
ছবি: ফ্লিকার
হুইসেলব্লোয়ার তারাই, যারা প্রতিষ্ঠান বা কর্মপ্রক্রিয়ার ভেতরে থেকে দুর্নীতি বা অনিয়মের খবর ফাঁস করে দেন। সাংবাদিকদের জন্য তারা তথ্যের খুব গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের ভেতরে থেকে মারাত্মক সব তথ্য তারা জানিয়ে দেন। ফলে প্রতারণা ও অপচয় থেকে শুরু করে অপরাধের চক্রান্ত এবং যুদ্ধাপরাধের মত খবরও প্রকাশ হয়ে যায়।
হুইসেলব্লোয়ারদের উদ্দেশ্য বুঝে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা সাংবাদিকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইরকম গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সৌভাগ্যক্রমে, হুইসেলব্লোয়িং নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক এনজিও কাজ করে এবং প্রচুর তথ্যও পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সাহায্যের জন্য জিআইজেএন তৈরি করেছে এই রিসোর্স। এখানে হুইসেলব্লোয়িং ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক এবং ন্যাশনাল হুইসেলব্লোয়ার্স সেন্টার থেকে বিভিন্ন তথ্য নেয়া হয়েছে। আপনি সংশ্লিষ্ট কোনো গ্রুপের বিবরণ বা রিসোর্স যুক্ত করতে চাইলে hello@gijn.org এ লিখুন।
কোনো প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি, অবৈধ, প্রতারণামূলক বা ক্ষতিকর কাজের সাথে জড়িত থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মী যখন প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থের ওপরে জনস্বার্থকে স্থান দিয়ে সেই কার্যক্রমের গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন – তাকেই হুইসেলব্লোয়িং বলে।
– রালফ নেডার, ভোক্তা আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্ট
বিশেষজ্ঞদের দিকনির্দেশনা
যেসব হুইসেলব্লোয়ার আপনাকে তথ্য দিতে চায়, তাদের নিয়ে আপনাকেও ভাবতে হবে যত্নের সাথে।
তাদের সঙ্গে কাজ করার উপায় নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা পরামর্শ ও নির্দেশনার একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে জিআইজেএন। বিস্তারিত জানতে রিপোর্টগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
সাংবাদিকদের জন্য পেরুজিয়া নীতিমালা: “ডিজিটাল যুগে হুইসেলব্লোয়ারদের সঙ্গে কাজ” – ২০১৯ সালে প্রকাশিত হওয়া এই গাইড লিখেছেন জুলি পোসেত্তি, ড. সুলেট ড্রেইফাস, এবং নাওমি কোলভিন। ২০১৮ সালের এপ্রিলে ইতালির পেরুজিয়া শহরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ২০জন সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞ একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন। ব্লুপ্রিন্ট ফর ফ্রি স্পিচ আয়োজিত এই আলোচনা থেকেই গাইডটির খসড়া তৈরি করেন লেখকরা। এরপর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, আইন ও একাডেমিক কমিউনিটির সঙ্গে। আর সবশেষে তুলে আনেন এই ১২টি নীতি:
১. প্রথমেই, আপনার সোর্সকে সুরক্ষা দিন। অনুরোধ করলে, গোপনীয়তা রক্ষা করুন।
২. সোর্স যাতে আপনার সাথে নিজ থেকে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য নিরাপদ ব্যবস্থা রাখুন।
৩. হুইসেলব্লোয়ার তার কাজের জন্য যে মূল্য দিচ্ছেন, তা মাথায় রাখুন। প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হবে, তখন তাঁরা কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন, তা নিয়ে আগে থেকেই তাদেরকে চিন্তা করতে বলুন।
৪. জনস্বার্থের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার নিরিখে হুইসেলব্লোয়ারের দেয়া তথ্য যাচাই করুন; তার মতাদর্শ বা আচরণ সম্পর্কে আপনার ব্যক্তিগত মূল্যায়নের ভিত্তিতে নয়।
৫. নিজেই নিজের ডিজিটাল সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং এনক্রিপশন ব্যবহার করুন। এনক্রিপশন শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় না, কিন্তু এটাই সুরক্ষার প্রথম ধাপ।
৬. আপনার ও আপনার সোর্সের জন্য সবচে বড় হুমকিগুলো চিহ্নিত করুন এবং দুজনই নিরাপদ থাকার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় সেগুলো খুঁজে বের করুন।
৭. ডিজিটাল মাধ্যমের সম্ভাব্য ঝুঁকি আপনার সোর্সকে ব্যাখ্যা করুন। সংবেদনশীল প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিন।
৮. অনেক সময় স্টোরির স্বার্থেই ডেটাসেট প্রকাশ জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। তখন সম্ভব হলে কিংবা নিরাপদ মনে করলে প্রতিবেদনের প্রয়োজন মাফিক মূল ডকুমেন্ট এবং ডেটাসেট প্রকাশ করুন।
৯. সোর্স চাইলে, গোপনীয়তার স্বার্থে তার দেয়া ডেটা নিরাপদ উপায়ে মুছে ফেলুন। তবে সেটি যেন নৈতিকতা, আইন ও নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
১০. ঝুঁকিপূর্ণ তথ্য এবং সোর্স বা হুইসেলব্লোয়ারের নাম পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে ড্রপবক্স ব্যবহার করুন। এটি নিরাপত্তার দিক থেকে বেশ কার্যকর।
১১. গোপন সোর্স ও হুইসেলব্লোয়ারের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে জানুন।
১২. সাংবাদিক, সোর্স এবং সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব। উৎসাহ দিন, যেন তারা কর্মী-প্রশিক্ষণ এবং নীতিমালা তৈরির মাধ্যমে, সেই দায়িত্ব পালন করে।
রিপোর্টে এই মূলনীতিগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এটা প্রকাশিত হয়েছে রাশিয়ান, গ্রিক, স্প্যানিশ ও জার্মান ভাষায়।
হুইসেলব্লোয়ারের সঙ্গে কাজ করছেন এমন সাংবাদিকদের জন্য ১০ পরামর্শ। এই লেখায়, জার্মানির হামবুর্গে অনুষ্ঠিত ২০১৯ গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স থেকে আসা আলোচনাগুলোকে সারসংক্ষেপ করেছেন রোয়ান ফিলিপ।
হুইসেলব্লোয়ারদের সঙ্গে কাজ: সাংবাদিকদের জন্য গাইড। এটি তৈরি করেছে হুইসেলব্লোয়ারদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ দুটি মার্কিনী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান: গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি প্রজেক্ট (জিএপি) এবং সোসাইটি অব প্রফেশনাল জার্নালিস্টস। এটি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। গাইডটি ৩৬ পৃষ্ঠার। এর ভূমিকায় বলা হয়েছে, “সাংবাদিকরা যেন অনিচ্ছাকৃতভাবে হুইসেলব্লোয়ারদের আরো ঝুঁকির মুখে না ফেলে, বরং রক্ষা করতে পারেন- এই গাইড সেই পথই বাতলে দেবে।” নিচের পরামর্শগুলো সেই গাইড থেকে নেয়া:
-
- তথ্য নিয়ে কাজ শুরুর আগে সাংবাদিক ও সোর্স – দুই পক্ষকেই এমন আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে, যারা হুইসেলব্লোয়ার আইন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। কারণ হুইসেলব্লোয়ারদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে এবং এমন ক্ষেত্রে আইনও বেশ জটিল।
- গোয়েন্দা সংস্থায় চাকুরিরত হুইসেলব্লোয়ারদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে মাথায় রাখবেন – আইনত গোপনীয় তথ্য প্রতিবেদনে ব্যবহার করলে তিনিই উল্টো বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন।
- সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিবেদনের অংশ বানিয়ে ফেলবেন না। হুইসেলব্লোয়ারকে পরামর্শ দেওয়া আপনার কাজ নয়, আপনি তার আইনজীবীও নন। বরং তার সাথে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক তৈরি করুন, তাকে বুঝতে দিন হুইসেলব্লোয়িংয়ের সঙ্গে কত বিষয় জড়িত। এভাবে আপনিও মূল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবেন, আর সোর্সের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।
- কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী গুরুতর অনিয়মের (মানবাধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশগত বা জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি; যে বিষয়েই হোক না কেন) তথ্য নিয়ে এলে, তার সঙ্গে যত্নশীল আচরণ করুন। এমনভাবে কথা বলুন, যেন তিনি সবদিক বিবেচনা করে সবচেয়ে সুরক্ষিত উপায়ে তথ্য দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
- যুক্তরাষ্ট্রের সোসাইটি অব প্রফেশনাল জার্নালিস্টস-এর হুইসেলব্লোয়ার প্রজেক্টে এই বিষয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ আছে। বিশদ আলোচনা আছে সুরক্ষিত উপায়ে যোগাযোগের পদ্ধতি নিয়ে।
হুইসেলব্লোয়ারদের নিয়ে কাজ: সাংবাদিকদের জন্য ৬টি পরামর্শ — ২০১৯ সালে ডেনিস-ম্যারি ওর্ডওয়ের এই লেখা প্রকাশিত হয় জার্নালিস্ট রিসোর্সে। সেখানে নিম্নোক্ত এই ছয়টি পরামর্শ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
১. হুইসেলব্লোয়ারের পরিচয় উন্মোচনের আগে বিবেচনা করুন, রিপোর্টের গুরুত্বের চেয়ে হুইসেলব্লোয়ারের ঝুঁকি বড় কিনা।
২. হুইসেলব্লোয়ার কেন তথ্য দিচ্ছেন, তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। (সে যে কারণেই তথ্য দিক, আপনার দায়িত্ব নিজে তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা।)
৩. হুইসেলব্লোয়ার ও “তথ্য ফাঁসকারীদের” মধ্যে পার্থক্যটা বুঝে নিন।
৪. সুরক্ষিত ও নিরাপদ যোগাযোগের কৌশল ঠিক করুন।
৫. গোপনে যিনি তথ্য দিচ্ছেন, তাঁর ক্ষেত্রে যে হুইসেলব্লোয়ার সুরক্ষা আইন প্রযোজ্য কিনা, ভালোমতো জেনে নিন।
৬. জেনে নিন, হুইসেলব্লোয়িং সম্পর্কে বুঝতে কারা আপনাকে সাহায্য করবে।
হুইসেলব্লোয়ারদের সঙ্গে কাজ করার কৌশল। এই প্রবন্ধে যুক্তরাজ্যের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (বিআইজে)-এর সম্পাদক মেইরিওন জোনসের পরামর্শ তুলে এনেছে জার্নালিজম ডট কো ডট ইউকে। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “জোনসের মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো: সোর্সের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। যদি এসব পদক্ষেপের কোনো কিছু নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি থেকে যায়, তাহলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করাই শ্রেয়। অথবা প্রকাশ করা যায় অনেক কাটছাঁট করে।”
হুইসেলব্লোয়ারদের সম্পর্কে সাংবাদিকদের যা জানা প্রয়োজন। এই গাইড তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হুইসেলব্লোয়ার্স সেন্টার। এখানে আছে পাঁচটি বিষয়: আইন সম্পর্কে জানা, গোপনীয়তা রক্ষা করা, হুইসেলব্লোয়ারের ঝুঁকি ও পরিণতি সম্পর্কে জানা, “গোয়েন্দা সংস্থার হুইসেলব্লোয়ারদের নিজস্ব নিয়মকানুন”, এবং তথ্য ফাঁস বনাম হুইসেলব্লোয়িং।
ডিজিটাল যুগে সোর্স ও হুইসেলব্লোয়ারদের সুরক্ষা। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ইন্সটিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগাল স্টাডিজের ইনফরমেশন ল অ্যান্ড পলিসি সেন্টার ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে একটি আলোচনা আয়োজন করে। তাতে অংশ নেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক, এনজিও-র প্রতিনিধি, মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া আইনজীবী ও গবেষকরা। এর ভিত্তিতে তারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন, যেখানে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের জন্য ছিল নিম্নোক্ত পরামর্শ:
-
- প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা, সোর্সের যত্ন ও সুরক্ষা বিষয়ে নীতিমালা জোরদার করা।
