সম্পাদকের নোট: রগচটা হিসেবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটু দুর্নাম আছে – তা সে নিউজরুমের ভেতরেই হোক বা বাইরে। এই ভাবমূর্তি কখনো কখনো তাদের কাজেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একারণে “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা: টিকে থাকার গাইড” নামের বইয়ে, বসের সঙ্গে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সম্পর্ক নিয়ে পুরোদস্তুর একটি অধ্যায় রেখেছেন সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডনে সাংবাদিকতার অধ্যাপক এবং গার্ডিয়ানের সাবেক অনুসন্ধানী নির্বাহী সম্পাদক ডেভিড লেই। সেই অধ্যায়ে আছে, তাঁর সাবেক কর্মস্থল (দ্য টাইমস অব লন্ডন, দ্য অবজার্ভার) এবং আরো দু’টি নিউজরুমে (ফক্স, সিবিএস) কর্মী-বিদ্রোহের কেস স্টাডি; আর আছে কয়েকটি বিচক্ষণ পরামর্শ, যা কিনা বসদের সঙ্গে মানিয়ে চলার পাশাপাশি, প্রতিবেদন প্রকাশের পথ তৈরিতেও সাহায্য করবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের। নিচের লেখাটি মূলত গাইডের সেই অধ্যায়ের সারসংক্ষেপ। বইটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে প্যালগ্রেভ ম্যাকমিলান থেকে।
এই অধ্যায় পড়ে গণমাধ্যমের সব বসকেই, আপনার আপাদমস্তক শত্রু বলে মনে হতে পারে। আমি এমন কিছু সাংবাদিককে চিনি, যাদের কাজ কর্মস্থলে গিয়ে সম্পাদকের দিকে কটমট করে তাকিয়ে থাকা এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নিয়ে বিড়বিড় করা। অবশ্য এতে তাদের কাজের যে কোনো উন্নতি হয়, তা নয়। আমি এমন বসও পেয়েছি, যারা দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ। তাঁরা সাহায্য করতেন, অনুপ্রেরণা দিতেন। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ; কারণ তাদের সাহায্য ছাড়া অনেক কিছুই খুঁজে পাওয়া বা প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।
এখন যে কথা বলতে যাচ্ছি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাকে চূড়ান্ত বলে মেনে নিতে পারেন: আপনাকে ধরে-বেঁধে রাখা বা হতাশায় ডুবানোর যে ভূমিকায় বসকে দেখছেন, খুবই ভালো হয় যদি তার বাইরে গিয়ে, বসের চোখ দিয়ে দুনিয়াটা একটু দেখার চেষ্টা করেন। এটা ঠিক, দুর্নীতিগ্রস্ত মিডিয়া পরিবেশ অনেক ক্ষেত্রে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এও সত্য, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা কখনো কখনো গোটা প্রতিষ্ঠানের জন্য সমস্যা তৈরি করেন। আরো পরিস্কার করে বললে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা অনেক সময় মূর্তিমান যন্ত্রণা হয়ে ওঠেন।
প্রথম কথা হলো, তাদের পেছনে খরচ বেশি। একজন রিপোর্টারকে – পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে – গোটা একটা দলকে প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড থেকে আলাদা করে দীর্ঘমেয়াদী কোনো অনুসন্ধানে নিয়োজিত করা অনেক খরচের ব্যাপার। সেই বাজেট সম্পাদককেই যোগাতে হয়। গাড়ী, বিমান টিকিট, হোটেল ভাড়া, বিশেষজ্ঞ বা বিদেশী পরামর্শক নিয়োগ — সব কিছু মিলিয়ে খরচ বাড়তেই থাকে। এক ঘন্টার একটি টেলিভিশন তথ্যচিত্রের যে বাজেটকে আপাতদৃষ্টিতে যুক্তিযুক্ত মনে হবে, তা-ই ভয়ানক ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে অকটারমাকটি গেজেটের মত ছোট পত্রিকার জন্য।
