গত এক দশকে হাজার হাজার সাংবাদিক ও অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম তাদের কাজের প্রচার, নতুন পাঠকশ্রোতা তৈরি ও তাদের কাছে পৌঁছানো এবং কিছু ক্ষেত্রে মুনাফা লাভের আশায় টুইটার ও ফেসবুকের (এখন মেটা) ওপর নির্ভর করেছেন।
তবে ২০২২ সালের অক্টোবরে ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে প্রাইভেসি নিয়ে উদ্বেগ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রসার এবং গণমাধ্যমের প্রতি মাস্কের সার্বিক নেতিবাচক মনোভাবের কারণে সাংবাদিকেরা টুইটার ছেড়ে তুলনামূলক কম জনপ্রিয় অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় নিয়েছেন। সিবিসি, এনপিআর ও পিবিএস-এর মতো সংবাদ সংস্থাগুলো এই সাইটে আর পোস্ট করছে না। এবং অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন প্ল্যাটফর্মটি আর কতদিন টিকবে– তা নিয়ে। ২০২২ সালে মেটাও নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ প্রকাশকদের অর্থ দেওয়া বন্ধ ঘোষণার মাধ্যমে। ফেসবুকের নিউজ ট্যাবে প্রকাশিত এসব কন্টেন্টের জন্য প্রকাশকদের অর্থ দিত ফেসবুক।
এপ্রিলে, পুরো বিশ্বের সাংবাদিকেরা ইতালির পেরুজিয়ায় সমবেত হয়েছিলেন ১৭তম ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম ফেস্টিভ্যালে – #আইজেএফ২৩। সেখানে তারা আলোচনা করেছেন এই খাতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে।
টুইটারের এমন “মৃত্যুদশা” এবং ফেসবুকের এভাবে সংবাদ থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘটনাগুলো সাংবাদিকতার ওপর কী প্রভাব ফেলবে– তা নিয়ে একটি প্যানেল আয়োজিত হয়েছে কলম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউ-এর প্রধান ডিজিটাল লেখক ম্যাথু ইনগ্রামের পরিচালনায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা পলিসের পরিচালক চার্লি বেকেট; কলম্বিয়া জার্নালিজম স্কুলের টো সেন্টার ফর ডিজিটাল জার্নালিজমের পরিচালক এমিলি বেল; এবং ইউআরএল মিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা মিত্র কলিতা। প্যানেলটিতে তাঁরা টুইটার ছেড়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কথা তুলেছেন সাংবাদিকতা ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মধ্যে জটিল সম্পর্ক নিয়ে। এবং কীভাবে সাংবাদিক ও মিডিয়া সংস্থাগুলো মানিয়ে নিতে পারে।
টুইটারে… থাকবেন, নাকি থাকবেন না
টুইটার নিয়ে অনেক গণমাধ্যমকর্মী এখন এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন: তাদের কী টুইটার ছেড়ে অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে চলে যাওয়া উচিৎ, যেখানে কন্টেন্ট মডারেশন ও অপতথ্য-বিরোধী আরও ভালো নীতিমালা আছে? নাকি বিকল্প কিছু না থাকায় – এখনকার মতো – তাদের এখানেই থেকে যাওয়া উচিৎ?
এটা যে সহজ কোনো সিদ্ধান্ত নয়– তা নিয়ে প্যানেলিস্টরা একমত হয়েছেন।
বেল সতর্ক করে বলেছেন, “সাংবাদিকদের কাজের জন্য [টুইটার] আর নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম নয়।” তবে তিনি যোগ করেন, “এই প্লাটফর্মে এমন কিছু করা যায়, যা অন্য কোথাও করা যায় না। এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে যা ঘটছে তা মানুষকে জানানোর এটি একটি উপায়। আর অন্য এমন কোনো প্ল্যাটফর্মই নেই– যেটি সত্যিই এই কাজটি করে। আপনার ভৌগলিক-সামাজিক অবস্থান, যোগ্যতা যেটাই হোক না কেন।
বেল আরও মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাইরের দেশগুলোর জন্য টুইটার অপরিহার্য, আর এর কেন্দ্রীভূত অবকাঠামোর মধ্যে একটি অন্তর্নিহিত যোগসূত্র রয়েছে — যা আরও ভালভাবে তথ্য প্রবাহ ও গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ করে দেয়।
বেকেট কিছুটা ভিন্ন ধরনের দৃষ্টিকোন সামনে এনেছেন। টুইটারের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে তিনি দেখছেন একটি সম্ভাব্য সুযোগ হিসেবে। যেখানে নিউজরুমগুলো অন্য কোনো জায়গায় অডিয়েন্স গড়ে তোলার কথা ভাবতে পারে।
মূল কথা: টুইটার ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা নিজেদের কয়েকটি প্রশ্ন করতে পারেন:
১. অন্য এমন কোনো নেটওয়ার্ক কি আছে, যেখানে আমি কাজ করতে পারি এবং পাঠকগোষ্ঠী তৈরি ও বাড়াতে পারি?
