গেল বছর, গোটা বিশ্বের মতো আরব সাংবাদিকরাও সংকটে ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাধারণ তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া, আর আর্থিক ও সম্পাদকীয় সক্ষমতার অভাব ছিলো বছরজুড়ে। করোনাকালে এই অঞ্চলের দমনমূলক অনেক দেশেই (জর্ডান, মরক্কো এবং মিশর) আরো জটিল হয়ে পড়েছে রিপোর্টিং। কোনো কোনো দেশে “জরুরি অবস্থাও” জারি করা হয়েছে। এর ফলে, সাংবাদিকতার মৌলিক কাজগুলো করতে গিয়ে, সাংবাদিকরা বাধার মুখোমুখি হয়েছেন।
এতো কিছুর পরও, স্বাধীন সাংবাদিকদের করা বেশ কিছু প্রশংসনীয় প্রতিবেদন বাছাই করতে পেরেছে জিআইজেএন আরবি। এসব প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করেছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো। যেমন, আঞ্চলিক পর্যায়ে আরব রিপোর্টার্স ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (আরিজ), দারাজ, ও বিবিসি আরবি; এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)।
এবছর বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনামগুলোতে ছিল মহামারির আধিক্য। মিশরের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে: কিভাবে কোভিড-১৯ শনাক্তের জন্য ভুল করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যার পরিণামে অনেক ভুল ফলাফল এসেছে, এবং ভাইরাসটি আরো ছড়িয়ে পড়েছে। আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুরুর দিকে সংকট মোকাবিলায় অন্যতম সফল বলে পরিচিত দেশ জর্ডান, শেষ পর্যন্ত কিভাবে ভাইরাসের হটস্পট হয়ে উঠেছে।
গেল বছরের শেষটা হয়েছে আরিজের বাৎসরিক সম্মেলন দিয়ে। ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় তিন হাজার সাংবাদিক, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন আরব অঞ্চলের। এর পরপরই খবর আসে, আলজেরিয় কর্তৃপক্ষ, দেশটির নতুন অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট, তাওয়ালা বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি এই অঞ্চলের সাংবাদিকদের একটি বড় ধাঁধার মুখে দাঁড় করিয়েছে: একদিকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নতুন নতুন উদ্যোগ আসছে, আর অন্য দিকে কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে, এমন অনেক উদ্যোগ বন্ধও হতে বসেছে।
জিআইজেএন আরবির বাছাই করা এই প্রতিবেদনগুলো নিছক আকর্ষণীয় রিপোর্টের একটি তালিকা নয়। ২০২০ সালের সেরা অনুসন্ধান বেছে নিতে গিয়ে বিচার করা হয়েছে তাদের গুরুত্ব, অনুসন্ধানী টুল ও কৌশল ব্যবহারে অভিনবত্ব, এবং সামাজিক জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার কতটা দৃঢ়।
স্কুলের নির্যাতিত ছেলেরা (সুদান)
আরিজের সঙ্গে জোট বেঁধে, সুদানের ইসলামি স্কুলগুলোতে শিশু নির্যাতনের প্রাতিষ্ঠানিক চিত্র উন্মোচন করেছে বিবিসি নিউজ অ্যারাবিক। তাদের এই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলগুলোতে পাঁচ বছরের ছোট শিশুদেরও নিয়মিত শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়, এবং “শেখ” ও স্কুল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ধর্মীয় নেতারা তাদের নিয়মিত মারধর করেন। এই অনুসন্ধানে, যৌন নিপীড়নের প্রমাণও উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিক ফাতেহ আল-রহমান আল-হামাদানি প্রায় ১৮ মাস ধরে ঘুরেছেন দেশটির ২৩টি ধর্মীয় স্কুলে। ধারণ করেছেন, সেসব স্কুলের ভেতরের চিত্র। তিনি দেখেছেন, সেখানে অনেক শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, এবং এমনকি, অসুস্থদেরও যত্ন করা হচ্ছে না। তীব্র গরমের মধ্যেও তাদের বাধ্য করা হচ্ছে মেঝেতে ঘুমাতে।
অফশোর গভর্নর (লেবানন)
লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, রিয়াদ সালামের মালিকানাধীন একাধিক বিদেশী কোম্পানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে প্রায় ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয় এই প্রতিবেদনে। অথচ, এই ব্যক্তিই অন্যদেরকে অনুরোধ করে আসছিলেন, অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত লেবাননে বিনিয়োগের জন্য। রিয়াদ সালামের বৈদেশিক সম্পদের বিষয়ে কানাঘুঁষা শোনা যাচ্ছিল কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারী কর্মকর্তার প্রকৃত বৈদেশিক বিনিয়োগের বিষয়টি এতোদিন গোপনই ছিল। সেসব উন্মোচনের জন্য ওসিসিআরপি জোট বেঁধেছিল তাদের লেবানিজ সহযোগী, দারাজের সঙ্গে। তারা শুধু সালামের বিপুল বৈদেশিক বিনিয়োগই খুঁজে বের করেনি, বরং এক দশকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও বেলজিয়ামে তিনি যে বড় বড় রিয়েল এস্টেট চুক্তি করেছেন, তাও উন্মোচন করেছে। বিভিন্ন কোম্পানির হিসেব থেকে দেখা যায়, এসব বিনিয়োগের বেশিরভাগই করা হয়েছে লাখ লাখ ইউরো ঋণ নিয়ে, এবং কখনো কখনো এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে জামানত ছাড়াই। সালাম অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওসিসিআরপির কাছে দাবি করেছেন, তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেননি; ১৯৯৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগদানের আগেই তিনি এসব “ব্যক্তি সম্পদ” অর্জন করেছেন, এবং সেই সম্পদ বিনিয়োগ করা থেকে কোনো কিছুই তাকে রুখতে পারবে না।
তিউনিসিয়ান এয়ারলাইন্স ও বেন আলি (তিউনিসিয়া)
২০১১ সালে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছেড়েছিলেন তিউনিসিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক জিন এল আবিদিন বেন আলি। তবে তার শাসনামলে দেশটি কেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তার চিত্র বেরিয়ে আসছে এখনো। জানুয়ারিতে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ইনকিফাদা দেখিয়েছে, ২০০৮ ও ২০০৯ সালের মধ্যে জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক লেনদেন থেকে কিভাবে লাভবান হয়েছেন প্রেসিডেন্টের পরিবার। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেন আলির আত্মীয়দের কাছে শেয়ার বিক্রি থেকে শুরু করে নতুন প্রেসিডেন্সিয়াল বিমান কেনা পর্যন্ত, গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নেয়া হতো প্রেসিডেন্টের মর্জিতে। এমন সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের শুরু হওয়ার পর থেকে কোম্পানিটি বেশ কয়েকবার লোকসানের মুখেও পড়েছে। প্রতিবেদনটিতে এমনও বলা হয়, তিউনিসিয়ার তথাকথিত দায়মুক্তি আইনের কারণে এই ঘটনাগুলো চাপা পড়েছে এবং দায়ী ব্যক্তিরাও পার পেয়ে গেছেন।
যেভাবে উধাও হাসপাতালের ২০,০০০ শয্যা (মিশর)
আরিজ ও জাতমাসর-এর যৌথ এই অনুসন্ধান থেকে দেখা যায়, গত দুই দশকে মিশর সরকার ৪৭৬টি সরকারী হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে। “গরীবের হাসপাতাল” বলে পরিচিতি ৬০টি গ্রামীন ক্লিনিক হয়ে পড়েছে অকার্যকর, এবং স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারের নামে সেগুলোকে পরিণত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের শাখায়। মহামারির সময়ে যখন স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত অবকাঠামোর প্রয়োজন অনেক বেশি, তখন দেখা যাচ্ছে, অনেক অসুস্থ মানুষ হাসপাতালের একটি ফাঁকা বিছানার জন্য কষ্ট করছে।
তুতানখামুনের শেষ সফর (মিশর/ইউকে)
কোভিড-১৯ লকডাউন শুরুর আগপর্যন্ত, লন্ডনের সাটচি গ্যালারিতে চলছিল একটি জমজমাট প্রদর্শনী। “তুতানখামুন: ট্রেজারার অব দ্য গোল্ডেন ফারাও” নামের এই প্রদর্শনীর টিকিট ছিল দামী। তারপরও, মিশরীয় সরকারের কাছ থেকে ধার করে আনা এসব প্রত্মসামগ্রী দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেক মানুষ। কিন্তু মিশরীয় সাংবাদিক গেহাদ আব্বাস ও বিবিসি অ্যারাবিকের অনুসন্ধান থেকে দেখা যায়, অমূল্য সামগ্রী রক্ষার জন্য প্রণীত আইনের লঙ্ঘন করেই, একটি বাণিজ্যিক প্রদর্শনীতে এসব প্রত্নসামগ্রী ধার দেওয়ার চুক্তি করেছে মিশর সরকার। বেরিয়ে আসে, যে কোম্পানিটি এই প্রদর্শনীর জন্য প্রত্নসামগ্রী ধার নিয়েছিল তা পরিচালনা করেন এক মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং সাবেক মন্ত্রী, যিনি দেশের এসব মূল্যবান ধনসম্পদ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড-১৯ সংকটের আগে লন্ডনের এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। এবং এখানকার টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৮ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আল আসাদের খুনী বাহিনী (সিরিয়া)
আল জাজিরার এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে (ফাইন্ডিং আল-আসাদ’স এক্সিকিউশনার) খোঁজ করা হয়েছে সিরিয়ান “শাবিহাদের”। প্রেসিডেন্ট বাশার হাফিজ আল-আসাদের এই সমর্থকগোষ্ঠী ২০১২ সাল থেকে বিরোধীদলীয় মানুষদের নির্যাতন ও হত্যা করে আসছে। ফটোগ্রাফিক প্রমাণের মাধ্যমে এই রিপোর্টে দাবি করা হয়, হাসপাতালে আটকে পড়া বিক্ষোভকারীদের নির্যাতনের সঙ্গে আসাদের পরিবার জড়িত ছিল। এবং আসাদপন্থী সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে তৈরি একটি মিলিশিয়া বাহিনী, বিভিন্ন ইউরোপিয় দেশে শরণার্থী হিসেবে থাকা সিরিয়দের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। ক্রিমিনাল রিফিউজি নামের একটি ফেসবুক পেজে তাদের অতীত ইতিহাস উন্মোচন করেছিলেন এক মানবাধিকার কর্মী। তারপর এই “শাহিবারা” তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল মুছে দিয়েছেন। সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে তাদের সংযুক্তি বা সমর্থনের আরো যত প্রমাণ ছিল, সবই তারা সরিয়ে নিয়েছেন।
আইসোলেশন থেকে চম্পট (ইয়েমেন)
আরিজের এই অনুসন্ধানে তুলে আনা হয়েছে এমন ১৬ জন ইয়েমেনির কথা, যারা ঘুষ দিয়ে বিভিন্ন কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন সেন্টার থেকে বের হয়ে গেছেন। এই সেন্টারগুলো চালায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনি সরকার বা হুতিরা, যারা বর্তমানে সানার শাসনক্ষমতা দখল করেছে। সেন্টার কর্তৃপক্ষ বা কর্মীদের সাথে সমঝোতা করেই তারা এখান থেকে বেরিয়ে যান। এমনকি তাদের কোনো পরীক্ষানিরীক্ষাও করা হয়নি, যা কিনা দেশটির জনস্বাস্থ্য আইনের লঙ্ঘন। ঘুষ দিয়ে বেরিয়ে আসা এক ব্যক্তি রিপোর্টারদের বলেছেন, তিনি বড়জোর দুই দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন, এবং ৫০০ সৌদি রিয়াল বা ১৩৩ ডলার ঘুষ দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছেন।
অস্ত্রের ঝনঝনানি (লিবিয়া)
ডয়েচে ভেলে ও আরিজের এই যৌথ অনুসন্ধানে সাংবাদিকরা দেখিয়েছেন, জাতিসঙ্ঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে, কিভাবে আরব আমিরাত ও তুরস্কে উৎপাদিত অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে লিবিয়ায় যুদ্ধরত বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে। ট্র্যাকিং টুল ও ওপেন সোর্স ডেটার মাধ্যমে তারা বের করেছেন, কিভাবে এই অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে লিবিয়ার সংঘাতপূর্ণ এলাকায়। অনুসন্ধানটি পরিচালিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বেশ কিছু ভিডিও-র ওপর ভিত্তি করে। লিবিয়া থেকে সংগ্রহ করা এসব ভিডিও ফুটেজে, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। যেমন, জেনারেল খালিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন বাহিনী ব্যবহার করছে আমিরাত থেকে আসা অস্ত্র ও যানবাহন। তারা যুদ্ধ করছে ফায়েজ আল সিরাজের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের বিরুদ্ধে। আল সিরাজের বাহিনী বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও যানবাহন সংগ্রহ করেছে তুরস্ক থেকে। এই অনুসন্ধানের জন্য লিবিয়াতে আসা চারটি জাহাজ সফলভাবে ট্র্যাক করতে পেরেছিলেন সাংবাদিকরা। যার একটি, বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লিবিয়ার বন্দরে এসেছিল সৌদি আরব থেকে।
সোনার খনিতে মৃত্যু (মৌরিতানিয়া)
তিন বছর আগে মরুভূমিতে সোনার খনি পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিল মৌরিতানিয়া সরকার। তারপর থেকে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬০জন। কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া খনিতে কাজ করার কারণে এসব মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে আল জাজিরা ও আরিজের যৌথ অনুসন্ধান (মৃত্যুর লাইসেন্স) থেকে। খনি পরিচালনা করতে গেলে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে ও যোগ্যতা থাকতে হবে, তা নির্ধারণ না করেই সোনার খনি পরিচালনার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে দেশটির সরকার। ব্যবস্থাটি যে কতটা ত্রুটিপূর্ণ, তা দেখানোর জন্য রিপোর্টাররা একটি খনিজ উত্তোলন সংক্রান্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন, এবং কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও লাইসেন্স পেয়েছিলেন।
মাজদোলিন হাসান জিআইজেএন-এর আরবি সম্পাদক। পুরস্কারজয়ী এই সাংবাদিক কাজ করেছেন গ্লোবাল ইন্টেগ্রিটি, ১০০রিপোর্টার্স ও আরব রিপোর্টার্স ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম-এ। মাজদোলিন জর্ডানে একটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ইউনিটের পরিচালক ছিলেন এবং দেশটির প্রথম নাগরিক হিসেবে তিনি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য না দেয়ায় জর্ডান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।