কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ কমতে শুরু করায় এবছর ভারতের জনস্বাস্থ্য খাতে ভালো খবর দেখা গেছে ঠিক, তবে গণমাধ্যমের জন্য বছরটি ঝঞ্ঝাটেরই ছিল। একে তো তুচ্ছ অভিযোগে সাংবাদিকদের ওপর আঘাত এসেছে, সেই সঙ্গে স্বাধীন গণমাধ্যম নানা রকম হুমকির শিকার হয়েছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভির ওপর আদানি গ্রুপের অপ্রত্যাশিত কর্তৃত্ব এবং অল্ট নিউজের রিপোর্টার ও ফ্যাক্টচেকার মোহাম্মদ জুবায়েরকে জেলে পাঠানোর ঘটনা সাংবাদিকতার পরিবেশকে আরও সঙ্কটাপন্ন করে তুলেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল গণতান্ত্রিক দেশে ভারতীয় গণমাধ্যম দীর্ঘকাল যাবৎ গণতান্ত্রিক রীতিনীতি জোরদারকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দৃষ্টিতে সম্প্রতি “ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র” বা “নির্বাচনী স্বৈরশাসনে” অবনমিত হওয়া দেশটিতে, এই ভূমিকা পালন করা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। এত প্রতিকূলতা ও সরকারি চাপ সত্ত্বেও ভারতীয় সাংবাদিকেরা ক্ষমতার অপব্যবহার উন্মোচন করার কাজটি চালিয়ে গেছেন। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষ থেকে মতপ্রকাশে বাধা আরোপের জন্য হয়রানিমূলক মামলা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং উগ্র ডানপন্থীদের চলমান উত্থানের ফলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চাপ জনসাধারণকে ভিন্নমত প্রকাশের বিকল্প ক্ষেত্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বহুসংস্কৃতি, বহুভাষিক ও বহুজাতিক ভারতে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ মুক্ত গণমাধ্যমের ভূমিকার কদর করে। এখানে দেশটির এ বছরের কয়েকটি বড় অনুসন্ধানী স্টোরি তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতে রাজনৈতিক অর্থায়নে স্বচ্ছতার মিথ, আর্টিকেল ফোরটিন/ দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভ
২০১৮ সালে ভারত সরকার আপাতদৃষ্টিতে স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং কালো টাকার প্রভাব কমাতে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থায়নের একটি ব্যবস্থা চালু করেছিল। তবে সমালোচকদের মতে, আসলে অনুদান আড়াল করতেই এই কর্মযজ্ঞ; তাই সর্বোচ্চ আদালতেও এই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। সম্প্রতি এই ব্যবস্থা ঘিরে অনেক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে যা শাসক দল বিজেপিকে সুবিধা দেয় বলে মনে করা হয়। জিআইজেএনের সদস্য সংগঠন রিপোর্টার্স কালেক্টিভের তিনজন সাংবাদিকের করা এই অনুসন্ধান – নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও বেশ ক’জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে দেখিয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১০৫ টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র ১৭টি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছে। এই তহবিলের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি – প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য অর্থ – গিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির পকেটে, বাদ বাকি দলগুলো পেয়েছে অবশিষ্টাংশ।
ভারতের হারানো বৃক্ষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি, স্ক্রোল.ইন
২০২১ সালের নভেম্বরে কপ২৬ জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মূলত দেশজুড়ে চলমান বনায়ন কর্মসূচির (ও ব্যাপক অর্থ বরাদ্দের) আওতায় বড় ধরনের বৃক্ষরোপণ উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতে কার্বন নিঃসরণ “নেট জিরোতে” (প্রায় শূন্যে) নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিবেদক ঈশান কুক্রেতির এই অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই তথাকথিত বৃক্ষরোপণের একটি অংশের অস্তিত্বই নেই – হয় এই গণ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একেবারেই হয়নি অথবা যথাযথ যত্ন না নেয়ায় চারাগুলো মারা গেছে। ফলে জনগণের বিপুল অর্থের অপচয় হয়েছে। কুক্রেতির অনুসন্ধানে অনুযায়ী, ভারত সরকার ২০০৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই সন্দেহজনক বনায়ন কর্মসূচির পেছনে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে ডানপন্থী বিদ্বেষমূলক প্রচারণা, বিবিসি ডিসইনফরমেশন ইউনিট
