বিশ্বের সেরা অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয় ডিগ অ্যাওয়ার্ডের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি এবছরের জন্য মনোনিত সেরা তথ্যচিত্রগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছেন বিচারকরা।
Documentari Inchieste Gionalismi-র সংক্ষিপ্ত রূপ ডিগ (DIG)। (বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় তথ্যচিত্র, অনুসন্ধান ও সাংবাদিকতা) অলাভজনক এই সংগঠনটি জিআইজেএন-এর সদস্য। তারা ইতালি ও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে সমর্থন যোগায়।
চূড়ান্তভাবে মনোনিত সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে ডিগ-এর বাৎসরিক উৎসবের সময়। এবছর এটি আয়োজিত হচ্ছে ইতালির উত্তরাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর মোডেনায়, অক্টোবরের ৮-১১ তারিখ। এই তালিকায় উঠে এসেছে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সৈনিক, নামিবিয়ার রাজনীতিবিদের ঘুষ কেলেঙ্কারি এবং স্টকহোমের একটি ব্যাঙ্কের অর্থ পাচারসহ বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো অনুসন্ধান।
কোভিড-১৯ মহামারি ছাড়াও অর্থনৈতিক মন্দা, সশস্ত্র সংঘর্ষ, সামাজিক অবিচার, কর ফাঁকি ও জলবায়ু সংকট আলেচনায় ছিল ২০২০ সাল জুড়ে। তাই সংগঠকরা এবারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান প্রতিপাদ্য করেছেন: “ভয়ের যুগ।” এটি ডিগ অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ আয়োজন।
“সাংবাদিকসুলভ উৎকর্ষতা ও সাহসী কাজকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয় সেসব সাংবাদিকদের, যারা সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রযুক্তি ও পরিবেশগতবিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করেন।”
ডিগ পুরস্কারের বিচারকদের মধ্যে আছেন: রোমানিয়ান পরিচালক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা আলেক্সান্ডার নানাউ, অনুসন্ধানী সাংবাদিক মারিয়ানা ভন জেলার, ডাচ পাবলিক ব্রডকাস্টিংয়ের মার্গো স্মিট এবং জিআইজেএন-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অ্যান কোক।
এখানে থাকছে চূড়ান্তভাবে মনোনীতদের তালিকা:
ক্যাটেগরি: দীর্ঘ অনুসন্ধান
এবছর এই ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে আল জাজিরার “অ্যানাটমি অব এ ব্রাইব।” এখানে সাংবাদিকরা বিদেশী বিনিয়োগকারী সেজে তিন মাস ধরে কাজ করেছেন। উন্মোচন করেছেন: কিভাবে বিদেশী কোম্পানিগুলো ঘুষ দিয়ে নামিবিয়ার দুর্নীতিপরায়ন রাজনীতিবিদদের ব্যবহার করছে।
এসভিটি-র “ডার্টি ব্যাংকিং” তুলে এনেছে: একটি সুইডিশ ব্যাংকের প্রকাশ্য অর্থ পাচারের ঘটনা। বাল্টিক অঞ্চলে নন-রেসিডেন্ট পোর্টফোলিওর মাধ্যমে তারা পাচার করেছে প্রায় ১৬৫ বিলিয়ন ডলার।
সিরিয়ার সংকটকে কেন্দ্রে রেখে বানানো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম “ইনসাইড আওয়ার এনিমিজ লাইফ।” সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেটের অধীনে কিভাবে পশ্চিমা জিহাদীরা তাদের পরিবারসহ ছিলেন; তা খুঁজে দেখা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। ফ্রান্স ৫-এর জন্য এটি তৈরি করেছেন কামাল রেদোয়ান।
রেডিও-কানাডা টেলিভিশন তৈরি করেছ “লিনো সাপিতোজ ল্যাপস অব মেমোরি”। কানাডার সফল কিছু ব্যবসায়ীর সাথে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সংযোগের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে এখানে।
দীর্ঘ অনুসন্ধান ক্যাটাগরির শেষ তথ্যচিত্র: “ডিপ্লোম্যাটস ফর সেল।” এটিও তৈরি করেছে আল জাজিরা। এখানে অনুসন্ধান করা হয়েছে কূটনৈতিক পাসপোর্টের কেনাবেচা নিয়ে। এই ধরনের পাসপোর্ট থাকলে কর্মকর্তাদের কর দিতে হয় না, তাদেরকে গ্রেপ্তার করা যায় না এবং সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় তাদের ব্যাগেজও তল্লাশি করা হয় না।
ক্যাটেগরি: দীর্ঘ রিপোর্টাজ
“ফরেন ভলান্টিয়ারস ইন দ্য হেল অব রাক্কা” নামের তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে সেসব বিদেশী যোদ্ধাদের কথা, যারা সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহরের রাস্তায় তারা যখন যুদ্ধ করছেন এবং সব শেষ করে যখন দেশে ফিরছেন – এই যাত্রায় পুরোটাতেই সাংবাদিকরা তাদের অনুসরণ করেছেন তথ্যচিত্রটি নির্মাণের জন্য।
মার্ক সেরেনার “দ্য রাইটার ফ্রম এ কান্ট্রি উইদাউট বুকস্টোরস”-এ উঠে এসেছে ইকুয়েটরিয়াল গিনি-র লেখক হুয়ান টমাস আভিলা লরেলের গল্প। ইকুয়েটরিয়াল গিনিতে তাঁর লেখা বই-ই সবচে বেশি অনুদিত হয়েছে। তিওডোরো ওবিয়াং-এর শাসনামলে তিনি শরণার্থী হিসেবে স্পেনে চলে আসেন। সেখানে তাঁর লেখালেখিকে পাত্তা দেওয়া হয়নি। সেখানে থাকার সময় তাঁর মনে হয়েছিল: এই শাসনামলের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তিনিই অন্যতম প্রধান বুদ্ধিজীবী; এবং ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এই কাজের জন্য তাঁর দেশে ফিরতে হবে। লরেলের এই পুরো গল্পই ধারণ করা হয়েছে তথ্যচিত্রে।
“দ্য গ্রীন গোল্ড অব আফ্রিকা”-তে বলা হয়েছে খাট নামের এক পাতার গল্প (এটি একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক) এবং কিভাবে এক সোমালি অ্যাক্টিভিস্ট প্রায় একক প্রচেষ্টায় সেটির ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছিলেন।
হংকংয়ের নাগরিক জনজীবনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং তার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ আন্দোলনের চিত্র তুলে এনেছে মারকো ডি নোইয়া-র তথ্যচিত্র “হংকং, গা ইয়াউ।” বিক্ষোভকারীদের ছবি ও অডিও সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি এটি তৈরি করেছেন।
“ইভাঞ্জেলিক্যাল চার্চেস অন দ্য রান ফর পাওয়ার” নামের এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে কিভাবে সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে উত্থান ঘটছে ইভাঞ্জেলিক্যাল চার্চের। এবং সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে চার্চ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার যোগসূত্র নিয়ে।
ক্যাটেগরি: অনুসন্ধান মাঝারি
“ইন্ডিয়া: দ্য চাইল্ড সেক্স হাইওয়ে” নামের এই তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশের একটি কুখ্যাত হাইওয়ের কথা। যেখানে কমবয়েসী মেয়েদের জোর করে কাজ করানো হয় যৌনকর্মী হিসেবে। এই তথ্যচিত্র অনুযায়ী, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরাই তাদেরকে বিক্রি করে দেয় রাস্তা দিয়ে যাওয়া ট্রাকচালকদের কাছে। নানা বৈষম্যের কারণে তারা চাকরিও পান না এবং এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে বাধ্য হন।
“অফ দ্য গ্রিড: বিটেন বাই দ্য বর্ডার”-এ দেখা হয়েছে বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তের অভিবাসী পরিস্থিতি। জায়গাটিকে দেখতে খুব শান্তিপূর্ণ মনে হয়। কিন্তু এই তথ্যচিত্রে জায়গাটিকে বর্ণনা করা হয়েছে “ইউরোপের লজ্জার সীমান্ত” হিসেবে। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে: কিভাবে ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ অভিবাসীদের ঠেলে দেয় সীমান্তের ওপারে।
