২০২১ সাল লাতিন আমেরিকার সাংবাদিকদের জন্য বেশ ঘটনাবহুল ছিল। এ বছর অর্থ ও সম্পদ নিয়ে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অনুসন্ধান হয়েছে। এগুলোর মধ্যে করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছরে দুর্নীতির ফন্দি নিয়ে রিপোর্ট থেকে শুরু করে ট্যাক্স হ্যাভেনের (যেখানে কম বা নামমাত্র কর দিয়ে টাকা রাখা যায়) মাধ্যমে অভিজাত শ্রেণির ফায়দা লোটার মতো নানা ঘটনার উন্মোচনও রয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য বা আমাজন বনে জীববৈচিত্র্যের ভয়াবহ ক্ষতির জন্য দায়ী অন্যায় কর্মকাণ্ডের মতো বিষয় নিয়ে হওয়া অনুসন্ধানগুলোতেও ছিল ধরনগত বৈচিত্র্য এবং চমকপ্রদ আবিষ্কার।
এসব ঘটনার কিছু প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বলেছে, তারা লাতিন আমেরিকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে একধরনের “বিষাক্ত” প্রতিক্রিয়া দেখছে, যার মধ্যে পেরু, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, এল সালভাদর ও নিকারাগুয়ার মতো দেশগুলোতে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা এবং রাজনীতিক ও কর্মকর্তাদের করা প্রতিহিংসামূলক মামলাও রয়েছে। তবু রিপোর্টাররা নাছোড়বান্দার মতো অনুসন্ধান চালিয়ে গেছেন এবং জবাবদিহির হাতিয়ার হিসেবে গল্প বলা থেকে পিছপা হননি।
এ বছর এই অঞ্চল থেকে স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত সেরা আট অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এখানে তুলে ধরা হলো। যে প্রতিবেদনগুলো পারস্পরিক সহযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়েছে, উদ্ভাবনী অনুসন্ধানী কৌশল ও টুল ব্যবহার করেছে এবং নতুন পাঠক তৈরি করেছে—এখানে আমরা সেগুলোকে নির্বাচন করেছি। — আন্দ্রেয়া আরজাবা, জিআইজেএন স্প্যানিশ সম্পাদক।
ভ্যাকুনাগেইট কেলেংকারি (পেরু)
পেরুজুড়ে তখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, মৃত্যুহারের দিক দিয়েও দেশটি অঞ্চলটিতে প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছে। এমন এক সময়ে জিআইজেএনের দুই সদস্য প্রতিষ্ঠান. সালুদ কন লুপা ও ওহো পুবলিকো, আলাদা অনুসন্ধানে উদঘাটন করেছে—কোভিড-১৯ টিকা কীভাবে দুর্নীতির নতুন বিনিময় পণ্যে পরিণত হয়েছে। “ভ্যাকুনাগেইট” অনুসন্ধানে (ইংরেজিতে অর্থ দাঁড়ায় ভ্যাক্সিনগেইট) উঠে আসে, জনসাধারণের জন্য কোনো স্বীকৃত টিকা সহজলভ্য হওয়ার মাসখানেক আগেই পেরুর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকাররাসহ প্রভাবশালী শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদেরা গোপনে টিকা নিয়েছেন। তখনো দেশটিতে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছিল মাত্র। ভিজকাররা দাবি করেন, তিনি পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই টিকা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, তিনি নিজেই টিকা নিতে চেয়েছেন।
এই অনুসন্ধানে সালুদ কন লুপার রিপোর্টিং দল, ৪৭০ জন ব্যক্তির একটি সহজবোধ্য ডেটাবেইস তৈরি করেছে এবং সেটিকে একটি ইন্টার্যাকটিভ প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করেছে। এই ডেটাবেইস ঘটনাটির গোপন সুবিধাভোগীদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কও তুলে ধরে। ওহো পুবলিকো দেখতে চেয়েছিল, লাতিন আমেরিকার অন্য কোনো দেশেও গোপন, অতিরিক্ত টিকার চালান পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে কি না বা পাঠানো হয়েছে কি না। এই অনুসন্ধানগুলোর ফলে দেশটির স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেন, ভিজকাররা অভিশংসনের মুখে পড়েন এবং ২০২০ সালে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। পরে এই কেলেঙ্কারির কারণে তাঁকে সব ধরনের সরকারি দায়িত্ব থেকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
কোভিড মৃ্ত্যুর সংখ্যা যেভাবে গোপন করা হয় (নিকারাগুয়া)
বিভ্রান্তিমূলকভাবে নিকারাগুয়ার কর্মকর্তারা দাবি করছিলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্তের কম সংখ্যা প্রমাণ করে, মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশটি সফল এবং এই দাবি নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করে তারা মধ্য আমেরিকার দেশকে সুইডেনের মতো দেশের সঙ্গেও তুলনা করছিলেন। কিন্তু তাতে বাদ সাধেন নিকারাগুয়ার একদল রিপোর্টার। ডেটার ট্রায়াঙ্গুলেশন এবং কয়েক ডজন ডাক্তার ও সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেওয়ার মতো ভিন্নধর্মী অনুসন্ধানী কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁরা প্রমাণ করেন, সরকারিভাবে অনেক রোগীকে “অস্বাভাবিক নিউমোনিয়া,“ ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বলে ঘোষণা করা হলেও, তাঁরা আসলে কোভিড-১৯ পজিটিভ অবস্থাতেই মারা গেছেন।
নিকারাগুয়ার অনুসন্ধানী সাইট ডিভারহেনতেস ও জিআইজেএনের কলম্বিয়াভিত্তিক সদস্য কানেকটাসের এই প্রকল্প পাওয়া যাবে তাদের ওয়েবসাইটে; চমৎকার ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন, একটি টেক্সট রিপোর্ট এবং একটি পডকাস্টসহ বিভিন্ন ফরম্যাটে।
আগুনকবলিত প্রকৃতি: সংরক্ষিত এলাকায় ২০ বছরের আগুন (ভেনেজুয়েলা)
ভেনেজুয়েলার ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান প্রোদাভিন্সির অনুসন্ধানী প্রকল্পে স্যাটেলাইট ডেটার চমৎকার ব্যবহার ছিল। তাদের রিপোর্টাররা দুই দশকের ডেটা বিশ্লেষণ করে বুঝতে চেয়েছিলেন, দেশটির জাতীয় উদ্যান, প্রাকৃতিক স্মৃতিস্মারক ও অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকাগুলোর ঠিক কোনখানে আগুন লেগেছে, কখন এবং কেন। অনেক ফলাফলের একটি ছিল: আমাজন অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভেনেজুয়েলায় অগ্নিকাণ্ডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি, এবং ব্রাজিলের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া গত ২০ বছরে দক্ষিণ আমেরিকার ৮০টি সংরক্ষিত এলাকার ৬৩টিতেই আগুনের ঝুঁকিতে থাকা জায়গার পরিমাণ বেড়েছে। আর অগ্নিকাণ্ডের রেকর্ডের বিচারে ২০২০ সালই সবচেয়ে খারাপ বছর ছিল।
ইতিমধ্যে, ২০২১ সালের ওয়ান-ইফরা ডিজিটাল মিডিয়া ল্যাটঅ্যাম অ্যাওয়ার্ডে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বেস্ট ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন ইনভেস্টিগেশনসহ বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছে অনুসন্ধানটি। ১৯৯৫ সালে সাংবাদিক ও নোবেল বিজয়ী গ্যাব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেজের প্রতিষ্ঠিত গোবো ফাউন্ডেশনের দেওয়া গোবো অ্যাওয়ার্ডের দশ ফাইনালিস্টের একটি ছিল এই অনুসন্ধান। এটিকে স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষায় সাংবাদিকতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি বলে মনে করা হয়।
ঈশ্বরের সেবক? অপুস দেইয়ের মুখোমুখি ৪৩ নারীর করুণ অভিজ্ঞতা (আর্জেন্টিনা)
অপুস দেই হলো ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে রক্ষণশীল বলে পরিচিত একটি গোষ্ঠী। এদের হয়ে কাজ করার সময় দক্ষিণ আমেরিকার গ্রামাঞ্চলের নারীরা কীভাবে নির্যাতিত হন, সেটিই তুলে এনেছে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় দৈনিক লা নাসিয়নের এই অনুসন্ধান। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেখানে তাঁদের বিনাশ্রমে কাজ করানো হতো এবং নিজেই নিজেকে পীড়া দেওয়ার জন্য সিলিশ নামের একধরনের শিকল পরতে উৎসাহিত করা হতো। সিলিশে ধাতব রিংয়ের সঙ্গে কাঁটা যুক্ত থাকে, যা মাংসে বিঁধে যায়। এই নারীরা রিপোর্টারদের জানান, প্রতারণার মাধ্যমে কিশোর বয়সেই তাঁদের দিয়ে অন্যদের এই দলে ভেড়াতে ব্যবহার করা হয়। বিনিময়ে তাঁদের বুয়েনস আইরেস বা আসুনসিয়নে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার আশা দেখানো হয়, যা তাঁদের পরিবারের সামর্থ্যের বাইরে ছিল। এই গল্পকে জীবন্ত করে তুলতে রিপোর্টাররা সেই নারীদের পুরোনো ছবি, ভিডিও সাক্ষাৎকার ও অডিও ভিজ্যুয়াল টুল ব্যবহার করেছেন।
কলম্বিয়ার আমাজনে পরিবেশগত অপরাধের শিকড় (কলম্বিয়া)
কয়েকটি অধ্যায়ের এই গভীর অনুসন্ধানে ইনসাইট ক্রাইম ও ইগারাপে ইনস্টিটিউট কলম্বিয়ার আমাজন অববাহিকায় পরিবেশগত অপরাধের একটি মানচিত্র দাঁড় করিয়েছে। “সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র ও ‘বৈধ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান—এই দুইয়ের কল্যাণে অঞ্চলটি ক্রমেই ধ্বংসের“ শিকার হচ্ছে। এই প্রতিবেদন একদিকে যেমন অবৈধ খনিজ উত্তোলন, গাছ কাটা, বন্য প্রাণী পাচার, ভূমি দখল ও কোকো উৎপাদনের কারণে বনের বিনাশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিকে উন্মোচন করেছে, আরেক দিকে বৈধ ও অবৈধ খাতগুলোর মধ্যকার যোগসূত্রও খতিয়ে দেখেছে। অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, অপরাধী দলগুলোর কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীতে কী করে সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
টেক্সট, ম্যাপ ও ইনফোগ্রাফিকসের সমন্বয়ে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে, কলম্বিয়ার আমাজনে কী হচ্ছে। এই অনুসন্ধান ইংরেজি, স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষায় পাওয়া যায়।
প্রাক-বিচার কারাগার: গরিব ও নির্দোষের বন্দিদশা (মেক্সিকো)
এই অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেক্সিকোর কারাগারে কয়েদির সংখ্যা গত ১৫ বছরের মধ্যে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশ ছোটখাটো চুরি বা মাদক কেনাবেচায় অভিযুক্ত গরিব মানুষ এবং সংশোধনমূলক কারাগারে বিচারের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তাঁদের দিন পার হচ্ছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর, ২০১৯ সালে অপরাধবিরোধী আইন পাস করার পর থেকে কারাগারে এই ঢেউ শুরু হয়। কিন্তু এই কৌশল কাজ করেনি। এখনো ৯৫% অপরাধের কোনো সাজা হয় না। এতে করে আটককৃতদের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে, এবং কখনো কখনো একজন আইনজীবীকে ৩০০ মামলা পর্যন্ত সামলাতে হচ্ছে।
এই ঘটনায় অ্যানিমেল পলিটিকো ও ইন্টারসেক্টা তথ্য অধিকার আইনে প্রায় ৪০০ অনুরোধ পাঠায়, যা প্রমাণ করে কমপক্ষে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বিনা বিচারে জেলে আছেন, এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত নয়। এই প্রকল্পে জেলখানায় থাকা অনেকের ভাষ্য, সাক্ষ্যসহ ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের বহুল ব্যবহার পাঠককে পুরো চিত্র বুঝতে সাহায্য করে।
‘নোংরা খেলা’: লাতিন আমেরিকায় ফুটবল, প্রতারণা, ও মানব পাচার
এল্ পাইস দে কালি (কলম্বিয়া), লা নাসিয়ন (প্যারাগুয়ে), অপিনিয়ন (বলিভিয়া) ও কানেকটাসের (বহুজাতিক সাংবাদিকতাকে সহায়তা করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান) উদ্যোগে পরিচালিত হয় এই উচ্চাভিলাষী অডিও ভিজ্যুয়াল অনুসন্ধান। পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে উল্টো কেলেঙ্কারির শিকার বনে যাওয়া ২১৭ জন খেলোয়াড়ের ঘটনা এখানে খুঁজে বের করেন একদল রিপোর্টার।
তাঁরা কিছু ভুয়া স্কাউটিং এজেন্টকে (যারা সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় খুঁজে বের করে) শনাক্ত করেন, যারা উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একটি নির্দিষ্ট ছক অনুসরণ করে। আর তা হলো: গরিব পরিবারগুলোকে প্রবঞ্চিত করা হয় এই বলে যে তাদের সন্তানেরা অন্য দেশে পেশাদার ফুটবল খেলার সুযোগ পাবেন। বিনিময়ে পরিবারগুলোর কাছ থেকে “কাজ শুরুর জন্য” অল্প টাকা চায় ভুয়া এই এজেন্টরা। তারপর ”বিখ্যাত বানানোর” কথা বলে ৬০০ থেকে ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত দাবি করে বসে। অনুসন্ধানে উঠে আসে, অনেক পরিবার নিজেদের বাড়ি বন্ধক রেখে, সহায়-সম্বল বিক্রি করে এবং আরও অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ঋণ নিয়ে হলেও টাকা জোগায়। কারণ, তারা এই “সুযোগ হারাতে” চায় না।
লাতিন আমেরিকার প্যান্ডোরা পেপার
ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস-এর (আইসিআইজে) নেতৃত্বে পরিচালিত প্যান্ডোরা পেপারস প্রজেক্ট লাতিন আমেরিকার বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন নামকরা রাজনীতিবিদের অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন উন্মোচন করেছে। তাঁদের মধ্যে লাতিন আমেরিকার সম্পদশালী ব্যবসায়ী ও খ্যাতিমান তারকাদের পাশাপাশি চিলি, ইকুয়েডর ও ডোমিনিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্টেরও নাম আছে। অভিযোগ: তাঁরা ট্যক্স হ্যাভেনের মাধ্যমে সম্পদের একটি বড় অংশ আড়াল করেছেন।
ফাঁস হওয়া আয়কর নথির এই বিশাল ভান্ডার অনুসন্ধানের জন্য আইসিআইজের প্যান্ডোরা পেপার্স প্রকল্পে বিশ্বের প্রায় ৬০০ সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন। লাতিন আমেরিকার চিলি (সিপার ও লাবট), আর্জেন্টিনা (লা নাসিয়ন, এল ডিয়ারিওএআর, ও ইনফোবেই), এবং পেরুর (কনকোভা ও আইডিএল-রিপোর্টেরোস্) বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এসব প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করেছে।
আরও পড়ুন
ইনসাইডার অ্যাকসেস টু চাইনিজ ভ্যাকসিন: এ কেস স্টাডি ইন প্যানডেমিক করাপশন ফ্রম পেরু
লেসন ফ্রম দ্য প্যানডোরা পেপার্স: হাও টু ইনভেস্টিগেট ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম স্টোরিজ