ্বাস ভঙ্গ করা ন্যায়সঙ্গত কিনা, তা যাচাই করতে ছয় পয়েন্টের একটি চেকলিস্ট তৈরি করেছেন সাংবাদিকতার দুই অধ্যাপক।
বিশ্বজুড়ে দারুন দারুন সব প্রভাবশালী সাংবাদিকতার জন্ম দিয়েছে আন্ডারকভার (ছদ্মবেশ) অনুসন্ধান। যেসব দেশে সরকারি নথি প্রকাশের স্বচ্ছতা বিষয়ে কোনো বিধিমালা বা সোর্সের সুরক্ষায় কঠোর আইন নেই– সেখানে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় উন্মোচনের জন্য অনেক সময় ছদ্মবেশ ধারণই শেষ উপায় হয়ে দাড়ায়। কিন্তু এ ধরনের সাংবাদিকতায় ঝুঁকি আছে; আর আছে একটি কঠোর নৈতিক মানদণ্ড, যা ছদ্মবেশ ধারণের সময়, বা তার আগে ও পরে, মেনে চলতে হয়। ছদ্মবেশ সাংবাদিকতা নিয়ে অভিজ্ঞ অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পরামর্শ এবং দুর্দান্ত কিছু কেস স্টাডি পাবেন জিআইজেএন-এর এই গাইডে।
গুপ্তচররা যে ভালো নজরদারি এড়াতে পারেন, তা সবারই জানা। তবে সাংবাদিকদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও অনুসন্ধানী মনোভাব যে এসব ছদ্মবেশী রাষ্ট্রীয় গুপ্তচরকেও সনাক্ত করে ফেলতে পারে, তার আদর্শ সাম্প্রতিক উদাহরণ: আলেক্সি নাভালনির বিষকাণ্ড। রাশিয়ার বিরোধীদলীয় এই নেতাকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে যে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত, তা সাংবাদিকরা বের করে ফেলেছেন অভিনব সব অনুসন্ধানী কৌশল ব্যবহার করে। যা কখনো কখনো তুলেছে কিছু নৈতিকতার প্রশ্নও।