যুগল পুরোহিত, মেধাবী অরোরা ও সিরাজ আলি — তিন রিপোর্টার কঠোর পরিশ্রমের এই অনুসন্ধানে ইউটিউবে শত শত বিভ্রান্তিকর ভিডিও ঘেঁটেছেন। তাঁরা “ইনফ্লুয়েন্সারদের” একটি নেটওয়ার্ক উন্মোচন করেছেন, যাদের অনেকেই ভারতীয় ডানপন্থী ও বিজেপি ঘেঁষা। নেটওয়ার্কটি মোদি সরকারের সমালোচনাকারী বা সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায় থেকে আসা বলিউড তারকাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। ইউটিউব ভিউ, বিজ্ঞাপন, পেইড মেম্বারশিপ এবং দর্শকদের অনুদান থেকে আয় করতে গিয়ে এই ইনফ্লুয়েন্সারেরা কয়েকজন বলিউড তারকাকে নিয়ে “প্রতিহিংসামূলক ও মিথ্যা কন্টেন্ট” বানায় ও শেয়ার করে, এবং অনলাইনে সম্মানিত ব্যক্তিদের হয়রানি ও বিজেপি নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রচারণার জন্য তাদের অনুসারীদের নির্দেশ দেয়।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, ভারত ইউটিউবের সবচেয়ে বড় বাজারগুলোর একটি হলেও প্রতিষ্ঠানটি মিথ্যা তথ্যপ্রচারকারী চ্যানেলগুলোকে ভেরিফাইড করা, আয়ের অনুমতি দেওয়া এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কাছে সেগুলো রিকমেন্ড করার প্রক্রিয়া ও কারণ প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে ফেসবুক যেভাবে বিজেপিকে সাহায্য করেছিল, দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভ
নিজেদের প্ল্যাটফর্মের প্রসারের লক্ষ্যে উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু ও প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য প্রচারের সুযোগ দিয়ে গণতন্ত্রকে খাটো করে এবং ডানপন্থী কর্তৃত্ববাদী শাসনকে সমর্থন করে – এমন অভিযোগে পূর্বতন ফেসবুক, বর্তমান মেটার বিরুদ্ধে বিস্তর সমালোচনা রয়েছে। ভারতে দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভের দুই সাংবাদিক কুমার সম্ভব ও নয়নতারা রঙ্গনাথন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে ফেসবুকের অন্যায্য সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট করেছেন। তাঁরা নির্বাচনে প্ল্যাটফর্মের প্রভাব মূল্যায়নে মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পাঁচ লাখেরও বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ফেসবুক “পদ্ধতিগতভাবে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা দূর্বল করে দিয়েছে।” আল জাজিরার সঙ্গে মিলে এই জুটি বিশদাকারে তুলে ধরেছেন, কীভাবে এই পক্ষপাতিত্ব প্ল্যাটফর্মটিতে প্রক্সি বিজ্ঞাপনদাতাদের যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয় (যা ভারতীয় নির্বাচনী আইন ও ফেসবুকের নিজস্ব নিয়ম বিরুদ্ধ); নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে অস্বাভাবিক হারের সুবিধা দেয়; এবং এমন একটি অ্যালগরিদম চালায় যা রাজনৈতিক দলগুলোর মেরুকরণকে ত্বরান্বিত করে।
বিজেপির স্বার্থ রক্ষায় স্কুলের পাঠ্যপুস্তক যেভাবে বদলে যায়, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ভারতের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি অনুসন্ধানে অভিযোগ করেছে যে রাজনীতি দেশটির স্কুল পাঠ্যক্রমকে প্রভাবিত করছে। রিপোর্টার ঋতিকা চোপরা চার-পর্বের এই অনুসন্ধানে দেখিয়েছেন, ডানপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে গিয়ে ভারতের পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বাঁকবদলকারী ঘটনা সম্পর্কিত অধ্যায় পুরোপুরি বাদ দেয়া হয়েছে অথবা নতুন করে লেখা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা, ১৯৭৫-৭৭ এর জরুরী অবস্থা, এবং বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দলিত প্যান্থারদের প্রতিরোধ আন্দোলন ও কৃষক রক্ষায় ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের প্রচেষ্টার মতো সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিবাদের গোটা অধ্যায়ও রয়েছে। তিনি ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ও সমাজবিজ্ঞানের ২১টি পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর সঙ্গে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের মানের তুলনা করেছেন এবং দেখেছেন, বাদ দেয়া ও সংশোধিত বিষয়গুলো প্রতিটি ক্ষেত্রে ডানপন্থী ইতিহাস ও আদর্শের পক্ষে যায়।
ভারতের অপ্রতুল প্রাইভেসি আইনে ভর করে ট্রুকলারকে সাফল্য, দ্য ক্যারাভান
ট্রুকলার একটি স্মার্টফোন অ্যাপ, যা স্প্যাম কল সনাক্তের জন্য কল-ব্লকিং এবং কলার-আইডি সুবিধা দিয়ে থাকে। সদর দফতর সুইডেনে হলেও এর ডেটাবেসে ৫.৭ বিলিয়ন স্বতন্ত্র ফোন ব্যবহারকারীর যে তথ্য রয়েছে, তার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ভারতের। দ্য ক্যারাভানের জন্য করা এক অনুসন্ধানে রচনা খাইরা দেখেছেন, ভারতে ট্রুকলারের সাফল্যের কারণ সম্ভবত দেশটির প্রাইভেসি আইনের সীমাবদ্ধতা। তিনি লিখেছেন, ভারতের যে কেউ ট্রুকলার আইডি ফিচার দেখতে চাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপটি তার সম্পূর্ণ ফোন কন্টাক্ট লিস্ট পেয়ে যায়, তাই যে ব্যবহারকারীরা নিবন্ধন করেননি এবং তাদের নম্বর, তথ্য বা মেটাডেটা উল্লেখ করতে চাননি, ট্রুকলারের ডেটাবেসে তারাও চলে আসে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ব্যবহারকারীদের ডেটা যে সুরক্ষিত, তা উল্লেখ করে ট্রুকলার ক্যারাভানের স্টোরির প্রতিটি দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাণিজ্যের ডেটা থেকে ভারত সরকারের সম্ভাব্য পেগাসাস ক্রয়ের গোমর ফাঁস, ওসিসিআরপি/নিউজলন্ড্রি
২০২২ সালের অক্টোবরে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)-এর দুই রিপোর্টার শারদ ব্যাস ও জুরে ভ্যান বার্গেন একটি অনুসন্ধানে দাবি করেছেন, ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইসরায়েলি এনএসও গ্রুপ থেকে যে হার্ডওয়্যার কিনেছে, তা পেগাসাস স্পাইওয়্যারের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলে যায়। ২০১৭ সালের বাণিজ্যিক ডেটাকে উদ্বৃত করে তাঁদের অনুসন্ধানে দেখানো হয়েছে যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থায় হার্ডওয়্যারের চালান গেছে। প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হিসেবে ভারত ২০১৭ সালের প্রথম দিকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেনার পরিকল্পনা করছে বলে বছরের শুরুতে ওসিসিআরপি ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে যে দাবি করা হয়েছিল, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সাম্প্রতিক এসব উন্মোচন। ভারত সরকার পেগাসাস সফটওয়্যার কেনার দাবি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনটাই করেনি এবং প্রতিবেদনগুলোকে “চটকদারী” আঘাত বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
নিম্নবর্ণের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ওপর ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি, আনডার্ক
অলাভজনক ডিজিটাল সাময়িকী আনডার্কের অনুসন্ধানী রিপোর্টার কাদরি ইনজামাম ও হাজিক কাদরি তাঁদের স্টোরিতে তুলে ধরেছেন, উত্তর ভারতীয় শহর চণ্ডীগড়ের দলিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে তাদের পৌরসভার উর্ধ্বতন কর্তারা জিপিএস-সক্ষম স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে ডিজিটাল উপায়ে ট্র্যাক করেছেন। কর্তৃপক্ষ ৪,০০০ ঝাড়ুদারদের জন্য কথিত মানব দক্ষতা ট্র্যাকিং সিস্টেম নামক একটি যন্ত্র পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে। এই যন্ত্রে জিপিএস ট্র্যাকার ছাড়াও একটি মাইক্রোফোন, কর্মীদের ফোন করার জন্য একটি সিম এবং উপস্থিতির প্রমাণস্বরূপ কর্মীদের ছবি পাঠানোর জন্য একটি ক্যামেরা আছে৷ এটি খুলে রাখা হলে আধা কর্মদিবসের বেতন কাটা হয়। ইনজামাম ও কাদরি লিখেছেন যে ইন্দোর, নাগপুর, নভি মুম্বাই, পঞ্চকুলা, থানে ও মহীশূরসহ এক ডজনেরও বেশি শহরে এখন পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে এই পদ্ধতিতে নজরদারি করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের গোপনীয়তা, ডেটা সুরক্ষা এবং মানবাধিকারের পাশাপাশি তাদের জনগোষ্ঠীর প্রতি এ ধরনের আচরণ নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুন
সম্পাদকের বাছাই: ২০২১ সালে ভারতের সেরা অনুসন্ধান
‘হাতে কলম তোলাটাই ছিল, বৈপ্লবিক’: ভারতের প্রান্তিক, গ্রামীণ নারীদের গল্প বলা
টিপস ফর ইনভেস্টিগেটিং হেট ক্রাইম অ্যান্ড ভায়োলেন্স হোয়েন গভর্নমেন্ট ডেটা সোর্সেস ফেইল
দীপক তিওয়ারি ভারতীয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, এবং ভুপালের মাখনলাল চতুর্বেদী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশনের উপাচার্য। ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি প্রতিবেদক, সহ-সম্পাদক, টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার, গণমাধ্যম পরামর্শক, এবং একটি উঠতি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন । তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় রাজ্য মধ্য প্রদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে দুটি বইও লিখেছেন।