বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন দেশগুলোতে দুর্নীতি ও সংগঠিত অপরাধ নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম শীর্ষপদে রয়েছেন মিরান্ডা প্যাট্রুসিচ। একেবারে ছোট একটি পদ থেকে তিনি ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন।
ওসিসিআরপিতে মিরান্ডার কাজ শুরু ২০০৬ সালে, একজন ফ্যাক্ট-চেকার হিসেবে এবং তখন থেকেই ইউরোপ, মধ্য এশিয়া ও বলকানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতি ও আর্থিক অপরাধ উন্মোচন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। সারায়েভোতে ওসিসিআরপির যাত্রা শুরুর সময় যেসব কর্মী যোগ দিয়েছিলেন, তিনি তাদের একজন। এ বছরের শুরুতে তিনি প্রধান সম্পাদক হন।
গোড়ার দিকে তাঁর সবচেয়ে সফল অনুসন্ধান ছিল “খাদিজা প্রজেক্ট।” আজারবাইজানে কারাবন্দী সাংবাদিক খাদিজা ইসমাইলোভার থেমে যাওয়া অনুসন্ধানকে এগিয়ে নিয়েছিলেন এই প্রকল্পের সদস্যরা। উজবেকিস্তানে প্রেসিডে্ন্ট তনয়ার বিপুল সম্পদ উন্মোচন এবং পানামা পেপার্স অনুসন্ধানে অফশোর করস্বর্গে অসংখ্য গোপন কোম্পানির একটি জালকে সামনে আনার ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তাঁর অন্যান্য বড় কীর্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যারাডাইস পেপার্স, ফিনসেন ফাইলস্, প্যান্ডোরা পেপার্স এবং আজারবাইজানি ও রাশিয়ান লন্ড্রোম্যাট অনুসন্ধান।
ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী রিপোর্টিংয়ের জন্য তিনি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্টস (আইসিএফজে) থেকে নাইট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এছাড়া মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যবর্তী একটি অস্ত্র চোরাচালান রুট উন্মোচনের জন্য একটি অনুসন্ধানী দলের অংশ হিসেবে ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়ার বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক সাংবাদিক পুরস্কার এবং জিআইজেএনের গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ড পকেটে পুরেছেন।
প্যাট্রুসিচের কাজ নিয়ে মার্কিন সাংবাদিক লিনেট ক্লেমসন একবার বলেছিলেন, “ যদি এখনকার সাংবাদিকতার কথা ভাবেন, যা প্রথাগত জুতোর তলা ক্ষয় করা অনুসন্ধানের সঙ্গে প্রযুক্তি ও ডেটার মিশেল ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থেই জবাবদিহিমূলক সাংবাদিকতায় নজর দেয়, তার সব কিছু নিয়েই তিনি কাজ করেন।”
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় জন্ম নেওয়া প্যাট্রুসিচ এখন ওসিসিআরপির বৈশ্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন। এই কার্যক্রমে ছয় মহাদেশের ৫০ জনেরও বেশি সম্পাদক যুক্ত আছেন। স্পষ্টতই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টের সংক্ষিপ্ত জীবনীতে এখনও “প্রধান সম্পাদক” হিসেবে নতুন ভূমিকার আগে, “অনুসন্ধানী প্রতিবেদক” পরিচয়টিই তিনি সামনে রেখেছেন।
জিআইজেএন: আপনার সমস্ত অনুসন্ধানী কাজের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের কোনটি এবং কেন?
মিরান্ডা প্যাট্রুসিচ: সম্প্রতি আমরা দ্য শ্যাডো ইনভেস্টর নামে একটি অনুসন্ধান প্রকাশ করেছি। এটি রুশ, কাজাখ, কিরগিজ, উজবেক ও ইংরেজি — মোট পাঁচটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। মধ্য এশিয়ার সাংবাদিকতায় এটি একটি যুগান্তকারী কাজ এবং নিঃসন্দেহে ওসিসিআরপির জন্যেও একটি মাইলফলক। চমকপ্রদ এই অনুসন্ধানটি মূলত চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত একটি পরিবার নিয়ে যারা মধ্য এশিয়ার বড় বড় উন্নয়ন কাজে প্রধান বিনিয়োগকারী হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং অঞ্চলটির অভিজাত মহলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। ভ্লাস্ট (কাজাখস্তান), রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির রেডিও ওজোদলিক (উজবেকিস্তান) ও ক্লুপ (কিরগিজস্তান) যৌথ এই অনুসন্ধানে অংশ নেয়। সর্বোচ্চ মানের একটি অনুসন্ধান যেমন হওয়া উচিত, এতে তার সব কিছুই রয়েছে: সরকারি নথিপত্রের ঘাটতি সত্ত্বেও কঠোর অনুসন্ধান, পদ্ধতিগত ও পরিকল্পিত উপায়ে ডেটা সংগ্রহ, মতপ্রকাশের জন্য ভীতিকর একটি পরিবেশে সোর্স তৈরি, এবং চিত্তাকর্ষক ও সহজবোধ্য বর্ণনা।
জিআইজেএন: আপনার দেশ/অঞ্চলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?
