এই বছরে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হওয়া সেরা ১০টি ডিজিটাল স্টোরির একটি তালিকা তৈরি করেছে হ্যাকাস্টোরি। তাদের সম্পর্কে আরো জানতে হলে ঘুরে আসুন এই লিংক থেকে। পড়ুন, কীভাবে তারা বার্তাকক্ষগুলোকে, “ভবিষ্যতের ঝড় সামাল দেয়ার শক্তি যোগাচ্ছে।”
বছর শেষ হওয়ার জন্য কেন অপেক্ষা করবেন? তার আগেই জেনে নিন আমাদের বিচারে সবচে জনপ্রিয় ডিজিটাল স্টোরি কোনগুলো। এই তালিকায় বিশ্বের নানা প্রান্তে, নানান দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া চমকপ্রদ সব ইন্টার্যাকটিভ, গেইমস, স্ক্রোলি (স্ক্রল করে পড়তে হয়) ডেটাভিত্তিক প্রতিবেদন জড়ো করেছি আমরা। এই স্টোরিগুলো আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। আমাদের ব্লগে আরো পাবেন ২০১৮ এবং ২০১৭ সালের সেরা ডিজিটাল স্টোরির তালিকা। আমাদের সাইটে এসে পাঠকরা এই দুটি প্রতিবেদন সবচেয়ে বেশি পড়েছেন। আর আপনার সবচেয়ে প্রিয় স্টোরির কথা জানাতে চাইলে আমাদের সাথে এখানে যোগাযোগ করুন!
নিউ ইয়র্ক টাইমস – যেভাবে তৈরি হল ইউটিউবের চরমপন্থী
একটি চিরচেনা স্ক্রোলি: ভাল গল্প, ছবি, ইনফোগ্রাফ, আর তার সাথে সুন্দর ছন্দ। এই গল্পে, নিউইয়র্ক টাইমস দেখিয়েছে, কালেব কাইন নামের এক কলেজপড়ুয়া যুবক ইউটিউবে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, নারী-বিদ্বেষ আর বর্ণবাদী ভিডিও দেখতে দেখতে কীভাবে উগ্র-ডানপন্থী গোষ্ঠীর অন্ধকার চক্রে জড়িয়ে পড়ে।
বিএনএন / ওয়ারা – আমিই মোসুল (ডাচ)
এটি সাংবাদিকতার একটি গেইম। খেলাটি আবর্তিত হয়, আপনি কীভাবে যুদ্ধ থেকে বেঁচে ফিরবেন – এমন প্রশ্নকে ঘিরে। ডাচ টিভি চ্যানেলটির তৈরি করা এই গেইম গড়ে উঠেছে ইরাকের মোসুল শহরের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। তবে শহরটি দেখানো হয়েছে নেদারল্যান্ডসের। “গেইমটি খেলতে গেলে আপনাকে শুধু দৌঁড়াতে হবে। মাত্র আট সেকেন্ডের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেকে কীভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন!” হঠাৎই দেখবেন, খেলতে খেলতে আপনার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছে।
এসবিএস অস্ট্রেলিয়া – হারানো মেয়ের খোঁজে
এই ইন্টার্যাক্টিভটি আপনাকে ওয়েন্ডি ফেইফার নামের একটি হারিয়ে যাওয়া মেয়ের গল্প বলবে। এটি পড়তে গিয়ে কখনো মনে হবে আপনার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে, আবার কখনো মনে হবে হৃদয়টাই ভেঙ্গে যাচ্ছে। শব্দের ব্যবহারে কিছুটা দুর্বলতা থাকলেও, তাতে স্টোরির আবেদন এতটুকুও কমেনি। ওয়েন্ডির কী হল জানতে, আপনাকে স্ক্রল করে করে এগুতে হবে অসাধারণ এই অডিও-ভিজ্যুয়াল স্টোরি ধরে।
দ্য গার্ডিয়ান – অদেখা ইন্টারনেট: চীন, রাশিয়া, কিউবা ও ভারতে কেমন অনলাইন জীবন
অনলাইন এখন একরকম আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। বিষয়টি এতই সাধারণ যে, অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না, ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা একেক দেশে একেকরকম হতে পারে। রাশিয়া, চীন, কিউবা, আর ভারতে ডিজিটাল জগতে বিচরণ যে কতটা কঠিন, সেটাই তুলে ধরেছে এই ইন্টার্যাক্টিভ, পুরো দিনের আবহে।
প্রোপাবলিকা – ভিজ্যুয়াল সাংবাদিকতায় (প্রায়) এক বছর
সম্ভবত এটাই ২০১৯ সালে প্রকাশিত প্রথম বিশেষ ডিজিটাল প্রযোজনা। গত বছর প্রোপাবলিকা যতগুলো ভালো প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেগুলোকে স্ক্রল করে করে দেখা যাবে এখানে। বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিজেদের সাফল্য প্রচার করার এটি একটি দারুণ পদ্ধতি।
দ্য ইকোনোমিস্ট – নিজেই বানিয়ে নিন ভোটার
মানুষ কার পক্ষে রায় দেয়, সেই উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে ইকোনোমিস্টের এই ডেটা স্টোরি। লিংকে গিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন, নিজেই একজন ভোটার তৈরি করুন আর দেখুন আপনার বানানো ভোটারের ডেমোক্র্যাটদেরকে ভোট দেয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।
মালয়েশিয়াকিনি – বাজেট ২০১৯: আপনার জন্য কী অর্থ বহন করে?
