উন্মুক্ত সরকার ব্যবস্থার (ওপেন গভর্নমেন্ট) প্রসারে আমেরিকান সোসাইটি অব নিউজ এডিটর্স, ২০০৫ সাল থেকে সানশাইন সপ্তাহ আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রেস ক্লাব, সম্প্রতি ডিজিটাল প্রাইভেসি ও ইন্টারনেট স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে। স্বৈরশাসিত দেশের ভেতরে বা বাইরে থেকে যারা সাংবাদিকতা করছেন, তাদের জন্য প্রাইভেসি সমাধান ও টিকে থাকার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন ওয়েবিনারটির বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন অ্যাক্সেস নাও-এর ২০২২ সালের প্রতিবেদনে চিহ্নিত ইন্টারনেট শাটডাউনের কিছু উদ্বেগজনক প্রবণতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে আলোচনাটি শুরু হয়। প্রতিবেদনটির সারাংশে উঠে আসে, গত বছর ৩৫টি দেশে কমপক্ষে ১৮৭টি শাটডাউন নথিভুক্ত হয়েছে যা এক বছরে সরকার আরোপিত ইন্টারনেট কিল সুইচের রেকর্ড ভেঙেছে।
অ্যাক্সেস নাও উপসংহারে বলেছে, “শাসকগোষ্ঠী একই ধরনের বেশ কিছু অজুহাতে, কতগুলো একঘেঁয়ে যুক্তি সামনে এনে বছরের পর বছর ধরে শাটডাউনের আদেশ দিয়ে এসেছে৷ অস্থিরতা ও সংঘাত বা নিছক স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে সরকার, সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণের বেপরোয়া উপায় হিসেবে মানুষকে অন্ধকারে রেখেছে। লম্বা সময় ধরে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে কখনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট, মোবাইল শাটডাউন ও প্ল্যাটফর্ম ব্লকের মাধ্যমে শাটডাউন আরোপ করেছে।”
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত – যেখানে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লক্ষণীয়ভাবে সংকুচিত হতে দেখা গেছে। দেশটিতে ২০২২ সালে ৮৪টি শাটডাউনের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ওয়েব ব্ল্যাকআউটের সংখ্যায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন ও ইয়েমেন, যেখানে কখনো কখনো শাটডাউনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে।
প্রেসক্লাবের সাইবার সিকিউরিটি ও ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞদের প্যানেল পরিচালনা করেন সংগঠনটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য ও মার্কিন পত্রিকা সিকিউ রোল কলের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রতিবেদক র্যাচেল অসওয়াল্ড। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন প্যানেলিস্ট: অ্যাক্সেস নাও এর প্রযুক্তি-আইন বিশেষজ্ঞ নাতালিয়া ক্রাপিভা, টরন্টো ইউনিভার্সিটির সিটিজেন ল্যাবের জ্যেষ্ঠ গবেষক কেসেনিয়া এরমোশিনা, এবং ন্যাট ক্রেচুন, যিনি মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার অঙ্গসংগঠন ওপেন টেকনোলজি ফান্ডের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি।
ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের প্রচলিত কৌশল
ক্রেচুনের মতে, সাধারণত ওয়েব ব্ল্যাকআউট হয় তথ্য ও সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা থেকে এবং এর কয়েকটি মূল উদ্দেশ্য রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করতে সরকারের প্রধান তিনটি কৌশলের একটি রূপরেখাও তিনি তুলে ধরেন।
১. সংঘাত
