
ছবি: শাটারস্টক
ভালো মোবাইল সাংবাদিকতার জন্য ভালো অডিও জরুরি। কারণ, মোজো, অর্থাৎ মোবাইল সাংবাদিকরা বেশিরভাগ সময় একা একা কাজ করেন। তাই তাদের এমন ইকুইপমেন্ট দরকার হয় যা সহজে এবং দ্রুত ব্যবহার করা যায়। সংঘাতপূর্ণ এলাকায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিষয়টি আরো গভীরভাবে প্রযোজ্য। এসব এলাকায় রিপোর্ট করতে গেলে যন্ত্রপাতি যত কম রাখা যায় তত ভালো। কারণ এর সঙ্গে আপনার নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটাই জড়িত।
যাই হোক, আপনি বাগদাদে কাজ করুন বা অসলোতে, মোজোর যন্ত্রপাতি কেনাটা অনেকটা নেশার মতন। তাই আমাকে সব সময় অডিও নিয়ে প্রশ্ন করা হয়: “আমার কি অনেক টাকা খরচ করতে হবে?”; কোনটা সবচেয়ে ভালো হবে?” “আমি কি মাইকটাকে প্লাগইন করতে পারি?”; ফোনের মাইক ব্যবহার করলে কী অসুবিধা?”
বাজারে স্মার্টফোনবান্ধব অনেক মাইক্রোফোন আছে। কিন্তু এখানে আমি তুলে ধরছি, একেবারে সেনহাইজার এবং রোডের সম্প্রতি আসা কয়েকটি মডেল, যা কিনা ওপরের প্রশ্নগুলো করা অনুসন্ধানী মোজোদের জন্য আগ্রহের বিষয় হতে পারে।

লেখক নিজে একটি কিট পরীক্ষা করে দেখছেন। ছবি: ইভো বুরামের সৌজন্যে
সেনহাইজার: জনপ্রিয় পারিবারিক প্রতিষ্ঠান থেকে আসা মোজো অপশন
সেনহাইজার এরইমধ্যে স্মার্টফোন ও মোজো কাজের উপযোগী বেশ কিছু দামে সাশ্রয়ী মাইক্রোফোন ও মোবাইল কিট বাজারে ছেড়েছে।
অডিও কোম্পানিগুলোর মধ্যে জার্মান এই প্রতিষ্ঠানটিই সবার আগে এমকেই ৪০০-র মতো ছোট আকৃতির মাইক্রোফোন এনেছে, যা স্মার্টফোন এবং অন্যান্য হাইব্রিড মোজো ইকুইপমেন্টের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়। আমি সাত বছর ধরে তাদের পণ্য ব্যবহার করছি – এবং কিট হিসেবে এগুলো এখনো দারুণ এবং ভালো কাজ করছে।

এক্সএস কিট। ছবি: সেনহাইজার
সেনহাইজার, অতি সম্প্রতি চারটি নতুন মাইক্রোফোন বাজারে এনেছে। এগুলো আলাদাভাবেও কেনা যায়, আবার চাইলে কম্বো কিটের অংশ হিসেবেও কিনতে পারেন। এই কিটের মধ্যে রয়েছে ম্যানফ্রোটোর পিক্সি ট্রাইপড এবং অসাধারণ ডিজাইনের একটি স্মার্টফোন ক্ল্যাম্প, যা দারুন কাজ করে।
আমার পরামর্শ: ক্র্যাডল – যা কিনা গোটা স্মার্টফোনটিকে ধরে রাখে – এখন আর অতটা দরকার হয় না, কারণ এখনকার স্মার্টফোনে ওয়াইড লেন্সসহ নানা রকমের লেন্স থাকে এবং তাতে বিল্ট ইন স্ট্যাবিলিটি ফাংশনও পাওয়া যায়। তারওপর সেনহাইজারের মতো ক্ল্যাম্পগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ক্র্যাডলের তুলনায় দামেও কম। এগুলোতে শু-মাউন্টসহ একাধিক কানেকশন পয়েন্টও থাকে।
সেনহাইজারের এক্সএস ল্যাভ মোবাইল (৫০ মার্কিন ডলার) এমন একটি মাইক্রোফোন যা আপনি চাইলে শার্টের সঙ্গে ল্যাপেলের মতো করে পরে নিতে পারবেন। এছাড়াও এটিতে যে প্লাগ আছে, তা যে কোনও স্মার্টফোনে লাগানো যায় এবং প্রয়োজনে ইউএসবি-সি ডিভাইসের সঙ্গেও জুড়ে নিতে পারবেন এর ৬০ ডলারের সংস্করণ ব্যবহার করে। আপনি চাইলে কম্বো কিটের সঙ্গেও এটি কিনতে পারেন। এই কিটে একটি ফোন ক্ল্যাম্প, জুড়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো স্ক্রু এবং পিক্সি ট্রাইপডও থাকে। দাম অনেকক কম! ১০০ মার্কিন ডলারের নিচে।