খরচের চেয়েও খারাপ হলো অনিশ্চয়তা। সম্পাদকদের প্রতিনিয়ত পাতা ভরানোর কথা চিন্তা করতে হয়। যদিও টেলিভিশন বা ম্যাগাজিনের তুলনায় সংবাদপত্রের অবস্থা কিছুটা সহনীয়, ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে লেখার দৈর্ঘ্য নিয়ে ভাবনা কম থাকে – কিন্তু সব ক্ষেত্রেই সম্পাদকরা এমন সাংবাদিকতা পছন্দ করেন যেখানে প্রতিবেদনগুলো একটা নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের হবে এবং নিয়মিত বিরতিতে আসতে থাকবে। অনেকটা কারখানায় তৈরি পণ্যের মতো। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এমন নয়। এখানে ফলাফলের কোনো নিশ্চয়তা নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রিপোর্টই আসে না। প্রায়ই দেখা যায়, প্রতিবেদন তৈরির সময়সীমা হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত এবং দৈর্ঘ্য হয়ে গেছে বিশাল। তখন সংশ্লিষ্ট সম্পাদকের জন্য, ব্যাপারটা হয়ে দাঁড়ায় দুঃস্বপ্নের মতো। এই দুঃস্বপ্ন সামাল দেয়ার অন্যতম উপায় হলো বেশি বেশি রিপোর্ট চাপিয়ে দেয়া। এতে সহজসাধ্য অনুসন্ধানের নিয়মিত যোগান নিশ্চিত হয় ঠিকই, কিন্তু রিপোর্টারদের মধ্যে সংশয় ও ক্ষোভ আরো বাড়ে।
কোনো কোনো প্রতিবেদন সফলভাবে জমা পড়ার পর দেখা যায় সম্পাদকীয় দৃষ্টিকোন থেকে সেটি হয়ে গেছে ম্যাড়মেড়ে। সম্পাদকদের পছন্দ হালকা, ঝলমলে ও সহজবোধ্য সব অভিযোগ, যেগুলো সাধারণ পাঠক দ্রুত বুঝতে পারে। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা তেমন নয়। আইনি ঝামেলা এড়াতে কোনো অনুসন্ধানে শব্দ ব্যবহারে রাখতে হয় অস্পষ্টতা, হতে হয় সতর্ক, কখনো বা বাড়তি কথা বাদও দিয়ে দিতে হয়। এখানে অতিমাত্রায় সতর্ক থাকাটা খুবই জরুরি হয়ে দাঁড়ায় এবং প্রথম স্টোরিটি প্রকাশের সময় পর্যন্ত অনেক তথ্য অজানাই থেকে যায়। এর ফলে প্রতিবেদনের ভাষা কখনো কখনো হয়ে পড়ে কেতাবী, এমনকি বিভ্রান্তিকর। সাজানো গল্প, ভুয়া লেনদেন আর তা লুকোনোর হাজার রকম চেষ্টার মধ্য থেকে কঠিন পরিশ্রম করে ঘেঁটে ঘেঁটে বের করতে হয় অপরাধ, জালিয়াতি আর অনিয়মের একেকটি ঘটনা। এখানে প্রায়ই দরকার হয়ে পড়ে জটিল হিসাববিদ্যার নীরস বর্ণনা। আর সত্যি বলতে, এতকিছুর পর ফলাফল দাঁড়ায় একটি একঘেঁয়ে প্রতিবেদন।
“গোয়েন্দা” মনোবৃত্তির কারণে অনেক সাংবাদিকের কাজের পদ্ধতি হয়ে ওঠে ক্লান্তিকর। কখনো কখনো তারা সেই রিপোর্টের চিন্তা থেকে বেরুতেই পারেন না। লম্বা সময় ধরে অন্যের গোপন খবর খুঁড়ে বের করতে গিয়ে তারা অনেক সময় খেই হারিয়ে ফেলেন। আমার মনে আছে, একবার লন্ডনে কাঠখোট্টা এক বার্তা সম্পাদকের ওপর রাগে ফেটে পড়েছিলাম। রোমানিয়ায় ঘুষ লেনদেনের ঘটনা নিয়ে আমার করা রিপোর্টে তিনি কোনো তাৎপর্যই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আমি ঠিক ছিলাম — কারণ পরে দেখা গিয়েছিল তথ্যগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তিনিও তাঁর জায়গায় ঠিক ছিলেন — কারণ একঘেঁয়ে বলে তিনি সেগুলোকে সংবাদ তালিকায় যোগ করতে চাননি।
এর সাথে আছে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের মনে বাসা বাঁধা ব্যক্তিত্বের সমস্যা। দিনের পর দিন ধরে ক্ষমতাবান মানুষের কাছ থেকে মিথ্যা শুনতে শুনতে বা হুমকি পেতে পেতে, তাদের গায়ের চামড়া মোটা হয়ে যায়; মনে জন্ম নেয় অন্য রকম এক আত্মবিশ্বাস; আর লড়াই করার অদম্য ইচ্ছা। কিন্তু এই গুণগুলোই, দুর্ভাগ্যবশত, দোষ বা আগ্রাসী মনোভাব হিসেবে বিবেচিত হয় সহকর্মী এবং বসদের সাথে আচরণের বেলায়। ভদ্র ভাষায় চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্যকে বলা হয়: “বদমেজাজী।” আর বাদবাকি উপাধিগুলো ঠিক ছাপার মত নয়।
দীর্ঘ সময় নিয়ে করা, আপাতদৃষ্টিতে নীরস এবং লম্বা একটি স্টোরি যখন সম্পাদকের সামনে আসে, তখন দেখা যায় সেটি ঝুঁকির বিচারে রীতিমত বিস্ফোরক। রিপোর্ট যদি ভালো হয়, তাহলে ক্ষমতাধর ব্যক্তি এবং তাদের নামী-দামী আইনজীবীদের চক্ষুশূল হবেন নিশ্চিত। ভাগ্য প্রসন্ন হলে, শুধু নালিশ আসতে থাকবে, আর তা সামাল দিতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করতে হবে সম্পাদককে। আর ভাগ্য খারাপ হলে – খেতে হবে মামলা, চালাতে হবে তার খরচ এবং প্রতিষ্ঠানের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে চাপ আসতে থাকবে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে। আর যা সবচেয়ে বাজে, একারণে চাকরিও চলে যেতে পারে আপনার সম্পাদকের। নিউজরুমের অভ্যন্তরীন কেলেঙ্কারি নিয়ে বিসিসির সেই পুরোনো রসিকতা এখনো চালু আছে: “ডেপুটি হেড আসবে আর যাবে।”
অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা যেমন:
- ব্যয়বহুল
- অনিয়মিত
- একগুঁয়ে
- বদমেজাজী
- অনিশ্চিত
- একঘেঁয়ে
- বিপজ্জনক
অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা সবচেয়ে হতাশ হন এবং রেগে যান, তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে। কিন্তু এর পেছনে বসের যুক্তি বা তার মনে কী চলছে, তা কখনো বুঝতে চেয়েছেন? কোনো প্রতিবেদন চাপা পড়ে যাওয়া কী বসের দোষ নাকি আপনার? প্রতিষ্ঠান যখন প্রতিবেদন ছাপতে অনাগ্রহী হয়, তখন মাথা গরম করার বদলে রিপোর্টারদের প্রয়োজন বিবেচনাপ্রসূত পরামর্শ। রিপোর্টার হিসেবে আপনাকে জানতে হবে, আগে নিজেদের ভুলভ্রান্তি কিভাবে কমিয়ে আনবেন। ছোট একটি চেকলিস্ট দেখে নিতে পারেন এখান থেকে।
প্রথমত, এমন কিছু বলুন ও করার চেষ্টা করুন যা নির্ভরযোগ্য। এর মানে, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অবাস্তব সময়সীমা নির্ধারণ না করা। এর মানে, আপনি যা পারবেন না, তেমন প্রতিশ্রতি না দেওয়া। এর মানে, সৎ থাকা। এমন দৃশ্য খুব বিরল নয়, বিশেষত টেলিভিশনের জগতে, যেখানে দেখা যায়, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা কোনো রিপোর্ট করার অনুমতি পেলেন, শুরুতে কিছু টাকাও পেলেন; এবং তারপর দেখলেন, যা পিচ করেছিলেন ঘটনা আসলে তেমন নয়, এবং সেখানে আসলে রিপোর্ট করার মতো কিছু নেই। তখন, টাকাগুলো খরচ হয়ে যাওয়ায়, বাড়িয়ে বলা বা এমনকি জালিয়াতিরও সুযোগ তৈরি হয়। এভাবেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিজেকে অশ্রদ্ধা এবং অজনপ্রিয়তার জায়গায় নিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, একটিমাত্র কাজ নিয়েই পড়ে থাকবেন না। নিজেকে একই রিপোর্টে আটকে ফেলবেন না। লেগে থাকার প্রবণতা, এমনকি একগুঁয়েমিও খুব জরুরি। কিন্তু একটি প্রতিবেদন নিয়ে সর্বক্ষণ, একটানা চিন্তা করতে থাকলে কিছুদিন পর চোখে ঠুলি পড়ার দশা হয় রিপোর্টারের। তাদের মনে হতে থাকে, অনুসন্ধানের ছোটখাট প্রতিটি বিষয়ই রিপোর্টের জন্য