“অকুনোশিমা: জাপানস পয়জন” নামের এই তথ্যচিত্রে জাপানের একটি দ্বীপের ইতিহাস তুলে ধরেছেন ফ্রিটজ শুম্যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ছিল এশিয়ার সবচে বড় বিষাক্ত রাসায়নিকের কারখানা। ১৯২৯ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত অকুনোশিমা থেকে উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টন রাসায়নিক অস্ত্র।
“সুদানস লাইভস্ট্রিম ম্যাসাকার” নামের এই তথ্যচিত্রটি নির্মান করেছে বিবিসি আফ্রিকা আই। এখানে নজর দেওয়া হয়েছে ২০১৯ সালের ৩ জুনের ঘটনাবলীর দিকে। এদিন, সুদানের রাজধানী খারতুমের রাস্তায় গুলি চালানো হয় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর। চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালানো হয় তাদের হাসপাতালে গিয়ে। এবং মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় নীল নদে। অনেকেরই পায়ের সাথে বেঁধে দেওয়া হয় কনক্রিটের ব্লক।
ক্যাটেগরি: রিপোর্টাজ মাঝারি
“হংকং: ইফ উই বার্ন, ইউ উইল বার্ন উইথ আস” নামের এই তথ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে ২০১৯ সালে, বেইজিংয়ের রাজনৈতিক নির্দেশের বিরুদ্ধে হংকংয়ের রাস্তায় বিক্ষোভ নিয়ে। এটি তৈরি করেছেন ফিলিপ্পো অর্টোনা।
“ইয়েমেন: অ্যান ওডেসি” তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন আরটে-র নির্মাতারা। এজন্য তারা গিয়েছেন জিবুতির সীমান্তে গালাফি পাহাড়ে। যেখানে ইথিওপিয়া থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থীরা সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন কাজের সন্ধানে।
ডিগ পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সোফি নেভিল কার্ডিনালের তথ্যচিত্র “ইরাক: ঘোস্টস অব মোসুল”। এখানে দেখানো হয়েছে ইসলামিক স্টেট সদস্যদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের করুণ অবস্থা। আইএস-এর আগের শক্ত ঘাঁটি মোসুলে তারা এখন অনাকাঙ্ক্ষিত বলে বিবেচিত। আনুষ্ঠানিক অনুমতি ছাড়া তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরাও করতে পারেন না।
“দ্য বুশ স্কুল” নামের এই তথ্যচিত্রে ইমানুয়েলা জাক্কালা অনুসন্ধান করেছেন নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতির চর্চা নিয়ে। লাইবেরিয়াতে বিষয়টি আইনিভাবে বৈধ। এবং “বুশ স্কুল” নামে পরিচিত জায়গায় তাদেরকে কয়েক মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত থাকতে হয়। বয়স্কদের সম্মান থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ স্ত্রী ও মা হিসেবে তাদের দায়িত্ব – এমন নানা বিষয় সেখানে শেখানো হয়। এখানেই নারীদের একটি গোপন সংঘের চর্চা হিসেবে জারি আছে যৌনাঙ্গ বিকৃতির বিষয়টি।
ক্যাটেগরি : স্বল্পদৈর্ঘ্য
ইউনিভিশনের “এক্সট্রিম ভায়োলেন্স ইজ ড্রাইভিং সালভাদোরান গার্লস টু কিল দেমসেলভস” নামের এই তথ্যচিত্রে আলমুডেনা তোরাল অনুসন্ধান করেছেন এল সালভাদরের লৈঙ্গিক সহিংসতা নিয়ে। নারীর প্রতি সহিংসতার হার সেখানে সবচে বেশি। এবং এসব কারণে এল সালভাদরে অনেক কমবয়েসী নারী নিরবে আত্মহত্যা করেন। তোরালের তথ্যচিত্র থেকে দেখা যায়: কমবয়েসী ভিকটিমের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
বিবিসি আফ্রিকা আইয়ের জন্য “টার্কিজ ঘোস্ট শিপ” নামের এই তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন বেঞ্জামিন স্ট্রিক। এখানে অনুসন্ধান করা হয়েছে বানা নামের একটি জাহাজ নিয়ে, যেটি তুরস্ক থেকে যাত্রা শুরুর চারদিন পর গায়েব হয়ে যায়।
বিশ্বজুড়ে সুইডেনের একটি ভালো ভাবমূর্তি দাঁড়িয়েছে স্বচ্ছ ও কম দুর্নীতিপরায়ন দেশ হিসেবে। কিন্তু এই ভাবমূর্তির পেছনে কী আছে, তা খুঁজে দেখেছেন মায়া গ্রিল ও ক্যারোলিন জেমসবি। এসভিটি-র “ব্লাকলিস্টেড” নামের এই তথ্যচিত্রে দেখা হয়েছে: কিভাবে সুইডেনের অনেক রাষ্ট্রীয় এজেন্সি চুক্তি করেছে নিষিদ্ধ ও অবৈধ হয়ে যাওয়া কোম্পানির সঙ্গে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নানা অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের।
“ইয়েমেন আনভেইলড” নামের এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন মাত্তিও বাসতিয়ানেল্লি। এখানে উঠে এসেছে ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতার চিত্র। দেশটিতে এখন জরুরি মানবিক সাহায্য প্রয়োজন ২২ মিলিয়ন মানুষের। তারা বন্দী হয়ে পড়েছেন সহিংসতা আর অসুখে ভরা একটি জীবনে।
ক্যাটেগরি: অডিও
এবারই প্রথম ডিগ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে সেরা অনুসন্ধানী পডকাস্টের জন্য। এই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছে চিয়ারা ডি অ্যামব্রোসের পাঁচ পর্বের পডকাস্ট সিরিজ “এ টুট্টি আই কোস্তি।” এই পডকাস্ট তৈরি করা হয়েছে ইতালির ভেনেতো-তে স্বাস্থ্য, পানি দূষণ, ও ভূমি দূষণ নিয়ে।
তালিকায় আছে “ভেরিফায়েড”-এর নামও ১০ পর্বের এই পডকাস্ট সিরিজ এর আগে মনোনিত হয়েছিল স্ট্রিচার উইটনেস ডকসের জন্যও। এখানে বলা হয়েছে: কয়েককজন সাহসী নারী একজোট হয়ে, কিভাবে একজন যৌন নিপীড়নকারী পুলিশকে আইনের আওতায় এনেছেন। [সম্পাদকের নোট: জিআইজেএন-এর ২০২০ সালের শীর্ষ অনুসন্ধানী পডকাস্টেও জায়গা করে নিয়েছে ভেরিফায়েড।]
মনোনিত আরেকটি পডকাস্ট হলো “বিয়ন্ড ডেথ: আ ক্রাইম বিটউইন মাফিয়া অ্যান্ড স্টেট।” এখানে উঠে এসেছে – এক পুলিশ কর্মকর্তা (অ্যান্তোনিও আগোস্তিনো, সংক্ষেপে নিনো নামেও পরিচিত) এবং তাঁর স্ত্রীর (ইডা কাস্তেলুসিও) গল্প। ১৯৮৯ সালে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই অনুসন্ধান থেকে উন্মোচিত হয়েছে: মাফিয়া ও রাষ্ট্রীয় যোগসাজসে কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এই ক্যাটাগরিতে মনোনীত শেষ পডকাস্টের নাম “নন স্প্রেকারে”। রাই রেডিও ৩-এর জন্য এটি বানিয়েছেন দানিয়েল অলিভেরি। এখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে: কেন উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের এক-তৃতীয়াংশই যায় আবর্জনায় এবং এই অপচয় কমানোর জন্য আমরা কী করতে পারি।
ক্যাটেগরি: পিচ
পুরস্কারের শেষ ক্যাটেগরি: ডিগ পিচ কম্পিটিশন। এখানে ১০টি মনোনীত দলকে সুযোগ দেওয়া হবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাদের তথ্যচিত্রের আইডিয়া উপস্থাপনের জন্য। এর মধ্যে আছেন আদ্রিয়ানা কারদোসো, যিনি অনুসন্ধান করছেন স্পেনের আবাসন নিয়ে। আরেকটি দল অনুসন্ধান করতে চায় সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি স্টেম সেল ব্যাংক নিয়ে। জোয়ানা মোনকাউ একটি তথ্যচিত্র নির্মান করতে চান দুজন নারীকে নিয়ে, যাদের একজন আদিবাসী নেত্রী এবং অপরজন আইনজীবী। তাঁরা লড়ছেন ব্রাজিলের অ্যামাজনে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প রুখে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে।
ডিগ একটি ইতালিয়ান নেটওয়ার্ক, যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সমর্থন ও প্রশিক্ষণ দেয়। ২০১৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০ বছর ধরে ইলারিয়া আল্পি অ্যাসোসিয়েশন চালানোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতি বছর তারা আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ডিগ পুরস্কার। এখানে পুরস্কৃত করা হয় অনুসন্ধানী ভিডিও সাংবাদিকতা জন্য। ডিগ, জিআইজেএন-এর সদস্য সংগঠন।