মি. প্যা.: বিশ্বের যে দেশগুলো নিয়ে রিপোর্ট করা সবচেয়ে কঠিন, তাদের অন্যতম মধ্য এশিয়া ও আজারবাইজান। এই কাজটি নেওয়ার আগে আমি মূলত সেখানেই কাজ করেছি। সেখানে রিপোর্টারেরা প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে থাকেন বা তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং নথি ও সূত্রের নাগাল পাওয়ার সুযোগ নিতান্তই সীমিত। আমরা অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে এমন অনেক কঠিন দেশে কাজ করি এবং এমন সব স্টোরি প্রকাশ করি যা নিয়ে অন্যেরা খুব কমই ইন-ডেপ্থ কাজ করে। আমরা যে ধরনের স্টোরি করি তা পেতে আপনাকে সত্যিই গৎবাঁধা ধারণার বাইরে ভাবতে হবে। কাজটি কঠিন হলেও দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ী।
জিআইজেএন: অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে আপনার সামলানো সবচেয়ে বড় বাধা বা চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
মি. প্যা.: প্রতিটি অনুসন্ধানকে আমি দেখি নিজেকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা, নতুন কিছু শেখা, বা নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থেকে বের হওয়ার সুযোগ হিসেবে। এমন সুযোগ বহুবার এসেছে। আমি যার বিষয়ে অনুসন্ধান করছিলাম, মন্টেনিগ্রোতে তাঁর সম্পদ আছে কিনা, তা জানতে বহু বছর আগে আমি [অনলাইনে ডেটা] স্ক্র্যাপ করা শিখেছি। আরেকটি স্টোরির জন্য একবার খুব গোপন কতগুলো ব্যাঙ্কিং রেকর্ড খুঁজে বের করতে হয়েছিল। এই রেকর্ডের অ্যাক্সেস আছে ও সেগুলো হস্তান্তরে আপত্তি নেই, এমন কাউকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে আমার তিন বছর সময় লেগেছিল। মানব পাচার নিয়ে একটি স্টোরিতে কাজ করতে গিয়ে আমাকে শিখতে হয়েছিল যে কীভাবে দুর্বল মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়, ভুক্তভোগী হিসেবে কীভাবে তাদের সংকোচ ও লজ্জা কাটিয়ে উঠতে সহায়তার হাত বাড়ানো যায়।
তবে আরও অনেক কঠিন পরিস্থিতি ছিল: হুমকি, গ্রেপ্তার, জেল, এমনকি সহকর্মীর হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত। ওসিসিআরপিতে কাজ করে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ এখানে আমরা নিরাপত্তা ঝুঁকি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখি এবং ঝুঁকি কমাতে অনেকটা সময় ব্যয় করি।
জিআইজেএন: সাক্ষাৎকার নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সেরা পরামর্শ বা কৌশল কী?
মি. প্যা.: সময় নিন, এমন প্রশ্ন করুন যেন সাক্ষাৎকারদাতা মন খুলে বলতে পারেন এবং একাত্মতা বোধ করেন, আর তারপর আপনি কেবল শুনে যান। তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং মনে না করেন যে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। এজন্য যথেষ্ট সময় দিন। এক্ষেত্রে অনেক সময় তারা আপনার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু বলতে পারেন।
জিআইজেএন: আপনার অনুসন্ধানে ব্যবহৃত প্রিয় রিপোর্টিং টুল, ডেটাবেস বা অ্যাপ কোনটি?
মি. প্যা.: ওসিসিআরপির আলেফ! অর্থের গতিপথ অনুসরণের জন্য আমরা টুলটি তৈরি করেছি। নথি ও ডেটাসেটগুলো দিয়ে সাংবাদিকদের জন্য ইনডেক্স করা ও ক্রস-রেফারেন্স হিসেবে সেগুলোকে ব্যবহার করা সহ এই টুল অনেক কাজ করে৷ এটি বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের জন্য সহজলভ্য ডেটার সবচেয়ে বড় ভান্ডারগুলোর একটি। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো, এর সাহায্যে নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম তৈরি করা এবং দলের অন্যান্য রিপোর্টারদের সঙ্গে তা শেয়ার করা যায়। আর কি চাই! (আলেফের বেশিরভাগ ডেটা জনসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত; সাংবাদিকেরা এখানে বর্ধিত ডেটাবেস ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে পারেন)।
জিআইজেএন: আপনার পেশাজীবনে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে ভালো পরামর্শ কী ছিল আর সম্ভাবনাময় অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
মি. প্যা.: অনেক বছর আগে ওসিসিআরপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড্রিউ সুলিভান আমাকে বলতেন, “যাও অলৌকিক কিছু খুঁজে বের কর।” তিনি আসলে বোঝাতে চাইতেন: গভীর অনুসন্ধান করুন, সবকিছু খুঁটিয়ে দেখুন, যার কথা মাথায় আসে তার সঙ্গেই কথা বলুন, এবং এভাবেই অনুসন্ধানের সেই চূড়ান্ত প্রমাণটি খুঁজে পাবেন। এর সঙ্গে আমি যোগ করব: নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। এমনকি সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তেও আমি নিজেকে বলব “তুমি পারবে।” আর শেষ পর্যন্ত সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমি বরাবরই সেটি পেরেছি।
জিআইজেএন: একজন সাংবাদিকের নাম বলুন, যার প্রতি আপনার মুগ্ধতা কাজ করে এবং কেন?
