জিআইজেএন আমার প্রিয় টুল সিরিজে, এবার আমরা কথা বলেছি দুইবারের পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক মার্থা মেনডোজার সাথে। সরবরাহ চেইন নিয়ে অনুসন্ধান করেতে গিয়ে তিনি কোন ধরনের টুল ব্যবহার করেন, তা-ই অকপটে তুলে ধরেছেন এই আলাপচারিতায়।
২০১৫ সালে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মৎসশিল্পে বলপূর্বক শ্রম নিয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন অ্যাসোসিয়েট প্রেসের অনুসন্ধানী সাংবাদিক, মেনডোজা ও তাঁর দল। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর মুক্ত জীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল ২০০০ ক্রীতদাস। এই প্রতিবেদনের জন্য মেনডোজা জিতে নেন তাঁর দ্বিতীয় পুলিৎজার। প্রথমটি জিতেছিলেন ২০০০ সালে; সেবার তাঁর দল উন্মোচন করেছিল কোরিয় যুদ্ধে মার্কিন সৈন্যরা কিভাবে নিরীহ বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছে। ২০১৮ সালে আরেক সাড়া জাগানো অনুসন্ধানে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসী শিশুদের জোর করে তাদের বাবা-মার কাছ থেকে আলাদা করার করুন চিত্র, তিনি তুলে এনেছিলেন সবার সামনে।
পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ করেন মেনডোজা। কাজ করতে করতেই এ ধরনের অনুসন্ধানের একটি নিজস্ব পদ্ধতি গড়ে তুলেছেন তিনি। এত দিনের অভিজ্ঞতাকে এবছর কাজে লাগিয়েছেন কোভিড-১৯ চিকিৎসার সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহ নিয়ে রিপোর্টিংয়ে।
সম্প্রতি তিনি অংশ নেন জিআইজেএনের একটি ওয়েবিনারে। তুলে ধরেন, কঠিন এই সময়ে ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণের সরবরাহ শেকল নিয়ে অনুসন্ধান করতে হয় কী করে। এটি ছিল ইনভেস্টিগেটিং দ্য প্যানডেমিক ওয়েবিনার সিরিজের নবম পর্ব।
গত মার্চে, মেনডোজা ও তাঁর সহকর্মী জুলিয়েট লিন্ডারম্যান উন্মোচন করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই-র ঘাটতি কত ব্যাপক। সেই প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে, করোনা-রোগীদের চিকিৎসা ও পরীক্ষায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অতি-জরুরি এন৯৫ মাস্ক ও সোয়াবের সরবরাহ, বাড়ার বদলে বরং আগের বছরের চেয়ে আরো কমেছে।
গত মে মাসে, তারা উন্মোচন করেছেন, কিভাবে নকল এন৯৫ মাস্ক মার্কিন সরবরাহ চেইনে ঢুকে পড়েছে। এমনকি সেটি ফ্রন্টলাইনে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছেও গেছে; এবং এতে তাদের জীবন পড়েছে ঝুঁকির মুখে। এই মাস্কগুলো সাধারণত ৯৫ শতাংশ জীবানু রোধ করে, আর সেটি যদি নকল হয়, তাহলে স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
মেনডোজা দেখতে পান, ওয়্যারহাউজের কিছু কর্মী আমদানি করা মাস্কের কানে দেওয়ার অংশটি তুলে ফেলছেন। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) আগেই সতর্ক করেছিল কানের অংশে এমন ত্রুটি নকল মাস্কের লক্ষণ হতে পারে।
সহকর্মীদের জন্য মেনডোজার পরামর্শ, “কোন পণ্যের সরবরাহ চেইন, কোন জায়গাটায় ভাঙ্গা – তা নিয়ে চিন্তা করুন; যাতে উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে পারেন, একটি দুর্বল সরবরাহ চেইন কতটা গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।”
