কোভিড-১৯: মহামারির প্রকোপে তথ্য পেতে দেরি

Print More

English

ছবি: পিক্সাবে

তথ্য অধিকার আইনে চাওয়া তথ্য, পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাড়িয়েছে করোনাভাইরাস।

অনেক দেশের সরকারই তাদের কর্মীদের বাড়িতে থাকতে বলেছে। তাই তথ্য চেয়ে করা আবেদনগুলোর জবাব দিতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। যেসব সাংবাদিক ও নাগরিক তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন, তাদের বলা হচ্ছে, উত্তর পেতে দেরি হতে পারে। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে যারা সোচ্চার, তাদের মতে, এভাবে দেশগুলো পেছনের দিকে হাঁটছে। কারণ এই সময় আরো বেশি করে, মুক্ত তথ্যের আদানপ্রদান প্রয়োজন।

যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, তাদের অন্যতম ব্রাজিল। দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো (অস্থায়ীভাবে) একটি ডিক্রি জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে,  কোভিড-১৯ বিস্তারের সময়ে, তথ্য অধিকার আইনে চাওয়া তথ্য আনতে যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে অফিসে যেতে হয়, তাহলে তিনি সেই তথ্য দিতে বাধ্য নন। 

এই ডিক্রি বাতিলের জন্য সংসদ ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ব্রাজিলের ৭০টিরও বেশি নাগরিক সংগঠন। ডিক্রিতে অবশ্য, মহামারি সংক্রান্ত তথ্যের আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে তা করা হবে, এই অগ্রাধিকারের মানদণ্ড কী, উত্তর পাওয়ার সময় কিভাবে কমানো হবে – এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। এরও প্রতিবাদ জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। ২৪ মার্চের এই বিবৃতির শেষে বলা হয়েছে, এই ডিক্রির মাধ্যমে সামষ্টিক স্বার্থ জড়িত তথ্য পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। 

সার্বিয়াতে, জরুরি অবস্থাতেও তথ্য অধিকারের ওপর আনুষ্ঠানিক হস্তক্ষেপ করা হয় না। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা অফিসে যাচ্ছেন না। তাই তাদের ব্যবস্থাটাও খুব একটা কাজ করছে না। হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কতগুলো ভেন্টিলেটর/রেসপিরেটর আছে, তা “রাষ্ট্রীয় গোপনীয় বিষয়” বলে জারি করা সরকারি এক বিবৃতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি সার্বিয়া একটি আবেদন করেছিল। কিন্তু তার কোনো উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।

জবাব দিতে দেরি

সম্ভবত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া দেখা গেছে নিউজিল্যান্ডে। সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখার জন্য একজন ন্যায়পাল আছেন। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কঠিন এই সময়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। এমন বার্তার প্রশংসা করে দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী অ্যান্ড্রু লিটল টুইট করেছেন: “এই অভূতপূর্ব সময়ে ক্ষমতাবানদের জবাবদিহির আওতায় আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তথ্য অধিকার আইন।”

কিন্তু নিউজিল্যান্ড, সত্যিকার অর্থেই ব্যতিক্রম। বিশ্বের অনেক দেশই ঘোষণা দিয়েছে, তথ্য পেতে দেরি হবে। কারো ঘোষণা সুনির্দিষ্ট, আবার কারোটা অস্পষ্ট। প্রাদেশিক বা স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রেও অবস্থা একই।

এখানে থাকছে এই দেশগুলোর চিত্র: অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, এল সালভাদর, ভারত, ইতালি, হংকং, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, রোমানিয়া, সার্বিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। তথ্য অধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে – এমন অন্য দেশের দিকেও নজর রাখবে জিআইজেএন। এমন কোনো ঘটনা আপনার চোখে পড়লে, আমাদের জানাতে পারেন ইমেইলে। 

এল ইউনিভার্সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মেক্সিকোতে তথ্য অধিকারের আবেদনগুলোর জবাব দেওয়ার সময়সীমা প্রায় এক মাস বাড়িয়ে দিয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ট্রান্সপারেন্সি। 

রোমানিয়ায়, নাগরিকদের তথ্য অধিকারের আবেদনগুলোর জবাব দেওয়ার সময়সীমা ১০ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, জরুরি অবস্থার এক প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রির মাধ্যমে। সাংবাদিকদের আবেদনগুলোর জবাব এখন দেওয়া হবে দুই দিনের মধ্যে, আগে যা দেওয়া হতো এক দিনে। একজন বিশেষজ্ঞ অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, আইনি এই সময়সীমা প্রায়ই অগ্রাহ্য করা হয়। 

