কাজে যোগ দেওয়ার মাত্র দুই দিনের মাথাতেই স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তার (শেরিফ) বিরাগভাজন হয়েছিলেন জেফ গেরিট।
পূর্ব টেক্সাসের ছোট একটি শহরের পত্রিকা, প্যালেস্টাইন হেরাল্ড-প্রেসের নতুন সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেই একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছিলেন গেরিট। স্বচ্ছতার অভাব আছে, এমন অভিযোগ করে সেখানে তিনি কড়া সমালোচনা করেছিলেন অ্যান্ডারসন কাউন্টির শেরিফ গ্রেগ টেলরের। বলাই বাহুল্য, চার-মেয়াদ ধরে এই পদে থাকা টেলর খুবই চটে গিয়েছিলেন।
গেরিট বলেন, “তিনি খুবই ক্ষেপে গিয়েছিলেন। আমাদের পত্রিকার সঙ্গে আর কথা বলতে চাননি। তিনি সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন: ‘আজেবাজে সব উদারপন্থী ধারণা নিয়ে উত্তর থেকে আসা মানুষ’ বা এধরনের কিছু একটা। এবং তিনি পরবর্তী দুই বছর আমাদের সঙ্গে আর কথা বলেননি।”
শেরিফ টেলরের এমন অসহযোগিতার পরও, গেরিট ধারাবাহিকভাবে কিছু সম্পাদকীয় কলাম লেখেন; যেখানে উঠে আসে টেক্সাসের কারাগারে কিভাবে বন্দীরা মারা যাচ্ছেন। “ডেথ উইদাউট কনভিকশন” নামের এই সিরিজটির জন্য তিনি এবছর পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন সম্পাদকীয় ক্যাটাগরিতে।
সিএনএইচআই (কমিউনিটি নিউজপেপার্স হোল্ডিং ইনকরপোরেটেড)-এর অধীনে থাকা কোনো সংবাদপত্রের এটাই প্রথম পুলিৎজার-জয়। সাংবাদিকতার জগতই যেখানে চাকরি ছাঁটাই বা বেতন কমানোর মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে সপ্তাহে তিন দিন প্রকাশিত হওয়া একটি ছোট্ট পত্রিকার জন্য এটি একটি বিরল বিজয়ই বটে।
ছোট শহরে “বড় নগরের সাংবাদিকতা”
ডালাস থেকে প্রায় দুই ঘন্টা দক্ষিণপূর্ব দিকের শহর প্যালেস্টাইন। টেক্সাসের বনভূমি সমৃদ্ধ এই এলাকাটি পরিচিত পাইনি উডস নামে। অ্যান্ডারসন কাউন্টির এই শহরে, জনসংখ্যা ১৮ হাজারের কিছু বেশি। তাদের স্থানীয় সংবাদপত্র প্যালেস্টাইন হেরাল্ড প্রেস, টেক্সাসের সবচেয়ে পুরোনো পত্রিকাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এটি যাত্রা শুরু করে ১৮৪৯ সালে, আমেরিকান গৃহযুদ্ধ শুরুর ১২ বছর আগে।
গেরিট, টেক্সাসে আসার আগে ১৭ বছর কাজ করেছেন ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেস ও অন্যান্য আরো কিছু বড় পত্রিকাতে। দেশের দক্ষিণের একটি ছোট শহরের ভাবধারা সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। আবার সেখানকার কর্তাব্যক্তিরাও উত্তরাঞ্চলে প্রচলিত এমন ধারাবাহিক, গভীর ও বিশ্লেষণী সাংবাদিকতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
২০১৭ সালে নতুন শহরে আসা গেরিটের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্যালেস্টাইনের সাবেক মেয়র ও চিকিৎসক ক্যারোলিন সল্টার বলেছেন, “তাঁর পোশাক ও সাজসজ্জা দেখে আমি কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম। এখানে আপনি যদি জিন্স ও কাউবয় বুট না পড়েন, তাহলে আপনাকে কেতাদুরস্ত বলা হবে। গেরিটের কিছু নিজস্ব অদ্ভুত স্টাইল ছিল। এবং তিনি সেটাই বজায় রেখেছেন। ”
গেরিটকে প্রায়ই ছবিতে দেখা যায়, তিনি একটি স্ট্রাইপ স্যুট ও ফেডোরা হ্যাট পরে আছেন। একসময় তিনি রক ব্যান্ডে ড্রাম বাজাতেন এবং জ্যাজ মিউজিকের ভক্ত ছিলেন। প্যালেস্টাইনে প্রথম দিকে তিনি রাতে রেডিওতে কিছু শোনার চেষ্টা করতেন। কিন্তু জ্যাজ বা ক্লাসিক্যাল মিউজিকের বদলে তিনি সবসময়ই পেতেন কান্ট্রি মিউজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
“তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমি ভিন্ন একটা জায়গায় আছি। আমি সাংস্কৃতিক জায়গায় এক ধরনের ধাক্কা খেয়েছিলাম। কারণ বাইবেল বেল্টের এই দিকটা খুবই গোঁড়া রক্ষণশীল। তারা শুরুর দিকে আমাকে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি,” বলেছেন গেরিট।
“আরেকটি ব্যাপার হলো: আমি বড় শহরের আগ্রাসী সাংবাদিকতায় অভ্যস্ত। আর এখানে তার কিছুই হয় না। এখানে এমন কোনো পত্রিকা ছিল না, যারা মানুষকে জবাবদিহি করবে। ফলে শুরুর দিকে ব্যাপারগুলো বেশ কঠিন ছিল।”
প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন করা
গেরিট এখানে তাঁর প্রথম সম্পাদকীয়টি লিখেছিলেন, অ্যান্ডারসন কাউন্টি কারাগারে বন্দী-মৃত্যুর পেছনে কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই খুব ক্ষেপে গিয়েছিলেন কাউন্টির শেরিফ গ্রেগ টেলর। গেরিটের মনে পড়ে, শেরিফ তাঁকে বলেছিলেন, “কাউন্টি কারাগারে কেউ মারা যাচ্ছে- এটি কোনো সংবাদ নয়।”
এই সম্পাদকীয় প্রকাশের পর টেলর কথা বলা বন্ধ করে দেন। গেরিট বলেছেন, “তিনি পরবর্তী দুই বছর আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি। কোনো ঘটনা বা খবর, কোনো কিছুই তিনি আমাদের দেননি।”
তবে গেরিট এতে থেমে থাকেননি। তিনি টেক্সাসের কারাগারগুলোতে আরো বন্দীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। শুরুতেই তিনি অ্যান্ডারসন কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কাছে কিছু তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। কিন্তু টেক্সাসের আইনে একটি ফাঁক থাকায় তাঁর আবেদন বাতিল হয়ে যায়। আইনে বলা আছে: যদি কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত না হয়, তাহলে তার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সেই কেসের রেকর্ড উন্মুক্ত করা যাবে না।
কিন্তু আইনে আরো একটি দিক ছিল। আইন অনুসারে, টেক্সাসের কারাগারে মারা যাওয়ার ঘটনাগুলো অনুসন্ধান করার কথা রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা, টেক্সাস রেঞ্জার্সের। ফলে, এবার রেঞ্জার্সের কাছে তথ্য চেয়ে দ্বিতীয়বার আবেদন করেন গেরিট। এবং খুবই আশ্চর্যজনকভাবে, তাঁকে এই অনুসন্ধানের সব নথিপত্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
গেরিট বলেছেন, “আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমার মনে হয় না যে, আইন অনুযায়ী তাদের এটি দিতে হতো। এখানে সবার নাম ও সব কিছু ছিল। তখন আমি তাদের কাছে আরো ৩০ বা ৪০টি কেসের রিপোর্ট চাই। আমি দেখতে চেয়েছিলাম, ব্যাপারটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই হচ্ছে কিনা। তারা সেই কাগজও আমাকে দিয়েছিল, কোনো ঝামেলা ছাড়াই।”
নিজের চাওয়া অনুযায়ী সব তথ্যই এইসব নথিতে পেয়েছিলেন গেরিট। এখান থেকে বেশ কয়েকটি অনিয়মের ঘটনা উন্মোচিত হয়। যার মধ্যে ছিল: অত্যাধিক বলপ্রয়োগ, ভুলভাবে সময় ও তারিখ লেখা, এবং অসুস্থ বা আহত বন্দীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব। এই কাগজপত্রগুলোর ফলে তিনি কারাগার কেলেঙ্কারি নিয়ে আরো অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে থাকেন। এবং সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে: বিচারাধীন বন্দীদের ক্ষেত্রে আসলেই কী ঘটছে।
বন্দী অবস্থায় রোন্ডা নিউসামের মৃত্যুর ঘটনাটি ছিল বিশেষভাবে পীড়াদায়ক। ৫০ বছর বয়সী নিউসাম মারা যান অ্যান্ডারসন কাউন্টির লকআপে। এটি ছিল এক বছরে এমন মৃত্যুর দ্বিতীয় ঘটনা। গৃহস্থালী বিবাদে শারিরীক আক্রমণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন মাসের বেশি সময় জেলে বন্দী থাকার পর তিনি একটি হোল্ডিং সেলে মারা যান।
গেরিট রিপোর্ট করেন: হাইপারটেনশন ও থাইরয়েড সমস্যায় ভোগা নিউসাম পাঁচ দিন ধরে রক্তবমি করেছিলেন এবং মৃত্যুর আগে তিনি বারবার অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। নিউসামের এই ঘটনা বন্দীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে নগদ অর্থের বিনিময়ে জামিন পাওয়ার ব্যবস্থা পর্যন্ত টেক্সাস বিচার ব্যবস্থার অনেকগুলো ফাঁকফোঁকর সনাক্ত করেছে ।
পুলিৎজার পুরস্কারের বিচারকরা বলেছেন, এই ধারাবাহিক সম্পাদকীয় থেকে বেরিয়ে এসেছে, “কিভাবে টেক্সাস কাউন্টির ছোট কারাগারে বিচারের অপেক্ষায় থাকা বন্দীরা বিভৎস মৃত্যুর শিকার হচ্ছে।” এবং গেরিট “খুবই সাহসিকতার সাথে স্থানীয় শেরিফ ও বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়েছেন, যারা চেষ্টা করেছে এসব অনাকাঙ্খিত ট্রাজেডির ঘটনা ধামাচাপা দিতে।”
সিএনএইচআই-এর সহ সভাপতি বিল কেটার, গেরিট প্রসঙ্গে বলেছেন, “ছোট একটি শহরের পত্রিকার জন্য জেফ খুবই বিরল ধরনের সম্পাদক। তিনি যখন গুরুত্ব জেনেবুঝে কোনো ঘটনার দিকে দৃষ্টি দেন, তখন খুবই ধারাবাহিক ও আগ্রাসী থাকেন।” কেটার, গেরিটের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁকে পুলিৎজার পুরস্কারে অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
“আমার সবসময়ই মনে হয়েছে, তাঁর পুলিৎজার পুরস্কার জেতার মতো যোগ্যতা আছে,” বলেছেন কেটার।
ভাগ্য ফেরাতে ফের দক্ষিণ যাত্রা
গেরিট এমন সময় পুলিৎজার পুরস্কারটি পেয়েছেন, যখন সাংবাদিকতা জগতের মতো, তাঁর নিজের ক্যারিয়ারটিও যাচ্ছে একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে। ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেস ও অন্যান্য আরো কিছু বড় দৈনিকে ১৭ বছর ধরে কাজ করার পর, গেরিট ভেবেছিলেন: তাঁর ক্যারিয়ারের পথটা হবে সোজা, উর্ধ্বমুখী। কিন্তু বেশ কয়েক জায়গায় কর্মী ছাঁটাই ও মালিকানা বদল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর, তিনি নিজেকে আবিস্কার করেন অসহায় অবস্থায়।
৫৭ বছর বয়সী গেরিট বলেছেন, “আমি সবসময়ই অনেক পরিশ্রম করেছি। তখন আমি ভাবতাম এর ফলাফল সবসময় উর্ধ্বমুখীই হবে। কিন্তু তারপর, হঠাৎ করে সব কিছু ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হলো। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলছি না, কিন্তু আমি কিছু সময়ের জন্য খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিলাম। আমি এমনকি ট্রাক ড্রাইভিং স্কুলেও ভর্তি হওয়ার কথা ভেবেছি।”
এরপর, একদিন গেরিট প্যালেস্টাইনে একটি পত্রিকার সম্পাদকীয় পদের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন, “ভেবেছিলাম, দেখা যাক এখান থেকে আমি কী করতে পারি।”
কেটার সেই সময়ের স্মৃতি স্মরণ করে বলেছেন, “আমি তখন বলেছিলাম, এই ব্যক্তি পূর্ব টেক্সাসের একটি ছোট পত্রিকার মতো জায়গায় কাজ করার জন্য অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন। আমি এমন কাউকে চাচ্ছিলাম, যিনি স্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বের মাধ্যমে অন্তত কয়েক বছর কাজ করার কথা ভাবছে। গেরিট বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের অন্তত দুই বছর সময় দেব। বিশ্বাস করুন!’ ফলে শেষপর্যন্ত আমরা তাঁকে নিয়োগ দেই। এবং অবশ্যই, কিছুদিনের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন সিএনএইচআই-এর সবচে ভালো সম্পাদকীয় লেখক।”
নিজের শ্রমজীবী অতীতের কারণে গ্রামীন জনগোষ্ঠী নিয়ে রিপোর্টিং করতেও সুবিধা হয়েছে গেরিটের। সাংবাদিক হওয়ার আগে, কারাখানাসহ কয়েক জায়গায় কায়িক শ্রমের কাজ করেছিলেন গেরিট। উইসকনসিনে, মারকেট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করার সময় তিনি রাতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। এতে তিনি টিউশন ফি-তে কিছু ছাড় পেতেন।
তিনি যখন ছোট একটি শহরের সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন এবং জেলে বন্দী অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নিজে অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন, তখন এই অভিজ্ঞতাগুলো তাঁর অনেক কাজে এসেছে।
সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেও, অপরাধের বিচার নিয়ে গেরিটের আগ্রহ ছিল। ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে, নিজের প্রথম চাকরিতে, তিনি একটি প্রতিবেদন করেছিলেন তথাকথিত “মাদকবিরোধী যুদ্ধ” নিয়ে। অশকশ নর্থওয়েস্টার্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে তিনি দেখিয়েছিলেন কিভাবে মাদকবিরোধী যুদ্ধের কারণে ছোটখাট অপরাধের কারণেও কারাবন্দী হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।
তিনি বলেছেন, “আমি শ্রমজীবী সমাজ থেকে উঠে আসা মানুষ। আর আমি সবসময়ই এই ‘প্রায় অদৃশ্য’ হওয়া মানুষদের জন্য লড়াই করছি।”
সেই কাজ এখনো চলমান আছে। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্যালেস্টাইনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সল্টার জানিয়েছেন, তিনি সম্প্রতি গেরিটের সঙ্গে কথা বলেছেন কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে টেক্সাসের কারাবন্দীদের সুরক্ষার ব্যাপারে। গেরিটকে চিকিৎসক হিসেবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গির কথাও জানিয়েছেন।
সল্টার বলেছেন, “কারাগার ব্যবস্থা, তার পলিসির মাধ্যমে কমিউনিটিকে সুরক্ষা দিচ্ছে না। এবং যেভাবে বন্দীদের ঘোরানো হচ্ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন গেরিট। আমার মনে হয় তিনি এমন অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছেন, যা আগে আড়ালে থেকে যেত। আর পত্রিকাটিও অনেক মতামতের ক্ষেত্রে আরো খোলামেলা হয়েছে।”
তবে পুলিৎজার পুরস্কার নিশ্চিতভাবেই অনেক কিছু বদলে দেয়। গেরিট আগামীতে কী করতে যাচ্ছেন? অনেকগুলো প্রস্তাব পাওয়ার পর তিনি ঠিক করেছেন, সিএনএইচআই-তেই থেকে যাবেন। তবে এবার তাঁকে পাঠানো হচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, পেনসিলভিনিয়াতে কোম্পানির দুটি পত্রিকায় সম্পাদনার দায়িত্ব দিয়ে। এখানে তিনি ৩০ জনেরও বেশি কর্মীর তত্ত্বাবধান করবেন। এতে গেরিট তাঁর পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পারবেন। এবং তিনি আগামীতেও শ্রমজীবী কমিউনিটির মানুষদের নিয়ে রিপোর্টিং চালিয়ে যাবেন।
নিশ্চিতভাবেই এই কাজ তাঁকে অনেক ব্যস্ত রাখবে। অন্যদিকে গেরিটকে তাঁদের কর্মী হিসেবে রাখতে পেরেই অনেক খুশি কেটার।
তিনি বলেছেন, “আমি তাঁকে ডাকি – ক্ষুরধার কলম হাতে এক চমৎকার ভদ্রলোক। তিনি সত্যিই একজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সাংবাদিক। তিনি সাংবাদিকতার মিশনটি বোঝেন।”
ব্রিটানি শে, থাকেন টেক্সাসের হিউস্টনে, আর লেখালেখি করেন শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে। হিউস্টোনিয়া, রোলিং স্টোন, কার্বড ও আরো বেশ কিছু জায়গায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইটার হিউস্টনে কাজ করছেন সহযোগী সম্পাদক হিসেবে। বিশেষভাবে পছন্দ করেন প্রোফাইল ও ফিচার লিখতে।