সাংবাদিকদের জন্য জরুরি সাহায্য

English
দুনিয়া জুড়ে সংবাদকর্মীরা নানারকম ঝুঁকির মুখে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯২ সাল থেকে ১ হাজারের বেশি সাংবাদিক মারা গেছেন, হাজার হাজার সাংবাদিক ভয়ভীতি, হামলা, নিগ্রহ ও কারাভোগের শিকার হয়েছেন ।

বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিপদগ্রস্ত সাংবাদিকদের জরুরি সাহায্য দিয়ে থাকে। সাহায্য নানা ধরনের হতে পারে, যেমন মেডিক্যাল বা আইনি সহায়তা। ক্ষেত্রবিশেষে ঝুঁকিতে থাকা সাংবাদিককে দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হয়। অতএব বিপদে পড়লে, আপনিও সাহায্য পেতে পারেন।

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে): নিউ ইয়র্কে অবস্থিত  সিপিজে তাদের জার্নালিস্ট  অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা সাংবাদিকদের মেডিক্যাল, আইনি এবং রিলোকেশন (দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া) সহায়তা দিয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি নিহত বা কারাগারে অন্তরীণ সাংবাদিক পরিবারকেও সাহায্য করে থাকে। সাহায্যের জন্য বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন রিপোর্ট করতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এখানে।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস পরিচালনা করে আইএফজে-র সেফটি ফান্ড। যেটি “সাংবাদিকদের সহায়তা করে সহিংসতা, হুমকি, শাস্তি মোকাবিলা বা চিকিৎসার জন্য”। হুমকি, সহিংসতা, অন্য দেশে নির্বাসন, অসুস্থতা ইত্যাদি জরুরি ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিভিন্ন মাত্রায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সেফটি ফান্ড।
রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ): প্যারিস ভিত্তিক আরএসএফ সাংবাদিক এবং সংবাদমাধ্যমকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে, যাতে তারা নানা ধরনের আক্রমণ (মামলা বা হামলা) থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। বন্দী সাংবাদিকদের পরিবারকেও আরএসএফ সাহায্য করে থাকে। দেখুন তাদের সহায়তা ডেস্ক। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বীমা প্রসঙ্গে জানুন এখানে।
ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড: এটি ডাচ সাংবাদমাধ্যম উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান । সাংবাদিক ও মিডিয়া হাউসকে সরাসরি সহায়তা দেওয়ার জন্য এর আন্তর্জাতিক জরুরি তহবিল আছে । প্রতিষ্ঠানটি সাহায্যের আবেদন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিয়ে থাকে। ইমেইলে যোগাযোগ করুন এখানে: reportersrespond@freepressunlimited.org বা ফোন করুন এখানে: +31 20 8000 400

ইন্টারন্যাশনাল ওমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন: এই প্রতিষ্ঠান কর্মরত নারী সাংবাদিকদের (প্রিন্ট, ব্রডকাস্ট, অনলাইন বা ফ্রিল্যান্স) মেডিক্যাল, আইনি বা রিলোকেশন (অন্য কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া) সহায়তা দিয়ে থাকে আইডব্লিউএমএফ ইমার্জেন্সি ফান্ডের মাধ্যমে। এছাড়াও আইডব্লিউএমএফ গড়ে তুলেছে ইউনাইটেড স্টেটস জার্নালিজম ইমার্জেন্সি ফান্ড। যেটি নারী-পুরুষ, উভয়কেই সহায়তা দেয়। এবং ব্ল্যাক জার্নালিস্টস থেরাপি রিলিফ ফান্ড। যেটি তৈরি করা হয়েছে সেসব কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে, যারা আর্থিক দুরাবস্থার কারণে নিজেদের মানসিক চিকিৎসাসেবার খরচ বহন করতে পারছেন না। 

লাইফলাইন ফান্ড: এই ফান্ড দমন-পীড়ন এবং আক্রমণের শিকার হওয়া সাংবাদিক ও সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানকে জরুরি সহায়তা দিয়ে থাকে। ১৭টি সরকার এবং ফাউন্ডেশন মিলে লাইফলাইন ফান্ডকে সমর্থন জোগায়। এই ফান্ড মেডিক্যাল ও আইনি সহায়তা, নিরাপত্তা ও সাময়িক রিলোকেশন সাহায্য ছাড়াও মামলার অগ্রগতির ওপর নজর রাখে এবং অচল হয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতি বদলে দেয়। সাহায্য করার আগে লাইফলাইন একটি প্রতিষ্ঠানের অতীত রেকর্ড অর্থাৎ মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের পক্ষে তাদের ভূমিকা বিবেচনা করে থাকে।

মিডিয়া ডিফেন্স: লন্ডনে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক, ব্লগার ও স্বাধীন সাংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে আইনি সহায়তা দেয়। এছাড়াও এই সংগঠন জনস্বার্থে পরিচালিত মামলায়ও  (যেমন, সাংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষা) সমর্থন জুগিয়ে থাকে।

ররি পেক ট্রাস্ট: লন্ডনভিত্তিক ররি পেক ট্রাস্ট বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে সহায়তা দেয় এর ফ্রিল্যান্স অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে। তারা বর্তমানে তিনটি তহবিল পরিচালনা করছে: ট্রমা থেরাপি ফান্ড, জেনারেল অ্যাসিসটেন্স ফান্ড, এবং লিগাল ফান্ড।

জার্মান আরএসএফ ব্রাঞ্চ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের  সহায়তা করে। হেল্প ইন এক্সাইল প্রকল্পটি এমন সাংবাদিকদের সহায়তা করে, যারা নজরদারি ও দমনপীড়নের শিকার হয়ে তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। হেল্প ইন নিড প্রকল্পের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নতুন একটি নিরাপদ দেশে আশ্রয় নিতে সহায়তা করা হয়, যেখানে তারা ভয়ভীতি ছাড়াই নিজেদের সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে পারবেন।

ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ফ্রিডম নারী সংবাদকর্মীদের জন্য একটি অ্যালার্ম সেন্টার তৈরি করেছে, যেখানে তারা বিভিন্ন হামলা-হুমকির কথা জানাতে পারবেন এবং সাহায্য-পরামর্শ চাইতে পারবেন।

কানাডিয়ান সেন্টার ফর ফ্রি এক্সপ্রেশন পরিচালনা করে জার্নালিস্টস ইন ডিসট্রেস প্রকল্প। যেটি বিশ্বজুড়ে এমন সাংবাদিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান করে, যাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে পেশাগত কাজের কারণে। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করে। যেমন কোনো সাংবাদিক আটক বা গ্রেপ্তারের শিকার হলে এটি আইনি ফি কাভার করতে পারে। কোনো বিষয় কাভার করতে গিয়ে আহত হলে বা ট্রমার শিকার হলে এটি চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারে। হত্যার শিকার বা আটক হওয়া সাংবাদিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে। এবং নিরাপদ কোনো দেশে পৌঁছানোর পর প্রথম এক বছরের পূণর্বাসন খরচ দিতে পারে। 

ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সাপোর্ট (আইএমএস) একটি সুরক্ষা প্যাকেজ প্রদান করে, যার মধ্যে আছে:

১. প্রশিক্ষণ: ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও হামলা-হুমকি মোকাবিলা, প্রাথমিক চিকিৎসা, সুরক্ষিত যোগাযোগ, সংঘাত-সংবেদনশীল সাংবাদিকতা, মিডিয়া আইন ও রীতিনীতি ইত্যাদি

২.

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার মালিকদের কোথায় খুঁজবেন?

English

সরকারি রেকর্ডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায়, তাকে নেহাত সামান্য বললেও কম হবে।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মালিকদের পরিচয় গোপন রাখা যায়। তথাকথিত শেল কোম্পানির মাধ্যমে প্রকৃত মালিক বা “বেনিফিশিয়াল ওনার”-দের আড়াল করা হয়।

ভাল খবর? ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মালিক কে, তারা কী করেন এবং আরো অনেক তথ্য খুঁজে বের করার বেশ কিছু জায়গা আছে। যেমন:

ফ্রি ডেটাবেস
সাবস্ক্রিপশন ডেটাবেস
অফিসিয়াল রেকর্ড
কর্পোরেট ওয়েবসাইট
আদালতের নথি
ইন্টারনেট অনুসন্ধান
সামাজিক মাধ্যম

জিআইজেএনের এই রিসোর্স পেজে থাকছে, কোম্পানি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক উৎসের বিবরণ।

জিআইজেএন এর ভিডিও সংগ্রহে, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ সম্পর্কে পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক ডেভিড কে জনস্টনের একটি আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 
বিনামূল্যের আন্তর্জাতিক রিসোর্স
কোম্পানিগুলোকে সরকারের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে যেসব প্রতিবেদন জমা দিতে হয়, তা সংগ্রহ করে বেশ কিছু নন-প্রফিট সংস্থা।

এখানে তাদের কয়েকটির বিবরণ:

OpenCorporates, বিশ্বের ১৫ কোটি কোম্পানির একটি উন্মুক্ত তথ্য ভান্ডার। এসব তথ্য আসে মূলত বিভিন্ন দেশের জাতীয় ব্যবসা নিবন্ধক (কোম্পানি রেজিস্ট্রি) থেকে। এই ডেটাবেস আপনাকে কোম্পানির নিবন্ধনের তারিখ, এর নিবন্ধিত ঠিকানা এবং পরিচালক-কর্মকর্তাদের নামের মতো তথ্য যোগান দিতে পারে। এটি এক কোম্পানীর সাথে আরেকটির সংযোগও দেখাতে পারে। কর্পোরেট ঘটনাবলীর এই ডেটাবেস প্রতিনিয়তই আরো বড় হচ্ছে। মিডিয়া কীভাবে ওপেনকর্পোরেটস ব্যবহার করে, তার আপডেট ও বিভিন্ন উদাহরনের জন্য এ সংক্রান্ত ব্লগের লেখা অনুসরণ করতে পারেন। সাংবাদিক, এনজিও, শিক্ষাবিদ এবং অন্যান্য সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের ইউজাররা, বিনামূল্যে পাবলিক-বেনিফিট API key পেতে আবেদন করতে পারেন।

অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (OCCRP) তৈরি করেছে ইনভেস্টিগেটিভ ড্যাশবোর্ড। এখানে রয়েছে গোটা বিশ্বের নানান উৎস থেকে সংগ্রহ করা লাখ লাখ প্রাসঙ্গিক তথ্য; যার একটি বড় অংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত। নথির জন্য আপনার অনুসন্ধান শুরু করতে পারেন এখান থেকে (বিস্তৃত অনুসন্ধানের জন্য ”অ্যাডভান্সড সার্চ” ক্লিক করুন)। এখানে ৩৮ টি দেশের কোম্পানি রেজিস্ট্রির একটি গাইড রয়েছে। বলতে পারেন, এটি ২২ কোটি ৬০ লাখ পাবলিক রেকর্ড এবং পানামা পেপারস ও উইকিলিক্সের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কেবলসহ ফাঁস হওয়া সব ডেটাবেসের একটি বৃহত্তর ক্যাটালগ।

অবশ্য সব ডেটাবেসই (ফাঁস হওয়া তথ্যের ডেটাবেসসহ) যে সবার জন্য উন্মুক্ত, তা নয়। কিছু ডেটাবেসে প্রবেশের জন্য রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করতে হয়। এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট গবেষণার প্রয়োজনে বা ওসিসিআরপি সাবস্ক্রাইব করেছে এমন বাণিজ্যিক ডেটাবেস ব্যবহারের জন্য,  তাদের সাহায্য চাইতে পারেন সাংবাদিকরা। ওসিসিআরপির ডেটাবেস কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, এখানে তার একটি ভাল ভূমিকা আছে। ব্যবহার সম্পর্কে সাতটি পরামর্শ আছে জিআইজেএন-এর এই নিবন্ধেও। চাইলে পড়ে নিতে পারেন। যে ব্যক্তি বা কোম্পানী নিয়ে অনুসন্ধান করছেন, তার সম্পর্কে নতুন কোন তথ্য যোগ হলে, কীভাবে আপনি সঙ্গে সঙ্গে একটি অ্যালার্ট মেসেজ পাবেন, তাও এখানে বলা আছে। এছাড়া আরো অনুসন্ধান টিপস পেতে এই ইউজার ম্যানুয়াল পড়ুন এবং আরো গভীরে যেতে চাইলে ইলাস্টিক-এ প্রকাশিত পোস্টটি দেখুন।

ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস্ (আইসিআইজে) এর অফশোর লিক্স ডেটাবেসে, প্রায় ৭৮৫,০০০ অফশোর কোম্পানি ও ট্রাস্ট সম্পর্কে ফাঁস হওয়া তথ্য রয়েছে। ব্যক্তি, কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট ঠিকানা, কর্মএলাকা এবং দেশের নাম দিয়ে এই ডেটাবেস সার্চ করা যায়। আইসিআইজে’র পানামা পেপারসের উপর ভিত্তি করে যত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তার আর্কাইভও পড়ার জন্য বেশ ভালো। আরো দেখুন, বিয়ন্ড পানামা: আনলকিং দ্য ওয়ার্ল্ডস সিক্রেসি জুরিসডিকশনস-এ। এখানে এইসব ডেটাবেস ব্যবহারের তিনটি টিপস আছে।

ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্যের জন্য ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বব্যাংকের স্টার (চুরি হওয়া সম্পত্তির পুনরুদ্ধার) উদ্যোগ থেকে। এখানে, ২৩টি দেশের জন্য ব্যবসার প্রকৃত মালিক এবং তাদের সাথে সংশ্লিস্ট পক্ষগুলোকে খুঁজে বের করার উপায়সহ একটি বেনিফিসিয়াল ওনার নির্দেশিকা আছে।

Panjiva সাংবাদিকদের জন্য খুব কাজের এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি আমদানি / রপ্তানি ডেটাবেস। এটি ব্যবহার করতে পয়সা লাগে না। মনে রাখবেন: ব্র্যান্ডগুলো চাইলে পাবলিক ডিসক্লোজার থেকে তাদের নাম সরিয়ে নিতে পারে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, দক্ষিণ আমেরিকাসহ কয়েকটি অঞ্চলের তথ্য রয়েছে।

দ্য ওপেন ওনারশিপ রেজিস্টার-এর মধ্যে আছে যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও স্লোভাকিয়ার জাতীয় পর্যায়ের মালিকানা ডেটা। এটি প্রতি মাসে হালনাগাদ করা হয়। রেজিস্টারটি পরিচালনা করে কর্পোরেট মালিকানার তথ্য আরও উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করা এনজিও, ওপেন ওনারশিপ। মালিকানার তথ্য প্রকাশে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দেশগুলোর অঙ্গীকার ও পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নজরে রাখার জন্য একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছে গ্রুপটি। এখানে উল্লেখ করা দেশগুলোর ক্ষেত্রে কখনো কখনো জাতীয় ডেটাবেসের লিংকও অন্তর্ভূক্ত থাকে, যেমন নাইজেরিয়া এক্সট্রাকটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ-এর অডিট রিপোর্ট। ২০২৩ সালের মার্চে নাইজেরিয়া ও ফ্রান্সের আরও বাড়তি কিছু ডেটাও এখানে যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্যের বাণিজ্যিক উৎস
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত অনেক বেসরকারী ডেটাবেস রয়েছে। কিন্তু সেরা তথ্য পেতে চাইলে এদের বেশীরভাগই সাবস্ক্রাইব করতে হবে।

গণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির মাধ্যমে বিনামূল্যে এসব ডেটাবেস ব্যবহারের অনুমতি মিলতে পারে।

বাণিজ্যিক ডেটাবেস ব্যবহারের যে খরচ, তার চেয়ে লাভ বেশী। আর কিছু কোম্পানি সাংবাদিকদের কাছ থেকে কম টাকা নেয়।

এমন একটি পুরোনো ও প্রতিষ্ঠিত ডেটাবেস হলো, D&B Hoovers। এর ফ্রি ওয়েবসাইটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিদেশে অবস্থিত হাজার হাজার কোম্পানির সংক্ষিপ্ত বিবরণ আছে। বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায় সাবস্ক্রিপশন সেবা Nexis-এ।

অন্যান্য প্রধান সাবস্ক্রিপশন বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে: Arachnys, ORBIS, Bureau van Dijk, Bloomberg, PrivCo (বেসরকারি মার্কিন কোম্পানির জন্য), Thomson Reuters, LexisNexis এবং DueDil।

এই তালিকায় নতুন সংযোজন সায়ারি (Sayari), একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা। তারা ২0১৮ সালে, এই বহু-মুখী ডেটাবেস চালু করে, যা “বেশী সংখ্যক উদীয়মান, ফ্রন্টিয়ার এবং অফশোর বাজারকে কাভার করে।” সায়ারি একটি সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক সেবা, খরচ মাসে ১০০০ ডলারের মত, কিন্তু ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়ালও পাওয়া যায় এবং কোম্পানিটি সাংবাদিকদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।

তাদের ক্রেতা তালিকা দীর্ঘ। এখানে কী পাওয়া যায়, তা জানার একটি উপায় হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুল লাইব্রেরির ওয়েবসাইট।

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুলের সংগ্রহ রীতিমত বিশাল। তাদের সংগ্রহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে তাদের অনলাইন ক্যাটালগ সম্ভাব্য টিপশিট হিসাবে কাজ করতে পারে।

সরকারি রেজিস্ট্রি

অনেক দেশের সরকারই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু শিথিল নীতিমালার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় সংক্ষিপ্ত এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য জমা দেয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি রেজিস্ট্রি কোথায় পাবেন, দেখুন এখানে:

Commercial-Register হলো সুইস গবেষকদের পরিচালনায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জাতীয় নিবন্ধনের একটি তালিকা।
আরেকটি তালিকা আছে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, কোম্পানি হাউসের।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস ইনস্টিটিউটের Knowledge guide to international company registration , দেশভিত্তিক কর্পোরেট নিবন্ধনের মূল বিষয়গুলোকে ব্যখ্যা করে।
কনসালট্যান্ট এবং আরবিএ ইনফরমেশন সার্ভিসের কর্ণধার ক্যারেন ব্লাকম্যানের তৈরি একটি কার্যকরী তালিকা আছে। সেখানে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে হালনাগাদ বিবরণ পাওয়া যায়।
ওপেন কর্পোরেটসের তালিকায় প্রতিষ্ঠানের “উন্মুক্ততা স্কোর” পাওয়া যায়
ইনভেস্টিগেটিভ ড্যাশবোর্ডে ৩৮টি দেশের নিবন্ধন লিঙ্ক আছে।
বিশ্বের পূঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা, দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটিজ কমিশনস্ (আইওএসসিও) এর তালিকায় বিভিন্ন দেশের সিকিউরিটিজ কমিশনের নাম আছে।

বৃহৎ অর্থনীতির জন্য রিসোর্স
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন তার EDGAR সিস্টেমে কর্পোরেট তথ্য ধারণ করে। পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানিগুলো তাদের ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক কর্পোরেট প্রতিবেদন ফাইলের জন্য অনলাইন সিস্টেমটি ব্যবহার করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত – চীন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য অঞ্চলের নন-মার্কিন কোম্পানিগুলোকে – এখানে তাদের বৈশ্বিক কর্মকান্ড বাধ্যতামূলকভাবে ফাইল এবং রিপোর্ট করতে হয়। একারণেই বিশ্বের সাংবাদিকদের কাছে EDGAR হয়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্যের প্রধান উৎস।

এখানে অনুসন্ধান শুরু করার জন্য সবচে ভালো জায়গা হল বার্ষিক প্রতিবেদন, ফর্ম 10- K, যেখানে কোম্পানির ইতিহাস, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবৃতি, নির্বাহীদের বেতন-ভাতা, পণ্য ও সেবার বিবরণ, সংস্থার বার্ষিক পর্যালোচনা, তার কার্যক্রম এবং বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আছে। ফর্ম 10- Q হলো ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন, যা কোম্পানির গত তিন মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবৃতি এবং কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে। 8- K রিপোর্টে দেউলিয়া অবস্থা, সম্পত্তি বিক্রি, নির্বাহীদের প্রস্থান এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য ঘটনার সম্পূরক তথ্য থাকে।

বিনিয়োগ কোম্পানীগুলোকেও EDGAR- এ ফাইলিং করতে হয়। এজন্য তারা  এসইসি ফর্ম 497 ব্যবহার করে। অতিরিক্ত তথ্য বিবৃতি (এসএআই) হলো মিউচুয়াল ফান্ডের প্রসপেক্টাসের একটি সম্পূরক নথি। এছাড়াও যেসব বিদেশী কোম্পানিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়, এডগার সেইসব আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধিত এবং রিপোর্টিং কোম্পানিগুলোর বছরভিত্তিক তালিকা রাখে। বিস্তারিত জানার জন্য, এডগার গাইডটি দেখুন।

অনেক ব্যবসা ডেলাওয়্যার রাজ্যে নিবিন্ধত। তাদের জন্য Delaware Division of Corporations দেখুন। এখানে বেনিফিসিয়াল ওনারদের কোনও তথ্য সংগ্রহ করা হয় না এবং “কোম্পানি খুলেছেন যে এজেন্ট” তারা মনোনীত পরিচালক হিসাবে কাজ করতে পারেন। (দেখুন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ব্যাখ্যা।)

National Association of Secretaries of State আপনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত রাজ্যের সাইটগুলোতে নিয়ে যাবে (একটি রাজ্য বেছে নেওয়ার পরে নীচে ছোট হরফে “অনলাইন ব্যবসা পরিষেবা” দেখুন)। উদাহরনস্বরুপ, সেখানে আপনি ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সার্চ এবং নিউইয়র্কের ব্যবসা ও কর্পোরেশন ডেটাবেসের মতো সব লিঙ্ক পাবেন। এই রাজ্য নিবন্ধকের লিংক থেকে কোম্পানির নিবন্ধন তারিখ, নিবন্ধিত ঠিকানা এবং পরিচালক ও কর্মকর্তাদের নাম পাওয়া যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্পোরেট তথ্য অনুসন্ধানের আরো যেসব জায়গা আছে, তার মধ্যে এলএলসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোঅর্ডিনেটেড লিগ্যাল টেক এর ডেটাবেস উল্লেখযোগ্য।

Panjiva সাংবাদিকদের জন্য খুব কাজের এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি আমদানি / রপ্তানি ডেটাবেস। এটি ব্যবহার করতে পয়সা লাগে না। মনে রাখবেন: ব্র্যান্ডগুলো চাইলে পাবলিক ডিসক্লোজার থেকে তাদের নাম সরিয়ে নিতে পারে।

যুক্তরাজ্য

কোম্পানি হাউস বিনামূল্যে কোম্পানি সম্পর্কিত তথ্য দেয়, যার মধ্যে রয়েছে:

নিবন্ধিত ঠিকানা এবং নিবন্ধনের তারিখ
বর্তমান এবং পদত্যাগী কর্মকর্তাদের নাম
ডকুমেন্ট ইমেজ
বন্ধকী চার্জ তথ্য
কোম্পানির সাবেক নাম
দেউলিয়া অবস্থা

কানাডা

SEDAR , কানাডীয় পাবলিক কোম্পানি ফাইলিং সাইট, যা ১৯৯৭ সালের জানুয়ারীতে চালু হয়।

ফ্রান্স

Infogreffe – ফ্রান্সের বাণিজ্য এবং কোম্পানি নিবন্ধন এবং বাণিজ্যিক আদালত রেজিস্ট্রি। এটি বিনামূল্যে সেখানে নিবন্ধিত কোম্পানির প্রাথমিক তথ্য সরবরাহ করে; তবে ফরাসি ভাষায়।

জার্মানি

কোম্পানি রেজিস্টার-এ বিভিন্ন ভাষায়, বিনামূল্যে সার্চ করা যায়। তবে কিছু কিছু নথির জন্য টাকা লাগে।

চীন

চীনের জাতীয় এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারেন এই লিংক থেকে। তবে ভাষা চীনা।

এখানে কী পাওয়া যায় তার বিবরণ আছে ’চায়না চেকআপ’-এ প্রকাশিত এই লেখায়।

উদাহরণস্বরুপ: উত্তর কোরিয়া কীভাবে তাদের সমরাস্ত্র উন্নয়ন করছে, তা নিয়ে একটি রিপোর্টে চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর এই রেকর্ড ব্যবহার করেছিল মার্কিন এনজিও C4ADS। এক পর্যায়ে, C4ADS উল্লেখ করেছে, “চীনা ব্যবসায় নিবন্ধন ফাইল থেকে পরিষ্কার বুঝা গিয়েছিল, দান্দং হংগ্রি দিয়ান্দং কোম্পানি লিমিটেড (অবরোধ উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার সাথে ব্যবসার জন্য অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান) প্রকৃত অর্থে আরো দুই চীনা কোম্পানি, ডিআইএইচআইডি এবং দান্দং কেহুয়া ইকোনোমিক ট্রেড কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে গঠিত প্রতিষ্ঠান।
অন্যান্য উৎস
অনলাইনে কর্পোরেট ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া সার্চ করে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।

এজন্য পেশাদার গবেষকদের কয়েকটি পরামর্শ আবারো দেয়া হল:

কোম্পানির কর্মকর্তা এবং পরিচালকদের খোঁজ করুন। ২০১৭ সালের জিআইজেএন সম্মেলনে উপস্থাপন করা এই প্রেজেন্টেশন জানাবে, কোনো প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মচারীদের কীভাবে খুঁজবেন।
গবেষণার জন্য লিঙ্কডইন ব্যবহার করুন। অ্যাডভান্সড সার্চ অপশনে গিয়ে চেষ্টা করুন। যেমন, প্রতিষ্ঠানের সাবেক এবং বর্তমান স্টাফদের কীভাবে খুঁজতে হয়, তাদের এরকম একটি অপশন আছে তাদের মেন্যুতে। কোম্পানি এবং শিল্প গোষ্ঠীর পেইজ ভালোভাবে খেয়াল করুন।
মিডিয়া রিপোর্ট খোঁজার সময় ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক পত্রিকার দিকে মনোযোগ দিন। তাদের খুঁজে পেতে, Ulrich’s Periodicals Directory চেক করুন।
কোম্পানির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর সন্ধান করুন। আরো তথ্যের জন্য ম্যাপ এবং স্ট্রিট ভিউ ব্যবহার করুন।
পেছনের দরজা দিয়ে তথ্য পাওয়ার আরেকটি উপায় হল কর্পোরেটদের দাতব্য কর্মকান্ড। কোম্পানিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হলে সিটিজেন অডিট, প্রো-পাবলিকার ননপ্রফিট এক্সপ্লোরার এবং গাইডষ্টার দেখুন। যুক্তরাজ্যের জন্য দেখুন ওপেন চ্যারিটি, চ্যারিটিবেস এবং সরকারের চ্যারিটি রেজিস্টার।
দূষণ বা মানব পাচারের মত বিষয় নিয়ে যেসব এনজিও কাজ করে, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। দেখুন, তাদের কী তথ্য আছে। ভায়োলেশন ট্র্যাকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট অসদাচরনের উপর একটি সার্চ ইঞ্জিন।
কোম্পানির কার্যক্রমকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জানার জন্য ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পারেন।

তথ্যের আরো আনুষ্ঠানিক জায়গা
সরকার এবং বাণিজ্যিকখাতের মধ্যে যোগাযোগের প্রতিটি জায়গা কোনো না কোনো সরকারি নথিতে লিপিবদ্ধ থাকে।

সরকারের সাথে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক কোথায়-কীভাবে খুঁজবেন, সেজন্য কিছু পরামর্শ:

জমি মালিকানা – নাম এবং বিবরণ
ভূমি উন্নয়ন – বিল্ডিং, জোনিং এবং বিশেষ পারমিট
পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ – ডিসচার্জ পারমিট, নির্গমন রিপোর্ট এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
শ্রম প্রবিধান – পেশাগত নিবন্ধন এবং শ্রম বিরোধ
আদালতের রেকর্ড – পক্ষে-বিপক্ষে মামলা
আর্থিক নিয়ন্ত্রণ – ফাইলিং বা তাদের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ – পেটেন্ট এবং ট্রেডমার্ক নিবন্ধন
সরকারি চুক্তি – বিড এবং কাজ দেয়ার রেকর্ড
সরকারি ভর্তুকি – পেমেন্ট রেকর্ড
রাজনৈতিক অনুদান – কর্মকর্তাদের অনুদান
লবিং নিবন্ধন – প্রভাব সম্পর্কে যত ডিসক্লোজার

কোম্পানিটি কোন খাতে কাজ করে, সেই দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করলে অনেক প্রাসঙ্গিক তথ্য পাওয়া যায়।

উদাহরণস্বরূপ, তেল, গ্যাস এবং খনি কোম্পানিগুলোর গোটা বিশ্বের আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দেয়, তেমন ২০ লাখ নথি পেতে পারেন ওপেন অয়েল-এর ডেটাবেসে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের একটি টুল আছে, যা দিয়ে ২০ টি বৃহত্তম ইউরোপীয় ব্যাংকের আর্থিক তথ্য যাচাই করা যায়। আরো দেখতে পারেন, টিআই এর কর্পোরেট রাজনৈতিক যোগসূত্র সূচক ২০১৮।

আদালতের রেকর্ড অমূল্য সম্পদ হতে পারে। যেমন, PACER; এটি মার্কিন সুপ্রীম কোর্ট, আপীল ও জেলা আদালত এবং দেউলিয়া আদালত, তথা দেশটির ফেডারেল আদালত ব্যবস্থার সব ইলেকট্রনিক আর্কাইভ ধরে রাখে।

কোন আইন ও নীতিমালা ব্যবসাকে প্রভাবিত করে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট কী কাগজপত্র আছে, তা ভেবে দেখুন। সংযোগগুলো এলাকা এবং ব্যবসার ধরণভেদে একেবারে আলাদা হতে পারে, কিন্তু চিন্তার খোরাক বা ‍সূত্র যোগায়।

সরকারী উদ্যোগ বা সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার কোনো অনুরোধ অনেক সময় সরকারী কাগজপত্রে প্রতিফলিত হতে পারে। ইউরোপের ক্ষেত্রে, ওপেন গেজেট নামের প্লাটফর্মে, ইউরোপীয় গেজেটগুলো পাওয়া যায়।
সাংবাদিকদের জন্য গাইড
কর্পোরেটদের নিয়ে গবেষণা এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বুঝার জন্য অনলাইনে প্রচুর উপাদান আছে।

সাংবাদিকদের জন্য তার কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হল:

ডার্ট ডিগারস্ ডাইজেস্ট টু স্ট্র্যাটেজিক কর্পোরেট রিসার্চ, এটি লিখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্পোরেট রিসার্চ প্রজেক্টের পরিচালক ফিলিপ ম্যাটেরা।  এটি ২০১৪ সালে প্রকাশিত, কিন্তু এখনো যথেষ্ট উপযোগী।

কিভাবে অর্থ অনুসরণ করবেন: ক্রস-বর্ডার অনুসন্ধানের টিপস,  এটি জিআইজেএন-এর সাথে OCCRP’র সম্পাদক মিরান্ডা প্যাট্রুচিচের প্রশ্নোত্তর।

জিআইজেএন: কোনও সংস্থার আর্থিক রেকর্ড হাতে পেলে আপনি প্রথমে কী করেন?