ইতালির সরকার জরুরি নয় এমন সব আবেদন বাতিল করেছে। ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মের মধ্যে জবাব দেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে, এমন আবেদনও বাতিলের আওতায় পড়বে। তবে কোভিড-১৯ বিষয়ক আবেদনগুলো জরুরি হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা, এ সম্পর্কে তারা নির্দিষ্ট করে বলেনি।

যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিক্রিয়া মিশ্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কিছু সংস্থা তাদের তথ্য অধিকার কর্মকাণ্ড কমিয়ে ফেলছে। আর তারা এই ঘোষণা দিয়েছে এমন সময়, যখন দেশটিতে সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে বাৎসরিক সানশাইন উইক উদযাপিত হচ্ছে।

২৭ মার্চ পলিটিকোর জশ গ্রেস্টিন রিপোর্ট করেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য-নথিপত্র নিয়ে কর্মকাণ্ড “প্রায় থেমে গেছে।” অন্যদিকে, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) কোভিড-১৯-এর কথা উল্লেখ করে আবেদনকারীদের বলেছে, তারা ইমেইলে আর কেনো আবেদন গ্রহণ করবে না, এবং তারা কর্মীদের তারা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন বাজফিড নিউজের জ্যাসন লিওপোড। 

অবশ্য অন্যান্য অনেক সংস্থা বলছে, তারা এখন ইমেইল-আবেদনই বেশি পছন্দ করছেন। 

কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য অধিকার বিষয়ে কী অবস্থান নিয়েছে, তার একটি তালিকা বানিয়েছে রিপোর্টার্স কমিটি ফর ফ্রিডম অব দ্য প্রেস। সেখান থেকে দেখা যায়, কয়েকটি সংস্থা বলেছে তথ্য পেতে দেরি হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর পেতে “দেরি হতে পারে।” আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের ওপর কোভিড-১৯-এর কী প্রভাব পড়বে, তা জানতে চেয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক এমা বেস্ট। তার এই কাজ নিয়ে কলম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউ-এ একটি পর্যালোচনা করেছেন রিচার্ড সালেমি ও নিনা জোয়েগ। 

স্বচ্ছতার দাবি তুলেছে মার্কিন সংগঠনগুলো 

তথ্য প্রদানে দেরির বিষয়টি দেখা যাচ্ছে প্রাদেশিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়েও। কিন্তু কোভিড-১৯ এর মতো মহামারির সময় সরকারের স্বচ্ছতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এক যৌথ বিবৃতিতে তুলে ধরেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ১৩০টিরও বেশি গ্রুপ।

“জনস্বাস্থ্য যখন সংকটে, তখন স্বচ্ছতা এবং সংকট মোকাবিলায় সরকার কী করছে সেই তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, আরো বেশি জরুরি” – এমনটাই বলা হয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সরকারের স্বচ্ছতা শীর্ষক রিপোর্টার্স কমিটির প্রতিবেদনে। এখানে তথ্য অধিকার, উন্মুক্ত বৈঠক, এমন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

“কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা সংস্থাগুলোর উচিত কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট তথ্যের আবেদন আরো দ্রুত নিষ্পত্তি করা।  বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছ থেকে আবেদনগুলোকে জরুরি চাহিদার আইনি সংজ্ঞায় ফেলার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি। বলেছে, প্রয়োজনে স্বপ্রণোদিতভাবে আরো তথ্য প্রকাশ করতে হবে সরকারকে। 

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, যুক্তরাষ্ট্র, দুর্নীতি-বিরোধী ২৫টি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেসের কাছে। কিভাবে তথ্য আরো উন্মুক্ত করা যায়, এমন অনেক পরামর্শের মধ্যে একটি ছিল “তথ্য অধিকার আইন ও প্রাইভেসি আইনের দায়বদ্ধতা ও করণীয়গুলো বেসরকারি খাতের সেসব কোম্পানির প্রতিও জারি করা হোক, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। 

দেরির শংকা আরো দেশে

কিছু দেশে, তথ্য দিতে দেরি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো। কিন্তু তারা কোনো নির্দিষ্ট ডেডলাইনের কথা বলেনি।

কানাডায় তথ্যের জন্য করা আবেদনগুলো “কিছু সময়ের জন্য স্থগিত” রাখার কথা বলা হয়েছে। তথ্যের জন্য আবেদন করে এমন বার্তাই পেয়েছেন কেন রুবিন। একই কথা বলা হয়েছে ন্যাশনাল পোস্টের একটি প্রতিবেদনে। 

যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় থেকে এক সপ্তাহ আগে বলা হয়েছে, কিছু আবেদনের জবাব দিতে দেরি হতে পারে এবং তারা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ব্যাপারে সহনশীল থাকবে। পরবর্তীতে ডাকযোগে আবেদন না পাঠিয়ে অনলাইন বা ফোনের মাধ্যমে আবেদন পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়।

অস্ট্রেলিয়ার তথ্য কমিশনারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্থাগুলোর তথ্য প্রদানের সক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা তাদেরকে সুপারিশ করেছি।”

হংকংয়ে, তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আসা আবেদনগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা ন্যায়পালের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তারা “শুধু মৌলিক ও সীমিত কিছু সেবা দেবে।”

ডেকান হেরাল্ডের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি) বলেছে, লকডাউন চলাকালে তারা শুধু লিখিত আবেদনগুলো নিয়ে কাজ করবে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, “খুবই জরুরি শুনানিগুলো করা হবে অডিও-ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে… কারো শারীরিক উপস্থিতি কাম্য নয়।” সিআইসি আরো বলেছে, তারা “প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের” দিকগুলো খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা করছে।

এল সালভাদরে, এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে বেশিরভাগ বিচারিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। যার প্রভাব স্বাভাবিকভাবে পড়ছে স্যালভাদোরান অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন সংস্থার ওপরও। 

স্বচ্ছতার প্রতি সমর্থন নিউজিল্যান্ডে

ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডে। সরকারী এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতি বুঝে আবেদন করতে বলা হয়েছে দেশটির নাগরিকদের। আর সরকারি সংস্থাগুলোকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে, তথ্য দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে। এই বিবৃতি নিয়ে টুইট করেছেন দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী। 

মুখ্য ন্যায়পাল পিটার বোশিয়ের লিখেছেন, “আমি এই পরিস্থিতিতে সরকারি সংস্থা বা মন্ত্রণালয়গুলোর ওপর কোনো বাড়তি চাপ তৈরি করতে চাই না। কিন্তু এই বৈশ্বিক মহামারির কারণে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যম ও অন্যদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্যের আবেদন আসলে অবশ্যই তার উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন। জনস্বাস্থ্য, সুরক্ষা-নিরাপত্তা, অর্থনীতি, বাসস্থান ও পারিবারিক নানা পরিস্থিতি বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেগুলোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এখন আরো বেশি করে দরকার। আমি আমার কর্মীদের বলেছি এসব বিষয়ে আসা আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে।”

স্বচ্ছতার সমর্থনে জাতিসংঘের দূত ও অন্যান্যরা

গত ১৯ মার্চে দেয়া একটি বিবৃতিতে তথ্য উন্মুক্ত করা, ইন্টারনেট সচল রাখা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত। তাতে বলা হয়েছে:  

“প্রথমত, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ কী ধরনের হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে, সে সম্পর্কিত সত্য তথ্য সরকারকে দিতে হবে। মানবাধিকার আইনের কারণে সব দেশের সরকারই এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করতে বাধ্য, যা সবাই দেখতে পারবে। বিশেষ করে নিশ্চিত করতে হবে সীমিত ইন্টারনেটের আওতায় থাকা জনগোষ্ঠীর তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি। এবং নজর দিতে হবে শারিরীক অক্ষমতার জন্য যাদের তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং, তাদের দিকে।” 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে বলেছে, “স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেওয়া সরকারগুলোর দায়িত্ব।” করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে আরো বেশি দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলেছে, “স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা, উন্মুক্ততা ও সততার চর্চা আরো বেশি করে হওয়াটা জরুরি।” 

স্বচ্ছতার জন্য এমন আহ্বানের পরও, তথ্য অধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যাক্টিভিস্টরা খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না। যেসব দেশ তথ্য অধিকারের লাগাম টেনে ধরছে, তাদের দিকে নজর রাখবে জিআইজেএন। আপনার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে, আমাদের ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়: hello@gijn.org


লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতা বিষয়ে লেখকের ব্লগ, আই অন গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সি ডট নেট-এ। অনুসরণ করুন: @tobyjmcintosh

টবি ম্যাকিনটশ জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টারের সিনিয়র পরামর্শক। তিনি ওয়াশিংটন-ভিত্তিক রিপোর্টার ছিলেন এবং ৩৯ বছর ধরে বুমেরাং বিএনএ-এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।  তিনি অলাভজনক ওয়েবসাইট ফ্রিডমইনফো.ওআরজি-র সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। টবি আইঅনগ্লোবালট্রান্সপারেন্সি.নেট নামে একটি ব্লগ চালান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *