Global Investigative Journalism Network (https://archive.gijn.org/series/bangla/page/32/)
বৈশ্বিক পাচারের কারণে ক্রমেই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে বনরুই বা প্যাঙ্গোলিন। বিষয়টি নিয়ে জোটবদ্ধ অনুসন্ধান করেছেন এশিয়ার সাংবাদিকরা এবং পেয়েছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। তাঁদের এই অভিজ্ঞতা আপনিও কাজে লাগাতে পারেন অন্য যেকোনো বিষয়ে জোটবদ্ধ অনুসন্ধানের সময়।
ফাইন্যান্স আনকভার্ডের প্রধান প্রতিবেদক লায়োনেল ফল কাজ করেন বিভিন্ন কোম্পানি, ধনী ব্যক্তিদের দুর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে। অনলাইনে কোম্পানি বা ব্যক্তির খোঁজ, সুরক্ষিত যোগাযোগ, কার্যকরীভাবে রেকর্ড রাখা ইত্যাদি কাজে তিনি প্রায়ই ব্যবহার করেন কিছু টুল। সেগুলো নিয়েই কথা বলেছেন “আমার প্রিয় টুল”সিরিজে।
২০২০ সালে কেমন দাঁড়াবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চেহারা? জিআইজেএন থেকে আমরা এই প্রশ্ন রেখেছি সাংবাদিকতা জগতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে। জানতে চেয়েছি – অনুসন্ধানী ও ডেটা সাংবাদিকতায় নতুন কী আসবে, চ্যালেঞ্জগুলো কোথায়, আর নতুন কোন কোন কৌশল বা দক্ষতা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। পড়ুন তাঁদের জবাব।
গান-কবিতা-নাটক নিয়ে রিয়েলিটি শো তো হরহামেশাই হয়ে থাকে। কিন্তু সাংবাদিকতার রিয়েলিটি শো? ব্যাপারটি নতুনই বটে। অভিনব এই উদ্যোগ বদলে দিচ্ছে তিনটি উন্নয়নশীল দেশের সাংবাদিকতার দৃশ্যপট। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরা যেমন শিখছেন নানা পেশাগত কৌশল-দক্ষতা; তেমনি সাধারণ মানুষও বুঝতে পারছে সাংবাদিকতার নেপথ্যের ব্যাপারগুলো। বাড়ছে মানুষের সংবাদ-বোধ।
অনলাইনে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, হুমকি-হেনস্তার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যে কোনো সময় যে কেউই হতে পারেন এর শিকার। ফলে এগুলো থেকে বাঁচার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। কিভাবে নিশ্চিত করা যায় ডিজিটাল নিরাপত্তা? এই লেখায় পাবেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ-কৌশল।
“হাসি” এমন এক বস্তু যা চরম আশাহীনতার মধ্যেও শক্তি যোগায়; যেখানে ভয়ের রাজত্ব, সেখানেও মানুষের মনে সাহস জাগায়। যদি দক্ষতার সাথে তৈরি করা যায়, তাহলে স্যাটায়ারই তুলে ধরতে পারে রুঢ় সত্য, প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়াতে পারে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে, বিষয়বস্তুকে করে তুলতে পারে প্রাণবন্ত, আর পাঠককে বিনোদন দিতে পারে এমনভাবে যা সোজাসাপ্টা সাংবাদিকতার মাধ্যমে সম্ভব নয়। কিন্তু সাংবাদিকতায় স্যাটায়ার করা কি এতোই সহজ? উত্তর পাবেন এখানে।
জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর বিচারে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। ফলে এখানকার অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কাজ করে যাওয়াও ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও সেখান থেকে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সব অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। তেমনই কিছু অনুসন্ধানের খবর জানাচ্ছেন মাজদোলিন হাসান।
মেক্সিকোর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্বাধীন সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররা এক জায়গায় হয়েছিলেন একটি মৌলিক প্রশ্ন নিয়ে: মাদক যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো কোথায়? অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা পুরো দেশজুড়ে পেয়েছেন দুই হাজারের বেশি গুপ্ত কবর। কিভাবে করা হলো এই অনুসন্ধান? জানাচ্ছেন জিআইজেএনের স্প্যানিশ সম্পাদক কাতালিনা লোবো-গুয়েরেরো।
আমি চীনের সাংবাদিকদের বলেছিলাম, এবছরের ভালো কিছু অনুসন্ধানের খোঁজ দিতে। অনেকেই পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন: চীনে কি এখনো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বেঁচে আছে? মোটাদাগে, তারাই হয়ত ঠিক। কিন্তু কেউ কেউ এমন অনুসন্ধানও করেছেন, যা ইট-পাথরের ফাটা দেয়ালে গজিয়ে ওঠা বুনো গাছের মতোই অটল ও শক্তিশালী। দেখুন, চীনা ভাষায় ২০১৯ সালের সেরা অনুসন্ধান।
সাংবাদিকতার জন্য বছরটি বেশ কঠিন ছিল। পেশাগত অনিশ্চয়তা, স্ব-আরোপিত নিয়ন্ত্রণ, চাকরি ছেড়ে দেয়া, চাকরি চলে যাওয়া, আয়ে ঘাটতি – কত রকমের প্রতিকূলতা! এতকিছুর পরও সাংবাদিকরা জন্ম দিয়ে গেছেন আলোচিত সব খবর। সেখানে সীমান্ত পেরুনো অনুসন্ধান আছে, সাড়া ফেলা স্কুপ আছে, অপরাধের উন্মোচন আছে, আর আছে অন্যায়-অবিচারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া। প্রতিকূল সময়ে করা এসব প্রতিবেদনও ২০১৯ সালকে অন্য বছরের চেয়ে আলাদা করে রাখবে। চলুন ফিরে দেখা যাক, সেই সব প্রতিবেদনের কয়েকটি।