কোনো জিনিসের স্বল্পতার কারণে আরো কী কী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তা নিয়েও সাংবাদিকদের ভাবতে বলেছেন মেনডোজা। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে পিপিই সংকটের কারণে নার্সরা ফ্লুইড র্যাক, রোগীর ঘরের বাইরে রাখছিলেন। এতে করে ফ্লুইড ব্যাগ বদলানোর জন্য তাদেরকে বারবার রোগীর কক্ষে যেতে হত না, তাই পিপিই-ও পরতে হত না। কিন্তু এই ব্যবস্থা চলতে থাকলে তরল পরিবাহী টিউব বা নলের ব্যবহার অনেক বেড়ে যাবে। তখন আবার টিউবের স্বল্পতা তৈরি হবে।
মেনডোজা বলেছেন, “যেসব মার্কিন কারখানা এই টিউব বানায়, তারা উৎপাদন বাড়ানোর চিন্তা তো করছেই না, অনেকে উল্টো কারখানা চালাতেই অস্বীকার করছে। কারণ এটি বেশ ব্যয়বহুল। আর যখন কোভিড-১৯ পরিস্থিতি শেষ হবে, তখন তাদের এই বাড়তি জিনিসের চাহিদা থাকবে না এবং তাদের দেউলিয়া হওয়ার দশা হবে। এমন অনেক জিনিস আছে বিবেচনা করার মতো।”
মেনডোজার মতে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সবচে বড় সম্পদ সংবাদ-কর্মী হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা। আর এই জায়গাটিকে মহামারির সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করা উচিৎ। তিনি বলেছেন “সাংবাদিক হিসেবে আমাদের শুধু এই বিশ্বাসযোগ্যতাটুকুই আছে। তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার জন্য অনেকে অনেকভাবে কাজ করছে। ফলে আমরা যা-ই করি, অবশ্যই সঠিক হতে হবে।”
“এখন অনেক ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। আপনি যদি কিছু না করেন, তা-ও ঠিক আছে। কিন্তু ভুল করবেন না। আপনার প্রতিবেদনের প্রতিটি পদক্ষেপে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন, সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখুন। সঠিক-নির্ভুল তথ্য উপস্থাপনের গুরুত্ব আগে কখনোই এত বড় হয়ে দাঁড়ায়নি।”
এবার জেনে নিন, পণ্যের সরবারহ চেইন নিয়ে অনুসন্ধানে মেনডোজার কিছু প্রিয় টুলের কথা।
পানজিভা ও ইমপোর্ট জিনিয়াস
“করোনাভাইরাস সংকট যখন প্রথম হানা দেয়, তখন পর্যাপ্ত মাস্ক, সার্জিক্যাল গাউন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বা সোয়াবের পর্যাপ্ত মজুদ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে তথ্য পেতে আমি প্রিয় দুটি ডেটা সোর্সের কাছে গিয়েছি: ইমপোর্ট জিনিয়াস ও পানজিভা। (এই দুটো বাণিজ্যিক ডেটাবেজে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নানা তথ্য থাকে।)
“শুরুতে, আমি বড় অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে গিয়েছি এবং তাদেরকে এই উপকরণের স্বল্পতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। নার্সদের ইউনিয়ন ও চিকিৎসকদের সংগঠনগুলো এক্ষেত্রে বেশ কাজে দিয়েছে।”
“উহানে কোভিড-১৯-এর বিস্তারের কথা আমরা জানতে পারি জানুয়ারির ১৫ তারিখে। তখনই আমি পানজিভাতে গিয়েছি এবং দেখেছি আমেরিকার কোন কোন সরবরাহকারী উহান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। কোভিডের কারণে পণ্য আমদানিতে কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা, তা জানতে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এর মধ্যে চিকিৎসা পণ্যও ছিল। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে সেই চিকিৎসাপণ্য সরবরাহকারী ও হাসপাতালের প্রকিউরমেন্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
“যুক্তরাষ্ট্রে এই চিকিৎসা উপকরণগুলো নিশ্চিতভাবেই পর্যাপ্ত আকারে ছিল না। ময়লা ফেলার ব্যাগ কেটেও, কোভিড ওয়ার্ডের নার্সদের পিপিই বানাতে হয়েছে। এই চিকিৎসা উপকরণগুলো কিভাবে, কোথা থেকে আসছে – আমরা তার গোড়াতে নজরে দিয়েছি।
“ইমপোর্ট জিনিয়াস বা পানজিভাতে আমার কোনো পেইড সাবস্ক্রিপশন নেই। কিন্তু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে ইমপোর্ট জিনিয়াস বিশেষভাবে সুবিধা দেয়। আপনি যদি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাহলে তারা হয়তো আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট করে দেবে। একই ঘটনা পানজিভার ক্ষেত্রেও। অবশ্য তাদের নামটি সোর্স হিসেবে উল্লেখ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
“মার্চের মাঝামাঝির দিকে, আমি দেখছিলাম ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কী পরিমাণ এন৯৫ মাস্ক, সার্জিক্যাল গাউন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সোয়াব আমদানি করা হয়েছে। আমি সেটির তুলনা করতে চেয়েছি তার আগের বছরের সঙ্গে। তখনই আমি খেয়াল করতে শুরু করি যে, আমাদের সরবরাহ চেইনে একটা বড়সড় গলদ আছে।
“সোয়াব তো এই ভাইরাসেরই আরেক রূপ হয়ে উঠেছিল। কারণ সোয়াব ছাড়া আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন না। আর পরীক্ষা ছাড়া এই ভাইরাসের বিস্তারও কমাতে পারবেন না।
“রাবার গ্লাভসের মজুদও কমে গিয়েছিল। এই গ্লাভসগুলো নিয়ে অবশ্য আলাদা অনুসন্ধান হতে পারে। কারণ এটি তৈরিতে অনেক শ্রম নির্যাতনের ঘটনা অতীতে দেখা গেছে। বিশেষভাবে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায়।”
কেনাকাটার সরকারি ডেটা দেখুন
“সরবরাহ চেইন নিয়ে অনুসন্ধানের আরেকটি বড় তথ্যসূত্র: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রকিউরমেন্ট ডেটা সিস্টেম (এফপিডিএস)। এই ওয়েবসাইট থেকে আমরা দেখতে পারি যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখন কী কিনছে। কিছু দেশের রিপোর্টারদের জন্য এই ধরনের ডেটা পাওয়া সহজ, আবার কোথাও কোথাও বেশ কঠিন।
“এফপিডিএন তাদের এক্সেল ডেটাবেজে কোভিড-১৯ এর জন্য একটি কোড তৈরি করেছে। আপনি এখান থেকে দেখতে পারেন সরকার কোথায় কোথায় কী খরচ করছে … বন্দীদের জন্য পিনাট বাটার থেকে শুরু করে ভেটেরান অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জন্য শেষকৃত্যের সরঞ্জাম এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বড় বড় চুক্তি; সব কিছুর তথ্যই এখানে পাবেন।
“এখান থেকেই আমি পেয়েছি, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোন ধরনের মাস্ক ও সোয়াব কিনছে। প্রস্তুতির কোন পর্যায়ে গিয়ে তারা এই উপকরণগুলো কিনেছে, তাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেখাতে পেরেছি, প্রস্তুতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের গাফিলতি ছিল।
“কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যের বেশ কিছু জায়গা আছে। অ্যাসোসিয়েট প্রেস শুরু থেকেই জন হপকিন্সের ওপর নির্ভর করেছে। কিন্তু এখন অন্তত ১৫টি ভিন্ন ভিন্ন সোর্স আছে, যারা ২৪ ঘন্টার হালনাগাদ তথ্য এবং নানা রকমের প্রক্ষেপণ জানায়।”
ট্রিন্ট ডিজিটাল ট্রান্সক্রিপশন
“করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ডিজিটাল ট্রান্সক্রিপশন সেবাগুলো বিশেষভাবে কার্যকরী। কারণ এখন আমরা অন্য যে কোনো সময়ের চাইতে বেশি জোট বেঁধে কাজ করছি, এবং আমাদের শারিরীক দুরত্বও বজায় রাখতে হচ্ছে।
আমি স্থানীয় আদালতের প্রচুর রেকর্ড সংগ্রহ করি এবং অনেক সাক্ষাৎকার নেই। ট্রিন্ট নামের একটি স্পিচ-টু-টেক্সট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারগুলোকে টেক্সট ফাইলে বদলে নিয়ে, সহকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দিই। ট্রিন্ট দারুন একটি টান্সক্রিপশন সেবা, যেখানে আপনি অডিও ও ভিডিও ফাইল থেকে মাত্র কয়েক মিনিটে ট্রান্সক্রাইব করে ফেলতে পারেন। এটি আপনার সব কথোপকথনের স্থায়ী রেকর্ডও রাখে। দেখা গেল, কয়েক মাস আগে আমি হয়তো কোনো সাক্ষাৎকারে এন৯৫ মাস্ক সম্পর্কে শুনেছিলাম। কিন্তু তখন এতো খেয়াল করিনি। এখন আমি সাক্ষাৎকারের টেক্সট ফাইলে গিয়ে এই শব্দটি আবার খুঁজে দেখতে পারি।
ফ্ল্যাইট অ্যাওয়্যার ও মেরিন ট্রাফিক
“বিমান ও জাহাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য খুবই ভালো টুল ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ও মেরিনট্রাফিক। ফেমার (ফেডেরাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি) বিমান বা ইউপিএস, ফেডেক্সের বিমান সনাক্ত করার সময় এই টুলগুলো আমার দরকার হয়েছিল।
“এর মাধ্যমে আমি সমুদ্রে থাকা জাহাজও খুঁজে বের করতে পারি। যদি কোনো কোম্পানি বলে, ‘আমাদের একটি চালান আসছে’, তাহলে আমি পানজিভাতে গিয়ে দেখতে পারি সাধারণত কোন ধরনের কন্টেইনারে তারা এসব পণ্য আনে এবং তারা কোন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছে। আমরা এটাও দেখতে পারব, জাহাজটি কোথা থেকে আসছে। আপনাকে শুধু জাহাজের নাম বা মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানের নম্বরটি জানতে হবে।
“ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের ক্ষেত্রে, আপনাকে জানতে হবে বিমানের এন নম্বর, যেটি সাধারণত সহজেই পাওয়া যায়।”
বিশ্বস্ত সঙ্গী
“এই কাজগুলোর জন্য সহকর্মী জুলিয়েট লিন্ডারম্যানের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলাম আমি। আমরা শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব প্রতিবেদনেই দুজনের নাম যাবে। কে কোন স্টোরিতে কী পরিমাণ কাজ করেছে, তা কোনো বিষয় হবে না, যা এই জোটের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। কে কোথায় সবচে বেশি অবদান রাখছে- এই ধরনের প্রশ্নগুলো সামনে আসারই সুযোগ পায়নি।
“অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে, এখনই আমাদের সবচে বেশি করে দরকার সহকর্মীদের সহায়তা। আপনি যদি কাউকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান, তাহলে সেটি এই কঠিন কাজের জন্য অনেক সহায়ক হবে। যেমন, নকল এন৯৫ মাস্কের অনুসন্ধানের সময়, আমি চীনের এক সহকর্মীকে বলেছিলাম সাংহাইয়ের একটি কারখানায় যেতে। কিন্তু তিনি বেইজিংয়ে থাকার কারণে সেখানে যেতে পারেননি। তখন আমরা দুজন মিলে সাংহাইয়ের আরেকজনকে বলি সেখানে যেতে ও মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে।”
রোয়ান ফিলিপ জিআইজেএন-এর রিপোর্টার। দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমসে কাজ করেছেন প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে। বিদেশী প্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতি, দুর্নীতি ও সংঘাত নিয়ে রিপোর্ট করেছেন বিশ্বের দুই ডজনেরও বেশি দেশ থেকে।