তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের যত রকম কৌশল

English
তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে তথ্য পাওয়া খুব সহজ – এমন না ভাবাই ভালো। আবেদন করে পাওয়া তথ্য যে সবসময় আপনার কাজে লাগবে তা-ও নয়। তবু লেগে থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায়। একারণে বিশ্বের যেখানেই এই আইন আছে, সেখানেই সাংবাদিকরা একে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন অসাধারণ সব রিপোর্ট। একের পর এক বাধা পেরিয়ে যারা শেষ পর্যন্ত কঠিন সব তথ্য হাতে পাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, চাইলে তাদের পথ ধরে হেঁটে যেতে পারেন আপনিও। তখন, বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ভয়ও কমে আসবে অনেকটাই।

একেক দেশের তথ্য অধিকার আইন একেকরকম হতে পারে। এই বৈচিত্র্যের কারণে, সবার কাজে আসবে এমন গড়পড়তা পরামর্শ দেয়া কঠিন। তবুও, অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবং তথ্য অধিকার বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শে উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া যায়।

ভারত, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক-গবেষকদের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে জিআইজেএন তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারের আটটি সাধারণ দিক খুঁজে পেয়েছে। এখানে রইল তাদের সেই পরামর্শ ও প্রাসঙ্গিক লিংক, যা আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে এই আইন ব্যবহারের কিছু কার্যকর কৌশলের সাথে।
জিআইজেএনের ৮ পরামর্শ

১. আগাম পরিকল্পনা: খুঁজে বের করুন আপনি কী চান। তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে বিশেষজ্ঞ কমবেশি সবাই জোর দিয়ে বলেছেন, নথিপত্র চাওয়ার আগে, পর্যাপ্ত গবেষণা করে নিন। নিশ্চিত হোন আপনি কী চান।

২.

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার যত ম্যানুয়াল

English

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা

ডেটা সাংবাদিকতা

শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণ

অন্যান্য দরকারী গাইড

আপনি কি টিপস, টুলস এবং টিউটোরিয়াল খুঁজছেন? রিপোর্টার হিসেবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে, শিক্ষক হিসেবে এই বিষয় পড়াতে অথবা শিক্ষার্থী হিসেবে বিষয়টিকে গভীরভাবে জানতে – এই রিসোর্স আপনার কাজে লাগবে, সন্দেহ নেই। নিচের সহায়িকাগুলো অনুসন্ধানী ও ডেটা সাংবাদিকতা নিয়ে। এখানে পাবেন সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা কেস স্টাডি আর উদাহরণ। গাইডগুলোর বেশীরভাগই পাওয়া যায় বিনামূল্যে।

চাইলে চীনা এবং স্প্যানিশ ভাষার গাইডও পেতে পারেন। আর আপনার কাছে শেয়ার করার মত কিছু থাকলে আমাদের ইমেইল করুন এবং জানান।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা
ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ম্যানুয়াল: এটি তৈরি করেছে জার্মান ফাউন্ডেশন কনরাড অ্যাডেনোয়ার স্টিফটুং। বেশকিছু কেস স্টাডি ও অনুশীলনসহ এটি প্রথম বের করা হয় মূলত আফ্রিকার সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতার হ্যান্ডবুক হিসেবে। তবে হ্যান্ডবুকটির সর্বশেষ সংস্করণ ডিজাইন করা হয়েছে সেইসব সাংবাদিকদের জন্যে যারা কাজ করেন সম্পদের সীমাবদ্ধতা, দমনমূলক গণমাধ্যম আইন এবং স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে – এমন পরিবেশে। এটি এক ডজনের বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং তার মধ্যে বাংলা ভাষাও রয়েছে। এই গাইডের একটি ইন্টার‌অ্যাক্টিভ ওয়েবসাইট আছে।

ডিগিং ডিপার: বলকান অঞ্চলের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য নির্দেশিকা: এটি প্রকাশ করেছে বলকান ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং নেটওয়ার্ক (বিআইআরএন)। কীভাবে নথিপত্র এবং তথ্য-উপাত্তের গভীরে যেতে হয়, এই সহায়িকায় সেদিকেই দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। বইটি লিখেছেন শীলা করোনেল। তিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাবাইল সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এর পরিচালক। এখানে পাবেন অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের বেশ কিছু টিপস ও কলা-কৌশল। ভাষা: ইংরেজি, ম্যাসিডোনীয়।

ফলো দ্য মানি: এ ডিজিটাল গাইড টু ট্র্যাকিং করাপশন: বিনামূল্যের এই হ্যান্ডবুক প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্টস।

গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কেসবুক: এই কেসবুকে প্রেক্ষাপটসহ বেশকিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের উদাহরন আছে। সেখানে সাংবাদিকরা কীভাবে গবেষণা করেছেন এবং প্রতিবেদন লিখেছেন তাও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। ভাষা: ইংরেজি।

গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম: স্ট্র্যাটেজিস ফর সাপোর্ট: এই নির্দেশিকায় একটি জরিপ ও আলোচনার উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিস্তার সম্পর্কে লিখেছেন জিআইজেএনের ডেভিড ই কাপলান। এখানে অলাভজনক অনুসন্ধানী উদ্যোগের কাঠামো এবং অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে টিপস রয়েছে। আর পাবেন বিশ্বব্যাপী অনুসন্ধানী দলগুলোর একটি তালিকা। এটি প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যাসিসটেন্স-সিআইএমএ। ভাষা: ইংরেজি।

গাইড টু ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম: একজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক কোথায় তার রিপোর্টের বিষয়বস্তু খুঁজে পাবেন,  কীভাবে নিবেন অনুসন্ধানী সাক্ষাৎকার, কোথায় পাবেন দরকারী নথিপত্র, গল্পের কাঠামো তৈরী করবেন কীভাবে আর তাকে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিবেন কেমন করে?

স্যাটেলাইট ছবি কোথায় পাবেন এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন?

English

উপগ্রহ চিত্র (স্যাটেলাইট ইমেজ) কোনও কিছু আবিষ্কার বা বিশ্লেষণের শক্তিশালী টুল। একই সাথে এটি প্রাণবন্ত ছবিরও যোগানদাতা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা চাইলে মহাকাশ থেকে তোলা এসব ছবি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এরইমধ্যে সংঘাত,জলবায়ু পরিবর্তন,শরণার্থী পরিস্থিতি,দাবানল,অবৈধ খনি খনন,সমুদ্র বা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়া,বন উজাড়,দাসপ্রথা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরীতে, তারা এর সদ্ব্যবহার করেছেন।

উপগ্রহ ছবি, যেমনটা বলছিলেন একজন বিশেষজ্ঞ, “সরল রৈখিক চিন্তাধারা থেকে স্বতন্ত্র।”

ক্ষয়িষ্ণু তটরেখা, ক্রমবর্ধমান চর কিংবা বনজসম্পদের বিলুপ্তির মত ক্ষেত্রে, সময়ের সাথে হওয়া পরিবর্তন দারুণ ভাবে তুলে ধরতে পারে ছবিগুলো। একইসাথে সম্পূরক তথ্য-প্রমাণ যোগান দিয়ে, এটি আপনার অন্য গবেষণাকেও করতে পারে সমৃদ্ধ।  জিআইজেএনের এই রিসোর্স পেইজে, বিনা পয়সায় হাই-রেজ্যুলুশন ছবি ও সহযোগিতা পাওয়ার ১০টি জায়গার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এই তালিকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই অলাভজনক, কিন্তু জিআইজেএন কিছু বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেরও খোঁজ পেয়েছে, যারা সাংবাদিকদের সহায়তা ও ছবি দিতে রাজি। (নীচে দেখুন)।

যেহেতু এর সাথে কারিগরী (টেকনিক্যাল) ইস্যুও জড়িত, তাই রিপোর্টারদের প্রতি পরামর্শ, তারা যেন প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ সহায়তা নেন।

”সেন্টিনেল ২ এর ছবিতে কী আছে, যা ল্যান্ডস্যাট ৮-এর ছবিতে নেই – কম্পিউটারের সামনে বসে এসব নিয়ে চুল ছেড়ার চেয়ে, সাংবাদিকদরা প্রতিবেদন তৈরী বা অসাধারণ একটা লেখার পেছনে বেশি সময় ও শ্রম দিন, এটাই আমি চাই।” এই মন্তব্য করেছেন এমন একজন বিশেষজ্ঞ, যিনি সাংবাদিকদের সাহায্য করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।

তাঁর মতো, উপগ্রহ চিত্র নিয়ে যারা নিয়মিত কাজ করেন, তাদের বিশ্বাস, সাংবাদিকরা স্যাটেলাইট ছবি দিয়ে আরও অনেক কিছু করতে পারেন।

এই বিষয়ে প্রাথমিক জানাশোনার জন্য, অ্যান হেল মিগলারেসের লেখা প্রবন্ধটি দেখে নিতে পারেন। তিনি ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট আর্থের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা – যারা বৈশ্বিক উন্নয়ন ইস্যুতে উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার নিয়ে কাজ করে।

এ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা ও টিপস পাওয়া যাবে, জিওস্পেশাল মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর নির্বাহী সম্পাদক অনুসূয়া দত্তের চমৎকার এই নিবন্ধে। তিনি আইজেএশিয়া১৮-তে ‘উপগ্রহ চিত্রের নতুন যুগ’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
যা দেখে আপনিও উৎসাহী হবেন

কাঁচামাল হিসেবে স্যাটেলাইটের মান যত উন্নত হচ্ছে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় উপগ্রহ চিত্রের কদরও বাড়া উচিত ততটাই।

নিম্ন-কক্ষপথের অপেক্ষাকৃত ছোট ও সস্তা স্যাটেলাইটগুলো দিনে দিনে আরও বিশদ ছবি সরবরাহ করছে। তারা ছবি নিচ্ছে বেশি সময় ধরে এবং বেশি এলাকা জুড়ে। মার্কিন কোম্পানী প্ল্যানেট, ১৭৫টির বেশি উপগ্রহ দিয়ে, প্রতিদিনি গোটা পৃথিবীর প্রায় পাঁচ কোটি ৮০ লাখ বর্গমাইল ভূ-খন্ডের হাই-রেজ্যুলুশন ছবি তৈরি করছে। এক বর্গমিটার প্রতি পিক্সেলের ছবিগুলো রাস্তা, ভবন, ফসল, এমনকি বনের গড়পড়তা রঙ পর্যন্ত দেখাতে সক্ষম। এখন রেজ্যুলুশন নেমে এসেছে ১০ সেন্টিমিটার মাপে, যা দিচ্ছে আরও পরিষ্কার দৃশ্য, বাড়াচ্ছে সম্ভাবনা।

অনুপ্রেরণার জন্য, এখানে স্যাটেলাইট ছবি বিষয়ক সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো।

আইজেএশিয়া১৮-তে রয়টার্সের গ্রাফিক্স সম্পাদক ক্রিস্টিন চ্যান ‘রিপোর্টিং টুল হিসেবে উপগ্রহ চিত্র’ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন।

প্ল্যানেটের একটি সংবাদ বিভাগ রয়েছে। আর্থরাইজ মিডিয়ার রয়েছে একটি নিউজওয়্যার ও কিছু কেস স্টাডি। আর স্কাইট্রুথের প্রকল্পগুলোর খবর পড়া যাবে এখানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বখ্যাত ক্রূগার ন্যাশনাল পার্ক ও মোজাম্বিক সীমান্তে অবস্থিত, মাসিংগির গ্রামের ভূমি বিরোধ নিয়ে একটি রিপোর্ট সম্প্রতি আমাদের নজর কেড়েছে। অক্সপেকার্স ইনভেস্টিগেটিভ এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিজমের সাংবাদিক এস্কেশিও ভ্যালোই-এর প্রতিবেদনে কীভাবে ড্রোন ও উপগ্রহ ছবি ব্যবহার হয়েছে, তার বিবরণ দেখুন।

বেলিংক্যাট থেকে পাচ্ছেন, অবকাঠামোগত পরিবর্তন সনাক্ত করতে টাইম-ল্যাপ্স উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার: মিয়ানমার, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ চীন সাগরের কেস-স্টাডি।

আফ্রিকায় ড্রোন পরিচালনার জন্য কীভাবে একটি বিমান ঘাঁটির সম্প্রসারণ করেছিলো সিআইএ, তা দেখাতে, প্ল্যানেট ল্যাবরেটরির ছবি ব্যবহার করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তাদের এই নিবন্ধে দেখুন: উপগ্রহ চিত্র এবং ছায়া বিশ্লেষণ: কিভাবে টাইমস প্রত্যক্ষদর্শীদের পাঠানো ভিডিও যাচাই করে।

২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় জিআইজেএন-এর সম্মেলনে, বতসোয়ানার আইএনকে সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম-এর জোয়েল কনোপো ব্যাখ্যা করেছিলেন, রাষ্ট্রপতি ভবন কম্পাউন্ডে সামরিক অবকাঠামো নির্মাণের ঘটনা প্রমাণ করতে স্যাটেলাইট ছবি কতটা কাজে এসেছিল। তাঁর মতে, এমন ছবি টাকা দিয়ে কিনেও লোকসান হয় না। “উপগ্রহ ছবি ব্যবহার করে, কম্পাউন্ডের ভেতরে বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং সামরিক কার্যক্রমের অস্তিত্ব খুঁজে পাই আমরা, যা সরকার অস্বীকার করে আসছিল ।” বলেন কনোপো।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বেলিংক্যাট, তাদের অনুসন্ধানে নিয়মিতভাবে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করে। ২০১৮ সালে “পৈশাচিক অবহেলা: পূর্ব সিরিয়ার সংঘাত পরবর্তী তেল দূষণ” নামের অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরি হয় উপগ্রহ ছবির ভিত্তিতে। আরেকটি প্রতিবেদনে বেলিংক্যাট প্রমাণ করে, ইরান কীভাবে একটি কৌশলগত এয়ারপোর্টের রানওয়ে বড় করছে।

বেলিংক্যাট থেকে আরেকটি পাঠ: কিভাবে উপগ্রহ ছবি থেকে পুড়ে যাওয়া গ্রাম সনাক্ত করা যায় – ক্যালিফোর্নিয়া, নাইজেরিয়া এবং মায়ানমারের কেস-স্টাডি।

