Global Investigative Journalism Network
(https://archive.gijn.org/tag/%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8/)
আসছে গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে উন্নয়নশীল ও পরিবর্তনশীল দেশের প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী থেকে আসা সাংবাদিকদের জন্য ১৫০ টিরও বেশি ফেলোশিপের সুযোগ রেখেছে জিআইজেএন। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই ফেলোশিপ পেতে আপনাকে বোঝাতে হবে যে জিআইজেসি২৩-তে পাওয়া প্রশিক্ষণ আপনি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। আবেদন করুন এখনই।
সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জানতে, আরও দেখুন: দ্য ফিউচার অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কী? এ নিয়ে কোনো একক ও সর্বসম্মত সংজ্ঞা পাওয়া মুশকিল। তবে পেশাদার সাংবাদিকরা, এর মূল উপাদান নিয়ে মোটামুটি একমত: পদ্ধতি বা পরিকল্পনামাফিক (সিস্টেম্যাটিক) অনুসন্ধান, গভীর (ইন-ডেপথ) ও মৌলিক গবেষণা এবং গোপন তথ্য উন্মোচন। অনেকে আবার মনে করেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত তথ্য (পাবলিক ডাটা) ও নথিপত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং এ ধরনের প্রতিবেদনের মূল বিবেচ্য থাকে সামাজিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা।
ইউনেস্কোর সংজ্ঞাটিও অনেকেই উল্লেখ করে থাকেন। ইউনেস্কো তার প্রকাশনা ‘স্টোরি-বেইজড এনকোয়ারি’ নামের এক হ্যান্ডবুকে বলছে, “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হচ্ছে গোপন বা লুকিয়ে রাখা তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা। সাধারণত ক্ষমতাবান কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব তথ্য গোপন রাখে; কখনো হয়তো-বা বিপুল ও বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে থাকা তথ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, যা চট করে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই কাজের জন্য একজন সাংবাদিককে সাধারণত প্রকাশ্য ও গোপন নানা উৎস (সোর্স) ব্যবহার করতে হয়, ঘাটতে হয় নানা ধরনের নথিপত্র।” আবার ডাচ-ফ্লেমিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংঘ ভিভিওজে’র সংজ্ঞায়, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলতে সেসব প্রতিবেদনকে বোঝায়, যেগুলো “বিশ্লেষণাত্মক ও কোনো একটি বিষয়কে তলিয়ে দেখার চেষ্টা করে”।
১ নভেম্বর, জিআইজেসি২১-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে পাঁচ অনুসন্ধানী সম্পাদকের তারকাখচিত প্যানেলের সদস্যরা বলেছেন, এই যুদ্ধক্ষেত্র হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের টিকে থাকার লড়াইয়ের। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনলাইনে। পাঁচ দিনের এই ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১৪৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৮০০ সম্পাদক, রিপোর্টার ও সিভিল সোসাইটি সদস্য।
বিশ শতকের শেষ নাগাদ, বিশ্বের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এক জায়গায় এনে নিজেদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের একটি সাদামাটা ধারণা থেকে জন্ম হয়েছিল জিআইজেএন-এর। এটি এখন ছড়িয়ে পড়েছে ৮২টি দেশে, ২১১টি সদস্য সংগঠনে। এই লেখায় জিআইজেএন-এর নির্বাহী পরিচালক ডেভিড কাপলান বলেছেন জিআইজেএন এবং এর বৈশ্বিক সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়েছিল কীভাবে।
দ্বাদশ গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে কর্তৃত্ববাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, মিথ্যা তথ্য, সংগঠিত অপরাধ এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা অনুসন্ধানের অত্যাধুনিক টুল ও কৌশল। বিষয়গুলো নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও সম্মেলনে প্রকাশ করা হবে বেশ কয়েকটি উপকারী টুল ও গাইড।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এমনিতেই পরিশ্রমের কাজ। সাথে নানা রকম টেনশন। আর কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়া মগজটাকে বিশ্রাম দিতে আমরা অনেকেই আশ্রয় নিই বই পড়ায়। ভাবছেন কী পড়বেন? জিআইজেএন বুকশেলফ থেকে এখানে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক ডজন বইয়ের একটি তালিকা দেয়া হলো, যা ২০২১ সালজুড়ে আপনার বই পড়ার অভ্যাসকে চাঙ্গা রাখবে।
আটটি দেশের আটটি সংগঠনকে নতুন সদস্য হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক। এদের মধ্যে গ্রিস এবং জাম্বিয়া থেকে এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান জিআইজেএনের সদস্য হলো। এই নতুন সদস্যদের নিয়ে, আমাদের নেটওয়ার্কে এখন যুক্ত হলো ৮২টি দেশের ২১১টি সংগঠন।