কন্টেন্ট সেন্সরশিপ থেকে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি শাটডাউন পর্যন্ত- সবকিছুই এর আওতায় পড়ে। একটি উদাহরণ হলো, ২০২২ সালের বিক্ষোভ চলাকালে ইরান সরকারের ওয়েব শাটডাউন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদেরকে তেহরান সরকারের হস্তক্ষেপ থেকে বাঁচতে এবং নির্বাসনে থেকে সংবাদের প্রবাহ ঠিক রাখার উপায় খুঁজতে হয়েছিল। স্বৈরাচারী সরকারদের সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির আরেকটি উপায় হলো নাগরিক বা গণমাধ্যমের জন্য তথ্য পাওয়ার অধিকার কঠিন করে তোলা – যা আদতে দমবন্ধকর পরিবেশ। এসবের মধ্যে আছে ইচ্ছা করেই সার্ভারের ব্যান্ডউইথের গতি কমিয়ে দেয়া, যেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা হতাশ হয়ে পড়েন এবং হাল ছেড়ে দেন।
২. ভয়
শাস্তির ভয়ে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্ম এড়াতে নাগরিকদের ভীতসন্তস্ত্র করে রাখা দেশের জনগণ বা সংবাদমাধ্যমের ওপর সেল্ফ-সেন্সরশিপের ভূত চাপিয়ে দেয়ার আরেকটি শক্তিশালী উপায়। যেমন, সম্প্রতি বেলারুশ কয়েকটি স্বাধীন গণমাধ্যমের টেলিগ্রাম চ্যানেলকে “চরমপন্থী” হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পথ খুলে দিয়েছে৷
৩. তথ্যের বন্যা
তথ্যের বন্যা হলো প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া, যেন সঠিক তথ্য নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় বা এর ব্যবহার সীমিত হয়। এ ধরনের সেন্সরশিপে তথ্য না সরিয়ে বরং নতুন নতুন ডেটা যুক্ত করা হয়। সাধারণত সরকার পক্ষের, সমর্থক গোষ্ঠী বা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়-অর্থায়নপুষ্ট প্রচারণা থেকে মুর্হুমুহু পাল্টা-বার্তার আড়ালে এটি করা হয়।
ক্রেচুন আরও বলেছেন, “আমরা সেন্সরশিপ কৌশলগুলোর স্বাভাবিকীকরণ এবং আরও পরিবর্তনের ধরনের ওপর চোখ রাখছি।” তিনি ২০২২ সালের শেষ দিকে মাসা আমিনীর হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে ইরানে মোবাইল নেটওয়ার্কের ঘন ঘন ব্যাঘাত সহ ইন্টারনেটের সম্পূর্ণ শাটডাউনকে “বর্বর শক্তির” প্রদর্শন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ক্রেচুন জোর দিয়ে বলেছেন, আগের চেয়ে এখন সেন্সর করা অনেক সহজ। স্বাধীন গণমাধ্যমকে থামিয়ে দিতে এবং ব্যাপক শাটডাউন বাস্তবায়নে তৎপর সরকারগুলোর কাছে “প্লাগ-এন্ড-প্লে কিটস” হিসেবে নতুন, সহজে-ব্যবহারযোগ্য টুল বিক্রি করছে কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানি।
স্পাইওয়্যার ও নজরদারি প্রযুক্তির বর্ধিত ব্যবহার
পরের প্রবণতাটির একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ হিসেবে ক্রাপিভা বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক দু’ধরনের দেশের বিক্রেতারা এখন বিরূপ শক্তিগুলোর কাছে নজরদারি টুল বিক্রি করছে। তিনি আরও বলেছেন, স্পাইওয়্যার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতার একটি পর্যায় নিশ্চিত করতে কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বিক্রেতারা নিয়মবর্হিভূতভাবে কাজ চালিয়ে যায় অথচ খুব কমই আইনের মুখোমুখি হয়।
“কোম্পানিগুলোকে এখনও পুলিশের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই থাকে,” ক্রাপিভা বলেছেন। “আমাদের দৃষ্টিতে, তারা এসবের তোয়াক্কা করে না, এমনকি কিছু বোঝেও না।”
সিটিজেন ল্যাবের এরমোশিনা বলেছেন, এই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানদের নিয়ে তাঁর নিজের গবেষণায় উঠে এসেছে যে তারা কীভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা জুড়ে বিভিন্ন সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে এবং আফগানিস্তান ও কাজাখস্তানের মতো কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর কাছে প্রযুক্তি বিক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এরমোশিনা বলেছেন, “আমি প্যাকেট ইন্সপেক্শন টুল বা ফোন ইন্টারসেপশন ডিভাইস তৈরির সঙ্গে জড়িত বিক্রেতাদের শনাক্ত করেছি। আর তারা নিজেদের টুলের কার্যকারিতা নিয়ে তালেবানের মতো সরকারগুলোর সঙ্গে প্রকাশ্যেই কথা বলে।”
মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে ক্রাপিভা বলেছেন, এমনও নজির আছে যেখানে টেলিকম ও ফোন কোম্পানিগুলো ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে আসা ওয়েব ট্র্যাফিক ধীর বা ব্লক করার অনুরোধ ফাঁস করে সরকারকে চাপে ফেলেছে।
তাঁর মতে, “টেলিফোন কোম্পানিগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। তারা চাইলে নানাভাবে প্রতিরোধ ও কিছুটা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে।”
ক্রাপিভা আরও বলেছেন, কিছু দেশের নাগরিকরাই এই টেলিকম কোম্পানিগুলোকে আদালতের মাধ্যমে চাপে ফেলতে পারে।
শাটডাউন আক্রান্ত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী
শিক্ষামূলক কেইস স্টাডি হিসেবে এরমোশিনা ক্রিমিয়াতে করা তাঁর গবেষণায় আলোকপাত করেছেন, আর এই উপদ্বীপটিকে “তথ্য নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষাগার” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, উপদ্বীপটিতে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিম জাতিগোষ্ঠীকে কীভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে এবং বাইরের জগতের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ, স্বাধীন গণমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁরা মূলত ইউক্রেনপন্থী এবং রুশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান।
তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, “আমরা দেখেছি, ক্রিমিয়াতে এই গণমাধ্যমগুলো কঠোরভাবে বন্ধ” হলেও রাশিয়ায় ঠিকই চলছে।
বিশেষ করে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সরকার আরোপিত ইন্টারনেট শাটডাউনের নজির টানতে গিয়ে ক্রাপিভা ও ক্রেচুন কাশ্মীর, টাইগ্রে, মিয়ানমার, পশ্চিম পাপুয়া ও জিনজিয়াংয়ের কথা বলেছেন। অ্যাক্সেস নাও-এর তথ্যমতে, ইথিওপিয় সরকার টাইগ্রের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে দু বছরেরও বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট সেবা ব্লক করে রেখেছে।
সাংবাদিকদের জন্য নতুন, সম্ভাবনাময় টুল
ক্রাপিভা জোর দিয়ে বলেছেন, ইন্টারনেট স্বাধীনতার পথে বাধা অনেক বড় হলেও স্পাইওয়্যার প্রযুক্তির পাশপাশি ওপেন সোর্স প্রাইভেসি সফটওয়্যারও বিকশিত হচ্ছে। সব টুলের সুবিধা ও ঝুঁকি দুটিই রয়েছে এবং তিনি এই বলে জোর দিয়েছেন যে কেবল একটি টুলকে সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।
যেমন, ওয়েবিনারের পরিচালক ওসওয়াল্ড হোয়াটসঅ্যাপের স্বত্ত্বাধিকার প্রতিষ্ঠান মেটার সাম্প্রতিক একটি ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করেছেন যা “সত্যিই একটি বড় ঘটনা” হতে পারে। তিনি বলেছেন, এই জনপ্রিয় মেসেজিং সেবা এমন একটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে যা ব্যক্তি বা সংস্থা যে কোনো পর্যায়ের “স্বেচ্ছাসেবকদের” মাধ্যমে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে, যা ব্যবহারকারীদেরকে স্থানীয় ওয়েব শাটডাউনগুলো পাশ কাটানোর সুবিধা দেয়৷ টেলিগ্রামও ঠিক একই কৌশল অবলম্বন করে, যা সম্প্রতি সীমিত সংযোগ ও ফায়ারওয়ালগুলোকে পাশ কাটাতে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া শুরু করেছে।
যদিও স্থানীয় ফায়ারওয়ালের কাছাকাছি ব্যবহারের সুবিধা পেতে এবং সুরক্ষার একটি বলয় যুক্ত করতে প্রক্সি সার্ভার ও ভার্চুয়াল প্রাইভেসি নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সহায়ক হাতিয়ার হতে পারে, তবুও ক্রাপিভা সতর্ক করে বলেছেন: “প্রক্সিগুলো পরিচয় গোপন রাখার মত টুল নয়।” পরিচয় আড়াল করে, এমন ভিপিএন সার্ভার ও অন্যান্য গোপনীয়তা সহায়ক টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেবাদানকারীর ওপর আস্থা থাকা প্রয়োজন, যে সেই সেবাদানকারী গোপন সমঝোতার মাধ্যমে আপনার তথ্য কাউকে দিয়ে দেবে না। এনক্রিপ্ট করা প্ল্যাটফর্মের এখনও কিছু দুর্বলতা রয়েছে। যেমন, হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার কন্টেন্টের সুরক্ষা দিতে পারলেও অরক্ষিত মেটাডেটার সুরক্ষা দিতে অপারগ।
ক্রেচুন ব্যবহারকারীদেরকে আপাতদৃষ্টিতে সুরক্ষিত কোনো একক অ্যাপ্লিকেশন বা প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভর না করে বিভিন্ন ধরনের টুল খোঁজার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন, যেন একটি অপরটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করে: “আমরা সহকর্মীদের ভালোভাবে খুঁজতে বলি। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি রিসোর্স পাওয়া যায়।” অনলাইনে সেন্সরশিপ এড়ানোর উপযোগী করে সম্প্রতি বানানো একটি টুলও তিনি শেয়ার করেছেন।
এই নতুন বিকল্পটি হলো বিশ্বের প্রথম মোবাইল ব্রাউজার সেনো, যার পূর্ণ রূপ “সেন্সরশিপ, নো।” এই পারস্পারিক সহযোগিতামূলক ব্রাউজারটি এমন সব অঞ্চলে ওয়েব ব্যবহার ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে কন্টেন্ট শেয়ারের সুযোগ দেয়, যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত। এই প্রকল্পে গবেষক হিসেবে কর্মরত এরমোশিনা ব্যাখ্যা করেছেন, সেনো কিছুটা টর ব্রাউজারের মতো আর “ভিপিএন থেকে অনেকটাই আলাদা।” তিনি বলেছেন, এটি বিটটরেন্ট প্রযুক্তি প্রোটোকল ব্যবহার করে কাজ করে, এবং “ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সরবরাহ এবং অবরুদ্ধ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে খুবই কার্যকরী।”
এমনকি ব্যবহারকারীদের যে গল্প অন্য ব্যবহারকারীদের কাছে নিষিদ্ধ, এমন গল্পের ক্যাশ ভার্সনও শেয়ার করার আহ্বান জানায় ইরান ও ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত অঞ্চলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা সেনো। ওয়াচডগ রিপোর্টারদের জন্য এ ধরনের বন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে শেয়ারিং দর্শকশ্রোতাদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ এবং নিজেদের সাংবাদিকতায় জনসাধারণকে ধরে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে।
“সাংবাদিকতার চর্চা ও একটি মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত ইন্টারনেট সুবিধা অপরিহার্য,” অসওয়াল্ড এই বলে ওয়েবিনারটির উপসংহার টেনেছেন।
নিচের লিঙ্ক থেকে আপনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের পুরো ওয়েবিনারটি দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন
ফাইভ ওয়েজ টু স্টে অনলাইন ডিউরিং এ গভর্নমেন্ট ইন্টারনেট শাটডাউন
‘রিপোর্টিং ফ্রম দ্য আউটসাইড’: লেসনস ফ্রম ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস ইন এক্সাইল
ডকুমেন্ট অব দ্য ডে: ইন্টারনেট ফ্রিডম ফেসেস থ্রেটস ফ্রম ‘অথরটরিয়ান ওভারহউল’
ক্যাটারিনা সাবাদোস কানাডার ভ্যাঙ্কুভার-ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক। তিনি বর্তমানে গ্লোবাল রিপোর্টিং সেন্টারে সাপ্লাই চেইন নিয়ে সংবাদ করছেন। তাঁর রিপোর্টিং ও গবেষণা এনবিসি নিউজ, কানাডার ন্যাশনাল অবজারভার, দ্য টাই, দ্য টরন্টো স্টার এবং ওসিসিআরপি-তে প্রকাশিত হয়েছে।