বেশ কয়েক দশক ধরেই সুইজারল্যান্ড ছিল গোপনীয় ব্যাংকিংয়ের স্বর্গ। এখন দেশটি হয়ে উঠেছে কাঁচামাল কেনাবেচার স্থান। বেশির ভাগ ব্যক্তিমালিকানার হাইড্রোকার্বন ট্রেডিং জায়ান্ট তাদের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছে জেনেভায়। এর পাশাপাশি গড়ে উঠেছে এই খাতের হাজারো ছোট ও মাঝারি আকারের কোম্পানি, যেগুলো কমবেশি মূল প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে কাজ করে, এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী হাজির বা উধাও হয়।
পাবলিক আই-এ, আমাদের অন্যতম কাজ হলো: উন্নয়নশীল দেশে এই কোম্পানিগুলোর কর্মকাণ্ড অনুসন্ধান করা।
কাঁচামাল কেনাবেচার ট্রেডিং কোম্পানিগুলো ব্যাংকের মতো নয়। ব্যাংকগুলোকে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হয়, এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে সুইজারল্যান্ডের তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা FINMA। কিন্তু ট্রেডিং কোম্পানিগুলো কাজ করে উল্লেখযোগ্য কোনো জবাবদিহি ছাড়াই। ফলে গত কয়েক বছরে, এই খাতে বেশ কিছু কেলেঙ্কারির ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। উন্মোচিত হয়েছে নানা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড, যেগুলোর মধ্যে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও আছে।
ট্রেডারদের রিপোর্ট
এদের নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য অনেক যুক্তি মিলবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, অস্বচ্ছতা ও মাফিয়া-রীতিতে চলা এমন একটি খাত নিয়ে অনুসন্ধান করবেন কী করে? প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ইনফরমার পাওয়ার বিশেষ দরকার না থাকলে এই খাতে সূত্রের অভাব নেই। এদের কাছ থেকে আপনি বেশ কিছু বিষয় উন্মোচন করতে পারবেন। আর হ্যাঁ, কিছু কৌতূহলী বা প্রতিশোধপরায়ণ ব্যবসায়ীও আগ্রহী থাকেন সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্ত হতে।
কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, এই ট্রেডিং কোম্পানিগুলো প্রতিবছর একটি প্রশাসনিক বা সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কোনো মতেই তাদের আশা জাগানো সব বিবৃতির (যেমন, “টেকসই উন্নয়ন”, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স”) ফাঁদে পড়বেন না। বরং, তাদের এই চকচকে কাগজে ছাপা প্রকাশনাগুলো আরও সতর্কতার সঙ্গে পড়ুন। এখানে আপনি খনির অবস্থান, খনিতে ঘটা দুর্ঘটনার সংখ্যা, কার্বন ফুটপ্রিন্ট, কমিউনিটি প্রকল্পগুলোতে ব্যয়—এমন নানা তথ্য পাবেন।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে হলে, এ ধরনের সুইস ট্রেডিং হাউসগুলোকে আর্থিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করতে হয়। খুব সতর্কতার সঙ্গে তথ্যগুলো খেয়াল করুন। তবে আর্থিক প্রতিবেদনের যেমন নিরীক্ষা হয়, সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। বড়জোর, প্রকাশের আগে বিগ ফোর ফার্ম নামে পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় চারটি আর্থিক অডিট গ্রুপের কোনো একটিকে দেখিয়ে নেওয়া হয়।
কখনো কখনো এই রিপোর্টগুলোতে যা প্রকাশ করা হয়নি, তা-ও উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। যেমন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর একটি কোবাল্ট খনিতে দুর্ঘটনায় ৩৯ জন শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনা একটি বহুজাতিক কোম্পানি তাদের সাম্প্রতিক সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেনি। কারণ, সেই শ্রমিকেরা তাঁদের সরাসরি কর্মী ছিলেন না।
স্বচ্ছতা যখন স্বেচ্ছাধীন ও অসম্পূর্ণ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, নিজেদের ভাবমূর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন কয়েকটি ট্রেডিং কোম্পানি জানাতে শুরু করেছে, তারা বিভিন্ন দেশের সরকারকে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেছে। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন তেল কোম্পানি বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে পরিশোধ করা এই অর্থের পরিমাণ জানা যায় তাদের দায়বদ্ধতামূলক প্রতিবেদনে। তবে এই ধরনের স্বচ্ছতা দেখা যায় শুধু এক্সট্রাকটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (ইআইটিআই)-ভুক্ত দেশগুলোর ক্ষেত্রে। পৃথিবীর তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ-সংক্রান্ত সুশাসনের লক্ষ্যে ৫৫টি দেশ মিলে তৈরি করেছে এই বৈশ্বিক মানদণ্ড। কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে, আপনি অন্তত এটুকু তুলনা করে দেখতে পারবেন যে, ইআইটিআই প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের সরকারকে কত টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে এবং অপরদিকে এসব কোম্পানি কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
ইআইটিআইয়ের সদস্য নয়, এমন দেশের (দক্ষিণ সুদান, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, আজারবাইজান ও রাশিয়া) ক্ষেত্রে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আর্থিক লেনদেনের একটি সম্মিলিত ডেটা প্রদান করলেই চলে। যেখানে কোনো লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ থাকে না। যে কারণে এসব তথ্য ব্যবহার করাও কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন, একটি বড় ট্রেডিং কোম্পানি ২০১৩ সাল থেকে ইআইটিআই-ভুক্ত দেশগুলোকে পরিশোধ করেছে ২০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ইআইটিআই-ভুক্ত নয়, এমন দেশগুলোকে পরিশোধ করেছে আরও অনেক বেশি অর্থ, ১১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
সরকারি নিবন্ধক
একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা প্রশাসনিক অঞ্চলে অবস্থিত কোম্পানি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় সেই অঞ্চলের ট্রেড রেজিস্টারে। যেমন: কোম্পানির ব্যবসায়িক নাম, শাখা ইত্যাদি; এবং সময়ের সঙ্গে হওয়া পরিবর্তন—যেমন, ঠিকানা, লিকুইডেশন বা ব্যবস্থাপনা দলে পরিবর্তন। এসব তথ্য খোঁজার জন্য যেতে পারেন জেফিক্স ডট সিএইচ-এ। এখানে আপনি কোম্পানির নাম ধরে সার্চ করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তিকে খোঁজার জন্য ব্যবহার করুন শাবেক্স ডট সিএইচ।
আরও অনেক দেশের মতো সুইজারল্যান্ডেও এমন কোনো রেজিস্টার নেই, যেখানে কোম্পানিগুলোর আসল মালিক বা সত্যিকারের সুবিধাভোগীদের তথ্য আছে। ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, সবচেয়ে সন্দেহজনক সমঝোতাগুলো হয় কোনো মধ্যবর্তী কোম্পানির মাধ্যমে, যাদের হয়তো এই খাতের ব্যবসার সঙ্গে দৃশ্যমান কোনো সংযোগই নেই।
এ ক্ষেত্রেও অবশ্য একটি সমাধান আছে এবং এটি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মূল ভিত্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর অনেক শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এবং সেখানকার নিবন্ধন নথিতে তাদের সূত্র থেকে যায়। এসব ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ডের তুলনায় আরও অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যায় নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, মাল্টা, লুক্সেমবার্গ ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোর কোম্পানি নিবন্ধন নথি থেকে। এখানে ঋণের পরিমাণ, শাখা কোম্পানি, যৌথ উদ্যোগ ও মার্কেট শেয়ারের উল্লেখ থাকে।
তবে এমন ব্যবসায়িক ডেটাবেসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় তথ্যগুলো হাতে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন কাজ। ট্রেডিং কোম্পানিগুলো যখন বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে সিন্ডিকেটেড ঋণ গ্রহণ করে বা বন্ড প্রদান করে, তখন তাদের প্রসপেকটাস প্রকাশ করতে হয়। কয়েক শ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসাটি কেমন চলছে। এই ডেটা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। কিন্তু আপনি এটি পেতে পারেন আপনার ব্যাংকিং খাতের সূত্র বা এই খাত নিয়ে কাজ করা কোনো বিশেষজ্ঞ সহকর্মীর কাছ থেকে।
আইনি নথিপত্র
সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল ক্রিমিনাল কোর্ট (টিপিএফ)-এর একটি ডেটাবেস আছে। সাংবাদিকেরা এটি ব্যবহার করতে পারেন। এখানে রায়ের একটি অংশে মামলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানির নাম উল্লেখ করা থাকে। কিন্তু নানা ঘটনার সুনির্দিষ্ট বর্ণনা এবং জড়িত পক্ষদের নাম উল্লেখ থাকায় প্রায়ই এখান থেকে পুরো গল্পটি বুঝতে পারা যায়।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সাংবাদিকেরা টিপিএফের অ্যাক্রিডিটেশন নিতে পারেন। তাহলে তাঁরা কোনো সেন্সরশিপ ছাড়াই বিভিন্ন অভিযোগ, রায় এবং শাস্তির আদেশ-সংক্রান্ত তথ্যগুলো দেখতে পারবেন। এভাবেই সাংবাদিকেরা কঙ্গো-ব্রাজাভিল ও আইভরি কোস্টের জ্বালানি তেল বাজারের একটি দুর্নীতিসংক্রান্ত আদালতের নথি হাতে পেয়েছিলেন।
এই কাজে আরেকটি উপকারী টুল: পেসার। যুক্তরাষ্ট্রের এই ওয়েবসাইট আপনাকে প্রবেশাধিকার দেবে দেশটির কেন্দ্রীয় আদালতের এক বিলিয়নের বেশি আর্কাইভ করা নথিপত্রে। এগুলোর মধ্যে আছে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা, এবং শুনানি কার্যক্রমের বিবরণ। সাইটটিতে প্রবেশের জন্য আপনাকে কিছু ফি দিতে হবে। কিন্তু সেটির পরিমাণ খুবই যৌক্তিক। কাঁচামাল বাণিজ্যের বড় কিছু কোম্পানিসংক্রান্ত নথিপত্র এখানে আছে। কোর্ট লিসেনার-এ এমন কিছু নথি দেখতে পাবেন বিনা মূল্যে।
আমাদের আরও উল্লেখ করা উচিত অনলাইন মিডিয়া রিসোর্স, গোথাম সিটি-র কথা। এখানে প্রতি সপ্তাহে আদালতের নথিপত্র বিশ্লেষণ করা হয় এবং সুইজারল্যান্ডে অর্থনৈতিক অপরাধের একটি দারুণ পর্যালোচনা পাওয়া যায়। অপরাধ পর্যালোচনায় সবার ওপরে থাকে ট্রেডিং কোম্পানিগুলো।
জাহাজ ট্র্যাকিং
বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে নানা তথ্য পাবেন পানজিভা ওয়েবসাইটে। এখানে প্রবেশের জন্য কিছু অর্থ খরচ করতে হয়। এখানে আপনি বিলস অব লেডিং নামের গুরুত্বপূর্ণ নথিটিও পাবেন। পণ্য গ্রহণকারী ও বহনকারীর মধ্যে হওয়া চুক্তির আনুষ্ঠানিক প্রমাণ এই নথি। কোনো তেলের শিপমেন্ট কোথা থেকে হয়েছে, এর মান কেমন, কী পরিমাণে আছে এবং এটির গন্তব্য কোথায়, এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই নথিতে পাবেন।
কিছু অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এই নথিগুলো ফলাফল নির্ধারণী ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমনটি হয়েছিল লিবিয়ার অবৈধ তেল বিক্রি নিয়ে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে। (দেখুন পাবলিক আই অ্যান্ড ট্রায়াল ইন্টারন্যাশনাল-এর এই অনুসন্ধান।) সাংবাদিকেরা বিভিন্ন জাহাজ শনাক্ত ও অনুসরণ করেছেন অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম বা এআইএস থেকে পাওয়া ডেটা একসঙ্গে করে । এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে জাহাজগুলোর মধ্যে যে উচ্চ কম্পাঙ্কের রেডিও বার্তা লেনদেন করা হয়, সেগুলো ব্যবহার করে জাহাজের পরিচয়, অবস্থান, রুট ইত্যাদি জানা যায়।
এটি একটি বিশেষায়িত কাজের জায়গা। এবং যুক্তরাষ্ট্রে সি৪এডিএস ধরনের কিছু এনজিও এখন বিশেষভাবে কাজ করছে এই জটিল ডেটা বিশ্লেষণের জায়গাটি নিয়ে। এ ধরনের কাজে আরেকটি বিকল্প হলো ম্যারিন ট্রাফিক বা ভেসেল ট্র্যাকার-এর মতো ওয়েবসাইট ব্যবহার করা। এগুলোতে আপনি কিছু সেবা পাবেন বিনা মূল্যে।
এনজিওর বিশেষজ্ঞ
সবশেষে বলতে হবে, কয়েকটি অনুসন্ধানী এনজিওর কথা (যেমন: গ্লোবাল উইটনেস এবং আপনাদের একান্ত বিশ্বস্ত পাবলিক আই)। কাঁচামাল বাণিজ্য নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজের মাধ্যমে তারা বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করেছে। তাদের কাছে এই বিষয়ের ওপর দারুণ কিছু আর্কাইভও আছে। এ-সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
প্রবন্ধটি আদিতে লেখা হয়েছিল ফরাসি ভাষায়। “Conseils de Pros,” বা “পেশাদারদের পরামর্শ” নামের কলাম হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জিআইজেএন ফ্রেঞ্চ-এ। মূল লেখাটি পড়ুন এখানে। লেখাটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন কিথ জিনি।
আরো পড়ুন
ফলো দ্য মানি: হাও ওপেন ডেটা অ্যান্ড ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ক্যান বিট করাপশন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার মালিকদের কোথায় খুঁজবেন?
টাকার খোঁজ: নিজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অনুসন্ধান করবেন যেভাবে
এদ্রিয়া বাদ্রি কার্বো সুইস এনজিও পাবলিক আইয়ের একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তিনি কাজ করছেন কাঁচামাল বাণিজ্য নিয়ে। এর আগে তিনি পাঁচ বছর কাজ করেছেন লে টেম্পস সংবাদপত্রে, এবং জেনেভা ট্রাইব্যুনাল-এ। “ট্রাপড অন দ্য হাই সি” নামের প্রতিবেদনের জন্য ২০১৯ সালে জিতেছেন অ্যাকানু পুরস্কার।
আগাথ দুপার্ক পাবলিক আইয়ের একজন সাংবাদিক। তিনি বিশেষভাবে কাজ করেন রাশিয়া ও অর্থনৈতিক অপরাধের বিষয় নিয়ে। তিনি লে মনডে ও মিডিয়াপার্টের জন্য রিপোর্টিং করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে, তিনি কাজ করছেন কাঁচামাল বাণিজ্য নিয়ে। তিনি ছিলেন “গুনভর ইন কঙ্গো: দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব এ জেনেভা মার্চেন্ট ইন ব্রাজাভিল” বইয়ের সহ-লেখক।