- গোপনীয়তা বজায় রাখতে চায়, এমন সোর্সের সঙ্গে কিভাবে সংযুক্ত হওয়া যায়, সে বিষয়ে পর্যালোচনা হাজির করা।
- সোর্সের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ আয়োজন করা।
ডিজিটাল যুগে সাংবাদিকতার সোর্সদের সুরক্ষা; সোর্সের সুরক্ষা নিয়ে ১২০টি দেশের আইনি পরিস্থিতির তথ্য ও বিস্তারিত পরামর্শ আছে ইউনেসকোর এই গাইডে।
ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, আইবিএ ২০১৮ সালে প্রকাশ করেছে “হুইসেলব্লোয়ারদের সুরক্ষা: একটি সহায়িকা।” এখান থেকে সংশ্লিষ্ট আইনকানুন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। এর পরিশিষ্টে বিভিন্ন দেশের আইন নিয়ে দরকারি তথ্য রয়েছে। চলে যান আইবিএ-র সাইটে, আর সার্চ করুন “হুইসেলব্লোয়ার” লিখে।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান
হুইসেলব্লোয়িং ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক এনজিও এবং সুশীল সমাজের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। তারা হুইসেলব্লোয়ারদের নিরাপত্তায় কাজ করে। লন্ডন-ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্ম তার সদস্যদের আইনি সহায়তা দেয় এবং দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে। তাদের লক্ষ্য হলো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হুইসেলব্লোয়িংয়ের প্রতি গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করা।
ন্যাশনাল হুইসেলব্লোয়ার্স সেন্টার একটি ওয়াশিংটন, ডিসি ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। হুইসেলব্লোয়িং আইন এবং রিসোর্স নিয়ে একটি দেশ-ভিত্তিক অনলাইন ডেটাবেইজ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বাকস্বাধীনতা পরামর্শক, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য বহুমুখী অংশীদারদের সাথে হুইসেলব্লোয়িং নিয়ে কাজ করে ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি প্রোজেক্ট। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি-বিরোধী আইন এবং সাক্ষী সুরক্ষার ওপর প্রশিক্ষণ। ১৯৭৭ সাল থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং বেসরকারি হুইসেলব্লোয়ারদের সহায়তা করেছে জিএপি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি রোধের মাধ্যমে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। তাদের সদর দপ্তর বার্লিনে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী একশ’র বেশি দেশে টিআইয়ের কার্যক্রম রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে তাদের তিনটি অফিসের হুইসেলব্লোয়িং বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তারা হলো: গুয়াতেমালার আকসিওন সিউদাদানা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল আয়ারল্যান্ড এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল রাশিয়া।
অ্যাসোসিয়েটেড হুইসেলব্লোয়িং প্রেস (এডব্লিউপি) একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। তারা সাংবাদিক, নাগরিক এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ এবং পরামর্শদাতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। এটি বিভিন্ন স্থানীয় হুইসেলব্লোয়িং উদ্যোগের মধ্যে সহযোগিতা এবং যোগাযোগ বাড়াতে কাজ করে। তাদের সদস্য হচ্ছে আইসল্যান্ডের লিয়স্ট এবং স্প্যানিশ ফিলত্রা।
ইন্টারন্যাশনাল এন্টি-করাপশন কনফারেন্স একটি বৈশ্বিক সম্মেলন। এখানে দুর্নীতি মোকাবেলার চালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য সমবেত হন সরকার, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আইএসিসি টিম প্রতি দুইবছরে একবার এই সম্মেলন আয়োজন করে।