মি. প্যা.: এমন অনেকেই আছেন! সংগঠিত অপরাধ ও সরকারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির প্রবল ইচ্ছা ও বিরামহীন চেষ্টার জন্য সার্বিয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কেন্দ্র ক্রিকের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভান ডোজিনোভিচ। সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলো অনুসন্ধান ও সেগুলোকে গভীর গবেষণা, মনোমুগ্ধকর চিত্রে রূপ দেওয়ার সামর্থ্যের জন্য সুইডিশ অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জোয়াকিম ডাইফভারমার্ক। কোনো নির্দিষ্ট জিনিস খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত লেগে থাকার মত অধ্যবসায়ী সামর্থ্যের জন্য ওসিসিআরপির অনুসন্ধানী প্রতিবেদক কেলি ব্লস।
জিআইজেএন: আপনার সবচেয়ে বড় ভুল কী ছিল, আর এই ভুল থেকে আপনি কী শিখেছেন?
মি. প্যা.: সবকিছু নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করা। যেখানে আমার ঘাটতি আছে, এমন কিছু করতে গেলে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা/দিনের পর দিন/সপ্তাহের পর সপ্তাহ সময় কাটাতাম। কখনো কখনো “মোটামুটি ভালো-ও” যে যথেষ্ট ভালো, আমি তা মেনে নিতে শিখেছি।
জিআইজেএন: আপনি কাজের চাপ কীভাবে সামলান?
মি. প্যা.: বছরখানেক আগে একবার আমি আসলে কাজের চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছিলাম এবং এর মধ্য দিয়েই আমি বেশ কিছু বিষয় শিখেছি। ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। চমৎকার একটি বিছানা ও বালিশে আমি সময় কাটাতাম। জরুরি কাজ শেষ করতে আমি সারা রাত জাগতাম। এখন আমি মাঝরাত পর্যন্ত সাধ্যমত কঠোর পরিশ্রম করি, কিন্তু তারপর, শুয়ে পড়ি। (প্রায়ই আমি রাতভর চলা পার্টিগুলোতে থাকতে পারি না!)
কখন আমার কাঁধে অতিরিক্ত কাজের বোঝা এবং কখন আমি প্রচণ্ড চাপে বা ভেঙে পড়ার অবস্থায় থাকি, আমি তা-ও বুঝতে শিখেছি। ঠিক তখনই আমি নিজেকে শান্ত করি আর মেনে নেই যে আমি এর সবটা করতে পারব না। আমি আরও শিখেছি যে এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে অপরাধী মনে করা যাবে না। চর্চা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। স্বাভাবিক থাকা প্রয়োজন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এমন কিছুর খোঁজ করা যা আপনার মনকে কাজ থেকে দূরে রাখবে।
এই অভিজ্ঞতা আমাকে অন্যদের মানসিক-শারীরিক চাপ শনাক্তে সহায়তা করেছে। অন্যদের জীবনে ভারসাম্য আনতেও আমি সহায়তা করতে চাই।
জিআইজেএন: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কোন বিষয়টি আপনার কাছে হতাশাজনক বলে মনে হয়, অথবা সামনে কী পরিবর্তনের আশা করেন?
মি. প্যা.: আদর্শ পরিস্থিতিতে তথ্য পেতে আমাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকার কথা নয় এবং আমাদের প্রতিটি স্টোরিরও প্রভাব থাকার কথা। ওসিসিআরপিতে আমরা সবসময় চাই যেন পৃথিবীর প্রতিটি কোণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সমৃদ্ধ হয় এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি। আরও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা মানে আরও পরিবর্তন। আর আরও পরিবর্তন মানে আরও উন্নত বিশ্ব। হয়তো আসবে এমন এক দিন।
আরও পড়ুন
কমোরোসের অনুসন্ধানী সাংবাদিক হায়াত আবদুর কাছ থেকে যা শেখার আছে
পুয়ের্তো রিকোর সাংবাদিক ও গণমাধ্যম উদ্যোক্তা ওমায়া সোসার কাছ থেকে যা শেখার আছে
১০ কোশ্চেনস: লেসনস লার্নড ফ্রম মেক্সিকান ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট আনাবেল হার্নান্দেজ
লরা ডিক্সন জিআইজেএনের সহযোগী সম্পাদক ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তিনি কলম্বিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ও মেক্সিকো থেকে রিপোর্ট করেছেন, এবং তাঁর কাজ টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ও আটলান্টিকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স মিডিয়া ফাউন্ডেশন ও পুলিৎজার সেন্টার থেকে ফেলোশিপ পেয়েছেন।