আকর্ষণীয়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। কিছু সময় বিশ্রাম নিন। অন্য কিছু নিয়ে লেখার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন, দিনশেষে সংবাদও একটি ব্যবসা, আর আপনি সেখানেই কাজ করেন। বিশ্বজুড়ে নানা বিষয়ে যেসব কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি-অনিয়ম ঘটে চলেছে, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান ছাপা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যদি তা সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে মিলে যায়। চাহিদা আরো বেশি হবে যদি চলমান বড় কোনো বড় নিউজ স্টোরির সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা থাকে। ধরা যাক, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নিউ ইয়র্কের একজন অখ্যাত প্রোপার্টি ডেভেলপার ছিলেন, তখন যদি তাঁর যৌন কুকীর্তি নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হতো, তাহলে সেটা তেমন আকর্ষণীয় হতো না। কিন্তু তিনি যখন “দ্য অ্যাপ্রেন্টিস” নামে অনুষ্ঠান শুরু করলেন এবং টেলিভিশন তারকা হয়ে উঠলেন, তখন সেই অনুসন্ধান মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করবে। প্রতিবেদনটি আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, যখন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। আর এটা সত্যিই গরম খবর হয়ে উঠবে যদি সেটি এমন সময় প্রকাশিত হয়, যখন বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে এবং তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
আবার, কেউ যদি আপনার আগেই একই রকম তথ্যপ্রমাণ দিয়ে রিপোর্ট করে ফেলেন এবং তার জের ধরে প্রেসিডেন্ট যদি পদত্যাগ করেন – তাহলে সাপলুডু খেলায় আপনি হেরে গেছেন। আপনার রিপোর্ট প্রথম পাতা থেকে শেষের দিকে চলে যাবে, একেবারে সাপের লেজে।
একইভাবে, যদি বড়সড় একটি উল্কাপিণ্ড হোয়াইট হাউজে আঘাত হানে, আর সব কিছু ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে আপনি আপনার যৌন-কেলেঙ্কারির অনুসন্ধানের কথা ভুলে যেতে পারেন। তখন কেউই এটি দেখতে চাইবে না।
একজন রিপোর্টার হিসেবে, আপনাকে যে এই অযৌক্তিক খেলাটা খেলতে হচ্ছে, তাতে রাগান্বিত হওয়ার কিছু নেই। বরং মেনে নেয়া ভালো সংবাদ প্রকাশের জন্য সময় এবং পরিস্থিতিই প্রধান বিষয়, এবং বসের সঙ্গেও চলতে হবে একথা মাথায় রেখে। মনে রাখবেন, নতুন কিছু খুঁজে বের করা, কাজের অর্ধেক মাত্র; আর বাকি অর্ধেক হচ্ছে, তাকে প্রকাশযোগ্য করা।
বসের সঙ্গে মানিয়ে চলার উপায়:
- নির্ভরযোগ্য হন
- এক বিষয় নিয়ে পড়ে থাকবেন না
- সময়োপযোগী খবর খুঁজে বের করুন
ডেভিড লেই ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সাংবাদিকতার অধ্যাপক। এর আগে ১৫ বছর ধরে তিনি কাজ করেছেন গার্ডিয়ানের অনুসন্ধান দলের প্রধান হিসেবে। কাজ করেছেন দ্য টাইমস, অবজার্ভার ও দ্য স্কটসম্যানে। ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি ছিলেন প্রথম লরেন্স স্টার্ন ফেলো। দিস উইক ও ওয়ার্ল্ড ইন অ্যাকশন-এ কাজ করেছেন প্রযোজক হিসেবে। লেই জিতেছেন বেশ কয়েকটি সাংবাদিকতার পুরস্কার এবং লিখেছেন বেশ কয়েকটি বই। যার মধ্যে আছে উইকিলিকস: ইনসাইড জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ’স ওয়ার অন সিক্রেসি (২০১১)।