টুলস
গ্লোবাললিকস একটি উন্মুক্ত হুইসেলব্লোয়িং ফ্রেইমওয়ার্ক। তারা গণমাধ্যম, কর্মীদের সংগঠন, সরকারি সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করে থাকে। এটি পরিচালিত হয় হার্মিস সেন্টার ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড ডিজিটাল হিউম্যান রাইটস ইন মিলান এর তত্ত্বাবধানে। গোপনে যারা দুর্নীতির খবর জানাতে চান তাদের সহায়তায় নিরাপদ সফটওয়্যার তৈরি করে গ্লোবাললিকস।
লিকডিরেক্টরি একটি উইকি। এটি যে কেউ সম্পাদনা করতে পারে। এতে হুইসেলব্লোইইং সাইটগুলোর একটি পরিপূর্ণ তালিকা রয়েছে। আরো আছে হুইসেলব্লোয়িং এর ওপর দরকারী অনেক লিঙ্ক এবং তথ্য।
সিকিউর ড্রপ হুইসেলব্লোয়ারদের তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ওপেন সোর্স ব্যবস্থা। এর ব্যবস্থাপনায় আছে ফ্রিডম অফ দ্য প্রেস ফাউন্ডেশন এবং অজ্ঞাত সোর্স থেকে নিরাপদভাবে তথ্য গ্রহণ করে, এমন কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। স্যান ফ্রান্সিসকো থেকে পরিচালিত এই ফাউন্ডেশন সিকিউর ড্রপ ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়ার্কিং উইথ হুইসেলব্লোয়ার্স: গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সের এই প্যানেল আলোচনায় – হুইসেলব্লোয়ার এবং সাংবাদিকরা কী কী চালেঞ্জের মুখোমুখি হন, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। হুইসসেলব্লোয়ারদের সাথে সাংবাদিকদের সম্পর্ক অনেক গভীর হলেও বেশ জটিল। বাকিটা জানতে সেশনের ভিডিও দেখুন এখানে।
দেশভিত্তিক সংস্থা
নিচের এই তালিকায় আছে বেশ কিছু অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যারা হুইসেলব্লোয়ারদের পক্ষে বা তাদের নিরাপত্তায় কাজ করে। হুইসেলব্লোয়িং নিয়ে কাজ করা কোনো আইনি প্রতিষ্ঠান অথবা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বানায়, এমন কোনো কোম্পানিকে আমরা এখানে যুক্ত করিনি। যদিও তাদের ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য আছে। যে কোনো পরামর্শ থাকলে আমাদের মেইল করুন এই ঠিকানায়: hello@gijn.org.
আফ্রিকা
আফ্রিলিকস চালায় আফ্রিকান সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি জোট। তারা ড্রপবক্সের মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য ফাঁস করার সুযোগ দেয়। যে কেউ তাদেরকে তথ্য পাঠাতে পারেন। কোন প্রতিষ্ঠানটি সেই অনিয়ম অনুসন্ধান করবে তা-ও নির্ধারণ করে দেয়া যায় এখানে। এটি হার্মিস সেন্টার ফর ট্রান্সপারেন্সি, ডিজিটাল হিউম্যান রাইটস এবং আফ্রিকান নেটওয়ার্ক অফ সেন্টারস ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিংয়ের একটি যৌথ প্রকল্প।
দক্ষিণ আফ্রিকা
ওপেন ডেমোক্রেসি অ্যাডভাইস সেন্টার এর উদ্দেশ্য হচ্ছে গণতন্ত্রে স্বচ্ছতা এবং কর্পোরেট ও সরকারি পর্যায়ে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। সংগঠনটির কাজ মূলত স্বচ্ছতা ও তথ্যে প্রবেশাধিকার নিয়ে। তারা হুইসেলব্লোয়ারদেরও সহায়তা করে।
ইউরোপ/ইউরেশিয়া
সাধারণ
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর হুইসেলব্লোয়ার রাইটস একটি বার্লিনভিত্তিক সংগঠন। তারা হুইসেলব্লোয়ারদের সাহায্য করে এবং তাদের পক্ষে জনমত গঠন করে। ২০১৯-এর গ্রীষ্মে তারা প্রকাশ করেছে তাদের প্রথম ত্রৈমাসিক পত্রিকা, হুইসেল ওয়্যার।
জাতীয় পর্যায়ে হুইসেলব্লোয়ারদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে, এমন কিছু ইউরোপীয় গ্রুপের তালিকা দেখে নিতে পারেন এখান থেকে। আর এখানে পাবেন বিভিন্ন দেশের আইনকানুন।
সাউথইস্ট ইউরোপ কোয়ালিশন অন হুইসেলব্লোয়ার প্রটেকশন, ১২টি দেশের সংগঠনদের একটি জোট।
ফান্ডিং ফিশ-এর উদ্যোগে আওয়ার ফিশ প্রচারণার অংশ হিসেবে তৈরি হয়েছিল ফিশিলিকস। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের জলসীমায় অবৈধ মাছ ধরার খবরাখবর পাওয়ার জন্য এটি গড়ে উঠেছিল।
আলবেনিয়া
আলবেনিয়ায় হুইসেলব্লোয়ারদের জন্য একটি গাইড তৈরি করেছে সেন্টার ফর স্টাডি অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড গভর্ননেন্স।
অস্ট্রিয়া
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার উন্মোচন করার কাজে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য ২০১১ সালে হুইসেলব্লোয়িং অস্ট্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
ফ্রান্স
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রান্স একটি সাইট চালায় যার মাধ্যমে হুইসেলব্লোয়াররা দুর্নীতির খবর দিতে পারেন।
জার্মানি
হুইসেলব্লোয়ার্স নেটওয়ার্ক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০০৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন দেশটির সাংবাদিক এবং হুইসেলব্লোয়াররা। সংস্থাটি হুইসেলব্লোয়ার, গবেষক এবং সাংবাদিকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা এবং পরামর্শ দিয়ে থাকে। হুইসেলব্লোয়িং বিষয়ক তথ্যের একটি প্ল্যাটফর্ম এবং একটি সংবাদ ব্লগও রয়েছে তাদের।
হাঙ্গেরি
হাঙ্গেরিয় এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি-বিষয়ক সংবাদে আলোকপাত করার জন্য ২০০৭ সালে কে মনিটর ওয়াচডগ ফর পাবলিক ফান্ডস প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে একটি তথ্য-ভিত্তিক সমাজের ধারণা প্রচার করে। এদের ওয়েবসাইটে সাংবাদিকদের জন্য রয়েছে তথ্যের ডেটাবেইজ এবং হুইসেলব্লোয়ারদের জন্য রিসোর্স।
আয়ারল্যান্ড
সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির উদ্দেশ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল আয়ারল্যান্ড প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৪ সালে। শিক্ষা, তথ্য ও গবেষণার মাধ্যমে মানুষকে শক্তিশালী করে তোলাই এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য।
ইতালি
ইতালিয়ান সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের একটি হুইসেলব্লোয়িং প্ল্যাটফর্ম আইআরপিআইলিকস। এখানে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় যুক্তরাজ্যের মাফিয়াদের নিয়ে তথ্য ফাঁসের ব্যাপারে।
নেদারল্যান্ডস
অ্যাডভাইস সেন্টার ফর হুইসেলব্লোয়ার্স একটি হটলাইনের মাধ্যমে হুইসেলব্লোয়ারদের সহায়তা দেয়। তাদের এই কার্যক্রম শুরু হয় ২০১২ সালে।
পাবলিকস হলো নিরাপদে তথ্য ফাঁসের একটি প্ল্যাটফর্ম। এর পেছনে আছে চল্লিশটির বেশি ডাচ গণমাধ্যম। হার্মিস সেন্টারের তৈরি করা গ্লোবালিকস সফটওয়্যার ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
পোল্যান্ড
স্টেফান বাটোরি ফাউন্ডেশন একটি স্বাধীন বেসরকারি পোলিশ প্রতিষ্ঠান। মুক্ত, শিক্ষিত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি।
রাশিয়া
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-রাশিয়া নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারা সরকারি ও বেসরকারিখাতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে।
সার্বিয়া
পিসটাইকা একটি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম। হুইসেলব্লোয়াররা তাদের সাইটে গিয়ে সুরক্ষিত উপায়ে তথ্য দিতে পারে। পিসটাইকা, হুইসেলব্লোয়ারদের আইনি সহায়তাও দেয়।
স্পেন
এক্সনেট হুইসেলব্লোয়ারদের পক্ষে কাজ করে। হুইসেলব্লোয়ারদের জন্য তাদের একটি এনক্রিপ্টেড সিস্টেমও আছে।
ইউক্রেন
ইনিশিয়েটিভ ১১ ইউক্রেনের নাগরিক সংগঠনদের একটি জোট, যারা হুইসেলব্লোয়ারদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে।
