সম্প্রতি ফ্রান্সে মোট ৭৪৪ মিলিয়ন ইউরো (৮২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের বিলাসবহুল ভিলা কিনেছেন যে ৬২ জন ব্যক্তি তাদের মধ্যে টোগোর প্রেসিডেন্ট, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের বোন, এবং ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ও পুত্রের নাম রয়েছে।
কেবল উন্মুক্ত সরকারি তথ্য ও নথি ব্যবহার করেই তাদের পরিচয় খুঁজে পেয়েছে আমাদের রিপোর্টিং দল।
ফ্রান্সে যারা নিজে অথবা কোম্পানির নামে ভূসম্পত্তির ক্রয় করেন, তাদের বেশিরভাগই অপকর্ম বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। এদের মধ্যে ভিনদেশি সরকারি কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজনও রয়েছেন। তবে যে অর্থের উৎস ব্যাখ্যা করা যায় না, তা দিয়ে জমি বা স্থাবর সম্পত্তি কেনাকাটা বড় ধরনের দুর্নীতির ইঙ্গিত হতে পারে। আর এমন ঘটনা অনুসন্ধানে আমাদের কর্মপন্থা সারা বিশ্বে ব্যবহার করা সম্ভব (আমরা মন্ট্রিলেও যা করেছি)। যারা আমাদের মতো করে অনুসন্ধান করতে চান, তাদের জন্য আমাদের কর্মকৌশলগুলো ধাপে ধাপে তুলে ধরলাম।
ধাপ ১: ডেটাসেট ক্রস-রেফারেন্স করুন
প্রথমত, খোঁজাখুঁজিতে নাছোড়বান্দা হতে হবে। ফ্রান্সে আমাদের অনুসন্ধানের ভিত্তি ছিল দুটি উন্মুক্ত, সরকারি ডেটাসেট। প্রথম ডেটাসেটটি হলো ফ্রান্সের অর্থ মন্ত্রণালয়ের, যেখানে দেশটির কোম্পানিগুলোর মালিকানাধীন সব আবাসন সম্পদের তালিকা পাওয়া যায়৷ এতে এক কোটি ৬১ লক্ষ রেকর্ড আছে। আরেকটি হলো ফরাসি ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির, এবং তাতে এক কোটি ১০ লক্ষ ফরাসি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের তালিকা রয়েছে। এ ধরনের কোম্পানির নিবন্ধন ডেটা অনেক দেশেই পাওয়া যায়, বিশেষ করে ইউরোপে। ফ্রান্স সহ কিছু দেশে এমনকি আপনি কোম্পানির সুবিধাভোগী মালিকদের তথ্যও পেতে পারেন, তবে আমাদের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন পড়েনি।
ডেটাসেট দুটি একত্রিত করে প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের সঙ্গে সেই কোম্পানির মালিকানাধীন সম্পদের যোগসূত্র পাওয়া যায়। এটি করতে গিয়ে আমরা ২৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের নাম খুঁজে পেয়েছি, যারা কেবল একটি কোম্পানির মাধ্যমে ফ্রান্সে সম্পদ কিনেছেন। এই নামগুলো থেকে আমরা জানতে পারি যে আজারবাইজানের বর্তমান প্রেসিডেন্টের বোন, যিনি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়েও বটে, ফ্রান্সে আবাসন খাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানির মালিক। এই কোম্পানিগুলোর একটি সেন্ট-ট্রোপেজ উপকূলের কাছে একটি ভিলা কিনেছে। জমির সরকারি তফসিলে থাকা স্থানাঙ্ক (ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত ভৌগলিক তথ্য) ব্যবহার করে আমরা ভূসম্পত্তিটির অবস্থানও জানতে পারি। সেই ডেটা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোঁজ চালিয়ে আমরা এর নিখুঁত অবস্থানও খুঁজে পাই।। যাই হোক, ডেটার এই অথৈ সাগরে এ ধরনের স্টোরি খুঁজে পেতে গভীর অনুসন্ধানের কোনো বিকল্প নেই।
ধাপ ২: “ফাজি ম্যাচিং”
খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজে পাওয়ার দ্বিতীয় ধাপ: ফ্রান্সে আবাসন ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ পাচারে জড়িতদের নাম খুঁজুন। এটি করতে গিয়ে আমরা রাজনৈতিকভাবে উন্মোচিত ব্যক্তি (পিইপি), দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি, অথবা ওপেনস্যাঙ্কশন্স বা উইকিডেটার মতো নিষেধাজ্ঞার তথ্যসম্বলিত সাইটগুলোর তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের বেশ কয়েকটি ডেটাসেট ব্যবহার করেছি। নিজের আগ্রহের ভিত্তিতে আপনি হয়তো দেখতে পাবেন যে আপনার প্রকল্পের জন্য কিছু ডেটাসেট অন্যগুলোর তুলনায় বেশি উপযোগী। যেমন, আপনার দেশের সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীদের নাম সার্চ করতে পারেন।
সিএসভি ম্যাচের গিটহাব পেজে আমরা “ফাজি ম্যাচিং” নামের একটি কম্পিউটার অ্যালগরিদম খুঁজে পাই। এটি ব্যবহার করে আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া বড় বড় নামগুলোকে ফরাসি সম্পদের মালিকদের তথ্যসম্বলিত আমাদের ডেটাসেটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। ফলে এই কম্পিউটার এখন পুরোপুরি সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, এমন শব্দগুলোর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে পারে। যেমন, মাইকেল ফক্স ও মাইকেল জে. ফক্স পুরোপুরি এক না হলেও তারা একই ব্যক্তি হতে পারেন। অনেক সময় বিভিন্ন দাপ্তরিক নথিতে মানুষের নামে সামান্য তারতম্য থাকে।
এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আমরা সন্দেহভাজন কয়েকশ ব্যক্তির বিবরণ খুঁজে পাই৷ তারপর আমরা গুগলে এই নামগুলো সার্চ করে ও জন্মতারিখ বা জাতীয়তার মতো বাড়তি তথ্য কাজে লাগিয়ে যে কোনো ভুল সাদৃশ্যগুলো বাদ দিয়ে প্রত্যেককে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করি।
এই একঘেয়ে প্রক্রিয়ার পরও আমাদের কাছে ফরাসি আবাসন ব্যবসায় বড় ধরনের বিনিয়োগ করা প্রায় ২০০ জন সুপরিচিত ব্যক্তির একটি তালিকা ছিল। তাই, আমরা মনোযোগের পরিসর আরও ছোটো করে আনতে চেয়েছিলাম।
ধাপ ৩: প্রত্যেকটি ঘটনা খতিয়ে দেখুন
আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল প্রতিটি কেনাকাটার গভীরে খতিয়ে দেখা। ক্রেতা এবং প্রশ্নবিদ্ধ চুক্তি সম্পাদনের জন্য তাদের কাছে অর্থের বৈধ উৎস ছিল কিনা, তা নিয়ে আমরা গবেষণা করেছি। যেমন, আমরা দেখেছি যে একটি দরিদ্র দেশের রাষ্ট্রপ্রধান প্যারিসে একটি ব্যয়বহুল ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন, তবে তিনি আগে একটি বহুজাতিক ব্যাংকের উঁচু পদে ছিলেন এবং তার স্ত্রীও যথেষ্ট আয় করতেন। আপাতদৃষ্টিতে যেহেতু তারা নিজস্ব অর্থায়নে কেনাকাটা করতে পারতেন, তাই তাদের সম্পদের মালিকানা প্রকাশে সুস্পষ্ট কোনো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু ছিল না, আর তাই আমাদের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়েছি।
অর্থের সম্ভাব্য উৎস দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করেছি — যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাদের বেশিরভাগ সহকর্মী নিবন্ধে নাম প্রকাশ না করার পক্ষে ছিলেন। এই অংশীদারিত্ব আমাদের স্টোরিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। যেমন, ইন্দোনেশিয়ার টেম্পো পত্রিকার সহকর্মীরা একটি নথি খুঁজে পেয়েছিলেন, যেখানে উঠে আসে যে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী দপ্তরের সামনে ফ্রান্সে গড়ে তোলা তার সম্পদের প্রশ্নে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন। এই স্বচ্ছতার ঘাটতি তুলে ধরার ফলে আমাদের নিবন্ধটি আরও জোরালো হয়েছে।
আর আমরা সন্দেহজনক সম্পদগুলোর বিশদ তথ্যের খোঁজ করেছি যা নিবন্ধটিকে পাঠকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বেশিরভাগ ভিলার ক্ষেত্রে ভবনের ধরন, এর চারপাশের জমি ও অন্যান্য সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও জানতে গুগল ম্যাপ ও গুগল স্ট্রিটের দৃশ্য ব্যবহার করা যেত, যেমন সেখানে কোনো পুল বা টেনিস কোর্ট আছে কিনা।
অনেক সময় এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো উন্মোচনে সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েব সার্চও ব্যবহার করা যায়৷ যেমন, আমরা আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের বোনের মালিকানাধীন সেইন্ট-ট্রোপেজ ভিলার সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে জড়িত ব্যক্তির কর্মবৃত্তান্ত খুঁজে পেয়েছিলাম। এটি একটি বিস্ময়কর সমুদ্রের দৃশ্য ও বড় পাইন গাছ ঘেরা সম্পদের বিলাসবহুল পুলের চিত্র তুলে ধরেছে। এটি আমাদের স্টোরির প্রথম অনুচ্ছেদে জায়গা করে নিয়েছে।
চূড়ান্ত ধাপ: অর্থের সংযোগ বের করুন
আমাদের শেষ ধাপে প্রতিটি সম্পদের জন্য প্রশাসনিক আবেদন করা হয়েছিল। এই নথিগুলোর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে ডেটা তখনও হালনাগাদ ছিল। সেখান থেকে ক্রয় মূল্য, বিক্রেতা ও আইনজীবী বা অন্যান্য এজেন্টের মতো লেনদেন সংশ্লিষ্ট বাড়তি তথ্যও পাওয়া গিয়েছিল।
প্রথম দিকে ভেবেছিলাম, আমরা সংশ্লিষ্ট টাউন হলের সম্পত্তি নিবন্ধন সেবা থেকে বিনামূল্যেই এটি পাব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আমাদের আবেদনে সাড়া পাওয়া বেশ কঠিন ছিল। দ্রুতই বুঝতে পারলাম, আমাদের অন্য উপায় দেখতে হবে। কয়েকজন বন্ধুসুলভ কর্মকর্তাকে ফোন করার পর “সার্ভিস দে লা পাবলিসিতে ফনসিয়ের” (“ভূমি নিবন্ধন সেবা” এর ফরাসি) নামক সরকারি সংস্থায় আমাদের কাজটি হয়েছিল৷ তাদের কাছে তথ্যের আবেদনের জন্য আমাদের কেবল ৮০টি আলাদা কাগজের ফর্ম পূরণ করতে হয়েছিল, প্রতিটি কোম্পানির জন্য ১২ ইউরোর (১৩ মার্কিন ডলার) একটি ব্যাঙ্ক চেক দিতে হয়েছিল, আর এজেন্সির সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক দপ্তরগুলোতে চিঠির মাধ্যমে আবেদন পাঠাতে হয়েছিল। কী বিচিত্র! আমরা অ্যান্টিবস থেকে ভার্সাই পর্যন্ত এই অফিসগুলোর ১৯টিতে চিঠি পাঠিয়েছি। সৌভাগ্যক্রমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিন কয়েকের মধ্যে ইমেইলে জবাব চলে আসে, তবে ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে গিয়েছিল।
লেনদেনের এই তালিকা একবার হাতে পাওয়ার পর আমরা একই সরকারি সেবা থেকে আরেকটি ফর্মে আরেকটি চিঠি ও নথি প্রতি ১৫ ইউরো (১৭ মার্কিন ডলার) মূল্যমানের একটি চেক পাঠিয়ে বিক্রয় চুক্তির কপির জন্য আবেদন করি। এই নথিগুলোর পিছনে আমরা মোট ১৮০০ ইউরোর (২০০০ মার্কিন ডলার) বেশি ব্যয় করেছি। (আইজেফোরইইউ অনুদানের কল্যাণে আমরা এই ব্যয়ভার বহন করতে পেরেছি।)
বিক্রয় চুক্তিতে অনেক সময় ক্রেতার পেশা উল্লেখ করা হয়। যেমন, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের বোনের নামের পাশে পেশা হিসেবে “পেশাগত পরিচয় বিহীন” বা “সংগীত সুরকার” তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে প্রায় এক দশক আগে তার নামে মাত্র দুটি সিডি বাজারে এসেছিল, যেখানে আপাতদৃষ্টিতে তেমন একটা সাফল্য ছিল না বললেই চলে, আর তাই ফরাসি সম্পদে তার বিনিয়োগকৃত ৫৩ মিলিয়ন ইউরোর (৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) উৎস সম্পর্কে অস্পষ্টতা ছিল। স্টোরির প্রয়োজনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এজেন্ট ও আইনজীবীদের ব্যাপারেও আমরা আগ্রহী ছিলাম, কারণ সন্দেহজনক কোনো লেনদেনের বিষয়ে ফরাসি সরকারি সংস্থাকে (ট্র্যাকফিন নামে পরিচিত) অবহিত করা তাদের আইনী দায়িত্ব। সম্ভাব্য অবৈধ কেনাকাটা নিয়ে এই সংস্থার অনুসন্ধান করার কথা। আমরা যেসব কেনাকাটায় নজর দিয়েছি, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল বেশ সন্দেহজনক। কারণ জড়িতরা নিজেদের “পেশাগত পরিচয় না থাকার” ঘোষণা দেওয়ার বছরখানেকের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করছিল। আমরা কয়েকজন আইনজীবীর খোঁজ পেয়েছিলাম যারা নিজেদের পেশা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের শীর্ষপদে ছিলেন এবং পদে থাকা অবস্থাতেই সন্দেহজনক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত হন।
শেষ পর্যন্ত ফরাসি ম্যাগাজিন লোবস্-এ আমাদের অনুসন্ধান প্রকাশিত হয়। এর পরপরই কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আমাদের কাছে কর্মপদ্ধতি খুলে বলার অনুরোধ জানায়। আমাদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সবার জন্য উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে জিআইজেএনেরও (যা আপনি ফরাসি ভাষায় নিচে দেখতে পারেন) একজন ছিলেন।
আমাদের অনুসন্ধানের পর বুলগেরিয়ার গণমাধ্যম বার্ড এই একই আবাসন সম্পদ সংশ্লিষ্ট ডেটা নিয়ে একটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছে, যেখানে যে কেউ সম্পদের মালিকের নাম সার্চ করতে পারে এবং ফ্রান্সে তাদের সব সম্পদ খুঁজে পেতে পারে।
ফ্রান্স ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিশ্চয়ই আরও অনেক সন্দেহজনক এবং অবৈধ আবাসন সংশ্লিষ্ট লেনদেন রয়েছে।
আরও পড়ুন
জমির মালিকানা: রিপোর্ট আপনার পায়ের নিচেই!
জমির নথি থেকে যেভাবে দুর্নীতি উন্মোচন করলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা
জমির মালিকানা: জানা জরুরি, কিন্তু পাওয়া কঠিন
ইমানুয়েল ফ্রয়েডেনথাল এক দশক ধরে আফ্রিকায় অনুসন্ধানী সাংবিাদিকতা করছেন। তাঁর স্টোরি বিবিসি, ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর, লা মুন্দে, লিবারেশন, দ্য নিউ হিউম্যানিটারিয়ান, ডেইলি টেলিগ্রাফ, ওসিসিআরপি, প্যারিস মার্চ, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, আফ্রিকান আর্গুমেন্ট, জার্নাল দে মন্ট্রিয়েল, মোঙ্গাবে ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।