সম্পাদকের নোট: ইউনিভার্সিটি অব মিজৌরিভিত্তিক সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠান, ডোনাল্ড ডব্লিউ রেনল্ডস জার্নালিজম ইনস্টিটিউট উদ্ভাবনী ও নিউ মিডিয়া প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। তাদের এই লেখা শেয়ার করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। লেখাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপট ধরে আলোচনা করা হলেও এটি বৈশ্বিকভাবেও প্রাসঙ্গিক; বিশেষ করে বিশ্বের যেসব জায়গায় রেডিও এখনো প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিসেবে টিকে আছে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য প্রতিবেদন শোনার সুযোগ করে দেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একই কথা প্রযোজ্য সেসব মানুষের বেলায়ও, যাঁরা কোথাও যাওয়া বা আসার পথে প্রতিবেদনটি শুনে নিতে চান।
২০২১ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে সব ধারার গণমাধ্যমের মধ্যে অডিওর সাপ্তাহিক রিচ সবচেয়ে বেশি ছিল। এ বছরের শুরুর দিকে নিয়েলসেন প্রকাশিত ডেটা থেকে দেখা গেছে: অডিও মাধ্যমের মাত্র একটি ধারা— রেডিও, প্রতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ৮৮% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কাছে পৌঁছায়। এর পরে আছে স্মার্টফোনভিত্তিক অ্যাপ (৮৫%) ও টেলিভিশন (৮০%)।
অডিওর প্রতি আমাদের জাতীয় ভালোবাসা এখন আর শুধু প্রথাগত রেডিওর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। পডকাস্টের মাধ্যমে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মতো জায়গায় অডিওর আবির্ভাব ঘটছে। এর অর্থ: আমরা যেভাবে এই ধরনের কনটেন্ট গ্রহণ করছি, তাতে অডিও খাত আরও বড় এবং বিকশিত হবে।
এবং এটি ছোট-বড় সব ধরনের নিউজরুমের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে। এই ধারায় শামিল হতে চাইলে আপনার রেডিও স্টেশনই থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। নিচে আমি তিনটি ক্ষেত্র ও নয়টি ভিন্ন ভিন্ন উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছি: কীভাবে সাংবাদিকেরা ও নিউজরুমগুলো আরও কার্যকরভাবে অডিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে।
পর্দার পেছনের ঘটনায় উঁকি দিতে উৎসাহিত করুন
সাংবাদিকতা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, তা এখন খুব ভালোই জানা। এটি কাটিয়ে ওঠার জন্য সংবাদমাধ্যমগুলো আরও মুক্ত, সহজলভ্য ও জবাবদিহিমূলক হয়ে উঠতে পারে। অডিও ঠিক এ কাজটিই আরও কার্যকরভাবে করার সহজ সুযোগ করে দেয়।
১. “গল্পের পেছনের গল্প” বলুন
একটি প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়া পাঠকদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে নিউজরুমগুলো আরও স্বচ্ছ হয়ে উঠতে পারে। তারা দর্শকদের বলতে পারে: কোন কাজ, কীভাবে করা হয়েছে। ট্রাস্টিং নিউজ প্রকল্প দেখিয়েছে যে, এই বিষয়টি কয়েক ধরনের উপায়ে আপনার কাজের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায়। কোনো প্রতিবেদনের নেপথ্যে যেসব সাংবাদিক কাজ করেছেন, তাঁদের কণ্ঠ তুলে আনা যায় অডিওর মাধ্যমে। দ্য টিপ অফ এমনই একটি অনুষ্ঠান। এখানে তুলে আনা হয় বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের নেপথ্যের সাংবাদিকদের।
এই মডেলটি ব্যবহার করা যায় ফেসবুক লাইভের মতো প্ল্যাটফর্মের জন্যও। নেপথ্যে বাজতে থাকা অডিও থেকে দর্শকেরা নিউজরুমের নানা খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে শুনতে পারবেন, একই সঙ্গে অন্য কোনো কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন।
২. প্রাক্-দর্শনের সুযোগ করে দিন
এ সপ্তাহের পত্রিকায় কী আছে? এই ধরনের জায়গা থেকে ২০১৯ সালে একটি সাপ্তাহিক পডকাস্ট চালু করেছিল কটেজ গ্রোভ সেন্টিনেল (ওরিগন)। তৎকালীন সম্পাদক ক্যাটলিন মে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন:
আমরা এখানে কথা বলব: কীভাবে আমরা প্রতিবেদনটি খুঁজে পেয়েছি, কী ধরনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি এবং কেন কিছু বিষয় করেছি বা করিনি। সব মিলিয়ে, এটি হবে ৫ থেকে ১০ মিনিটের একটি জিনিস, যা শহরের ভেতরে ছোট্ট সফর, স্কুল বা কফি ব্রেকে শোনার জন্য আদর্শ।
আরও দক্ষিণে, ক্লামাথ ফলসভিত্তিক হেরাল্ড অ্যান্ড নিউজও কাছাকাছি ধরনের একটি বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। তারা তৈরি করেছে দু-তিন মিনিটের একটি পডকাস্ট, যার শিরোনাম, টুমরোজ হেডলাইনস টুডে। এতে আগামী দিনের পত্রিকার কিছু টুকরো ধারণা দেওয়া হয়।
শ্রোতাদের আরও গভীরে যাওয়ার সুযোগ করে দিন
৩. লংফর্ম স্টোরিটেলিং ব্যবহার করুন
সম্প্রতি রয়টার্স ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রে যত ধরনের কনটেন্ট তৈরি হয়, সেগুলোর মধ্যে ডেইলি নিউজ পডকাস্ট থাকে মাত্র ১%। কিন্তু সব মিলিয়ে এগুলো ডাউনলোড হয় ১০%-এর বেশি। ফ্রান্সে ও অস্ট্রেলিয়ায় সংখ্যাটি ৯%।” প্রাত্যহিক কনটেন্টের বাইরে, অডিও মাধ্যমকে এখন ডিজিটাল বা প্রিন্ট রিপোর্টিংয়ের বাইরে আলাদা একটি ধারা হিসেবে ব্যবহার করছেন প্রকাশকেরা।
এ ধরনের কাজের একটি উদাহরণ আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশনের ব্রেকডাউন পডকাস্ট। এখন চলছে এর অষ্টম সিজন। প্রতি সিজনে একটি নির্দিষ্ট বিষয় তলিয়ে দেখা হয়। চলতি সিজনে অনুসন্ধান করা হচ্ছে আহমদ আরবারি নামের ২৫ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে নিয়ে, যিনি গত বছর প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছিলেন।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায়, পুরস্কারজয়ী অনুষ্ঠান ফিবি’জ ফল-এ অনুসন্ধান করা হয়েছিল ২৪ বছর বয়সী ফিবি হ্যানসজাকের ঘটনা। তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল মেলবোর্নের একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টের আবর্জনা ফেলার জায়গায়। এক বছরের মধ্যে ছয় পর্বের এই সিরিজ ডাউনলোড হয়েছে ১২ লাখ বারের বেশি।
মেলবোর্নভিত্তিক পত্রিকা দ্য এজ-এর জ্যেষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং এই অনুষ্ঠানের সহ-উপস্থাপক রিচার্ড বেকার বলেছেন, “ভাগ্য প্রসন্ন হলে এই গল্প বলার জন্য আমরা হয়তো চার হাজার শব্দ পেতাম। কিন্তু মনে হয় না তার মধ্যে এই গল্পের সবকিছু বলতে পারতাম।”
৪. এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট দিন
এনগেজমেন্ট ও ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরির ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর হতে পারে পডকাস্ট। এটিকে দেখা যেতে পারে কনটেন্ট ও মুনাফার সম্পর্ককে টেকসই করে তোলার উপায় হিসেবে। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে আপনার একনিষ্ঠ শ্রোতাদেরও ভালোভাবে সেবা দিতে পারবেন।
বিষয়টি মাথায় রেখে, ওয়াশিংটন পোস্ট এমন কিছু অডিও কনটেন্ট তৈরি করে, যা শুধু সাবস্ক্রাইবাররাই দেখতে পায়। স্লেটও তার মেম্বারশিপ প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে ঠিক এ কাজই করে। যেমন, তাদের বিশেষ সিরিজ, স্লো বার্ন। এর বাড়তি কিছু পর্ব ও কনটেন্ট বরাদ্দ থাকে শুধু স্লেট প্লাস সদস্যদের জন্য। এখানে দর্শকেরা বিজ্ঞাপন ছাড়াই সেগুলো শুনতে পারেন।
৫. পুরোনো ও চিরসবুজ কনটেন্ট ফিরিয়ে আনুন
স্লো বার্নের প্রতিবেদনগুলো প্রায়ই সাম্প্রতিক সময়ের আবহে তৈরি করা হয়। তাদের মনোযোগ নিকট অতীত নিয়ে হলেও অনেক পুরোনো কনটেন্টও কখনো কখনো নতুন জীবন পায় অডিওর মধ্য দিয়ে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পেইড-ফর অ্যাপ অডএম-এর কথা। এর আর্কাইভে তিন হাজারের বেশি অডিও প্রতিবেদন আছে। এখানে যেমন রোলিং স্টোন ও দ্য নিউ ইয়র্কারের মতো জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন আছে, তেমনি দ্য টেক্সাস অবজারভার ও দ্য বিটার সাউদার্নারের মতো আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের পুরোনো প্রতিবেদনগুলোরও অডিও ভার্সন আছে। এভাবে তারা লম্বা ধাঁচের নতুন ও পুরোনো প্রতিবেদনগুলো পেশাদারদের দিয়ে উপস্থাপন করছে অডিও আকারে। যেগুলো প্রতিনিয়ত শোনা হচ্ছে এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
৬. টেক্সট-টু-স্পিচ সার্ভিস ব্যবহার করুন
সবাই অবশ্য তাদের কাজের জন্য অডএমের মতো পুরস্কারজয়ী ভাষ্যকারদের দিয়ে কাজ করাতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে, অ্যামাজনের পলি, প্লে ডট এইচটি, বা রিডস্পিকার-এর মতো সেবাগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি এই ধারাভাষ্য ক্রমেই বেশি মানুষের মতো শোনাচ্ছে। রোবটের কৃত্রিম ভাব ক্রমেই কমে আসছে।
কোনো প্রতিবেদন না পড়ে, সেটি শুনে নিতে পারা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে এটি তাঁদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ যাঁরা চলাচলের মধ্যে আছেন বা স্ক্রিন থেকে দূরে আছেন এবং প্রতিবেদনটি না পড়ে সেটি শুনে নিতে চাইছেন।
জুম ফ্যাটিগ যেভাবে ক্রমেই জেঁকে বসছে, তাতে আমাদের অনেকেই চাইবেন, প্রতিবেদনটি না পড়ে বরং শুনে নিতে।
নতুন নতুন শ্রোতার কাছে পৌঁছান
৭. সামাজিক মাধ্যমে অডিও স্নিপেট শেয়ার করুন
দীর্ঘদিন ধরে অডিওর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, এটি ভিডিওর তুলনায় ভাইরাল হয় কম। এ জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও এটি শেয়ার করা এবং এনগেজমেন্ট বাড়ানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে হেডলাইনার-এর মতো টুলগুলো এই সমস্যার দিকে নজর দেওয়া শুরু করেছে। তারা টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মের জন্য এমনভাবে দৃষ্টিনন্দন অডিও স্নিপেট তৈরি করছে, যেটি বড় সাক্ষাৎকার বা কনটেন্টের প্রিভিউ হিসেবে কাজ করতে পারে।
এ ধরনের আরেকটি সেবা দেয় অডিওগ্রাম। এখানে অডিও থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রান্সক্রাইব করা ক্যাপশন তৈরি করা যায়। মাথায় রাখুন: সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওর ৮৫ শতাংশই দেখা হয় অডিও ছাড়া। সেদিক থেকে এই সেবা উল্লেখযোগ্য।
নিউজরুম ও সাংবাদিকেরা এই দুটি অ্যাপেরই ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন এবং পাঠক-দর্শকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন। এগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন এ ধরনের কাজ কারিগরি জটিলতা ছাড়া এবং কম সময়ে করে ফেলা যায়।
৮. স্মার্ট স্পিকার ট্রেন্ড পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন
গুগল হোম, সিরি ও অ্যালেক্সার মতো স্মার্ট স্পিকার আরও সাম্প্রতিক উদ্ভাবন। ডিজিটাল ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টযুক্ত এই ডিভাইসগুলোকে বলা হচ্ছে স্মার্টফোনের পর সবচেয়ে দ্রুত-বৃদ্ধিশীল ভোক্তা প্রযুক্তি।
অবশ্য স্মার্ট স্পিকার যতটা উত্তেজনা ছড়িয়েছে, এটি ব্যবহার করে সংবাদ গ্রহণের হার বরং ধারাবাহিকভাবে কমই রয়ে গেছে। গান শোনা, আবহাওয়া ও ট্রাফিকের মতো কাজের তথ্য জানা, এবং পডকাস্ট শোনার মতো প্রথাগত কিছু অডিওসংক্রান্ত অভ্যাসই এগিয়ে ছিল।
নতুন এই মাধ্যমে কোন ধরনের ফরম্যাট সবচেয়ে ভালো কাজ করবে, তা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তার মানে এই নয় যে, এটি একসময় বড় হয়ে উঠবে না। একেও আপনার সংবাদ বিতরণ স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবে চিন্তা না করার কোনো কারণ নেই।
৯. সোশ্যাল অডিও সার্ভিসের জন্য তৈরি হতে থাকুন
শেষ পর্যায়ে বলতে হয় ক্লাবহাউস ধরনের অডিও সোশ্যাল মিডিয়ার কথা। সিলিকন ভ্যালির এই বহুল আলোচিত অ্যাপ এবং অন্যান্য “সোশ্যাল অডিও” সার্ভিস এখন পায়ে পা মিলিয়ে এগোচ্ছে। গত কয়েক মাসে ফেসবুক যেমন অডিও সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছে, তেমনি টুইটারসহ কয়েকটি স্টার্ট আপও অডিও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌড়ে অংশ নিচ্ছে।
প্রযুক্তি জগতের বিশ্লেষক জেরেমিয়াহ ওয়াং এমন ৩০টির বেশি সোশ্যাল অডিও প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ শনাক্ত করেছেন। তিনি এটিকে বলছেন “২০২০ দশকের জন্য ‘গোল্ডিলক’ মাধ্যম: শুধু টেক্সট যথেষ্ট নয়, আবার ভিডিও অনেক বেশি হয়ে যায়। সেই বিচারে সোশ্যাল অডিও একদম ঠিক জায়গায় আছে।”
“সোশ্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যৎ সবই কথায়,” গত বছর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল উইয়ার্ড। সাংবাদিক আরিয়েল পারদেস লিখেছিলেন, “এখন অনেক নতুন নতুন স্মার্ট স্পিকার, হেডফোন, ইয়ারবাড ও অন্যান্য অডিও হার্ডওয়্যার জনপ্রিয় হয়েছে। ফলে নিত্যদিনের জীবনে এই ধরনের অডিও শোনার অভ্যাসের সঙ্গে সংগতি রেখে কনটেন্ট তৈরি করা সহজ হয়ে উঠেছে।”
কথাগুলো অবশ্যই শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যই বলা হয়নি; এই ইঙ্গিত থেকে নিউজরুমগুলোও অডিও নিয়ে কাজ করার সুযোগ খুঁজতে পারে। অডিও কোনোভাবেই মৃতপ্রায় কোনো মিডিয়া নয়। ডিজিটাল নানা প্রযুক্তি এটিকে নতুন জীবন দিয়েছে। সাংবাদিক ও শ্রোতা—দুয়ের জন্যই এটি কেমন সম্ভাবনা তৈরি করছে, তা আমি আরও গভীরভাবে দেখতে চাই। আশা করি আগামী কয়েক মাসে সেগুলো আপনাদের জানাতে পারব।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ডোনাল্ড ডব্লিউ রেনল্ডস জার্নালিজম ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে। ক্রিয়েটিভ কমনস অ্যাট্রিবিউশন লাইসেন্সের আওতায় এটি এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হলো।
আরও পড়ুন
নিজের প্রথম অনুসন্ধানী পডকাস্ট তৈরি করতে গিয়ে যে ৭টি বিষয় শিখেছি
ফ্রম পডকাস্টস টু সোশ্যাল অডিও: ৭ ইনোভেশন ইন অডিও স্টোরিটেলিং
দ্য ডিজিটাল জার্নালিস্ট’স টুলবক্স: অডিও
ডেমিয়েন রেডক্লিফ ইউনিভার্সিটি অব ওরেগনের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির টো সেন্টার ফর ডিজিটাল জার্নালিজমের ফেলো। তিনি ডিজিটাল ধারা-প্রবণতা, সোশ্যাল মিডিয়া, মিডিয়া বাণিজ্য, নিউজরুমে অডিওর ব্যবহার কীভাবে করা যায় এবং আয় বাড়ানো যায়; ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন।