নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে, সাবেক মালিকদের সাথে যুদ্ধে নেমেছে ইউক্রেনের সবচে বড় বেসরকারি ব্যাংক। এরিমধ্যে তারা ডেলাওয়্যারের প্রাদেশিক আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছে। সেখানে কোটিপতি ব্যবসায়ী ইহোর কলোমোইস্কি এবং হেনাদি বোগোলিউবভের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের মুদ্রাপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। জাতীয়করণের আগে প্রাইভেটব্যাংকের মালিক ছিলেন এই দুই ব্যবসায়ী।
প্রাইভেটব্যাংকের আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, বিবাদীদের কারণে “কোটি কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে টাকা স্থানান্তর করেছেন, যা প্রাদেশিক আইনের পাশাপাশি ওহাইওর দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিধিমালারও পরিপন্থী। তারা নাগরিক ষড়যন্ত্রের জন্যেও দায়ী।”
আটলান্টিক কাউন্সিলের এই ব্লগ পোস্টে বলা হচ্ছে, মামলার সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল: “২০০৬ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে, প্রাইভেটব্যাংকের সাইপ্রাস শাখা থেকে তাদের [বেনিফিসিয়াল ওনার] মাধ্যমে ৪৭০বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে, যা ঐ সময়ে সাইপ্রাসের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রায় দ্বিগুণ। ”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামীরা টাকা পাচার করেছেন মূলত জমি ক্রয়ের মাধ্যমে। এভাবে তারা ক্লিভল্যান্ড শহরের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট মালিক হয়ে ওঠেন। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্যে কয়েকটি ফেরোএলয় (ধাতব পণ্য) তৈরির প্রতিষ্ঠানও কিনে নেন।
মামলার অভিযোগগুলো পুরোপুরি পড়লে, ৪৭ হাজার কোটি ডলার কীভাবে পাচার করা যায়, তার আকর্ষণীয় একটি বিবরণ পাবেন। দেখুন আমাদের ডকুমেন্ট অব দ্য ডে।