জিআইজেএনের আমার প্রিয় টুল ধারাবাহিকের এই পর্বে আমরা কথা বলেছি ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট, আউস ফাতুসের (“টু দি ফ্যাক্টস”) নির্বাহী পরিচালক ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক তাই নালনের সঙ্গে। আর্জেন্টিনার সাইট চেকোয়াডো, পয়েন্টার ইন্সটিটিউটের পলিটি ফ্যাক্ট এবং ওয়াশিংটন পোস্টের ফ্যাক্ট চেকারের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে নালন তাঁর সহকর্মী রোমুলো কোলোপি ও ক্যারল কাভালেইরোকে নিয়ে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আউস ফাতুস৷
ব্রাজিলের সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র, ফোলহা দে সাও পাওলোতে কাজ করার সময় রাজনৈতিক কভারেজ নিয়ে অসন্তুষ্টি থেকেই নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার চিন্তা এসেছিল নালনের মাথায়। সেসময় তিনি কাজ করছিলেন একটি তথ্যযাচাই উদ্যোগের সঙ্গে, যেটি করা হতো শুধু নির্বাচনের সময়। তখনই তাঁর মনে হয়, এরকম কিছু তো স্থায়ীভাবেই থাকা উচিৎ।
ফোলহা ছাড়াও গ্লোবোর জিওয়ান, ভেখা ও পিয়াউই সাময়িকীর মতো রিও ডি জেনিরো, ব্রাসিলিয়া ও সাও পাওলোর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন নালন। তাঁর বিশেষ মনোযোগ ছিল জাতীয় রাজনীতি, জননীতি ও স্বচ্ছতায়। ২০০৯ সালে তিনি নুয়েভো পেরিয়োদিসমো অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। নালন বলেন, “আমি যখন পিছন ফিরে তাকাই আর ভাবি, কেন সাংবাদিকতায় এসেছি– তখন আমি বুঝে উঠতে পারি না যে কীভাবে এটি ব্যাখ্যা করব। কারণ আমি কখনই কল্পনা করিনি যে আমার নিজের গাড়ি থাকবে আর তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে৷”
২০০৪ সালে রিও ডি জেনিরো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (ইউইআরজে) ভর্তির সময় তাঁর কাছে সাফল্যের ধারণা ছিল খুবই অন্য রকম। “আমি ফোলহাতে কাজ করতে চেয়েছিলাম, আর সত্যিই ফোলহাতে কাজ করেছি, আমি রাজনীতি নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম, আর আমি রাজনীতি নিয়েই কাজ করেছি,” বলেন ফোলহা। আরও যোগ করেন, “তবে আমি একটি বড় সংবাদমাধ্যমে যোগ দিয়েছিলাম ২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের সময়। ফলে মনে হয় আমি শুধু [বড় পত্রিকাগুলোর] সঙ্কুচিত ও পতন হওয়ার ধীর প্রক্রিয়াটিই দেখেছি।”
তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, কোনো সংবাদপত্রে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করার পক্ষে বাজি ধরার মতো পরামর্শ খুব বেশি পাওয়া যেত। চাকরি হারানোর পর অবিশিষ্ট সঞ্চয় এবং কঠিন একটি ক্রাউডফান্ডিং কৌশল নিয়ে স্টার্টআপ গড়ার পরামর্শও হয়তো খুব বেশি দেওয়া হতো না। সব কিছু ঠিকঠাক কাজ করতে বেশ সময় লেগেছে, আসলে একটা সময় সেটি প্রায় হচ্ছিলই না।”
“স্থিতিশীল আয়ে পৌঁছাতে আউস ফাতুসের তিন বছর সময় লেগেছে, জানান নালন। তিনি বলেন, “তবে এটি অন্য প্রসঙ্গে ছিল। বিবৃতিসর্বস্ব সাংবাদিকতা [যা আনুষ্ঠানিক উৎসের বিবৃতিগুলোকে যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রচার করে] আগে থেকেই একটি সমস্যা ছিল, কিন্তু আমরা সরকারগুলোতে স্বভাবসিদ্ধ মিথ্যাবাদী পাই নি।” তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প ও ব্রাজিলে বলসোনারোর উত্থানের পর থেকে সাংবাদিকতার বাইরেও ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের আলাদা গুরুত্ব তৈরি হয়, যা তাঁর সাইটের বিকাশে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি মনে করেন, আউস ফাতুসের সাফল্যের আরেকটি কারণ হলো নিজস্ব টুল ও সেবার মতো প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রকল্পে তাঁদের বিনিয়োগ। নালন এখন প্রায় ২০ জনের পুরস্কারজয়ী একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আমরা নালনের কাছে জানতে চেয়েছি: ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের কাজে তিনি কোন কোন টুল ও কৌশল বেশি ব্যবহার করেন। এগুলোর মধ্যে আছে স্টলওয়ার্ট টিনআই ও ওয়েব্যাক মেশিন। এবং অবশ্যই আউস ফাতুসের বানানো টুলগুলো। তবে ফ্যাক্ট-চেকিংয়ে একেবারেই নতুন কারো জন্য ব্যবহারযোগ্য কিছু সাধারণ টুলও তিনি তালিকায় যোগ করেছেন। এখানে থাকছে তাঁর কয়েকটি প্রিয় টুল।
রাডার আউস ফাতুস
আউস ফাতুসের রাডার হলো পর্তুগিজ ভাষার গণমাধ্যমের জন্য বানানো একটি রিয়েল-টাইম ডিসইনফর্মেশন মনিটর। ডিসইনফর্মেশন প্রচারাভিযানে ব্যবহৃত সাধারণ কিওয়ার্ড ও ভাষাগত কাঠামোর সন্ধানে এর অ্যালগরিদম একাধিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। এটি ব্যবহার করে রিপোর্টাররা নির্দিষ্ট বিষয়ে ভাইরাল বিষয়সমূহ রিয়েল টাইমে শনাক্ত করতে পারেন, যেমন আকস্মিক অভ্যুত্থানের হামলা বা কোভিড-১৯ ও প্রতিষেধক টীকা। এছাড়া একই রকমের ভুল ভাষ্য একাধিক নেটওয়ার্ক ও অ্যাপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে কিনা এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক কী– তাও শনাক্ত করতে পারে টুলটি।
তিনি বলেন, “রাডারের ব্যবহারযোগ্যতায় উন্নতি আনতে হবে। কিন্তু এটি খুব পূর্ণাঙ্গভাবে দেখাতে পারে যে, কোন ধরনের বার্তাগুলোর ভুল তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি আছে হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে।”
“রাডার, অনুসন্ধানের অংশীদারিত্বের জন্য উন্মুক্ত, যেমন ২০২২ সালে ব্রাজিলের নির্বাচনের সময় জিআইজেএনের সদস্য অ্যাজেন্সিয়া পাবলিকা ও নুকলিও জার্নালিজমের মধ্যকার সাম্প্রতিক যৌথ উদ্যোগ, অথবা ব্রাজিলের নির্বাচনকে ঘিরে ডিসইনফর্মেশন নিয়ে একটি প্রতিবেদনের জন্য ওয়াশিংটন পোস্টের চালানো জরিপ। আপনি সাংবাদিক বা গবেষক হলে ডেটাবেসে প্রবেশাধিকার চেয়ে radar@aosfatos.org ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারেন আউস ফাতুস দলের সঙ্গে। আউস ফাতুস একটি “ফ্রিমিয়াম” সেবা পরিচালনা করে যা নির্দিষ্ট কিছু খাতের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় আর অন্যদের জন্য আছে পেইড সংস্করণ।
ফাতিমা
“ফ্যাক্টমেশিন” এর সংক্ষিপ্ত রূপ “ফ্যাক্টমা” থেকে উদ্ভূত ফাতিমা এখন হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করে পাঠকেরা অনলাইনের নির্দিষ্ট তথ্যের সত্যমিথ্যা যাচাই করতে পারেন এবং সংশ্লিষ্ট ভেরিফিকেশন খুঁজে বের করতে পারেন। কোনো মিল খুঁজে না পেলে এটি সার্চ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলো সামনে আনে, অথবা ব্যবহারকারী নতুন কীওয়ার্ড সার্চ করতে পারেন। নালন বলেন, “এটি সংবাদমাধ্যমের একটি শক্তিশালী ক্রাউডসোর্সিং টুল, কারণ যোগাযোগ উন্মুক্ত নয়, এমন অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে কী ভাইরাল হচ্ছে– তা আমরা বের করতে পারি যাচাইয়ের জন্য ব্যবহারকারীর অনুরোধের ভিত্তিতে।” (হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম দুটিই এনক্রিপ্ট করা হয়, তবে ব্যবহারকারীরা ফাতিমার কাছে কী জানতে চাচ্ছেন, তার ভিত্তিতে জানা যায় যে, প্ল্যাটফর্মগুলোতে কোন ধরনের বিষয় বা সম্ভাব্য অপতথ্য নিয়ে বেশি আলাপ হচ্ছে।)
ভোটোরানটিম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ২০২২ সালে ব্রাজিলের নির্বাচনের জন্য টেলিগ্রাম সংস্করণটি তৈরি করা হয়েছিল। নালন বলেন, “এখন আমরা ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তরে ফাতিমার প্রতিক্রিয়া নিখুঁত করা এবং নিজস্ব কন্টেন্ট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে ক্রাউডসোর্সিংকে যুক্ত করার পদ্ধতি উন্নত করার দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।”
এস্ক্রিবা
আউস ফাতুসের বানানো আরেকটি টুল, এস্ক্রিবা বড় অডিও ও ভিডিও ফাইলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্তুগিজ, ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষায় ট্রান্সক্রাইব করতে পারে। সাক্ষাৎকার এবং হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবের ভিডিও ট্রান্সক্রাইবের জন্যও এটি ব্যবহার করা যায়। তবে তাদের ইন্টারফেসটি আছে পর্তুগিজ ভাষায়।
নালন বলেন, “আমরা নিজেদের এমন একটি চাহিদা থেকে এস্ক্রিবা টুলটি তৈরি করেছিলাম, যেটি সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর মতো ব্যক্তিদের জনসম্মুখে আসার ঘটনাগুলো নজরে রাখতে সাহায্য করবে।” তাঁর মতে, এস্ক্রিবার একটি সুবিধাজনক দিক ছিল যে, এটি ব্রাজিলিয়ান পর্তুগিজদের জন্য বানানো হয়েছিল, যা বাজারে খুবই বিরল।
ব্যক্তি ও কোম্পানির জন্য এই সেবার মাসিক সাবস্ক্রিপশন চাঁদা ৫০ ব্রাজিলিয়ান রিয়েল (প্রায় ১০ মার্কিন ডলার)। এই চাঁদা থেকে আউস ফাতুসের সাংবাদিকতায় অর্থায়ন হয়ে থাকে।
বিল্টউইথ এবং হু ইজ
অনুসন্ধানের প্রাথমিক কাজ হিসেবে ডোমেইনের মালিক, তাদের ঠিকানা ও আইপি খুঁজে পেতে নালন এই টুলগুলো ব্যবহার করেন, যেগুলোর কর্মপদ্ধতি প্রায় একই রকম। হু ইজ ব্যবহার করে কোনো ডোমেইন সম্পর্কে তথ্য পেতে আপনাকে শুধু প্রাসঙ্গিক ইউআরএলটি সেখানে যোগ করতে হবে। নালন ব্যাখ্যা করে বলেন, “টুলটি একটি স্ক্যান করে এবং সেই ডোমেইন সংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য থাকলে সেগুলো সামনে আনে। যেমন, সাইটটির মালিকানা, সেই নামে অন্য কোনো সাইটও আছে কিনা, তারা একই ধরনের অ্যাডসেন্স কোড বা অন্যান্য প্রোগ্রামেটিক বিজ্ঞাপনী টুল ব্যবহার করে কিনা।” (হু ডট ইজ ডেটাবেসের ব্যবহার এবং ওয়েবসাইটের উৎস নিয়ে অনুসন্ধানের ব্যাপারে আরও জানতে জিআইজেএনের রিপোর্টিং গাইড অন ডিজিটাল থ্রেটস শীর্ষক নির্দেশিকায় ডিজিটাল অবকাঠামো বিষয়ক অধ্যায়টি দেখুন।)
ডিসইনফর্মেশন ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত ওয়েবসাইটের মালিকদের শনাক্তে টুলগুলো বিভিন্নভাবে আউস ফাতুসের কাজে এসেছে, যেমন; তারা কোন মোনিটাইজেশন টুল ব্যবহার করে এবং একাধিক ওয়েবসাইট একই মোনিটাইজেশন টুল ব্যবহার করে কিনা। এগুলো থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে যে, এই ওয়েবসাইটগুলো সমন্বিতভাবে কোনো প্রচারণা অভিযান চালাচ্ছে কিনা।
দুটি টুলের তুলনায় দেখা যায়, বিল্ট উইথে কিছু অতিরিক্ত পেইড ফিচার আছে। তবে নালন বলেন, টুলগুলো একটি অপরটির পরিপূরক: “অনেক সময় দুটিই থাকা ভাল, কারণ কখনও একটি টুল ওয়েবসাইটের ডোমেইন মালিকদের হালনাগাদ ডেটা দিতে ব্যর্থ হলে অন্যটি দিতে পারে।”
সিমিলার ওয়েব
সিমিলার ওয়েব নামের এই টুল কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা জানতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ব্যবহার করে অ্যাক্সেসের ইতিহাস দেখা যায়, যেমন কারা ও কতজন অপতথ্য প্রচারকারী সাইটগুলো দেখেছে। নালন বলেন, “ডেটাগুলো খুব সুনির্দিষ্ট না হলেও, এখান থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায় যে, কী পরিমাণ মানুষ এসব আর্টিকেল দিয়ে প্রভাবিত হয়েছে, যেগুলো প্রায়ই কিছু সাইটে প্রকাশিত হয় বিভ্রান্তিকর আকারে।”
নির্দিষ্ট কিছু ডিসইনফর্মেশনের পিছনের স্বার্থ বুঝতে এটি একটি দারুণ শুরু হতে পারে: “কোনো সাইটের ব্যবহারকারী যদি অনেক বেশি থাকে, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম্যাটিক বিজ্ঞাপনী টুল ব্যবহার করে এবং ডিসইনফর্মেশন ছড়ায়, তবে তা নিশ্চয়ই অন্যদের প্রতারিত করে অর্থ উপার্জন করছে।”
এলএআই (ব্রাজিলের তথ্য অধিকার আইন)
তাই নালন (দাঁড়িয়ে, উপরে ডানদিকে) এখন আউস ফাতুসে প্রায় ২০ জনের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছবি: নালনের সৌজন্যে
বিজ্ঞাপন তথা অপতথ্যের পিছনে সরকারি ব্যয় নিয়ে অনুসন্ধানে নালনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হলো তথ্য অধিকার আইন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “সরকার সত্যিই স্বচ্ছ হলে ওয়েবসাইট ও সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে তাদের বিজ্ঞাপনের জবাবদিহি করবে – কতটা ব্যয় হয়, কোথায় ব্যয় কেন্দ্রীভূত হয়, নির্দিষ্ট প্রচারাভিযানের যোগাযোগ পরিচালনায় কোন কোম্পানি নিয়োগ করা হয়েছিল।” এই সব খুঁটিনাটি তথ্য একটি ভালো স্টোরি আইডিয়ার ভিত্তি হতে পারে।
জননীতি সংশ্লিষ্ট অপতথ্য অনুসন্ধানে তিনি এই আইনটি ব্যবহারের একটি সম্ভাব্য উপায় নির্দেশ করেছেন: “কোনো রাজনীতিবিদ যখন বলেন, তিনি কিছু কাজ করেছেন, তখন তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে আপনি কোনো নির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে জানতে চান, যা হয়ত অন্য কিছু ইঙ্গিত করবে। এভাবে আপনি সেই রাজনীতিবিদের বক্তব্যের মিথ্যাচার প্রমাণ করতে পারেন।”
সাংবাদিকদের এটি জেনে রাখা জরুরি যে, আইনের মাধ্যমে তাদের কী কী অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এবং নানাবিধ অশুভ ইচ্ছার মুখে কীভাবে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হয় বা সত্য লুকানোর জন্য আমলাতান্ত্রিক অজুহাত মোকাবিলায় ব্যবহার করতে হয়। “সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে কোন তথ্য কীভাবে চাইতে হবে– তা জানা থাকলে বোঝা যায় যে, সিদ্ধান্তগুলো কীভাবে নেওয়া হয় এবং জননীতির সংজ্ঞায়ন কীভাবে করা হয়।
আরও পড়ুন
ভূ-সাংবাদিক গুস্তাভো ফালেইরোসের প্রিয় অনুসন্ধানী টুল
রাফায়েল সোয়ারিস যেভাবে রিওতে পুলিশি হত্যাকাণ্ড অনুসন্ধান করেন
ব্রাজিল: ৫ কোশ্চেন ফর এ রিপোর্টার ইনভেস্টিগেটিং বলসোনারো’জ স্ক্যান্ডালস
আনা বিট্রিজ আসাম জিআইজেএনের পর্তুগিজ সংস্করণের সম্পাদক ও ব্রাজিলিয়ান ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তিনি ও এস্তাদো দে সাও পাওলো পত্রিকায় কাজ করেছিলেন, মূলত রাজনীতি বিভাগে ডেটা সাংবাদিকতার মাধ্যমে স্টোরি তুলে ধরতেন। তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংস্থা ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (আবরাজি)-এ সাংবাদিকতা কোর্স পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।