২. টুইটার এখন আমার কোন কাজে আসে?
৩. অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম বা টুল দিয়ে কি এই কাজগুলো করা যায়?
এছাড়াও: আপনার টুইটার অ্যাকাউন্ট একবারে মুছে না ফেলে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, লিঙ্কডইন, বা এমনকি টুইটারের বিকল্প মাস্টোডনের মতো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন। এর ফলাফল হয়তো আপনাকে চমকে দেবে।
‘ড্রাগনের সামনে মার্শমেলো’
স্মৃতি হাতড়ে বেল বলেন, বছরখানেক আগে তিনি একটি প্যানেলে যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন যে, টেলিফোনের পর সাংবাদিকদের জন্য টুইটার ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। এবং #আইজেএফ২৩-এর এই আয়োজনেও তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অবস্থানের পক্ষে ছিলেন। তবে তিনি এখন প্ল্যাটফর্মটিকে বিবেচনা করেন স্বৈরতন্ত্র হিসেবে এবং তিনি উদ্বিগ্ন এটির প্রেস ফ্রিডম সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো নিয়ে।
বেল বলেছেন, “স্বৈরতন্ত্রের সংজ্ঞা হলো, যখন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে আক্ষরিক অর্থেই জানেন না যে কী হতে যাচ্ছে, কারন কোনো নিয়মনীতি কাজ করছে না; এবং সেগুলো বদলে যেতে পারে এক ব্যক্তির ইচ্ছা, মর্জিতে। আপনার নিজের নিরাপত্তা বা গোপনীয়তা রক্ষার কোনো ক্ষমতা আপনার নেই। [টুইটারে] ঠিক এ ধরনের কিছুই ঘটেছে।”
যে প্ল্যাটফর্মগুলো সাংবাদিকতা খাতের জন্য বানানোই হয়নি, সেগুলোর দিকে বিশেষ লক্ষ্য নির্ধারনের যে প্রবণতা বর্তমান সাংবাদিকতায় দেখা যাচ্ছে– তার বিপদ সম্পর্কে সচেতন করেছেন কলিতা। এখন কন্টেন্ট বানানো হচ্ছে প্ল্যাটফর্মগুলোর উদ্দেশ্যে, কমিউনিটির উদ্দেশ্যে নয়।
ফেসবুকের প্রথম দিকের যাত্রাপথের দিকে ইঙ্গিত করে কলিতা বলেছেন, “আবেদনময়ী নারীদের র্যাঙ্কিং করার উপায় হিসেবে যাত্রা শুরু করা একটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আমরা ‘লক্ষ্য’ তৈরি করছি।”
তবে সাইটটি অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে। ২০১৯ সালে, মেটা (তৎকালীন ফেসবুক) বিশ্বব্যাপী “সংবাদ অনুষ্ঠান, অংশীদারিত্ব ও কন্টেন্টের” জন্য তিন বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল। চার বছর পর মেটা হুট করেই সংবাদ শিল্প থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। (এছাড়াও, ফেসবুক আসলেই তাদের তহবিল সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতিগুলো পালন করছে কিনা– তা নিয়েও বড় প্রশ্ন থেকে গেছে।)
বেকেট বলেছেন, গণমাধ্যম থেকে মেটার সরে আসাটা সাংবাদিকদের জন্য “পরিষ্কার সতর্কবার্তা” ছিল আর সাংবাদিকেরা এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।
তিনি বলেছেন, “ফেসবুক যে সংবাদের তোয়াক্কা করে না তা কিছুটা নম্র অভিজ্ঞতা। এমনকি যখন তারা সংবাদ নিয়ে কিছুটাও ভাবত– তখনও এটি ছিল ফেসবুকের ট্রাফিকের মাত্র ৩%। মানুষের জীবনে সংবাদের গুরুত্বও হয়তো এরকমই কিছু।”
আজকাল সাংবাদিকতা যে ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়, সেগুলোর মধ্যে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সম্ভাব্য পতনকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে অহেতুক জোর দেওয়ার ব্যাপারে বেকেট সতর্ক করেছেন। তবে অন্যরা বিষয়টিকে এত সহজে উড়িয়ে চান না।
বেল বলেছেন, “আপনি যদি আজকের দিনের একটি এপি গড়ে তোলার কথা ভাবেন, তাহলে আপনি টুইটারের মতো কিছু একটাই সামনে আনবেন। আমি মাস্টোডন পছন্দ করি। কিন্তু টুইটার যা করে, এটি তা করতে পারে না।”
বেল, সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে, যেন তারা খতিয়ে দেখে যে, প্ল্যাটফর্মগুলোতে মুক্ত সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্রপন্থী মূল্যবোধগুলো থাকার অর্থ কী। প্যানেলটির দর্শকসারিতে থাকা এক ব্যক্তি এখানে নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া জাতীয়করণ করার ভাবনা উপস্থাপন করেন।
জবাবে বেল বলেছেন, “আমরা টুইটারের জাতীয়করণ করতে যাচ্ছি না… আমেরিকায় পুঁজিবাদের মুখে সাংবাদিকতা অনেকটা ড্রাগনের সামনে মার্শমেলোর মতো। দুর্ভাগ্যবশত, এমনটা কখনোই হবে না যে, আমেরিকান সাংবাদিকতা মুক্তবাজার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবে বা এমনকি তারা সেটি করতেও চায়।”
মূল কথা: সোশ্যাল মিডিয়ার নীতিমালা খুব দ্রুতই সামনে আসবে না। এসএমএসের মাধ্যমে দুই ধাপের অথেনটিকেশন সুরক্ষা ব্যবস্থার সেবা এখন পাবেন শুধু টুইটার ব্লু ব্যবহারকারীরা। আগে যেটি সবাই বিনামূল্যে পেত। পাশাপাশি অনলাইন হামলা ও হয়রানি ক্রমেই বাড়তে থাকায় অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত দক্ষতা অর্জন এবং বাড়তে থাকা ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশল জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে :
১. নিরাপত্তা কী বা অথেনটিকেটর অ্যাপের মাধ্যমে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করতে থাকুন। কীভাবে দুটিই করা যায়, তার ব্যাখ্যা আছে এই নিবন্ধে।
২. সাইটগুলোর এপিআই-এ কোনো সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত সমস্যা থাকলে ধরেই নিন যে এটির সমাধান হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। এবং টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্য অন্যান্য থার্ড-পার্টি সাইট ও অ্যাপে প্রবেশের অনুমতি বাতিল করুন।
৩. মাসিক ভিত্তিতে পুরনো কন্টেন্ট ও ডেটা সংরক্ষণ করতে আপনার টুইটার আর্কাইভ ডাউনলোড করুন। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত প্রায় ২৪ ঘন্টা সময় লাগলেও এখন বেশি সময় লাগতে পারে।
৪. বরাবরের মতো বর্তমান বা ভবিষ্যতের সোর্সদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বার্তা ব্যবহার করবেন না।
আপনার অগ্রাধিকার যাচাই করুন
প্যানেলিস্টরা সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন টুইটার জগতের একমাত্র – এবং বেশ বিতর্কিত – “বিধিনিয়ম” নিয়ে: টুইটার ব্লু, টুইটারের পেইড সংস্করণ। এখন যেকোনো ব্যবহারকারী মাসিক ফিয়ের বিনিময়ে নিজের নামের পাশে একটি চেকমার্ক বসিয়ে নিতে পারে। যেটি দিয়ে আগে বোঝানো হতো অ্যাকাউন্ট মালিকের পরিচয় যাচাই করা হয়েছে – যেমন কোনো সরকারী কর্মকর্তা বা জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ফলে অন্য কোনো ব্যবহারকারী তাদের ছদ্মবেশ ধরতে পারত না।
অনেক বছর ধরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নীল চেকমার্কটি ছিল বিশ্বস্ততার প্রতীক। অন্তত তাত্ত্বিকভাবে, এটি একটি বট থেকে ব্যক্তিকে, এবং সত্য থেকে অপতথ্যকে আলাদা করত। অবশ্য ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টগুলোও ভুয়া খবর ছড়াতে পারে, কিন্তু চেকমার্ক থেকে অন্তত এটি নিশ্চিত হওয়া যেত যে, সোশ্যাল মিডিয়ার সেই ব্যক্তি আসলেই কে। কিন্তু ২০২৩ সালের ২০শে এপ্রিল থেকে টুইটার এসব ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টের নীল টিকমার্ক সরিয়ে দিতে থাকে। যাদের মধ্যে পোপ ফ্রান্সিস, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও গায়ক জাস্টিন বিবারসহ অনেকেই ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ অনেক সংবাদমাধ্যমও প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয় যে, তারা নীল চেকমার্ক ধরে রাখার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করবে না।
তবে কিছু ফ্রিল্যান্স ও স্বাধীন সাংবাদিকের পাশাপাশি কিছু ছোট সংবাদমাধ্যম টুইটারের সাবস্ক্রিপশন কিনেছে তাদের কন্টেন্ট বিতরণের ক্ষেত্রে নির্ভরতার জায়গা থেকে। নতুন কিছু ফিচারের জন্যও হয়তো তারা আকৃষ্ট হয়েছে। যেমন দীর্ঘ টুইট ও ভিডিও পোস্ট করতে পারা, পোস্ট করার পর টুইট সম্পাদনা এবং টুইট বুকমার্ক করতে পারা। তারপরও, আগে যেসব অ্যাকাউন্টের নীল টিকমার্ক ছিল, তাদের মধ্যে ৫% এরও কম অ্যাকাউন্ট এখন এর জন্য অর্থ ব্যয় করছে।
কলিতাই ছিলেন একমাত্র প্যানেলিস্ট, যিনি টুইটার ব্লু-এর জন্য অর্থ খরচ করেছেন। পুরো কক্ষে উপস্থিত প্রায় ২০০ জনের মধ্যে মাত্র একজন হাত তুলে সায় দেন যে, তিনিও খরচ করেছেন।
প্যানেল আলোচনা থেকে একটি বিষয়ে সবাই সাধারণভাবে একমত হন যে, ভেরিফিকেশন ব্যবস্থাটি সবসময়ই ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এবং প্রায়ই এটি নির্ভর করত অভ্যন্তরীন যোগাযোগের ওপর। কিন্তু এখন এই ভেরিফিকেশন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কোনো নির্ভরশীলতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা দেয় না।
এখান থেকে আমরা কোথায় যাব?
“সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম হিসেবে আমাদের ভেবে দেখা উচিৎ যে, টুইটারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন হবে – এটি কী করে, কোন কাজের জন্য ভালো? আগে এটি যে কাজগুলো করছিল– সেগুলো কী সত্যিই কাজের কিছু ছিল? এখনও কী সেগুলো করা যায়?” বলেছেন ইনগ্রাম।
বেল এই সাইটগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা সমস্যাজনক অংশীদারিত্ব সংশ্লিষ্ট কোনো তহবিল বা অন্যান্য সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্যও সাংবাদিকদের চাপ দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা খুব জেনেবুঝেই [ফেসবুক থেকে] কোনো টাকা নিই না। অর্থাৎ আমরা অনেক দরিদ্র… কিন্তু আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি এবং সেগুলো নিয়ে আলাপ করতে পারি যে, এই প্ল্যাটফর্মগুলোর আসলেও সাংবাদিকতায় সংশ্লিষ্ট হওয়া উচিৎ কি না।”
আরও পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মনিটরিংয়ের নতুন অনুসন্ধানী টুল
হাও টু মনিটর সোশ্যাল মিডিয়া ফর মিসইনফরমেশন
টিপস ফর মাইনিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইথ হেঙ্ক ভন এস
হলি প্যাট জিআইজেএনের সোশ্যাল মিডিয়া সম্পাদক। আগে তিনি একটি অলাভজনক সাংবাদিকতা প্রকল্প আউট ল ওশান প্রজেক্টের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড আউটরিচ ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস ও দ্য ক্যাপিটাল নিউজ সার্ভিস সহ বিভিন্ন সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন।