
ছবি: শাটারস্টক
দক্ষিণ আফ্রিকায় সহিংসতার শেকড় অনেক গভীরে, যার গোড়া লুকিয়ে আছে অতীতের ঔপনিবেশিক দখলদারিত্ব ও বর্ণবাদী শাসন কাঠামোয়। তখন শাসনের প্রধান হাতিয়ার ছিল বন্দুক ও চাবুক। সহিংসতার সেই ভীতি এখনো তাড়া করে বেড়ায় দেশটির নাগরিকদের। তারা নিজ ঘরে বা রাস্তায় অপরাধের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন সারাক্ষণ। তাই সেখানে অপরাধী, বিশেষ করে যারা কারাগারে আছেন, তাদের প্রতি কারোই তেমন সহানূভূতি নেই। এমনকি জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমেও তাদের নিয়ে খবর বেরোয় খুব কম।
কিন্তু রুথ হপকিন্স, ঠিক এই জায়গাটি নিয়েই গত এক দশক ধরে কাজ করে আসছেন। ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনাল সার্ভিসের অধীনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বন্দীরা কিভাবে সহিংসতা ও আমলাতান্ত্রিক উদাসীনতার শিকার হন, তা উঠে এসেছে হপকিন্সের অনুসন্ধানে। জানা গেছে: দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগারে বন্দীদের জীবনের সঙ্গে সংশোধন হওয়ার সম্পর্ক সামান্যই বলা চলে।
হপকিন্সের কাজের প্রধান জায়গা: দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রিজন-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স। এর স্পষ্ট প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় ব্রিটিশ বহুজাতিক কোম্পানি, জিফোরএস-এর কর্মকাণ্ডে। এটি বিশ্বের সবচে বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন নিরাপত্তা ঠিকাদারি কোম্পানি। তাদের নিয়ে কয়েক বছর ধরে অনুসন্ধান করেছেন হপকিন্স। লিখেছেন, “দ্য মাইজারি মার্চেন্টস,” নামের একটি বই, যার ওপর ভিত্তি করে আইএফ প্রোডাকশনস ও জাভা ফিল্মস তৈরি করেছে, পুরস্কারজয়ী তথ্যচিত্র “প্রিজন ফর প্রফিট”।
দক্ষিণ আফ্রিকার বেসরকারিখাতে সবচে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে যেসব প্রতিষ্ঠান, তাদের একটি জিফোরএস। এখানে কাজ করেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বিশ্বের ৯০টি দেশে ৫,৭০,০০০ ব্যক্তি তাদের হয়ে কাজ করে। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও তারা যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় কারাগার পরিচালনা করে। এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনসহ অনেক জায়গায় আধা-সরকারি ফ্যাসিলিটি চালায়। ২০১৯ সালে, তাদের বাৎসরিক মুনাফা ছিল ৭৭০ কোটি পাউন্ড (১০.৭ বিলিয়ন ডলার)।
তবে নিরাপত্তা ও কারাগার ব্যবস্থা নিয়ে কোম্পানিটির প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডের কথা আলোচিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ২০১২ সালে, লন্ডন অলিম্পিকের নিরাপত্তায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি কিশোর সংশোধনাগারের জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল কোম্পানিটি। আদালতের এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সেখানকার “জরাজীর্ণ ভবন, অপরিস্কার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং অপ্রশিক্ষিত ও অপর্যাপ্ত কর্মী ও সরঞ্জামের” কথা। ২০১৭ সালে বিবিসির করা একটি ছদ্মবেশী অনুসন্ধানে দেখা যায়, কিভাবে একটি সেন্টারে এক ব্যক্তির শ্বাসরোধ করা হচ্ছে এবং মৌখিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। এর জের ধরে, ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের অভিবাসী ও শরণার্থী খাত থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। একই বছর, ইউএসএ টুডের একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, জিফোরএস-এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার অফিসগুলো কমপক্ষে এমন ৩০০ কর্মীর চাকরি বহাল রেখেছে, যাদের নিয়ে অতীতে প্রশ্ন উঠেছে, এমনকি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোরও অভিযোগ আছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, গার্ডিয়ান রিপোর্ট করেছে, আরব আমিরাতের অভিবাসী কর্মীদের “অবৈধ ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে” কোম্পানিটিতে চাকরির জন্য।

ছবি: তথ্যচিত্র “প্রিজন ফর প্রফিট”-এর পোস্টার। এটি নির্মিত হয়েছে রুথ হপকিন্সের বইয়ের (ডানে) ওপর ভিত্তি করে।
নিপীড়নের চিত্র
ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া হপকিন্স, অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন উইটস জাস্টিস প্রজেক্টের (ডব্লিউজেপি) সাথে। জোহানেসবার্গের উইটওয়াটারস্ট্র্যান্ড ইউনিভার্সিটি-ভিত্তিক এই সংগঠন, বিশেষভাবে কাজ করে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে। এখান থেকেই হপকিন্স, জিফোরএস নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন।
কাজ শুরু করার পর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কারাবন্দীদের চিঠি পেতে শুরু করেন হপকিন্স। তাতে থাকত নানান হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ। তবে একটি কারাগারের কথা উঠে আসত বারবার: মানগাউং কারেকশনাল সেন্টার (এমসিসি)। এটি দেশটির সবচে বড়, এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যক্তিমালিকানাধীন কারাগার। এখানে সর্বোচ্চ তিন হাজার বন্দী রাখা সম্ভব। কারাগারটির অবস্থান ফ্রি স্টেট প্রদেশে। স্ট্যাটিসটিকস সাউথ আফ্রিকার তথ্যমতে, দরিদ্র এই প্রদেশে বেকারত্বের হার ৪১.২ শতাংশ। দক্ষিণ আফ্রিকার শাসক দল, আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সেক্রেটারি জেনারেল লম্বা সময় ধরে এখানকার প্রিমিয়ার ছিলেন। এখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
কারাগারগুলোর ভেতরে কী ঘটছে, তা উন্মোচন করার জন্য আট বছর ধরে কাজ করেছেন হপকিন্স। দেখেছেন, বন্দী বা কারারক্ষী কারো জন্যই সেখানকার পরিবেশ নিরাপদ নয়। প্রায়ই বিবদমান দলগুলোর লড়াই শেষ হয় প্রাণহানিতে। জিফোরএস, এমসিসি পরিচালনা করে তথাকথিত “ব্ল্যাক এমপাওয়ারমেন্ট” নীতিতে। (এই নীতি অনুযায়ী, কেউ দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করতে চাইলে, চুক্তিতে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ কৃষ্ণাঙ্গ ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ থাকতে হয়।)
গত কয়েক বছরে, একশর কাছাকাছি বন্দী ও ৩০ জন কারারক্ষীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হপকিন্স। কথা বলেছেন, জিফোরএস-এর বেশ কয়েকজন সূত্র এবং অন্যান্য কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে। যে গল্পগুলো তাকে বলা হয়েছিল, তার সব কিছুই তিনি যাচাই করেছেন ফাঁস হওয়া ইমেইল, ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ, ছবি ও হলফনামার মাধ্যমে। কারাগারের ভেতরকার পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে, এক কারারক্ষী সেখানকার একটি ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়েছিলেন হপকিন্সকে।
বন্দীদের ওপর নিয়মিত হামলা, তাদের ইলেকট্রিক শক দেওয়া, জোর করে অ্যান্টি-সাইকোটিক ড্রাগ প্রয়োগ, এবং অন্ধকার বদ্ধ-ঘরে কয়েদীদের রেখে দেওয়া – বন্দী নির্যাতনের এমন ভয়ানক চিত্র সামনে এসেছে তার প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে।
সূত্র ও নথি ধরে অনুসরণ

রুথ হপকিন্স
কারাগার নিয়ে রিপোর্টিংয়ের জন্য আস্থার পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী হপকিন্স। শ্বেতাঙ্গ হয়েও তিনি নিয়মিত দেখা করতেন কৃষ্ণাঙ্গ সোর্সদের সঙ্গে, এমনকি কখনো কখনো রাতে, তাদের বাড়িতে গিয়ে। হপকিন্স বলেছেন, অনেক সময় রহস্যময় ব্যক্তিরা তার পিছুও নিয়েছে।
সূত্রের সাথে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ধৈর্য্য একটি বড় বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন হপকিন্স। সোর্সদের তিনি পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কথা বলতে দেন, যতক্ষণ তাদের প্রয়োজন হয়। শুরুর দিকে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল। ফলে তিনি কারাগারের ভেতরে নিয়মিত সূত্র তৈরির সুযোগ পেয়েছেন। অনেক সময় নিয়ে ঠিক করেছেন প্রতিবেদনের অ্যাঙ্গেল কেমন হবে। এবং সময়ের সাথে সাথে নিজেকে গড়ে তুলেছেন এ বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি খুব ভালোমতো জানতেন, কারাগারের ভেতরে কী ঘটে চলেছে।
কিন্তু, জিফোরএস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগারে নিপীড়নের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদে পরিণত হওয়ার পর, কারা-কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি “গণসভা” আয়োজন করে জিফোরএস। সেখানে ঘোষণা দেওয়া হয়, তাকে আর কখনো কারাগারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেই সভায় উপস্থিত এক সোর্স হপকিন্সকে বলেছিলেন, “আমাদেরকে বলা হয়েছিল, রুথ হপকিন্স বা তার কাজের ব্যাপারে কোনো আলোচনা যেন না হয়। এবং কেউ যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ না করে।” জিফোরএস ও তাদের দক্ষিণ আফ্রিকান অংশীদাররা আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকিও দিয়েছিল হপকিন্সকে। কিন্তু সেগুলো কখনোই সামনে এগোয়নি।
এতো কিছুর পরও, আরো অনেক সূত্র সামনে এগিয়ে এসেছে, এবং হপকিন্স আরো গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান করতে পেরেছেন।
কোম্পানি রেকর্ড বিশ্লেষণ করার জন্য তিনি জোট বেঁধেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থবাণিজ্য বিষয়ক এক অনুসন্ধানী সাংবাদিকের সাথে। তিনি জিফোরএস-এর চুক্তিগুলো ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করেছেন। বিশ্বজুড়ে বহুজাতিক কর্পোরেশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, সেন্টার ফর রিসার্চ অন মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনস – সোমো’র গবেষণার ওপরও নির্ভর করেছেন হপকিন্স। রয়টার্স আইকন ও বিভিডি অরবিস ডেটাবেজ কাজে লাগিয়ে তারা কোম্পানিটি সম্পর্কে অনেক তথ্য তুলে আনে। জিফোরএস-এর আর্থিক তথ্য পেতে এই গবেষণাটি বিশেষভাবে কাজে লেগেছে হপকিন্সের। এখান থেকে তিনি জিফোরএস-এর বাৎসরিক হিসাব, ঋণ, মালিকানা ও ব্যবসার মডেল সম্পর্কে অনেক দরকারি তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত, কারাগারের ভেতরে থাকা হুইসেলব্লোয়ারদের কাছ থেকে যেসব ফাঁস হওয়া ইমেইল ও যোগাযোগের সূত্র পাওয়া গেছে, সেগুলোই সবচে বেশি কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। শুধুই কাগজপত্রের পিছনে ছোটার চেয়ে লম্বা সময় ধরে ধীরে ধীরে সোর্স গড়ে তোলার কৌশল বেশি কাজ দিয়েছিল হপকিন্সের অনুসন্ধানে।
এসব কাজ করতে করতে, হপকিন্স প্রতিষ্ঠা করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক জোট, প্রাইভেট সিকিউরিটি নেটওয়ার্ক। আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপ থেকে ২০ জনেরও বেশি রিপোর্টার এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছেন। তাদের অনেকেই নিজ নিজ দেশের প্রেক্ষিতে কাজ করেছেন জিফোরএস নিয়ে। এখন এই আলগা জোটকে একটি আনুষ্ঠানিক সহযোগিতামূলক প্রকল্পে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন হপকিন্স, যেটি বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তার বেসরকারি ব্যবসা পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করবে।
হপকিন্স বলেছেন, “এই বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে কাজ করে। যেমন: বন্দী, অভিবাসী, বা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা ব্যক্তি। এবং এখানে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ কাঠামোও বেশ দূর্বল, কারণ কোম্পানিগুলো তাদের কর্পোরেট গোপনীয়তার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে।”
আমি হপকিন্সকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম: তিনি নিজের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত থাকেন কিনা, এবং সহিংস সব অপরাধে পরিপূর্ণ একটি দেশে তিনি কিভাবে ধর্ষক ও খুনীদের মানবিক দিকটি তুলে ধরেন? হপকিন্সের বিশ্বাস: কারাগারে বন্দীদের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার কারণেই তিনি এক ধরনের সুরক্ষা পান। বন্দীরা তার ওপর ভরসা করে যে, তিনি তাদের দুর্দশার কথা সবার সামনে নিয়ে আসবেন। কী কারণে বন্দীরা কারাগারের ভেতরে এসেছে, সেদিকেও খুব বেশি জোর দেন না হপকিন্স। বরং এখানে তারা কিভাবে ক্ষমতাবানদের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, সেদিকে মনোযোগ দেন।
হপকিন্সের তথ্যচিত্রটি মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পরেই, জিফোরএস ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ২০২৬ সালে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগার ব্যবস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবে। তথ্যচিত্রটির প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জি৪এস এক বিবৃতিতে বলেছিল, যারা কারাগারগুলো পরিচালনা করছেন, তারা “বন্দীদের মানবাধিকার ও সম্মান রক্ষার ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এবং সেখানে বন্দীদের ওপর দুর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় না দেওয়ার (জিরো টলারেন্স) নীতি বলবৎ আছে।”
এই সিদ্ধান্তের সাথে হপকিন্সের কাজের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এটি স্পষ্ট যে, কারাগারের বেসরকারি ব্যবসায় জিফোরএস-এর যে বৈশ্বিক আধিপত্য তৈরি হয়েছে, তা এখন আন্তর্জাতিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এবং মনে হয় না, শীগগিরই তা থামবে।
আরো পড়ুন
শুড জার্নালিস্টস ডু অ্যাডভোকেসি? হিয়ার ইজ আ ইউনিক অ্যাপ্রোচ আউট অব সাউথ আফ্রিকা
ইনভেস্টিগেটিং ক্রিমিনাল জাস্টিস
ইউজিং থিয়েটার অ্যান্ড জুম টু টেল স্টোরিজ অব ইনভেস্টিগেশনস ইনটু সোলিটারি কনফাইনমেন্ট
পালেসা মোরুডু, ওয়াশিংটন-ভিত্তিক দক্ষিণ আফ্রিকান লেখক ও কলামিস্ট। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের জন্য লেখেন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রসঙ্গে। এবং লেখালেখি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজনেস ডে ও ডেইলি ম্যাভেরিকের জন্য।