ল্যাটিন আমেরিকায় গণমাধ্যমের সার্বিক দৃশ্যপট বেশ সমস্যাসংকুল। বর্তমানে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ, মেক্সিকো। এল সালভাদরে সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও নজরদারির সম্মুখীন হন। পেরু হয়ে উঠেছে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিচারিক হয়রানির এক উদ্বেগজনক নজির। কিন্তু চুপ থাকা বা বাধ্য হয়ে নিরব থাকা যেহেতু কোনো বিকল্প নয়, তাই এই অঞ্চলের সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ করার প্রয়াসে তাদের নিজেদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, এবং হামলার কথা সাহসের সঙ্গে তুলে ধরতে গিয়ে সামাজিক মাধ্যম এবং সহকর্মীদের মধ্যে সংহতিকে কাজে লাগাচ্ছেন।
“মেক্সিকোর পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল” – বলছিলেন অলাভজনক অনুসন্ধানী সংস্থা কুইন্তো এলিমেন্তো ল্যাব-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক মার্সেলা তুরাতি। তামাউলিপাস অঞ্চলের গোপন কবরে পাওয়া ১৯৬ জনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে তিনি নিজেও মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কর্মকর্তাদের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
২০২২ সালের প্রথম কয়েক মাসে মেক্সিকোতে পাঁচ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন আর্টিকেল নাইন্টিনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ সাল থেকে দেশটিতে প্রায় দেড়শ’ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে; নিখোঁজ হয়েছেন আরও অনেকে। প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সমালোচনা করা মেক্সিকোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোরের দিকে ইঙ্গিত করে তুরাতি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির ঘটনাও ক্রমেই বাড়ছে।
সম্প্রতি তুরাতি বুঝতে পারেন, তাঁর মোবাইল ফোন পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে হ্যাক করা হয়েছে। সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠনগুলোর ওপর গোপন নজরদারির উদ্দেশ্যে সরকারগুলো অনেক সময় এই স্পাইওয়্যার ক্রয় করে। এল সালভাদরে সাংবাদিকদের ওপর একটি বড় আকারের নজরদারি আক্রমণ শুরু হয়েছিল। এল ফারো, এখানেই অবস্থিত।
এল সালভাদোরের একটি স্বাধীন অনলাইন সংবাদ সাইট এল ফারো। তাদের ওয়াশিংটন ডিসি প্রতিনিধি হোসে লুইস সাঞ্জ বলেন, “আমরা এরইমধ্যে আমাদের ডিভাইসগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তিনটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছিলাম এবং শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাই যে ৩৬ জনের প্রতিষ্ঠানে ২২ জনই পেগাসাস গুপ্তচরবৃত্তির শিকার হয়েছেন।”
পেরুর পরিস্থিতি অতটা বিরূপ না হলেও অনুসন্ধানী রিপোর্টার ক্রিস্টোফার আকোস্টা বলেছেন, ধনকুবের ও রাজনীতিবিদ সিজার আকুনার জীবন সম্পর্কে “প্লাটা কোমো কাঞ্চা” (অর্থ “বালতি ভরা নগদ টাকা”) নামের বইটি প্রকাশের পর তিনি বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ মামলাসহ আইনী হয়রানির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এক লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ এবং দুই বছর কারাদণ্ডের রায় হয়েছে, তবে আমরা আপিল করছি।”
এই তিন সাংবাদিক, গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের লেসনস ফ্রম জার্নালিস্টস আন্ডার অ্যাটাক শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নেন। সিলভিয়া ভিনিয়াসের সঞ্চালনায় তাঁরা সেখানে তাঁদের আইনী লড়াই, আগ্রাসী নজরদারি, হয়রানি ও হত্যার হুমকি মোকাবিলার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে তাঁদের সহকর্মীদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
কৌশল হিসেবে সাংবাদিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি?
পেগাসাস প্রজেক্ট ফাঁসকাণ্ডে বিশ্বজুড়ে ৫০,০০০ ফোন নম্বরের একটি তালিকা বেরিয়ে আসে, যাদেরকে নজরদারির জন্য বাছাই করেছিল ইজরায়েলি এনএসও গ্রুপের গ্রাহকেরা। সেখান থেকেই তুরাতি জানতে পারেন যে, তিনি গুপ্তচরবৃত্তির শিকার। তিনি বলেন, “পরোয়ানা ছাড়াই, প্রসিকিউটররা আমাদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেন এবং বিচারকের সঙ্গে তর্ক এড়াতে আমাদের অপহরণ এবং সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে জড়ানো হয়।” ঘটনাটি ২০১৬ সালের, কিন্তু তারপর থেকেই নজরদারি চালু আছে কিনা তিনি সেটি জানেন না। তাঁর সন্দেহ, তামাউলিপাসের গণহত্যা নিয়ে অনুসন্ধানের কারণে এই গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়।
ঠিক কী কারণে এল ফারো-র সদস্যদের ফোনে নজরদারির সূত্রপাত, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। হামলার ব্যাপকতায় তাঁরাও বিস্মিত। সাঞ্জ যেমন বলেন, “ঠিক কোন অনুসন্ধানগুলো মাথাব্যাথার কারণ, তা সনাক্ত করা আমাদের পক্ষে বেশ কঠিন।” তিনি বলেন, “আমি হ্যাক হওয়া প্রথম ব্যক্তিদের একজন ছিলাম; এটা যৌক্তিক, কারণ আমি পরিচালক ছিলাম বলে বিভিন্ন সম্পর্ক এবং প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে পরিচালিত হয়, সে সম্পর্কে তারা জানতে পারত। কিন্তু… এমনকি মার্কেটিং ম্যানেজার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপকের মোবাইলও হ্যাক করা হয়েছিল।” তাঁর মতে, এত মানুষের ওপর নজরদারির একমাত্র কারণ হলো সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহি করা একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
এল ফারোর বিশ্বাস, ফোনে আড়িপাতার পেছনে সরকারের হাত ছিল, যদিও প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এটি অস্বীকার করেছেন। তবে, ক্রমেই আরও বিরূপ হয়ে ওঠা পরিবেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাঞ্জ বলেছেন, শুধু অপরাধী গোষ্ঠীগুলোই যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ।
সাঞ্জ ব্যাখ্যা করেন, “হুমকি ও ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, তাতে সরকার বা তার ভেতরের দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠী জড়িত, যেমন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও পুলিশ।” রিপোর্টাররা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও সংগঠিত অপরাধী চক্রের কাছ থেকে হুমকি পেয়ে থাকেন ঠিকই, তবে সেই হুমকিগুলো তুলনামূলক অনিয়মিত ও নির্দিষ্ট স্টোরির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সাঞ্জ দাবি করেন, “গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রচারণা প্রেসিডেন্সি থেকেই আসছে।” তিনি বলেন, অস্বাভাবিক আর্থিক নিরীক্ষা অথবা প্রেসিডেন্সি থেকে জনসস্মুখে সংবাদ সাইটটির বিরুদ্ধে অর্থপাচার বা করফাঁকির অভিযোগ এনে, গত দুই বছরে এল ফারো এবং এর সাংবাদিকদের সম্মানহানি করার প্রচেষ্টা বেড়েছে।
সাঞ্জ আরও বলেন, “রাষ্ট্রযন্ত্রকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এবং আরও নির্দিষ্ট করে বললে, আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর আঘাত আসছে, তবে তাঁদেরকে ভীত করতে পুরো একটি সমাজকেই আতঙ্কিত করা হচ্ছে, যেন তাঁরা সাংবাদিক ও সত্যের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে না পারে।”
তুরাতি বলেছেন, তাঁর দেশের সাংবাদিকেরাও একই ধরনের পদ্ধতিগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। “এটা মনে করা হয় যে মেক্সিকোতে [সাংবাদিকদের] খুনিরা সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত, কিন্তু আমরা যা দেখেছি তা হলো প্রধান হয়রানিকারীরা সরকারি কর্মকর্তা,” বলেন তুরাতি৷ তিনি উল্লেখ করেছেন যে দুর্নীতি, পুলিশের স্টোরি, চড়া-বাজির ব্যবসা নিয়ে স্টোরি এবং মাদক পাচারের ঘটনা প্রকাশ করার সময় সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন। তিনি বলেন, “যখন অনেক টাকার বিষয় থাকে তখন তারা আপনাকে তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেয়।”
তুরাতি বলেন, স্বয়ং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট গণমাধ্যমকে হেনস্তায় উৎসাহ দেন এবং তিনি “প্রত্যেক সাংবাদিককে” “দুর্নীতিগ্রস্ত, অসৎ অপরাধী” হিসেবে অভিহিত করেছেন। “এর একমাত্র কারণ, এই অনুসন্ধানগুলো তাঁকে বিব্রত করে।”
বড় শহর থেকে দূরে বাস করা এবং বড় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বাইরে কাজ করা স্থানীয় সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি বিপদে থাকেন। তুরাতি নির্দিষ্ট করে বলেন, “নিহত দেড়শ সাংবাদিকদের মাত্র দু’জন মেক্সিকো সিটির। প্রত্যুত্তর দেয়ার, সক্রিয় হওয়ার ও নিজেদের নিরাপদ রাখার মতো যথেষ্ট শক্তিমত্তা ও প্রভাব না থাকা সাংবাদিক ও স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো এই আগ্রাসনের শিকার হন।”
আর সাংবাদিকেরা যখন প্রতিদিনের কাজ করে, যেমন: হেঁটে গাড়িতে চড়া, স্কুলে যাওয়া, বা কর্মস্থল ত্যাগ করা, অনেক সময় তখনই এই হামলাগুলো ঘটে থাকে। তুরাতি বলেন, এ থেকে আমরা বুঝতে পারি, হামলার শিকার হওয়ার আগে তাঁদেরকে অনুসরণ করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে মানুষকে যেখানে প্রায়শ হুমকির শিকার হতে হয়, তাই কোনটি সত্যি, তা বুঝতে পারা কঠিন।” তাই তিনি যৌথভাবে পেরিওদিস্তাস দে আ পাই নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ করে। তিনি মনে করেন, নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও ঝুঁকি কমাতে সাংবাদিকদের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি। তাঁর সুপারিশগুলো হলো:
- একা অনুসন্ধানের কাজ করবেন না।
- মনে রাখবেন, যা কিছু বলা হচ্ছে, তা কেউ না কেউ শুনছে।
- রিপোর্টারদের সিগনাল, নিরাপদ ই-মেইলের মতো এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত, এবং তাঁরা ক্লাউডে যা কিছু আপলোড করছে, তা দ্বিতীয়বার যাচাই করা উচিত।
- কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের সময় ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করতে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- দলের জন্য আচরণবিধি তৈরি করুন।
- বৈধ পাসপোর্ট ও অর্থ হাতে রাখুন, পাছে দেশত্যাগের প্রয়োজন হয়।
- অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে নিজের নাম (বাইলাইন) পরিহার করুন। আপনার নাম ব্যবহার সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
- বর্হিবিশ্বের সাংবাদিকদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করুন, যাঁরা বিনা ঝুঁকিতে আপনার স্টোরি প্রকাশ করতে পারেন।
- এই পেশার আবেগগত ও মানসিক চাপ সম্পর্কে সজাগ থাকুন, এবং প্রয়োজন হলে থেরাপি নিন।
সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে আদালতের ব্যবহার
পেরুতে পরিস্থিতি আপাতদৃষ্টিতে কম সহিংস হলেও অনুসন্ধানী সাংবাদিক ক্রিস্টোফার আকোস্টা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আদালতে হয়রানিমূলক মামলার হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হলো, বিচারকেরা এই মামলাগুলো আমলে নিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরাই” দেশটিতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য হুমকি এবং তিনি উল্লেখ করেন, যৌন নিগ্রহ উন্মোচনের মতো সাড়াজাগানো যে কোনো স্টোরি প্রকাশের পরপরই তাঁর সহকর্মীরা আইনী হুমকির শিকার হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্টারদের এমন সব মামলায় জড়ানো হয়, যেগুলোর সঙ্গে তাঁদের পেশাগত সংশ্লিষ্টতা নেই; অপরিচিতদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলাগুলো করানো হয়।
আকোস্টাকে তাঁর বই নিয়ে মামলার ভয় দেখানোর পর, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমের সমর্থনের কারণে বইটি বরং আরও বেশি সমাদৃত হয়েছে। তাঁর বইয়ের বিষয়ে আকোস্টা বলেন, “তিনি চেয়েছিলেন (আমি যা পেয়েছি) কেউ না জানুক, আর ফল পেয়েছেন ঠিক উল্টো: বইটি নবম বারের মতো মুদ্রিত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, এসব হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিশেষ করে, সাংবাদিকদের আঘাত করার জন্য এবং সামগ্রিকভাবে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আস্থা নষ্ট করার জন্য এগুলো সাজানো হয়েছে। “একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা এই ধারণাকে জোরদার করে করে যে তারা যা বলছেন তা সত্য নয়,” অ্যাকোস্টা বলেন।
পরিবর্তে, সাংবাদিকদের একে অপরের খোঁজ করতে হবে, জোট গড়তে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে বলে একমত হন প্যানেলিস্টরা।
সাঞ্জ বলেন, “কেউ নিজে নিজে সুরক্ষিত হতে পারে না। আমরা এমন এক যুগে আছি যেখানে আমরা সবাই বুঝতে পারি যে সহকর্মীদের সুস্থতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু্ নেই।” বড় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হোক বা একক ফ্রিল্যান্সার, শুধুমাত্র সহযোগিতা ও ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকেরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তিনি বলেন, “এতে আমরা সবাই একসঙ্গে আছি।”
আরও পড়ুন
জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টার: লিগাল ডিফেন্স অ্যান্ড ইমার্জেন্সি এইড
জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টার: সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি
আন্ডার অ্যাটাক: এল ফারো’জ গাটসি রিপোর্টিং ইন লাতিন আমেরিকা
মারিয়া লরা চ্যাং বুয়েনোস আইরেস ভিত্তিক একজন ভেনেজুয়েলীয় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। মানবাধিকার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, এবং অভিবাসনের মতো সামাজিক বিষয়ে তাঁর বিশেষজ্ঞতা আছে। তিনি বর্তমানে চিকাস পোদেরোসাস দলের সদস্য এবং বহুজাতিক ও সহযোগিতামূলক অনুসন্ধানে আগ্রহী।