রয়টার্স ইনস্টিটিউটের মার্ক করকোরান, সংবাদ সংগ্রহে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক প্রবন্ধে, মিডিয়া কেস স্টাডি এবং সাংবাদিকদের উপগ্রহ ছবি সরবরাহ করে এমন দুটি প্রভাবশালী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বিশ্লেষণ করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন স্যাটেলাইট সাংবাদিকতার প্রয়োগ এবং তার সীমাবদ্ধতা নিয়েও।
যেসব সংগঠন সাংবাদিকদের সাথে কাজ করে

আর্থরাইজ মিডিয়া: আর্থরাইজ মিডিয়া উপগ্রহ ছবি তৈরি, খোঁজাখুঁজি, লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং তার বিশ্লেষণে সহায়তা করে সাংবাদিকদের। তাদের একটি নিউজওয়্যার রয়েছে, যা উপগ্রহ চিত্র থেকে নেয়া মৌলিক কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনার প্রতিবেদনকে উন্নত করতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী স্যাটেলাইট ছবির বিশ্লেষণ ও ডিজাইন তৈরী, আর্থরাইজের আরেকটি সেবা।  সাধারণ মানুষ কিংবা বিশেষজ্ঞ নন এমন পাঠকের পক্ষে, প্রাথমিক বা র’ ফরম্যাটে থাকা ছবি বোঝা কঠিন। তাই ছবিকে বোধগম্য করতে প্রতিষ্ঠানটি, তাতে ’কাস্টম ফিল্টার’ প্রয়োগ করে। একইসাথে তারা ছবির মৌলিক বিশ্লেষণ দেয় এবং তাকে একটি নির্দিষ্ট মাপে নিয়ে আসে । যা দেখে বোঝা যায়, কোথায় কত পানি শুকিয়ে গেছে বা দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপে কত অবকাঠামো রয়েছে। সবশেষে ছবিগুলো সংবাদ মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য যথাযথ লাইসেন্স নিশ্চিত করে আর্থরাইজ। তাদের সেবা পেতে এখানে অনুরোধ পাঠান।

স্কাইট্রুথ: যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়া ভিত্তিক অনুসন্ধানী এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জন আমোস। তিনি বলেছেন, তারা বিশ্বব্যাপী অনুসন্ধানী প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী। তার সাথে যোগাযোগ করুন john@skytruth.org এই ই-মেইল ঠিকানায়।

এসরি: এসরি (ইএসআরআই) আপনাকে দেবে তাদের স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহারের সুযোগ,  বিশ্লেষণ এবং ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুলস। মানচিত্রের মাধ্যমে তথ্য-বহুল ও আকর্ষণীয় স্টোরিটেলিংয়ের জন্য, অন্য উৎস থেকে নেয়া ছবি, তাদের কন্টেন্টের সাথে সংযোজন করতে দেয় করতে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এসরির ‘ওয়ার্ল্ড ইমেজারি বেসম্যাপ’ প্রতিনিয়ত হালনাগাদ হচ্ছে। এর ক্লাউড-ফ্রি সংস্করণও রয়েছে, যার নাম ক্লারিটি। ল্যান্ডস্যাট উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যের একটি বিশাল ভান্ডার রয়েছে তাদের। সেখান থেকে সাম্প্রতিক ও ঐতিহাসিক তথ্য অনুসন্ধান এবং বিশ্লেষণের সুযোগ দেয় তারা। লিভিং অ্যাটলাস অব দ্যা ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমেও ছবি সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানিটি। আপনি এই স্টোরি ম্যাপের মাধ্যমে ছবি আপডেটের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সবসময় অবহিত থাকতে পারেন। এসরি ছবি নিয়ে কাজ করার জন্য আর্কজিআইএস আর্থ (একটি বিনামূল্যের থ্রি-ডি ভিউয়ার, যা জিআইএসের সাথে কম পরিচিত লোকদের জন্য তৈরী) সহ আরও অনেক ধরনের টুলস সরবরাহ করে। স্টোরি ম্যাপস ওয়েবসাইট মাল্টিমিডিয়া ও ন্যারেটিভ টেক্সটের মাধ্যমে মানচিত্র উপস্থাপনের নানা পথও দেখিয়ে থাকে।

নেতৃস্থানীয় স্যাটেলাইট ছবি কোম্পানীগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছে এসরি। তারা প্রায়ই আর্কজিআইএস অনলাইনে (ম্যাপিং ও বিশ্লেষণের প্লাটফর্ম) অলিম্পিক গেইমস কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক ঘটনার আপডেটেড ছবি প্রকাশ করে।

এসরির সাথে একটি চুক্তির কল্যাণে, জিআইজেএন সদস্যরা, ছবি নিয়ে কাজ ও মানচিত্র তৈরির জন্য বিনামূল্যে আর্কজিআইএস সফটওয়্যারের লাইসেন্স চেয়ে অনুরোধ করতে পারেন। আরও তথ্যের জন্য, এখানে জিআইজেএনের সাথে যোগাযোগ করুন।ম্যাক্সার নিউজ ব্যুরো: সরকারী ও বেসিরকারি পর্যায়ে উন্নত মহাকাশ প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলজিস। তারা ২০১৭ সালের মার্চ থেকে একটি নিউজ ব্যুরো পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের হাই-রেজ্যুলুশন উপগ্রহ ছবি ও বিশ্লেষণ সক্ষমতা ব্যবহার করে, সামাজিক কল্যাণ ও বৈশ্বিক স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার কাজে। ম্যাক্সারের অন্যতম ইউনিট ডিজিটালগ্লোব তৈরি করে সর্বোচ্চ রেজ্যুলুশনের ছবি। আস্থাভাজন গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রকল্পে অংশীদার হতে আগ্রহী নিউজ ব্যুরো, যেখানে তারা দক্ষতা ও ছবি দিয়ে সমর্থন যোগায় । আরও জানতে যোগাযোগ করুন turner.brinton@maxar.com এই ঠিকানায়।

ম্যাক্রোস্কোপমিডিয়া: উপগ্রহ ছবি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন তৈরির জন্য সাংবাদিকদের বিনামূল্যে সহায়তা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। স্যাটেলাইট সংক্রান্ত মিডিয়া প্রকল্পে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ স্টেইন। (কোন ওয়েবসাইট নেই।) জিআইজেসি’১৭ তে তাঁর উপস্থাপনা দেখুন। তাঁর সাথে যোগাযোগ করুন, Jeff.Stein@macroscope.com – এই ঠিকানায়।

প্ল্যানেট স্টোরিজ নামে প্ল্যানেটের একটি ডেটাবেস রয়েছে, যা ব্রাউজ, বিচার-বিশ্লেষণ ও শেয়ার করতে পারেন, যে কেউই। এর দুটি টুলস হলো – কম্পেয়ার ও টাইমল্যাপ্স। কম্পেয়ার দুটি ছবি বাছাই করে, স্লাইডারে রেখে, তাদের মধ্যে তুলনামূলক বিচারের সুযোগ দেয়। আর টাইমল্যাপ্সের মাধ্যমে একাধিক ছবি বাছাই করে, তার সময়ভিত্তিক পরিবর্তনের একটি অ্যানিমেটেড স্টোরি তৈরী করা যায়। পৃথিবীর সমস্ত ভূ-খন্ডের প্রতিদিনের ছবির একটি অসাধারণ সংগ্রহ আছে প্ল্যানেটের। অনুমোদিত সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ছবি ও দক্ষতা ভাগাভাগি করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। যোগাযোগ করুন Press@planet.com – এই ঠিকানায়।

ডেকার্টস ল্যাবস: এটি একটি বাণিজ্যিক সেবা। তারা জনসাধারণ এবং বাণিজ্যিক উৎস থেকে প্রতিদিন তথ্য সংগ্রহ করে এবং সাংবাদিকদেরও সাহায্য করে। শন প্যাট্রিক (প্রতিষ্ঠানটির সাথে যোগাযোগের ব্যক্তি) জানান, “আমরা প্রায়ই বিভিন্ন সংবাদপত্রের কাছ থেকে ছবি তোলার অনুরোধ পাই এবং তাদের সাহায্য করতে পারলে খুবই আনন্দিত হই। এর জন্য কোন টাকা নেয়া হয় না, শুধুমাত্র ক্রেডিট দিতে বলা হয়।”

ইওএস: ইওএস ল্যান্ডভিউয়ার দশটি পর্যন্ত ছবি বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। এর চেয়ে বেশি ছবি বা বিশ্লেষণ পেতে চাইলে টাকা দিতে হয়। তবে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে। যোগাযোগ: আর্টেম সেরেডিউক artem.seredyuk@eosda.com।  সামনে ইওএস মিডিয়া নামে একটি নতুন সেবা চালু করতে যাচ্ছে তারা, যা বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবি ও বিশ্লেষণ সরবরাহ করবে বিনামূল্যে।

রেডিয়েন্ট আর্থ ফাউন্ডেশন: বিশ্বের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপগ্রহ, ড্রোন এবং আকাশ থেকে ধারণ করা ছবির ‘আর্কাইভ’ অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণে সহায়তা করে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক এই ননপ্রফিট। তারা ২০১৮ সালের পাঁচ সেপ্টেম্বর একটি “ওপেন আর্থ ইমেজারি প্ল্যাটফর্ম’ প্রকাশ করে। রেডিয়েন্ট আর্থ অন্যান্যদের মধ্যে কোড অফ আফ্রিকার সাথে কাজ করেছে। তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহায়তা লাভের জন্য আবেদন করুন।

রিসোর্স ওয়াচ: এটি একটি অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম (এখনও বিটা ফর্মে)। তাদের শত শত ডেটা সেট আছে। ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য সংস্থা তাদের পৃষ্ঠপোষক। রিসোর্স ওয়াচের তথ্য বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং ব্যবহারকারীরা তা ডাউনলোডও করতে পারেন। যোগাযোগ করুন, লরেন জেলিনের (lzelin@wri.org) সাথে।
ফ্রি স্যাটেলাইট ছবি কোথায় পাবেন? উপগ্রহ ছবির অনেক উৎস রয়েছে। এখানে বিনামূল্যে এবং সহজে ব্যবহার উপযোগী কয়েকটি অপশন দেয়া হল। সাথে থাকছে একটি তালিকা, যেখানে আপনি অন্যান্য উৎেসের সন্ধান পাবেন।

আর্থ এক্সপ্লোরার: এটি মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভিসের অংশ। এখানে মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছবি পাওয়া যায়। আর আছে, ল্যান্ডস্যাট উপগ্রহের তথ্য এবং নাসার ল্যান্ডডেটা প্রোডাক্টস অ্যান্ড সার্ভিসেসে প্রবেশের সুযোগ। ইউএসজিএস গ্লোবাল ভিজুয়ালাইজেশন ভিউয়ারে (গ্লোভিস) পাবেন রিমোট সেন্সিং ডেটা। ইউএসজিএস আর্কাইভে রয়েছে নাসা ল্যান্ডস্যাট ডেটার একটি পূর্ণাঙ্গ ও সুরক্ষিত সংগ্রহ।

সেন্টিনেল হাব প্লেগ্রাউন্ড: সেন্টিনেল ২/ল্যান্ডস্যাটে তোলা ছবির ব্যবহার উপযোগী সংস্করণ পাবেন এই জায়গায়। বাণিজ্যিক এই সাইট বিনামূল্যে যেসব সার্ভিস দেয় তার মধ্যে রয়েছে, হালনাগাদ ছবি এবং নানান রংয়ের ব্যান্ড ব্যবহারের সুযোগ। ইও ব্রাউজার আপনাকে দেবে টাইমল্যাপ্স রিভিউ ব্যবহারের সুবিধা।

স্পেক্টেটর: “গত মাসে নিউ ইয়র্কের মেঘমুক্ত দিনের ছবি“ – এমন বিবরণ লিখে সহজে উপগ্রহ চিত্র অনুসন্ধান করতে পারবেন, এই ফ্রি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে। এমনকি পুরনো ছবিও পাওয়া যায় সাইটটিতে। আরও জানতে দেখুন এই ইউটিউব ভিডিও। আপনার আগ্রহের এলাকা এবং কোন উপগ্রহ ব্যবহার করতে চান তা ঠিক করে, নিজেই একটি চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। তবে এজন্য একটি অ্যাকাউন্ট (বিনামূল্যে) খুলতে হবে।

কোপারনিকাস: এই সাইটে পাবেন ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং কোপারনিকাসের ছয়টি সেন্টিনেল উপগ্রহ থেকে তোলা সব ছবি। ল্যান্ডস্যাটের চেয়ে এর রেজ্যুলুশন ভালো। কিভাবে ফ্রি ছবি ডাউনলোড করবেন, জানতে দেখুন জিআইএসজিওগ্রাফির এই ব্যাখ্যা।

গুগল আর্থ ইঞ্জিন: ”প্ল্যানেটারি-স্কেলে বিশ্লেষণের ক্ষমতাসহ” স্যাটেলাইট ছবি এবং ভৌগলিক ডেটাসেটের একটি বড় ক্যাটালগ পাবেন এখানে। আর্থ ইঞ্জিন গবেষণা, শিক্ষা এবং অলাভজনক কাজে ব্যবহারের জন্য ফ্রি। কিন্তু অ্যাপ্লিকেশন লাগবে। ঐতিহাসিক স্যাটেলাইট ছবির জন্য এটি ভালো। আর গুগল আর্থ, একটি ভার্চুয়াল গ্লোবের মধ্যদিয়ে ভ্রমণের উপভোগ্য অভিজ্ঞতা দেবে আপনাকে।

গুগল ম্যাপ: এটি বিস্তারিত মানচিত্র এবং ছবি যোগান দেয়। গুগল স্ট্রিট ভিউতে পাবেন গ্রাউন্ড লেভেল, অর্থাৎ ভূমির সমান্তরাল ইমেজ। কিছু জায়গার পুরনো ছবিও এখানে পাওয়া যায়।

বিং: এটি মাইক্রোসফটের ম্যাপ এবং স্ট্রিট ভিউ সেবা। বেলিংক্যাট (অনলাইন অনুসন্ধানে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা) এর মতে, “গুগলের চেয়েও হালনাগাদ এবং উচ্চতর রেজ্যুলুশনের ছবি পাওয়া যায় বিংয়ে।” উদাহরণ: ইরাক।

উইকিম্যাপিয়া: একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন উদ্যোগ। তাদের সব কনটেন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত।  এই কোলাবরেটিভ (সহযোগিতামূলক) ম্যাপিং প্রকল্প, বিশ্বের সমস্ত ভৌগোলিক বস্তুকে চিহ্নিত করে এবং তাদের সম্পর্কে একটি ব্যবহার উপযোগী বর্ণনা দেয়। এর সাথে উইকিপিডিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ওয়েবসাইটটি গুগল ম্যাপ এপিআই ব্যবহার করে। তাদের ইন্টারঅ্যাকটিভ ম্যাপে গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ছবি ও অন্যান্য রিসোর্সের উপরে ইউজারদের দেয়া তথ্যের স্তর থাকে। এটি একাধিক ভাষায় পাওয়া যায়।

টেরাসার্ভার ডট কম: অনুসন্ধানযোগ্য ছবির বিশাল লাইব্রেরি, কিন্তু সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্য খুব বেশি নয়। তবে, কিছু সাংবাদিক টাকা দিয়ে এই সেবা সাবস্ক্রাইব করেন। তাদের মতে, এটি ভালো বিনিয়োগ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এটি ব্যবহারে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যাতে অনেকেই হতাশ হয়েছেন।

নাসা আর্থ ডেটা: নাসা থেকে প্রায় রিয়েল টাইম ছবি ভিজ্যুয়ালাইজ করতে পারে ওয়ার্ল্ড ভিউ। স্যাটেলাইট ও এরিয়াল ছবির বিশাল এই ভান্ডারে বিশদভাবে অনুসন্ধানের সুবিধা এবং নানা রকমের ম্যাপিং ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুল আছে। যেমন অগ্নিকান্ড দৃশ্যায়নের টুল, ফার্মস (FIRMS)। ডজনের বেশি নাসা তথ্য কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট স্যাটেলাইট ডেটা প্রোডাক্টে প্রবেশের সুযোগ দেয় এই সাইট। আর নাসা আর্থ অবজারভেশন্স দেবে বায়ুমন্ডল, ভূমি, মহাসাগর, জ্বালানী, পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয়ে ৫০টিরও বেশি ডেটাসেট।

জিওভিজ্যুয়াল সার্চ: এই সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে, নির্দিষ্ট ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একই রকমের দৃশ্য অনুসন্ধান করতে পারেন ইউজাররা। ডেকার্টস ল্যাবসের এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে ল্যান্ডস্যাট, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল ইমেজারি প্রজেক্ট (এনএআইপি) এবং প্ল্যানেটস্কোপ থেকে স্যাটেলাইট ছবি নিয়ে। এটি কিভাবে ব্যবহার করবেন তার বর্ণনা দেখুন।

ইএসএ আর্থ অনলাইন: ইওলি (পৃথিবী পর্যবেক্ষণ লিঙ্ক) এমন সাইট, যেখানে তাপমাত্রা, কৃষি এবং হিমবাহের মতো বিষয়ে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির যাবতীয় আর্থ অবজারভেশন ডেটা একসাথে পাবেন।

ওপেন ইমেজারি নেটওয়ার্ক (ওআইএন) ওআইএনের কন্ট্রিবিউটররা ছবি এবং তার মেটাডেটা একটি সাধারণ লাইসেন্সের অধীনে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। ওপেন ইমেজারি নেটওয়ার্কের কাজ হল – স্যাটেলাইট এবং এরিয়াল ছবি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে – ত্রাণ কর্মসূচি, ক্লাউড হোস্টিং কোম্পানি, ড্রোন এবং বেলুন ম্যাপিংয়ে আগ্রহী, সরকার, এনজিও, ম্যাপিং কোম্পানি এবং এরিয়াল ছবি তৈরি, হোস্টিং ও ব্যবহার করে এমন যে কাউকে সংযুক্ত করা। আর ওপেন এরিয়াল ম্যাপ তাদের তৈরি এই ছবির ভান্ডারে অনুসন্ধান ও প্রবেশের সুযোগ করে দেয় সবাইকে।

আর্থ টাইম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটির ক্রিয়েট ল্যাব (কমিউনিটি রোবোটিক্স, এডুকেশন এন্ড টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট ল্যাব) এটি তৈরি করেছে। “সময়ের ব্যাপ্তিতে পৃথিবী রুপান্তরের যে ভিজ্যুয়ালাইজেশন, তার সাথে ইউজারদের মিথষ্ক্রিয়া (ইন্টার‌্যাক্ট) করার সুযোগ দেয় আর্থ টাইম। তৈরি করা যায় অ্যানিমেশনও।”
ছবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিসোর্স

দ্যা ইঞ্জিন রুম, একটি আন্তর্জাতিক এনজিও। মানবাধিকার বিষয়ক অনুসন্ধানে স্যাটেলাইট ছবির ব্যবহার সম্পর্কে আপনাকে অনেক কিছু জানাতে পারে তাদের সাইট। ছবি কোথায় খুঁজবেন এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন তাও সেখানে পাবেন।

ট্যাকটিক্যাল টেকনোলজি কালেক্টিভের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী, লিসা গুটারমুট লিখেছেন স্টার্টিং স্যাটেলাইট ইনভেস্টিগেশন। এখানে ছবির বিভিন্ন সোর্স ও মূল্য তালিকা সংযুক্ত রয়েছে।

মেকিং সেন্স অব স্যাটেলাইট ডেটা, অ্যান ওপেন সোর্স আউটফ্লো: এটি ডেটা ব্যবহার সম্পর্কে, প্ল্যানেট ল্যাবসের রবার্ট সিমোনের লেখা চার খন্ডের একটি ধারাবাহিক।

দ্যা হাই-রেজ্যুলুশন স্যাটেলাইট ইমেজারি অর্ডারিং এন্ড অ্যানালিসিস হ্যান্ডবুক প্রকাশ করেছে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স । ‘যে কয়টি সহজ প্রশ্ন করে গবেষকেরা বুঝতে পারবেন, স্যাটেলাইট ছবি কতটা কার্যকর হবে’ – তা এখানে পাওয়া যাবে।

বেলিংক্যাট প্রকাশ করেছে হাউ টু স্ক্র্যাপ ইন্টারেক্টিভ জিওস্পেশাল ডেটা, যেখানে ভূতাত্ত্বিক তথ্য ডাউনলোডের ‍উপায় জানা যাবে, উদাহরণসহ।
তথ্যভান্ডার ও সংশ্লিষ্ট রিসোর্স
জিওহ্যাক সোর্সেস: উইকিপিডিয়ার তৈরি এই তালিকায় পাবেন একাধিক ভাষায় বিশ্বের উপগ্রহ ও মানচিত্রের নির্বাচিত উৎসের খবর।

ম্যাশেবল: ম্যাশেবলে প্রকাশিত এই লেখায় অ্যান্ড্রু ফ্রিডম্যান তুলে ধরেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে রিপোর্ট করার জন্য দরকারী স্থানগুলোর একটি সারসংক্ষেপ।

কাজে আসবে ইজরায়েলি ভূগোলবিদ হারেল ড্যানের এই স্প্রেডশিটও।

জিআইএস-জিওগ্রাফি:  এখানে পাওয়া যাবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, জাপান, ভারত কিংবা অন্য সরকারি উৎসসহ “ফ্রি স্যাটেলাইট ছবির ১৫টি সোর্স”। সাথে পাবেন তাদের শক্তিশালী ও দুর্বল দিক সম্পর্কে মন্তব্য। (পরামর্শের নীচে সাধারণ ব্যবহারকারীদের মন্তব্যও দেখুন)। জিআইএস-জিওগ্রাফি হচ্ছে প্রতিশ্রুতিশীল ভূগোলবিদদের একটি দল, যারা অবস্থান (লোকেশন) সম্পর্কিত যে কোনও বিষয়ে আগ্রহী। এখানে  “১৩টি ওপেন সোর্স রিমোট সেন্সিং সফ্টওয়্যার প্যাকেজ” এর মত তালিকাসহ বেশ কিছু নিবন্ধও পাওয়া যাবে।

ভেনচার রাডার: বাণিজ্যিকভাবে যারা স্যাটেলাইট ছবি সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে, তাদের তালিকা।

বেলিংকাট’স ডিজিটাল ফরেনসিক টুলস: ওপেন সোর্স এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় বেলিংক্যাট। তাদের এই টিপশিটে স্যাটেলাইটসহ অনেক বিষয়ের রিসোর্স রয়েছে।

নোয়িং হোয়্যার টু লুক: সোর্সেস অফ ইমেজারি ফর জিওলোকেশন: বেলিংকাটের ইলিয়ট হিগিন্স ব্যাখ্যা করেছেন, ছবি বা ভিডিও যাচাই করার সময় তিনি সহায়ক তথ্য-প্রমাণের জন্য কোথায় যান।

জার্নালিস্টস্ টুলবক্স: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ইউএস প্রফেশনাল জার্নালিস্টস্ সোসাইটির তৈরি ম্যাপিং রিসোর্সের একটি বিশাল তালিকা।

এই রিসোর্সে যোগ করার মত কিছু থাকলে এখানে জিআইজেএনের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি এই রিসোর্সের ইংরেজী সংস্করণটি পিডিএফ হিসেবে ডাউনলোড করতে পারেন।

 জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টারের পরিচালক টবি ম্যাকিনটোশ এই নির্দেশিকাটি সমন্বয় করেছেন। তিনি ওয়াশিংটনে ব্লমবার্গ বিএনএ’র সাথে কাজ করেছেন ৩৯ বছর। ফ্রিডমইনফো ডট ওআরজি (২০১০-২০১৭) এর সাবেক এই সম্পাদক, বিশ্বব্যাপী এফওআই নীতিমালা সম্পর্কে লিখেছেন এবং ফোয়ানেটের স্টিয়ারিং কমিটিতে কাজ করছেন।

অনলাইনে অনুসন্ধানের যত টুল

English
বিবিসির সাংবাদিক পল মায়ার্স, অনলাইনে অনুসন্ধানের জন্য বিখ্যাত। তাঁর অনলাইন গবেষণা টুল এবং অনুসন্ধানের কৌশল শিরোনামের লেখাটি দীর্ঘ দিন ধরেই জিআইজেএন পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়। মায়ার্সের ওয়েবসাইট, রিসার্চ ক্লিনিক বিভিন্ন গবেষণা লিংক ও পাঠ্য বিষয়বস্তুতে সমৃদ্ধ।

“অনলাইন অনুসন্ধান এবং  গুরুত্বপূর্ণ ডেটাবেইজ” নামে আমাদের একটি ভিডিও আছে। দেখতে চাইলে  ঘুরে আসুন জিআইজেএনের ইউটিউব চ্যানেল থেকে।মায়ার্সের লেখা আরো কিছু নির্দেশিকা পাবেন জিআইজেএনের ওয়েবসাইটে। যেমন:

টুইটার ব্যবহার করে ব্রেকিং স্টোরির দৃশ্য থেকে মানুষ খুঁজে বের করুন
আপনার ব্রাউজার কাস্টমাইজ করুন: অনলাইন গবেষণায় অ্যাড-অনস্ ব্যবহার
ব্রাউজার অ্যাড-অনস্ (দ্বিতীয় খন্ড): যথাসময়ে পেছনে ফিরে দেখা

ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফ্রেমওয়ার্ক, হচ্ছে খুবই বিস্তারিত ও ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অনুসন্ধানী টুলের তালিকা। এছাড়া জিআইজিএনের অ্যালাস্টেয়ার ওটারের কলাম অনুসন্ধানী টুলবক্স থেকে জানতে পারবেন নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে:

নাম ও ওয়েবসাইট ট্র্যাকিং, ভিডিও যাচাই এবং ক্লাস্টারিং সার্চ ইঞ্জিন
অন্তর্জালে জাল পেতে মানুষ খোঁজার পদ্ধতি
ব্যক্তি ও কোম্পানির খোঁজে
গোপন ডকুমেন্ট শেয়ার, টুইটারে তথ্য অনুসন্ধান এবং ওয়েবসাইটে নজরদারি
স্প্রেডশিট ছাড়িয়ে ওয়েবের গভীরে অনুসন্ধান

ইন্টেল টেকনিক মূলত মাইকেল বাজেলের সৃষ্টি। তিনি এক সময় মার্কিন সরকারের সাইবার অপরাধ তদন্তকারী হিসেবে কাজ করতেন। এখন লেখালেখি করেন। ইন্টেল টেকনিক মূলত ওয়েবে দ্রুত অনুসন্ধানের জন্য কাজে আসে, এমন কয়েক ডজন টুলের সংগ্রহ। এখানকার বেশিরভাগ টুল দিয়ে আপনি একই সাথে অনেক জায়গায় অনুসন্ধান চালাতে পারবেন। “টুলসের” নিচে বাম দিকের কলামে রিসোর্সগুলো সুসজ্জিত দেখতে পাবেন। (১৭ই অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত এই ব্লগ পোস্টে নতুন কিছু ফিচার নিয়ে বিশ্লেষণ রয়েছে।) তার এই লেখায় জানতে পারবেন, অনলাইনে গাড়ির মালিক অনুসন্ধান করবেন কীভাবে। তাদের একটি নিউজ লেটার আছে এবং তিনি এই বিষয়ে প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন।

কে, কোথায়, কখন সম্পর্কে অনুসন্ধান করার অনলাইন পদ্ধতি – এটি লিখেছেন অনলাইন অনুসন্ধান বিশেষজ্ঞ হেঙ্ক ফন এস। জিআইজেএন পাঠকদের জন্য ভেরিফিকেশন হ্যান্ডবুকের এই অংশ তুলে ধরা হয়েছে।

ডিপ ওয়েবে অনুসন্ধান, জিয়ানিনা সেগনিনির তৈরি একটি প্রেজেন্টেশন। এটি তিনি তুলে ধরেন জিআইজেসি১৭-তে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেটা জার্নালিজম কর্মসূচীর এই পরিচালক, এখানে অ্যাডভান্সড গুগল সার্চের নানা উপায় তুলে ধরেছেন। মাদক পাচারের উদাহরণ ব্যবহার করে তিনি দেখিয়েছেন গুগল কীভাবে ডিপ ওয়েবে অনুসন্ধানের জন্য সেতু হিসেবে কাজ করে। কনটেইনার, জাহাজ, এবং কাস্টমস ট্র্যাকিংয়ের পাশাপাশি এখানে উঠে এসেছে ফেসবুক সার্চ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়।

দরকারি টুল, লিংক এবং রিসোর্স শিরোনামের এই তালিকা তৈরি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাউদার্ন টিপ মিডিয়ার সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক রেমন্ড জোসেফ। এটি মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভেরিফিকেশন, ডোমেইন, আইপি তথ্য ও  আন্তর্জাতিক ফোনবুকসহ ছয়টি বিষয়ে গবেষণার ওপর একটি তথ্য ভান্ডার। আর জিআইজেসি১৭-তে উপস্থাপন করা এই প্রেজেন্টেশনে জোসেফ ব্যাখ্যা করেন, “আপনি কীভাবে ডিজিটাল গোয়েন্দা হবেন”।

এএমএল রাইটসোর্স, একটি বেসরকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান। তারা “শুধু অর্থ পাচার প্রতিরোধ, ব্যাংক গোপনীয়তা আইন এবং আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কাজ করে।” প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে রিসোর্স শিটের এই সংকলন।

ইনভেস্টিগেট উইথ ডকুমেন্ট ক্লাউড, লিখেছেন ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটর্স (আইআরই) এর নির্বাহী পরিচালক ডগ হ্যাডিক্স। এই নির্দেশিকায় পাবেন সাংবাদিকদের শেয়ার করা ১.৬ মিলিয়ন সরকারি নথির ব্যবহার ও বিশ্লেষণ করার পদ্ধতি এবং নিজের নথি হাইলাইট, অন্যান্যদের সাথে সমন্বয়, ডকুমেন্ট ওয়ার্কফ্লো ব্যবস্থাপনা ও নিজের কাজ অনলাইনে শেয়ার করার কৌশল।

মালাকি ব্রাউনির টুলকিট, মূলত ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্রিক অনুসন্ধানের জন্য দরকারি টুলের একটি তালিকা। এই তালিকায় ৮০টিরও বেশি ওপেন সোর্স অনুসন্ধানী টুলের লিংক পাবেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই প্রযোজক জিআইজেসি১৭’-তে তার সেশনের শেষ দিকে যখন এই স্লাইডটি দেখালেন, তখন প্রায় সব দর্শকই সেটি ব্যবহারের জন্য তাঁর কাছে অনুরোধ পাঠান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান নামের প্রেজেন্টেশনটি জিআইজেসি১৭-তে উপস্থাপন করেন মাইকেল সালজউইডেল। “নট হ্যাকিং, নট ইলিগ্যাল” এই বাক্য দিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। তিনি ‘সোস্যাল উইভার’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রশিক্ষক।

সাবেক কর্মীদের কীভাবে খুঁজবেন শিরোনামের লেখাটি জেমস মিনজের। তিনি মিনজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, প্রেসিডেন্ট  এবং একজন অভিজ্ঞ প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। তিনি মনে করেন, “অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তৈরির জন্য সাবেকদের সাথে যোগাযোগের এই ১০টি পরামর্শ বেশ কার্যকর।”

অনুসন্ধানী গবেষণার যত লিংক, সংকলন করেছেন মারগট উইলিয়াম। দ্য ইন্টারসেপ্টের সাবেক এই গবেষণা সম্পাদক “কার্যকর গুগল অনুসন্ধান” থেকে শুরু করে “রিসার্চ গুরু” সাইটের তালিকা পর্যন্ত – বিশদ পরামর্শ তুলে ধরেছেন এখানে।

বেলিংক্যাটের অনলাইন অনুসন্ধানী টুলকিট, মূলত মানচিত্র, ভৌগলিক অনুসন্ধান, ছবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পরিবহন, ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন, বিশেষজ্ঞ এবং আরো অনেক কিছুর বিশদ এক তথ্যসম্ভার।

ব্যুরো লোকাল কোলাবরেটিভ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম টুল, একটি ক্রাউড-সোর্সড স্প্রেডশিট। এখানে ৮০টিরও বেশি তালিকা রয়েছে। এর কয়েকটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম।

রিপোর্টারদের জন্য টুল নামের সাইটটি তৈরি করেছেন সামাস্থা সান। খুঁজে পাওয়া দুষ্কর এমন ই-মেইল অনুসন্ধান বা এই জাতীয় নতুন নতুন কৌশল নিয়ে গ্রাহকদের নিয়মিত ই-মেইল পাঠান তারা।

এসপিজে জার্নালিস্টস্ টুলবক্স: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন সোসাইটি অব প্রফেশনাল জার্নালিস্টসের হয়ে এটি উপস্থাপন করেছেন মাইক রাইলি। এটি দরকারি অনলাইন টুলের একটি সংকলন।

ডেভিড ট্রাইলিং, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শোরেনস্টেইন সেন্টার-এর জার্নালিস্টস্ রিসোর্সের নিজস্ব লেখক। অনলাইনে গবেষণাপত্র খোঁজার উপায় নিয়ে তিনি লিখেছেন একাডেমিক গবেষণা কীভাবে খুঁজবেন।

ওয়ার্ল্ড ১৯২.কম-এ আছে আন্তর্জাতিক টেলিফোন ডাইরেক্টরির একটি তালিকা।

ভিপিএন এবং গোপনীয়তা বিষয়ে একাডেমিক গবেষণার জন্য ডিপ ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার, নামের প্রবন্ধটি লিখেছেন ক্রিস স্টোবিং। এটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানী কম্পেয়ারিটেক। এর লক্ষ্য, ভিপিএনের মত প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় গ্রাহকদের যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা।

ভিপিএন এবং গোপনীয়তা বিষয়ে পল বিশপের প্রবন্ধ ধাপে ধাপে নিরাপদে ডার্ক নেট এবং ডিপ ওয়েবে প্রবেশের নির্দেশিকা। এটিও প্রকাশ করেছে কম্পেয়ারিটেক।

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওপেন এডুকেশন ডেটাবেজের তৈরি সংকলন, গুগল ছাড়াই গবেষণা: ৫৬টি নির্ভরযোগ্য, অদৃশ্য এবং বিস্তৃত রিসোর্স। এখানে পাবেন সব ধরণের অনলাইন শিক্ষণ ডিরেক্টরির বিবরণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক এনজিও দ্য ইঞ্জিন রুম তৈরি করেছে ইন্ট্রোডাকশন টু ওয়েব রিসোর্সেস। এর একটি অংশে বলা আছে, হারিয়ে যাওয়া থেকে তথ্যকে রক্ষার জন্য কীভাবে, কোথায় কপি করে রাখবেন।

অসাম পাবলিক ডেটাসেট হলো নানা ধরণের সরকারি তথ্যের বিষয়ভিত্তিক সংকলন।

রিসোর্সেস ফ্রম স্টার্টমি.কম একটি রিসোর্স সংকলন । বিনামূল্যের এই লাইব্রেরির পাঁচটি পেইজে আছে শত শত লিংক:

অ্যাডঅন: https://start.me/p/nRQNRb/addons

ডেটাবেইজ: https://start.me/p/QRENnO/databases

সার্চ ইঞ্জিন: https://start.me/p/b56G5Q/search-engines

টুল: https://start.me/p/wMdQMQ/tools

টিউটোরিয়াল: https://start.me/p/aLBELX/tutorials

ডেটা বেইজেস্ নামের ওয়েবপেইজে নানা ধরনের  লিঙ্ক পাবেন। যেমন, চুরি হয়ে যাওয়া সম্পত্তি, আবহাওয়া, হ্যাকিং, মিডিয়া, যানবাহন চলাচল, বিশ্লেষণ, ডোমেইন নিবন্ধন, ভবন, প্রাণী, ড্রোন, অর্থ সংক্রান্ত এবং আরো অনেক কিছু।

মেরি এলেন বেটসের বেটস ইনফো টিপস হলো, নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে জানার দারুন একটি উৎস। যেমন, সময় দিয়ে গুগল নিউজ সার্চ সীমিত করা এবং ফেসবুক গ্রাফ সার্চের মাধ্যমে ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা। লেখিকা হলেন বেটস ইনফরমেশন সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘ দিনের ‘ইনফো গীক্’।

রিসার্চ বাজের গোয়িং ওল্ড স্কুল টু সল্ভ এ গুগল সার্চ প্রবলেম লেখাটি গুগল অনুসন্ধানের ফলাফল থেকে কিছু সাইট বাদ দেয়ার একটি পদ্ধতি বর্ণনা করে।

মেক ইউজ অফ নিয়মিত ভালো ভালো পরামর্শ দিয়ে থাকে, যেমন-চারটি বেনামী ওয়েব ব্রাউজার যা আপনার পরিচয় গোপন রাখবে।

সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল প্রকাশ করেছে, ৬টি অনন্য কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল, যা আপনার জানা প্রয়োজন।

এই টুলটি আপনার চারপাশের ক্যামেরাগুলোকে দেখিয়ে দেয় – এই লেখায় জানতে পারবেন আশপাশের অনিরাপদ সার্ভিল্যান্স ক্যামেরাগুলো কীভাবে খুঁজে বের করবেন।

জিডিপিআর পরবর্তী ডোমেইন নাম গবেষণা: এখানে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় সাধারণ ডেটা সুরক্ষা আইনের কারণে ডোমেইন নাম নিবন্ধন নিয়ে অনুসন্ধান কেন কঠিন হয়ে উঠেছে। এ ধরণের গবেষণায় এখন বিভিন্ন টুল এবং কৌশলের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে বলে মনে করে ওসিন্ট কিউরিয়াস ।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কী?

English

সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জানতে, আরও দেখুন: দ্য ফিউচার অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কী? এ নিয়ে কোনো একক ও সর্বসম্মত সংজ্ঞা পাওয়া মুশকিল। তবে পেশাদার সাংবাদিকরা, এর মূল উপাদান নিয়ে মোটামুটি একমত: পদ্ধতি বা পরিকল্পনামাফিক (সিস্টেম্যাটিক) অনুসন্ধান, গভীর (ইন-ডেপথ) ও মৌলিক গবেষণা এবং গোপন তথ্য উন্মোচন। অনেকে আবার মনে করেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত তথ্য (পাবলিক ডাটা) ও নথিপত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং এ ধরনের প্রতিবেদনের মূল বিবেচ্য থাকে সামাজিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা।

ইউনেস্কোর সংজ্ঞাটিও অনেকেই উল্লেখ করে থাকেন। ইউনেস্কো তার প্রকাশনা ‘স্টোরি-বেইজড এনকোয়ারি’ নামের এক হ্যান্ডবুকে বলছে, “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হচ্ছে গোপন বা লুকিয়ে রাখা তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা। সাধারণত ক্ষমতাবান কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব তথ্য গোপন রাখে; কখনো হয়তো-বা বিপুল ও বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে থাকা তথ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, যা চট করে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই কাজের জন্য একজন সাংবাদিককে সাধারণত প্রকাশ্য ও গোপন নানা উৎস (সোর্স) ব্যবহার করতে হয়, ঘাটতে হয় নানা ধরনের নথিপত্র।” আবার ডাচ-ফ্লেমিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংঘ ভিভিওজে’র সংজ্ঞায়, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলতে সেসব প্রতিবেদনকে বোঝায়, যেগুলো “বিশ্লেষণাত্মক ও কোনো একটি বিষয়কে তলিয়ে দেখার চেষ্টা করে”।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কী?

অনুসন্ধানী রিসোর্স

জিআইজেএন এর সদস্য হবেন যেভাবে

আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসন নিয়ে রিপোর্টিং: একটি সংশোধিত ও বর্ধিত জিআইজেএন গাইড

অনলাইন অ্যাডভান্সড সার্চ

মার্কিন নির্বাচন কাভার করবেন? সাংবাদিকদের জন্য দরকারি সব রিসোর্স এখানে পাবেন

নিখোঁজের খোঁজে: গুম, অপহরণ ও হারানো মানুষ নিয়ে অনুসন্ধানের গাইড

কোভিড-১৯: সাংবাদিকদের জন্য যত রকম অর্থসহায়তা

ফ্রিল্যান্স অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা: জেনে নিন কীভাবে পিচ করবেন

কোভিড-১৯: যখন আতশি কাচের নিচে সরকারি কেনাকাটা

দেশ ধরে ধরে বিশ্বব্যাংকের কোভিড-১৯ অর্থায়ন ট্র্যাক করবেন যেভাবে

সুরক্ষা ও নিরাপত্তা

সরবরাহ চেইন অনুসন্ধানের যত রকম কৌশল

জলবায়ু সংকট: অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য আইডিয়া

তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের যত রকম কৌশল

রিসার্চ ডেস্ক: ওয়েব্যাক মেশিনের রহস্য

টিপশীট: কীভাবে জানবেন বিমানটি কোথায় আছে?

প্লেনস্পটিং: আকাশের উড়োজাহাজ ট্র্যাক করবেন যেভাবে

ডাঙায় বসে সাগরে থাকা জাহাজ অনুসরণ করবেন যেভাবে

অনলাইনে অনুসন্ধানের যত টুল

ডিজিটাল নিরাপত্তা: সাংবাদিকদের যা যা জানা দরকার

হুইসেলব্লোয়িং: যারা গোপনে জানিয়ে দেন অনিয়মের খবর

জমির মালিকানা: রিপোর্ট আপনার পায়ের নিচেই!

জমির নথি থেকে যেভাবে দুর্নীতি উন্মোচন করলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা

জমির মালিকানা: জানা জরুরি, কিন্তু পাওয়া কঠিন

প্লেনস্পটিং: বিমানটি এখন কোথায় আছে?

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার যত ম্যানুয়াল

মোবাইল সাংবাদিকতা গাইড: যেভাবে আপনিও হতে পারেন মোজো!

গুজব ছড়ানোর ৬টি কৌশল এবং সেগুলো যাচাইয়ের সহজ পদ্ধতি

স্যাটেলাইট ছবি কোথায় পাবেন এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন?

সাক্ষাৎকার গ্রহণের কৌশল

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার মালিকদের কোথায় খুঁজবেন?

সাংবাদিকদের জন্য জরুরি সাহায্য

কোথায় পাবেন বিশেষজ্ঞ?

সাংবাদিকরা আইনি সুরক্ষা কোথায় পাবেন?

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কী?

আরো স্টোরি এখানে