ছবি: সেনহাইজার
এই মাইক্রোফোনে শব্দ পাওয়া যায় ঝরঝরে, এবং এর কেবল দুই মিটার ( ৬.৫ফুট) লম্বা, যা অনায়াসেই পোশাকের নিচে ঢেকে রাখা যায়। যদি ঠিক মত বসানো যায় (সাবজেক্টের মুখ থেকে ৬-৮ ইঞ্চি বা ১৫-২০ সেন্টিমিটার, অর্থ্যাৎ প্রায় এক হাত দূরে) তাহলে এক্সএস ল্যাভের অমনি ডিরেকশনাল মাইক্রোফোন আশপাশের শব্দ (নয়েজ) প্রবেশ করাও দারুনভাবে ঠেকাতে পারে।
৯৯ ডলার দামের এমকেই ২০০ বেরিয়েছিল কয়েকমাস আগে। এখনে এসেছে এমকেই ৪০০ (দাম ১৯৯ ডলার)। ২০০ সংস্করণের মতো এটির আবরণও ধাতব এবং মাইক্রোফোনের সঙ্গেই বিল্ট-ইন সাসপেনশন সিস্টেম আছে। আরও আছে মেশ দিয়ে তৈরি উইন্ডশিল্ড যা হালকা বাতাসেও ভালো কাজ করে। তবে শক্তিশালী বাতাসে কাজ করতে হলে আপনার পশমী কাভার লাগবে। স্মার্ট ডিভাইসের জন্য তৈরি আগের শটগান মাইকগুলোতে থাকা রাবার ব্যান্ডগুলো যেমন হুটহাট পড়ে যেতো, এখানে তেমনটি ঘটান সুযোগ নেই। কারণ এর সাসপেনশন মাউন্টটি মাইকের বডির ভেতরে থাকে। তাই এটি পড়ে যায় না।
তুলনামূলক সাশ্রয়ী এমকেই ২০০ এর তুলনায় এমকেই ৪০০ মাইকে বাড়তি কিছু ফাংশন আছে, যা একে হট্টগোলের মধ্যেও শব্দ রেকর্ডিংয়ের জন্য আদর্শ করে তুলেছে।
আমার পরামর্শ: রেকর্ডিংয়ের জন্য সাবজেক্টের এক মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকুন। তাহলে সাবজেক্টের শরীর, পেছন থেকে আসা শব্দ থেকে আপনাকে পর্দার মতো করে রক্ষা করবে। আপনার নিজের শরীরও একই কাজ করবে।

সেলফোনের সঙ্গে সেনহাইজারের এক্সএস কিট লাগানো এবং ওপরে এমকেই ৪০০ মাইক্রোফোন মাউন্ট করে বসানো। ছবি: সেনহাইজার
এমকেই ৪০০ শুধু স্মার্টফোন নয়, ডিএসএলআর ক্যামেরাতেও ব্যবহার করা যায়। এর সুবিধা হলো:
- দুটি এএএ ব্যাটারিতে ১০০ ঘন্টা চলে।
- বিল্ট-ইন বাতাস সুরক্ষা এবং শক মাউন্ট আছে।
- ক্যাবল স্লিপেজ ঠেকাতে টাইপ ৩.৫ মিলিমিটার টিআরএস স্ক্রু আছে।
- শব্দ বাড়ানো কমানোর ব্যবস্থাসহ একটি হেডফোন পোর্ট আছে।
- ৩.৫ মিমি টিআরএস থেকে টিআরআরএস (মাইক থেকে স্মার্টফোন) এবং টিআরএস থেকে টিআরএস (মাইক থেকে ডিএসএলআর) আউটপুট কেবল আছে।
- ডিরেকশনাল সাউন্ড পিকআপ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত।
- তিন স্তরের গেইন কন্ট্রোল এবং লো-কাট ফিল্টার রয়েছে। গেইন কন্ট্রোলের মাধ্যমে আপনি ক্যমেররা থেকে আসা মৃদুতম শব্দও এড়াতে পারবেন এবং শোরগোলের মতো পরিস্থিতিতে কম গেইনে সেট করে নিতে পারবেন।
- ঘরের বাইরে ব্যবহারের জন্য একটি পশমী উইন্ডস্ক্রিন আছে।
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্যুইচ অন হয়ে যায়।
ভিড়-ভাট্টাতেও এমকেই ৪০০ ব্যবহার করে আমি দারুণ ফল পেয়েছি। ব্যবহারও সহজ মনে হয়েছে। ডিরেকশনাল সুপার কার্ডিওয়েড পোলার রেকর্ডিং প্যাটার্নটির কারণে ক্যাপসুলের পেছন বা সামনে থেকে আসা শব্দকে তাৎক্ষণিকভাবে ধারণ করা যায়; যা একে অন-ক্যামেরা, ডিরেকশনাল, রান-অ্যান্ড-গান মাইক্রোফোন হিসেবে ব্যবহারের জন্যও দুর্দান্ত করে তোলে। গেইন সেট না থাকলেও ছোট ভাইয়ের (এমএকই ২০০) তুলনায় এর উপস্থিতি ভালো। দাম বেশি হলেও আপনার তাই গায়ে লাগবে না। ২০০-এর মতো ৪০০-এর কেবল স্ক্রুগুলোও বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কারণ তারা যথারীতি সামনের দিকে বসানো। তবে এটি স্মার্টফোনের স্ক্রিনের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় না এবং স্ক্রু মাউন্টের কারণে এটি বেশ সুরক্ষিত থাকে।

মাইক্রোফোনের পোলার রেকর্ডিং প্যাটার্ন, যা আপনাকে দেখাবে বিভিন্ন দিক থেকে কিভাবে মাইক্রোফোনে শব্দ আসছে। ছবি: ইভো বুরাম
আমার পরামর্শ: যখন আমি ফরেন করেসপন্ডেন্ট (অস্ট্রেলিয়ান ডকুমেন্টারি সিরিজ) এর হয়ে অনুসন্ধানী স্টোরি প্রযোজনার জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করছিলাম, তখন আমাদের ক্যামেরাগুলোতে একটি ডিরেকশনাল শটগান মাইক লাগানো থাকতো। সব সময়। এবং একটি চ্যানেলে প্লাগ ইন করা হতো। তাই, তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকলেও আমরা জানতাম যে আমাদের একটি চ্যানেল সেট আছে এবং রেকর্ডিং হচ্ছে ভালো মাইকে। কখনও কখনও, মাইক্রোফোনটির সেটিংস অপরিবর্তিত রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিতে আমরা কন্ট্রোলও নাড়াচাড়া করে দেখেছি।
রোড: এসেছে নতুন শিশু

অয়্যারলেস গো টু। ছবি: রোড
ঘটনা হলো, অস্ট্রেলিয় অডিও ব্র্যান্ড রোড তাদের অয়্যারলেস গো সিরিজের একটি নতুন সাশ্রয়ী মাইক বাজারে ছেড়েছে। এর নাম অয়্যারলেস গো টু। এতে আছে দুই চ্যানেলের রিসিভার, দু’টি ট্রান্সমিটার (দুই জন ইন্টারভিউ সোর্সের জন্য), এবং আরও অনেক ফিচার যার কারণে মাইকটি বেশ কার্যকর হয়ে উঠেছে। এটি অবশ্যে আগের সংস্করণের চেয়ে দামী (২৯৯ ডলার), তবে এই বাড়তি দামের সঙ্গে আপনি পাচ্ছেন:
- দু’টি ট্রান্সমিটার, যা ক্লিপ-অন মাইক্রোফোনের তুলনায় দ্বিগুণ দ্রুত। এটি এক্সটার্নাল ল্যাভ মিক্সের সঙ্গেও ব্যবহার করা যেতে পারে (আলাদাভাবে কিনে নিতে হবে) – বেঁধে নেওয়ার ক্লিপটি কোল্ড শু মাউন্টেও ফিট হয়।
- এর রেঞ্জ ২০০ মিটার বা ৬৫৬ ফুট অবধি বিস্তৃত – ভিডিও তৈরির ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় রেকর্ডিংয়ের জন্য আমি এর চেয়ে বেশি দূরত্বে খুব একটা যাইনি। কারণ, ৫০ মিটারের বেশি গেলে সাবজেক্ট ফ্রেমের তুলনায় ছোট হয়ে যায় এবং ঠোঁট মেলে না।
- একটানা সাত ঘন্টা আনকমপ্রেসড অডিও রেকর্ড করা, এবং পাশাপাশি ড্রপআউট দূর করার ক্ষমতা, যা একে বাজারের সবচেয়ে ছোট ডিজিটাল রেকর্ডারে পরিণত করেছে।
- ইউএসবি-সি সংযোগের মাধ্যমে একটি ৩.৫ মিমি টিআরএস এনালগ আউটপুট, এবং ডিজিটাল অডিও আউট।
- ইচ্ছেমত গেইন কন্ট্রোলের ব্যবস্থা।
- দুটি সোর্স থেকে দুটি আলাদা বা একটি সংযুক্ত চ্যানেল রেকর্ড করার ক্ষমতা।
- রোড সেন্ট্রাল অ্যাপের সাহায্যে প্রেফারেন্স সেট করা, অপটিমাইজ করা এবং রেকর্ডিং এক্সপোর্ট করা, ফাংশন ও ফার্মওয়্যার আপডেট করা, সুরক্ষার জন্য দ্বিতীয় আরেকটি ট্র্যাক রেকর্ড করা, এবং তিন-ধাপের আচ্ছাদন প্যাড ব্যবহারের সুযোগ।
- অভ্যন্তরীণ মেমরির রিচার্জেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে সাত ঘন্টা ব্যাটারি লাইফসহ স্বয়ংক্রিয় রেকর্ডিং।
- ২.৪ গিগাহার্টজ ডিজিটাল ট্রান্সমিশন এবং ১২৮-বিট এনক্রিপশন যা সামরিক বা পুলিশ অপারেশনের মতো উচ্চ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) পরিস্থিতিতেও স্থিতিশীল শব্দের নিশ্চয়তা দেয়।
অয়্যারলেস গো টু ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। আমি লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য আগের মডেলের ৪০টি সেট কিনেছিলাম। ডিভাইসগুলো কোনও বীট মিস করেনি। আপনি পুরনো মডেলটি নিয়ে আমাদের করা ডিসট্যান্স টেস্ট শুনে দেখতে পারেন। শিক্ষার্থীরা প্রায়ই তারযুক্ত ল্যাপেল মাইকের পরিবর্তে এই মডেলটি ব্যবহার পছন্দ করে, কারণ এটি মোবাইলের জন্য বেশি সুবিধাজনক ।
মোবাইল সাংবাদিকদের কাছে দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর স্মার্টফোনের ল্যাপেল ও শটগান মাইকের অনেক বিকল্প এখন বাজারে পাওয়া যায়। ওয়্যারলেস গো টু, অয়্যারলেস মাইকের বিচারে অসাধারণ। তবে সেনহাইজার তাদের এক্সএস ল্যাভের দামও ধরেছে একদম রোডের অফারের সাথে মিল রেখে। বলে রাখা ভালো – প্রতিযোগিতামূলক দাম, লম্বা কেবল এবং দারুন টোনের কারণে আমি হয়তো এক্সএস ল্যাভ মোবাইল কিনতেই আগ্রহ বোধ করবো; বিশেষ করে যদি ক্ল্যাম্প এবং ট্রাইপডসহ একটি কিট দরকার হয়।
একটি ভালো মাইক্রোফোন থাকা এত জরুরী, কারণ, শক্তিশালী ভিডিও স্টোরির জন্য ডাইনামিক অডিও মারাত্মক দরকারী। কেউ কেউ বলেন, অডিও আসলে ছবির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। আমি হয়তো এই কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করি না, কিন্তু সত্য হলো, স্মার্টফোনে ফোর-কে ভিডিও তোলার সঙ্গে যখন উঁচু মানের অডিওর মেলবন্ধন ঘটে, তখনই আসল খেলা হয়।
স্মার্টফোনে কিভাবে আরো ভালো ডাইনামিক অডিও রেকর্ড করবেন, পড়ুন এখানে।
আরো পড়ুন
মোজো ওয়ার্কিং: মোবাইল সাংবাদিকতার জন্য দরকারি টুল
মোবাইল সাংবাদিকতা গাইড: যেভাবে আপনিও হতে পারেন মোজো!
জিআইজেএন অন ইউটিউব: হাও টু মোজো
ইভো বুরাম একজন অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক সাংবাদিক, লেখক এবং পুরস্কারজয়ী টেলিভিশন প্রযোজক। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ২৫০০ ঘণ্টার বিভিন্ন ধরনের প্রাইম টাইম অনুষ্ঠান প্রযোজনার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ইভো, মোবাইল সাংবাদিকতার একজন অগ্রদূত। বুরাম মিডিয়া নামে তাঁর একটি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তিনি লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ বিষয়ের প্রভাষক ও সমন্বয়কারী।