যুক্তরাজ্য
পাবলিক কনসার্ন অ্যাট ওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে জনস্বার্থের জন্য আশঙ্কাজনক হতে পারে এমন বিপদ, অপতৎপরতা এবং ঝুঁকি সনাক্ত করা। এজন্য তারা হুইসেলব্লোয়ারদের কাজে লাগায় এবং বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার আগেই বাধা দেয়। পিসিডব্লিউ একটি গোপনে তথ্য ফাঁসের হেল্পডেস্ক চালায়।
দ্য হুইসলার একটি ফেলোশিপ সংস্থা যেটি কমপ্যাশন ইন কেয়ার এবং সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমকে সাথে নিয়ে বর্ণ, ধর্ম, রাজনীতি নির্বিশেষে সকল হুইসেলব্লোয়ারকে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে। হুইসেলব্লোয়ারদের তৈরি করা এই প্রতিষ্ঠান আইনি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে পেশাদারী সাহায্য, পরামর্শ এবং সহযোগিতা দেয়।
দক্ষিণ আমেরিকা/ক্যারিবিয়ান
গুয়াতেমালা
আকসিওন সিউদাদানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। ২০০৬ সাল থেকে এটি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর অংশ হয়ে যায়। এটি গুয়াতেমালায় স্বচ্ছতা এবং ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে কাজ করা নাগরিক সংগঠনের জোট।
মেক্সিকো
মেক্সিকোলিকস এর পেছনে আছে আটটি মেক্সিকান প্রতিষ্ঠান। আনিমাল পলিতিকো, এমেএকিস, মাসদে১৩১, পেরিওদিস্তাস দে না পিয়ে, পোদের, প্রোসেসো, এরে৩দে এবং আরেস্তেগি নোতিসিয়াস।
উত্তর আমেরিকা
কানাডা
অ্যান্টি-করাপশন অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি কানাডা, হুইসেলব্লোয়ারদের সহায়তা করে, বিনামূল্যে নানা পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র
গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রজেক্ট (জিএপি) একটি ওয়াশিংটন, ডিসি ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা জনস্বার্থে হুইসেলব্লোয়িংয়ের চর্চাকে উৎসাহিত করে।
প্রজেক্ট অন গভার্নমেন্ট ওভারসাইট (পিওজিও) একটি ওয়াশিংটন, ডিসি ভিত্তিক স্বাধীন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান। তারা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য হুইসেলব্লোয়ার, সাংবাদিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজ করে।
ন্যাশনাল হুইসেলব্লোয়ারস সেন্টার একটি ওয়াশিংটন, ডিসি ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যারা হুইসেলব্লোয়িং বিষয়ে পরামর্শ, শিক্ষা এবং সহায়তামূলক প্রকল্পে পৃষ্ঠপোষকতা করে।
হুইসেলব্লোয়ার এইড, ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি অলাভজনক আইনি সংগঠন। তারা বলছে, “সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আইন লঙ্ঘন নিয়ে যারা রিপোর্ট করে, আমরা তাদের সহায়তা দেই।”
হুইসেলব্লোয়ার সাপোর্ট ফান্ড একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যারা “মেধাবী হুইসেলব্লোয়ারদের নানাবিধ কৌশলগত পরামর্শ, প্রযুক্তিগত সহায়তা, মানসিক ও পেশাগত সমর্থন দেয়। প্রয়োজনে আইনজীবী, সমাজসেবী, ও সাংবাদিকদের কাছে পাঠায়।
দ্য হুইসেলব্লোয়ার্স ব্লগ একটি স্বাধীন সংবাদ ও তথ্যের উৎস। এটি পরিচালিত হয় কোন, কোন অ্যান্ড কোলাপিন্টো, এলএলপি-এর অনুদানে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ননপ্রফিটস-এ আছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট হুইসেলব্লোয়িং নীতি নিয়ে রিসোর্সের তালিকা।
এশিয়া
ইন্দোনেশিয়ালিকস একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নিজের পরিচয় গোপন রেখে যে কোনো ব্যক্তি তথ্য দিতে পারেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা সেই তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান করেন।