গণতন্ত্রের মতোই এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও এই শতকের সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায়, আর সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং নজরদারিও ঠেকেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত ৩রা মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করেছে গোটা বিশ্ব।
গণমাধ্যমের রাজস্ব ঘাটতি, মিথ্যা তথ্যের ব্যাপক প্রসার, ক্রমবর্ধমান আইনী হয়রানি ও স্বৈরশাসনের উত্থানের প্রতিকূল স্রোতের মধ্যেই ইউনেস্কোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংগঠনগুলো দিনটিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। আর ইউক্রেন থেকে সার্বিয়া হয়ে মেক্সিকো পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলো সাহসিকতার সঙ্গে সত্য উদঘাটন ও সত্য ঘটনার রিপোর্টিং চালিয়ে যাচ্ছে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করছে।
এই অদম্য প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো সাংবাদিক ও মানবাধিকার সমর্থকদের মধ্যকার বিকাশমান জোট। তারা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে একে অপরকে বেশি সহায়তা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী বার্তাকক্ষগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, অভিজ্ঞ যুদ্ধ-সাংবাদিকদের কাছে নির্বাসিত সাংবাদিকদের ভিডিও পাচার করা, কিংবা ইউক্রেনের সাংবাদিকদের জন্য সিরিয়ার সহকর্মীদের পরামর্শ দেওয়ার মত প্রতিটি ঘটনায় আপনি এই সম্পর্ক দেখতে পাবেন।
জিআইজেএনের সদস্য প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নাালিস্টস (আইসিএফজে) ২০২২ সালের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে “সংকটময় সময়ে রিপোর্টিং” শিরোনামে যে ওয়েবিনার আয়োজন করেছে, সেখান থেকে সবাই অধ্যবসায়ের এই বার্তাই সঙ্গে নিয়ে গেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চারটি অঞ্চল কাভার করা সাংবাদিকদের তুলে ধরেছে এই প্যানেল।
একই ধরনের নিঃস্বার্থ সাহস প্রতিধ্বনিত হয়েছে মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের অন্যান্য আয়োজনেও। যেমন: বেলারুশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ জার্নালিস্ট (বিএজে)-কে ইউনেস্কো/গিলের্মো কানো ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম পুরস্কার প্রদান। কলম্বিয় সাংবাদিক গিলের্মো কানো ইসাজার সম্মানে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়। ১৯৮৬ সালে তাঁকে তাঁর রিপোর্টিংয়ের জন্য হত্যা করা হয়। বিএজের ওপর দেশটির স্বৈরতান্ত্রিক সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তাদের অফিসেও অভিযান চালানো হয়েছিল। এরপরও তারা যেভাবে সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে এবং এই অঞ্চলে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে চলেছে – তারই স্বীকৃতি এবারের পুরস্কার।
🔴 BREAKING!
Belarusian Association of Journalists (@baj_by) has been named as the laureate of the 2022 @UNESCO / Guillermo Cano World #PressFreedom Prize.
📰https://t.co/mKhWKWRajo #WorldPressFreedomDay pic.twitter.com/qSC8xfQbog
— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳😷 (@UNESCO) April 26, 2022
চলতি সময়ে বাক-স্বাধীনতার অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, সাংবাদিকতার পদকও সংকটের মুখে পড়েছে। এপ্রিলের শেষ দিকে হংকংয়ের সুপরিচিত ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব তাদের মানবাধিকার বিষয়ক গণমাধ্যম পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ভয় ছিল, নিছক একক একটি স্টোরিতে আলোকপাতের কারণে হংকংয়ের নতুন দমনমূলক জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘিত হতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে কম স্বাধীন অঞ্চলগুলোর গভীরে দৃষ্টিপাত
লাতিন আমেরিকা, রাশিয়া, আফগানিস্তান, এবং ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া ও জিবুতির সমন্বয়ে গঠিত আফ্রিকার শিং খ্যাত সোমালি উপদ্বীপে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী চার প্যানেলিস্টের। তাঁরা একমত: পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অলাভজনক স্বাধীন গণমাধ্যমগুলো ইতিবাচক পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ও সেন্সরশিপ প্রতারণা মুক্ত অ্যাপগুলোর মতো নতুন নতুন টুল এবং শর্টওয়েভ রেডিওর মতো পুরনো, লো-টেক সংবাদ-বিতরণ পদ্ধতিও সাহায্য করছে।
অবশ্য, এরপরও স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে শক্তিধরদের সংঘবদ্ধ হওয়ার করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন সমবেত সাংবাদিকেরা।
আইসিএফজের কন্টেন্ট বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উপস্থাপক প্যাট্রিক বাটলার এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে বলেছেন, “ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র, মেক্সিকোর সীমান্ত, চীনের কারাগার, তুরস্ক ও ইরিত্রিয়ার সহ আরও অনেক দেশে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সম্ভব সব কিছুই করছে সরকারগুলো – এখন পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়।”
ভয়েস অব আমেরিকার উগ্রবাদ ও মুক্ত গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিবেদক সিরওয়ান কাজ্জো বলেছেন, বিনা উস্কানিতে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়ায় কঠোর সেন্সরশিপ এবং ইউক্রেনে উন্মুক্ত সংঘাত ও তার জের ধরে পরবর্তীতে নতুন সরকারি সেন্সরশিপ – উভয় দেশের গণমাধ্যম পরিবেশকে উল্টে দিয়েছে।
কাজ্জো বলেন, “সরাসরি গুলির আঘাতে বা ভুল সময়ে ভুল জায়গায় অবস্থান করায় অন্তত নয় সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। রাশিয়ায় পাশ করা নতুন আইন, অবশিষ্ট কিছু স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্যে যুদ্ধ নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করেছে।”
কাজ্জো আরও বলেন, “ইউক্রেনের সাংবাদিকেরা আরও অনেক সমস্যা মোকাবিলা করেন। অনেকে মাসের পর মাস তাঁদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন, অনেকে দিন-রাত কাজ করেন। কেউ ভাবেনি যে রাশিয়া আসলেই আগ্রাসন চালাবে- সংবাদমাধ্যমগুলো শতভাগ প্রস্তুত ছিল না, এবং নিঃসন্দেহে বড় ধরনের এই আগ্রাসনের জন্য তো নয়ই।”
নির্বাসন সাংবাদিকতার উত্থান
রাশিয়া ও ইউক্রেন নিয়ে তাঁর নিরস বিশ্লেষণে, কিছুটা আশার আলো-ও দেখিয়েছেন কাজ্জো। বলেছেন, “নির্বাসিত সাংবাদিকেরা সেই তথ্যশূন্যতা পূরণে দারুণ কাজ করছে।”
আফগানিস্তানের পিএওয়াইকে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সামি মাহদি বলেন, নির্বাসিত সাংবাদিক এবং আফগানিস্তানে অবস্থানরতদের মধ্যকার দৃঢ় বন্ধনও একইভাবে টিকে আছে, যা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রেখেছে। গত গ্রীষ্মে তালেবান বাহিনী কাবুল দখলের পর, মাহদি তাঁর নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
মাহদি ব্যাখ্যা করেন, “সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের ১৫ই আগস্ট দখল হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ছয় হাজারের বেশি সাংবাদিক বেকার হয়েছেন, ৪০ শতাংশ গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে, ৮৫ শতাংশ নারী সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন, এবং ৮০ জনের বেশি রিপোর্টার তালেবানদের দ্বারা কারাবন্দীত্ব এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।” তিনি বলেন, “সেল্ফ-সেন্সরশিপ এখন বাড়ছে, কারণ অস্ত্রধারীরা অস্ত্র হাতে সংবাদকক্ষে আসে এবং সম্পাদককে তালেবান নীতি অনুযায়ী প্রতিবেদন সম্পাদনা করতে বলে।”
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। মাহদি বলেন, স্থানীয় আফগান সাংবাদিকদের জোর করে বলানো হয়, নির্বাসিত সাংবাদিকেরা সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের জন্য দায়ী। “তবে সেই কৌশল বেশি দিন টিকেনি,” বলেন তিনি। নিউজ সাইট বন্ধ করার ব্যাপারে কিছু স্বৈরশাসকের চেয়ে তালেবানরা কিছুটা মন্থর হলেও তিনি সতর্ক করে বলেন, আসন্ন ডিজিটাল ক্র্যাকডাউনের অশুভ লক্ষণ এখনো বিদ্যমান। তিনি জানান, “তালেবান, আফগানিস্তানে কেবল টিকটক নিষিদ্ধ করেছে।” ফিল্টার-বিহীন সংবাদ ও তথ্য প্রচারের মতো অবশিষ্ট অল্প কয়েকটি প্লাটফর্মের একটি ছিল এই টিকটক। “মানুষ ভেবেছিল, তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান নেই, কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে।”
কর্তৃত্ববাদী গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সহিংসতা
বিস্ময়কর হলেও সত্য, সাংবাদিকদের জন্য পরিবেশ এর চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। গত বছরের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক অনুসারে, তার উদাহরণ হলো পূর্ব আফ্রিকার ইরিত্রিয়া, যেখানে অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।
ভয়েস অব আমেরিকার ইরিত্রিয়ান বংশোদ্ভূত সম্পাদক প্যানেলিস্ট সালেম সলোমনের পর্যবেক্ষণ: “আফ্রিকার শিং এমন একটি অঞ্চল, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বড় একটি ধাপ পিছিয়ে গেছে।” সলোমন আরও বলেন, “ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ঠিক আগে ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়ার মধ্যকার সংঘাতটিই সবচেয়ে বড় ছিল। দেশ দুটির সরকারও চলমান যুদ্ধ ও মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমকে সংবাদ করা থেকে বিরত রেখেছে। কেবল ২০২১ সালেই ইথিওপিয়াতে ৪৬ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে, যা ইথিওপিয়াকে আফ্রিকায় সাংবাদিকদের নিকৃষ্টতম আটককারীতে পরিণত করেছে।”
হর্ন অব আফ্রিকায় ইন্টারনেটের ওপর সরকারের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণও নির্বাসনসহ সাংবাদিকদের প্রতি আরও বেশি প্রতিহিংসা ও হয়রানির পথ প্রশস্ত করেছে। তিনি বলেন, “দেশগুলোতে ইন্টারনেটের মালিকানা এবং একক মালিকানা মূলত সরকারের হাতেই থাকে, আর তাই তথ্য প্রবাহের কর্তৃত্বও তাদের হাতে থাকে। প্রকৃতপক্ষে ইথিওপিয়াতে বর্তমানে তথ্য বিপর্যয় চলছে।”
বাকস্বাধীনতাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে প্রণয়ন করা নিয়ন্ত্রণমূলক আইন দিয়ে সরকারগুলো গণমাধ্যমের অসীম শক্তিকে বেঁধে ফেলেছে। তিনি বলেন, “বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাভার করা সাংবাদিকদের বিচারের আওতায় আনতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহৃত হয় – গোটা বিষয়টি অনেকটা এমন যে, কোনো বিদ্রোহীর সাক্ষাৎকার নেয়া মানে আপনি (অভিযুক্ত) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।”
লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশের গণমাধ্যম একই ধরনের হুমকি মোকাবিলা করছে। মেক্সিকো বর্তমানে রিপোর্টারদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ। সেখানে এ বছরের প্রথম চার মাসেই নিহত হয়েছেন আটজন সাংবাদিক। আইসিএফজে এর লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি পরিচালক অ্যালিজা অ্যাপলবাম বলেন, “হাইতি ও কম্বোডিয়াও বিপজ্জনক অঞ্চল, তবে এই মুহূর্তে আমাদের উদ্বেগের বিশেষ কেন্দ্রবিন্দু নিকারাগুয়া, যেখানে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিম্নগামী। অনেক স্বাধীন সাংবাদিককে নির্বাসনে যেতে হয়েছে, এবং তাঁদের অবদানের কারণে আরও অনেকে প্রকাশনার কাজ চালিয়ে গেছেন। তবে তথ্যের জন্য নিকারাগুয়া রেডিওর ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল, তাই আপনি কেবল বাইরে থেকেই এতটা করতে পারেন।”
অ্যাপলবাম বলেন, স্বৈরশাসকেরা কাজে লাগাচ্ছেন মানুষের একটি সাধারণ প্রবণতাকে, যেখানে পূর্ব-ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তথ্য-নির্ভর প্রতিবেদনও মানুষ প্রত্যাখ্যান করে, তা প্রমাণ যতই জোরালো হোক। তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ সাধারণত মানতে চায়না যে তাদের বিশ্বাস ভুল। স্বৈরশাসকেরাও জানেন, কোনো একটি দাবির ক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন প্রথম হওয়া; ঠিক না বেঠিক, সেটি বিবেচ্য নয়; কারণ মানুষ কোনো দাবির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ধারণাকেই ধরে রাখতে চায়।”
কাজ্জো বলেন, মিররিং সাইটের মতো নতুন প্রযুক্তি দমনমূলক সমাজে পাঠকশ্রোতার জানার পরিধি বাড়াতে বেশ কার্যকর। তবে সলোমন জোর দিয়ে বলেছেন, পুরনো চ্যানেলগুলো ভুলে যাওয়াও ঠিক হবে না। তিনি বলেন, “আফ্রিকায় এখন শর্টওয়েভ রেডিওর গুরুত্ব অনেক বেশি, যেখানে ইন্টারনেটের ব্যবহার সামান্য। এভাবেই আপনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবর পাবেন।”
সব প্যানেলিস্টের কাছেই জানতে চাওয়া হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার এই নেতিবাচক প্রেক্ষাপটে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু আছে কি না। উত্তরে তাঁদের সবার বিষয়বস্তু অনেকটা একই ছিল: কাজ চালিয়ে যান; হাল ছাড়বেন না। মাহদি সংক্ষেপে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেন অনেকটা এভাবে: “আমি দেখতে চাই, সাংবাদিকেরা যেন রিপোর্ট করা চালিয়ে যান।”
আরও পড়ুন
অন ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে ২০২১, রিকগনাইজিং “ইনফরমেশন অ্যাজ এ পাবলিক গুড”
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকোচন করলে অর্থনীতির ক্ষতি হয়
১০ ওয়েজ টু ট্র্যাক প্রেস ফ্রিডম ডিউরিং দ্য প্যানডেমিক
রোয়ান ফিলিপ জিআইজেএনের প্রতিবেদক। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমস পত্রিকার সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। বিদেশি প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের ২৪টির বেশি দেশে সংবাদ, রাজনীতি, দুর্নীতি ও সংঘাত নিয়ে রিপোর্ট করেছেন।