সম্প্রতি গার্ডিয়ানের সাড়া জাগানো এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উন্মোচিত হয়, কিভাবে মেটার প্রধান সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে শিশুদের গ্রুমিং ও যৌন ব্যবসার মার্কেটপ্লেস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। সাংবাদিক কেটি ম্যাককিউ এবং মেই-লিং ম্যাকনামারা তাদের প্রতিবেদনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শোষণ করার এক লুকোনো অধ্যায় সামনে এনেছেন; এই শিশু-কিশোরদের বেশিরভাগই কৃষাঙ্গ সম্প্রদায়ের এবং অনলাইনে ওঁত পেতে থাকা পাচারকারীরা তাদের প্রলুব্ধ করে যৌনতার জন্য বিক্রি হতে রাজি করায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সংগঠিত আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধ চিত্র সম্পর্কে ধারণা দিতে ওয়াশিংটন ডিসির বারো বছর বয়সী কিশোরী মায়ার ভয়াবহ কাহিনীটি সামনে আনেন সাংবাদিকেরা। মায়ার গল্পটি শুরু হয়েছিল যখন এক ব্যক্তি ইনস্টাগ্রাম পেজের মাধ্যমে তাকে গ্রুমিং করতে শুরু করে। অনলাইন গ্রুমিং এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে একজন ব্যক্তি তার উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছুদিন গ্রুমিংয়ের পর ওই ব্যক্তি মায়াকে তার কিছু নগ্ন ছবি পোস্টের অনুরোধ করে বলে যে, এর মাধ্যমে মায়া অর্থ আয় করতে পারবে। কিছুদিন পর ওই ব্যক্তি তাকে পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ দিতে থাকে। শেষ পরিণতি হিসেবে অপহরণ ও বর্বরোচিতভাবে গণধর্ষণের শিকার হয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়। মায়াকে এ অবস্থায় খুঁজে পান একজন পথচারী। এ ঘটনাটি গ্রুমারদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে যে, কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের সনাক্তকরণ প্রযুক্তিকে ফাঁকি দিতে, যৌন উদ্দেশ্যে শিশু পাচারকারীরা মেটার সাইটে কোডেড ভাষা ব্যবহার করে তাদের কর্মকান্ড চালায়।
জিআইজেএনের আরবি বিভাগের সম্পাদক মাজদোলিন হাসান কথা বলেছেন প্রতিবেদনটির দুই সাংবাদিক ম্যাককিউ ও ম্যাকনামারার সঙ্গে। তারা বলেছেন, কীভাবে দলটি দুই বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের অনুরূপ অনুসন্ধানের দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
স্টোরি আইডিয়া খোঁজা
ম্যাককিউ ও ম্যাকনামারা মনে করেন, শিশুদের যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করার মতো একটি জটিল বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে শুরুতে সমস্যাটি সনাক্ত করা এবং পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিষয়টি অনুসন্ধান করা ভালো। সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের পাশাপাশি আইনি দিকগুলোও খতিয়ে দেখা অপরিহার্য।
বিষয়টিকে আরও ভালভাবে আত্মস্থ এবং ঘটনার আড়ালে আরো কোনো গুরুত্বপূর্ণ গল্প লুকিয়ে আছে কিনা তা অনুধাবন করতে মূল গেটকিপারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন – যারা ঘটনার শুরু থেকে এটি নিয়ে কাজ করছেন এবং নিয়মিত এধরনের বিষয়গুলো সামলে থাকেন। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে শিশুদের নিয়ে যৌন ব্যবসা সংক্রান্ত এ অনুসন্ধানের সূত্রপাত বোস্টনভিত্তিক এক আইনজীবীর সঙ্গে আলাপচারিতা থেকে, যিনি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিশুদের যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করার প্রবণতা নাটকীয়ভাবে বাড়তে দেখছিলেন।
“আমি গল্পটি এভাবেই পেয়েছি,” তিনি ব্যাখ্যা করেন। “জুম চ্যাট আর ফোন কলের মাধ্যমে আমি যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা ভীষণ উদার ছিলেন। আমি ৮ হাজার মাইল দূরে অবস্থান করা সত্ত্বেও তারা আমাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং সত্যিই অবিশ্বাস্যরকমের সহযোগিতা করেছেন।’’
ম্যাককিউ এরপর প্রতিবেদনের ধারণাটি গার্ডিয়ান পত্রিকার কাছে তুলে ধরেন। আগেও তিনি এখানে লিখেছেন। এরপর গার্ডিয়ানের একজন সম্পাদক তাকে মেই-লিং ম্যাকনামারার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, যেন তারা দুইজন মিলে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারেন।
সঠিক সোর্সের কাছে পৌঁছানো ও আস্থা অর্জন
সঠিক সোর্স আপনার অনুসন্ধানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে আবার পানিও ঢেলে দিতে পারে। তাই দলটির সুপারিশ: অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা যেন সোর্সের সঙ্গে তখনই যোগাযোগ করেন, যখন তাদের সঙ্গে কথা বলার সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে। সোর্সের সঙ্গে যোগাযোগের আগে তার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে গবেষণা করুন এবং তাকে কী ধরনের প্রশ্ন করবেন সে সম্পর্কেও প্রস্তুতি নিন।
“আমি দেখেছি, মানুষ যদি মনে করে যে আপনি সময় নিয়ে তাদের সত্যিকারের গল্পগুলো শুনতে আগ্রহী তাহলে তারা আপনার সঙ্গে কথা বলবে,’’ বলেন ম্যাকনামারা। তিনি আরো যোগ করেন, ট্রমা-জাতীয় অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়া সোর্সের সাক্ষাৎকার নেওয়া বা তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় সহানুভূতি ও ও সম্মান প্রদর্শন করলে সম্পর্কটি দৃঢ় ও গভীর হয় এবং এটি অনুসন্ধানের সময় যোগাযোগ বজায় রাখতেও সহায়তা করতে পারে।
সহযোগিতা ও যুথবদ্ধতা
এই জুটির মতে, পরস্পরের সঙ্গে নিঃসংকোচ যোগাযোগ, কাজ বন্টন এবং নমনীয়তা ছিল তাদের সফল যুথবদ্ধতার চাবিকাঠি। আইনজীবী এবং মেটার প্রাক্তন অনলাইন মডারেটরদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ম্যাককিউ। আর ম্যাকনামারা আইনজীবীদের কাছ থেকে আদালতের নথি ও জারিকৃত আদেশের মতো নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং সরাসরি সাক্ষাৎকারের জন্য সশরীরে বিভিন্ন এনজিওতে গিয়েছেন।
“আমি মনে করি আমরা দুজনই ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে আমাদের সোর্সদের খুঁজে পেয়েছি,” বলে ব্যাখা করেন ম্যাককিউ। তিনি শিশুদের নিয়ে যৌন ব্যবসা সংক্রান্ত মামলার ওপর মার্কিন বিচার বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিগুলো পর্যালোচনা এবং মার্কিন আদালতের ডেটাবেস সিস্টেম পেসার (PACER) কিংবা স্থানীয় আদালতের নথি সংগ্রহ করে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তারপর তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, “যে ধরনের তথ্য খোঁজা হচ্ছে তার সঙ্গে এগুলো প্রাসঙ্গিক কিনা, এরপর ওই মামলার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা। সুতরাং, এগুলো ছিল বহু-স্তর বিশিষ্ট পদক্ষেপ।’’
তবে তারা যে শুধু নিজেদের সুনির্দিষ্ট বিভাগ নিয়ে কাজ করেছেন তা নয়, দুজনই মাঝে মাঝে একে অপরের কাজের মধ্যে ঢুকে নিজেদের মতো করে অনুসন্ধান চালিয়েছেন এবং প্রাপ্ত তথ্যগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
“আমরা সবসময় ফোনের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতাম, যখনই নতুন কোনো তথ্য খুঁজে পেতাম সঙ্গে সঙ্গে তা একে অপরকে জানিয়ে দিতাম। যোগাযোগ এক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এ বিষয়টি আমরা খুব ভাল করেই করেছি,”বলেন ম্যাককিউ।
ম্যাকনামারা বলেন, কাজের প্রতি শতভাগ প্রতিশ্রুতি, ঘটনাগুলো ঘিরে প্রচন্ড আগ্রহ ও বাড়তি প্রচেষ্টা যে কোনও অনুসন্ধানী প্রকল্পকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। “আমরা সবসময় আমাদের সাধ্যের চেয়ে বেশি দিতে চেষ্টা করেছি,” বলে তিনি উল্লেখ করেন। “কারণ আমরা কাজটি ঘিরে আগ্রহী ছিলাম।”
গল্পের সঙ্গে লেগে থাকা
দুইজন সাংবাদিক আগেই দেখে রাখা জায়গায় সোর্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতেন, এবং অডিও রেকর্ডিং, ভিডিও রেকর্ডিং, ইমেইলের জবাব এবং ছবির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতেন। তারা প্রসিকিউশন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং তলবী নথির মতো আদালতীয় কাগজপত্রের প্রতিলিপিও সংগ্রহ করতেন।
এই ঘটনাটিকে প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরতে এই জুটির দীর্ঘ সময় লেগেছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলার পর তাদের কাছে খুব দ্রুতই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় যে অনুসন্ধানটি বহুমাত্রিক ও জটিল – এটি কোনো একজন ব্যক্তির একক অন্যায় বা ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে না, বরং পরিস্থিতির সামগ্রিক জটিলতাকে তুলে ধরে।
ম্যাককিউ ও ম্যাকনামারা তাদের অনুসন্ধানে একটি বড় সময় পার করেছেন মাঠে, এবং অল্প সময়ের জন্য দুজনে মিলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে সেটিকে রিপোর্টিং হাব বানিয়ে নিয়েছিলেন। তারা প্রতিদিন কাজ শেষ করে সেখানে ফিরতেন এবং প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করতেন। এরপর খুঁটিনাটি বর্ণনাসহ নতুন তথ্যগুলো স্প্রেডশিটে তুলে রাখতেন। “শেষ দিকে এই স্প্রেডশীটগুলো আমাদের কাজের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এগুলো দেখিয়ে আমরা পরস্পরকে বলতাম, দেখ, আমাদের কাছে সব ধরনের তথ্য-প্রমাণ আছে, এখানে আমাদের এই তথ্য রয়েছে, ওইখানে আমাদের নথি – সমস্ত প্রতিলিপি,” বলেন ম্যাকনামারা। “আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সব তথ্য-প্রমাণ ছিল। কাজটি ছিল ভীষণ শ্রমসাধ্য, তবে দরকারী।”
তারা দেয়ালে কাগজের বড় শীটও ঝুলিয়েছিলেন, যেখানে মাকড়সার জালের মতো স্কেচ এঁকে, লিখে রাখতেন কোন কোন তথ্য আছে এবং কোনটি নেই। পরস্পরের সঙ্গে ফাইলগুলোকে শেয়ার করতেন গুগল ডকসের মাধ্যমে, কিন্তু সোর্সের নিরাপত্তা, গোপনীয়তা এবং নামগুলো যাতে কোনোভাবে প্রকাশ না হয় সেজন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনসহ তাদের যোগাযোগ প্লাটফর্মগুলো ছিল নিরাপদ; নিশ্চিত করা হয়েছিল কোনো তথ্য যেন অনিচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস না হয়।
বুলেটপ্রুফিং
গার্ডিয়ানে একটি দীর্ঘ-পাঠ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত কঠোর কাঠামো অনুসরণ করতে হয়। লেখক বা লেখক দলকে প্রতিবেদনটিকে কয়েকটি অধ্যায়ে ভাগ করতে হয় এবং লেখার মধ্যে স্বর, কথনের ধরন ও সামঞ্জস্যতা দফায় দফায় যাচাই করতে হয়। আর প্রতিবেদনটি যেহেতু অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং অনলাইন পাচারকারী চক্রের সম্ভাব্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে, তাই তথ্য যাচাই-বাছাইসহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি নিরীক্ষার জন্য চার মাস সময় নেয়া হয়।
ম্যাকনামারা বলেন: “আমাদের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রতিবেদনটি তৈরি করতে হয়েছে, তারপর আমরা এটিকে [মেটার] সামনে উপস্থাপন করি।”
রাইট-অফ-রিপ্লাই প্রক্রিয়াতে প্রাপ্ত “সমস্ত তথ্য-প্রমাণ আপনাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হবে,” ম্যাককিউ যোগ করেন। “তবে মন্তব্য করার জন্য তাদেরকেও যথেষ্ট সময় দিতে হবে।” (এ বিষয়টি আরও ভালোভাবে অনুশীলনের জন্য জিআইজেএনের ‘‘নো সারপ্রাইজেস’’ টিপশিট দেখুন।)
অনুসন্ধানে পাওয়া কয়েক ডজন ফলাফল নিয়ে সাংবাদিক দলটি মেটার কাছে গেলে, তারা স্বীকার করে নেয় যে মানব পাচারকারীরা এ প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে। তবে জোর দিয়ে এও বলে যে, বিষয়টিকে মোকাবিলা করার জন্য তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে। “নিজ স্বার্থে শিশুদের ব্যবহার ও শোষণ একটি ভয়ঙ্কর অপরাধ— আমরা এটির অনুমতি দিই না। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মে এবং এর বাইরে এটির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে কঠোরভাবে কাজ করি,” মেটার এক মুখপাত্র বলেছিলেন।
গত জুনে, প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশ হওয়ার পর মেটা ঘোষণা দেয় যে শিশু যৌন নির্যাতনের সামগ্রী বিতরণ ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কীভাবে তাদের সাইটগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তা তদন্ত করতে তারা একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। গার্ডিয়ান উল্লেখ করেছে যে, তাদের প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি এ ধরনের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে রয়েছে “বয়স যাচাইকরণ সফটওয়্যার, যেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের আইডি আপলোড, ভিডিও সেলফি রেকর্ড কিংবা ফেসবুকের মিউচুয়াল ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে বয়সের প্রমাণ দেয়ার মতো বাধ্যবাধকতা।”
মার্কিন কর্মকর্তারাও বিষয়টিতে নজর দিতে শুরু করেছেন। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে, গার্ডিয়ানের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক মাস পর, ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল মেটার প্রধান নিবার্হী মার্ক জুকারবার্গের কাছে জবাব চান যে তার অঙ্গরাজ্যে কোম্পানিটির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মানবপাচারের ঘটনা কেন “অস্বাভাবিক” হারে বাড়ছে।
নিজের ওপর অনুসন্ধানের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন
দুই বছর ধরে যে কোন অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়া চাপের হতে পারে, বিশেষ করে তা যদি হয় এমন কোনো স্পর্শকাতর ও যন্ত্রণাদায়ক বিষয় ঘিরে। অবশ্য “প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে ধীরে-সুস্থে চলার’’ কৌশলে অনড় ছিলেন ম্যাককিউ। তারপরও এতটা সময় ধরে যৌন উদ্দেশ্যে শিশুপাচারের মতো বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সহজ ছিল না।
আরও পড়ুন
মানব পাচার অনুসন্ধান: চোখের সামনেই লুকোনো যে অশুভ শক্তি
হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড স্লেভারি: এ গাইড টু রিসোর্স ম্যাটেরিয়ালস
হাও দে ডিড ইট: ইনভেস্টিগেটিং দ্য ট্রাফিকিং অব গার্লস ফ্রম নেপাল টু দ্য গাল্ফ
মাজদোলিন হাসান জিআইজেএন-এর আরবি সম্পাদক। পুরস্কারজয়ী এই সাংবাদিক কাজ করেছেন গ্লোবাল ইন্টেগ্রিটি, ১০০রিপোর্টার্স ও আরব রিপোর্টার্স ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম-এ। মাজদোলিন জর্ডানে একটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ইউনিটের পরিচালক ছিলেন এবং দেশটির প্রথম নাগরিক হিসেবে তিনি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য না দেয়ায় জর্ডান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।