বাজেট অনেকের কাছেই একটি কাঠখোট্টা বিষয়। তাহলে কিভাবে পাঠকদের কাছে বিষয়টিকে আকর্ষণীয় করে তুলবেন? মালয়েশিয়ার ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানী মালয়েশিয়াকিনি এজন্য তৈরি করেছে একটি অনলাইন টুল। একজন সাধারণ মানুষের জন্য নতুন বাজেটের অর্থ কী, তা বুঝতে সহায়তা করে টুলটি। তা-ও মাত্র ছয়টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে। মনে রাখবেন, একটি জটিল বিষয়কে সহজ করে তুলে ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভক্স – আমরা স্কুল জোন আঁকতে পারি
অভিভাবকরা তার সন্তানকে বাড়ীর কাছের স্কুলগুলোতে ভর্তি করাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মার্কিন শহরগুলোতে আবাসিক এলাকাগুলো ভাগ হয়েে আছে অনেকটা জাতির ভিত্তিকে। শ্বেতাঙ্গ প্রধান এলাকার স্কুলে তাই শুধু শ্বেতাঙ্গ শিশুরাই ভর্তি হচ্ছে। হিস্পানিক বা অন্য জাতির মানুষ যে অঞ্চলে বাস করেন, সেখানে ভর্তি হচ্ছে তাদের সন্তানরা। এই ডেটা সাংবাদিকতা প্রকল্প দেখিয়েছে, এ কারণে মার্কিন শিশুদের মধ্যে কীভাবে জাতি বা বর্ণভিত্তিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। তারা তুলে ধরেছে, আবাসন নীতির কারণে কীভাবে এই জাতিভিত্তিক আবাসন কাঠামো উৎসাহিত হচ্ছে।
স্ট্রেইটস টাইমস – গেইম অব সারভাইভাল
এটি একটি গেইম। ২০১৭ সালে প্রকাশিত উবার গেইমের উত্তরসূরী। এখান থেকে আপনি নিজের পছন্দের সাথে মিলিয়ে একটি চরিত্র বেছে নিতে পারবেন। তারপর গেইমই আপনাকে বলে দেবে সিঙ্গাপুর সরকারের দেয়া বাজেট আপনার জীবনকে কতটা সহজ অথবা কঠিন করে তুলবে।
টাইমস – আপনিও কি স্পিকার হতে পারেন?
অর্ডার! ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার সময় ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার কিছুক্ষণ পরপরই ”অর্ডার” বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। কিন্তু ঠিক কী ধরনের পরিস্থিতিতে এই শব্দটি বলা যায়, তা কি জানেন? কয়েকটি অ্যানিমেশন দেখুন এবং জেনে নিন সংসদে কখন কী করা যায় আর কী করা যায় না।
এই নিবন্ধটি প্রথম হ্যাকাস্টোরিতে প্রকাশিত হয়। এখানে অনুমতি নিয়ে ফের প্রকাশ করা হল। তাদের সম্পর্কে আরো জানতে হলে ঘুরে আসুন এই লিংক থেকে। দেখুন, কীভাবে তারা সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোকে, ভবিষ্যতের ঝড় সামাল দেয়ার শক্তি যোগাচ্ছে।
আলকা আনা গুস একজন ডাচ সাংবাদিক এবং হ্যাকাস্টোরির অন্যতম স্ট্র্যাটেজিস্ট। তিনি জনপ্রিয় টুল ও সংস্থার তালিকা নিয়ে ডিজিটালস্টোরি ডট টুলস নামের একটি সাইট তৈরিতে সাহায্য করেছেন।
অনেক ভালো পোষ্ট আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ!