Global Investigative Journalism Network (https://archive.gijn.org/tag/%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87/)
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ কাভারে সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য এই স্টার্টার-টুলকিট সংকলন করেছে জিআইজেএন, যা তাদেরকে নিজ দেশে রাশিয়ার সম্পদ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও মিথ্যা প্রচারণা অনুসন্ধানে সহায়তা করবে। সর্বশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতি, নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে রুশ অলিগার্কদের ব্যক্তিগত বিমান ট্র্যাক করা পর্যন্ত নানা বিষয় নিয়ে আপনি এখানে ৩০টির বেশি সহায়ক সাইট পাবেন।
টুইটারে কোনো টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করা তথ্য প্রচারের একটি পরিচিত পন্থা। কিন্তু অনেক সময়ই মিথ্যা তথ্য প্রচারের লক্ষ্যে তৈরি করা নকল টুইটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেওয়া হয় ইন্টারনেটে, চট করে যেগুলোর সত্য-মিথ্যা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই লেখায় পড়ুন: কীভাবে এসব নকল স্ক্রিনশট তৈরি হয় এবং সেগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের কিছু সহজ উপায়।
আপনার কী এমন কখনো হয়েছে, অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন কোনো ভুল করে বসেছেন যার কারণে গোটা রিপোর্টটিই ভেস্তে গেছে। যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে জেনে রাখুন, বড় বড় অনুসন্ধানী রিপোর্টারেরাও প্রায়ই এমন ভুল করে থাকেন। সাংবাদিক হিসেবে তখন একটাই কাজ করার থাকে, সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া, এবং ফের একই ভুল না করা। এই লেখায় পাবেন, ভুল থেকে ৯ জন অনুসন্ধানী সাংবাদিক যা যা শিখেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বা বিভিন্ন উন্মুক্ত ডেটাবেজ থেকে পাওয়া ছবি-ভিডিও-তথ্য দিয়ে নানা অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য সুখ্যাতি কুড়িয়েছে বেলিংক্যাট। এই কাজে তাদের অন্যতম হাতিয়ার ডিজিটাল ফরেনসিক। যার মাধ্যমে তারা কোনো ছবি-ভিডিও-র সত্যতা, যথার্থতা নিশ্চিত করেন; অন্যান্য সূত্র-প্রমাণাদির সঙ্গে সেগুলো মিলিয়ে দেখেন। এই সাক্ষাৎকারে সেসব কাজের নেপথ্যের কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বেলিংক্যাটের লোগান উইলিয়ামস।
রাশিয়া ও ইউক্রেন এখন গোটা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু অপপ্রচার আর মিথ্যা প্রচারণার স্রোতে, অন্য দেশের সংবাদ মাধ্যমের জন্য এই সংঘাত নিয়ে সঠিক তথ্য খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল হয়ে গেছে। এই লেখা আপনাকে অপপ্রচারের ফাঁদ এড়াতে সাহায্য করবে এবং এমন কিছু সূত্রের সন্ধান দেবে যেখান থেকে আপনি চলমান ঘটনাবলী সম্পর্কে তাৎক্ষণিক এবং সঠিক তথ্য পাবেন।
এক সময় চলমান সংঘাত নিয়ে কোনো অনিয়মের অভিযোগ জানানো দুঃসাহসী কাজ হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে ওপেন-সোর্স রিপোর্টিং কৌশলের কল্যাণে এখন যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গেই রিপোর্ট করতে পারেন সাংবাদিকেরা। ঠিক যেমনটি করা হয়েছে লিবিয়া ও সিরিয়ায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ উন্মোচনের ক্ষেত্রে। এই লেখায় পড়ুন যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অনুসন্ধানের তেমন কিছু কৌশল ও টুলের কথা।
একটি স্টোরিকে বুলেটপ্রুফ করতে চাইলে শুধু তথ্য সঠিক রাখাই যথেষ্ট নয়, মান নিয়ন্ত্রণের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে শুরু থেকেই একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তথ্য যাচাইয়ের এই গাইডে তিনটি চেকপয়েন্ট সংবলিত এমনই একটি পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
বিক্ষোভ-আন্দোলনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও থেকেও অনেক তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেন সাংবাদিকেরা। ঠিক যেমনটি দেখা গেছে কলম্বিয়ায় পুলিশি নির্যাতনের ইন্টারঅ্যাকটিভ মানচিত্রের ক্ষেত্রে। বেলিংক্যাট ও ফরেনসিক আর্কিটেকচারের সঙ্গে জোট বেঁধে এই মানচিত্র তৈরি করেছে কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যম, সেরোসেতেন্তা। পড়ুন এই সহযোগিতামূলক প্রকল্পের নেপথ্যের গল্প।
এত দিন যাঁরা চোখ বন্ধ করে স্যাটেলাইট ছবিকে সত্য বলে ধরে নিয়েছেন, তাঁদের জন্য খারাপ খবর। এখন স্যাটেলাইট ছবিও “ফেইক” হচ্ছে। এবং প্রায় নিখুঁতভাবে একটি জায়গায় অন্য জায়গার ছবি, এমনকি নতুন শহরও বসিয়ে নিচ্ছেন। সম্প্রতি কয়েকজন গবেষক এসব ভুয়া স্যাটেলাইট ছবি শনাক্তের কৌশল বের করেছেন। পড়ুন, কীভাবে।
২০১৭ সালের শীতে ব্রিটিশ সাংবাদিক মেইভ ম্যাকক্লিনাহানের চোখ আটকে যায় এক টুইটার পোস্টে। তাতে, নি:সঙ্গ এক গৃহহীন ব্যক্তির নির্মম মৃত্যুর খবর। আরেকটু খোঁজ করতেই বেরিয়ে এলো এমন ঘটনা ঘটছে হরহামেশা, এবং গোটা যুক্তরাজ্যজুড়ে। তারপরের গল্পটা ১৮ মাস ধরে চলা এক অনুসন্ধানের, যা কিনা একে একে ৮০০ গৃহহীনের নিঃসঙ্গ মৃত্যুকে সামনে নিয়ে আসে, এবং বদলে দেয় এ নিয়ে এতদিন ধরে জেনে আসা সরকারি ভাষ্যটাকেই। এই লেখায় চমকপ্রদ সেই অনুসন্ধানের পেছনের গল্প।