অনেকেই আপনাকে বলবেন, একটি সংবাদ নিবন্ধ বা ফিচার স্টোরি লিখতে যত গবেষণা লাগে, ননফিকশন বই লিখতে ততটা লাগে না। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা একদমই আলাদা।
রিপোর্টিংয়ের জন্য গবেষণা আমার কাছে নেহাতই সাদামাটা মনে হয়। ১২৫,০০০-শব্দের ননফিকশন বই লিখতে গিয়ে আমি এখন যা করি, ২৭ বছর ধরে ওয়াশিংটন পোস্টে সংবাদ প্রতিবেদন এবং ফিচার লেখার সময় প্রায় একই কাজ করেছি। মৌলিক বিষয়গুলো একইরকম: আপনার গল্পের শুরু যেই এলাকায় সেখানে সশরীরে যাওয়া, যারা ঘটনা সম্পর্কে কমবেশী জানেন তাদের সবার সাথে কথা বলা, সেই বিষয় নিয়ে যতরকম নথি পাওয়া যায় তার খোঁজ করা, এবং বার বার একই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি করা (এবং আবার) যতক্ষণ না আপনি সন্তুষ্ট হচ্ছেন, প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে তার সত্যতা নিশ্চিত হচ্ছেন বা ঘটনা পুরোপুরি বুঝতে পারছেন।
আমার সাম্প্রতিক দুটি বই লেখা হয়েছে দুটি ‘আইকনিক’ ওয়েস্টার্ন মুভি নিয়ে। চলচ্চিত্রটি কীভাবে তৈরি হয়েছিল এবং তাতে কোন ঐতিহাসিক যুগের প্রতিফলন হয়েছে – সেখানে তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রথমটি ছিলো জন ফোর্ডের “দ্য সার্চার্স” (১৯৫৬)। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জন ওয়েন। অ্যালান লীমের একটি উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে এটি রচিত হয়। গল্পটিতে, টেক্সাসের নয় বছর বয়সী একটি মেয়েকে অপহরণ করে আমেরিকান আদিবাসি কোম্যাঞ্চিরা। পরে তার চাচা ও পালিত ভাই তাকে উদ্ধার করে। একপর্যায়ে আমি আবিষ্কার করি, উপন্যাসটি ছিলো সিন্থিয়া অ্যান পার্কার নামের এক নারীকে অপহরণের সত্য ঘটনা অবলম্বনে। ১৮৩৬ সালে পূর্ব টেক্সাসে এই ঘটনা ঘটে। তিনি ২৪ বছর বন্দী ছিলেন এবং তাঁর তিনটি কেম্যাঞ্চি সন্তান ছিল – প্রায় দুই দিন ঘাঁটাঘাঁটির পর একটি নথি থেকে আমি এই তথ্য জানতে পারি। কয়েকদিনের মধ্যে আবিষ্কার করি, পার্কার পরিবারের উভয় পক্ষ – কোম্যাঞ্চি এবং টেক্সান – প্রতিবছর পারিবারিক পুনর্মিলনী আয়োজন করে এবং একে অপরের অনুষ্ঠানে বিশেষ দূত পাঠায়। আমি আর দেরি না করে ওকলাহোমার সেই কাচে শহরের পথে রওনা হই। ১৮৯০ সালের দিকে, সেখানে, সিন্থিয়া অ্যানের পুত্র কুয়েনাহ একটি বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়ির বাইরেই কোমাঞ্চিরা অবস্থান নিয়েছিল।
একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাহিনী নিয়ে শুরু করা বই ততক্ষণে বেশ গভীর মোড় নিয়েছে। এই বইয়ের জন্য গবেষণা করতে গিয়ে আমি ওকলাহোমার ফোর্ট সিল, ল’টন ও কাচে এবং টেক্সাসের ক্যানিয়ন, প্যালেস্টাইন, ফোর্টওয়র্থ ও অস্টিন শহরের যাবতীয় আর্কাইভ ঘেঁটে দেখেছি। আমি ইতিহাসবেত্তা, নৃতত্ত্ববিদ এবং কুয়েনাহ্’র জীবিত নাতি বেলডুইন পার্কার জুনিয়রের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। মাইলের পর মাইল ভ্রমন করেছি, কখনো টেক্সাস প্যানহ্যান্ডেল (যেখানে কুয়েনাহ একজন যোদ্ধা হিসাবে বসবাস করতেন) থেকে গ্রুসবেক, কখনোবা টেক্সাস (যেখান থেকে সিনথিয়া অ্যানকে প্রথম ধরে নিয়ে আসা হয়) এবং পিজ নদীর (যেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করা হয়) তীর পর্যন্ত। আর এভাবেই বইটির একেকটি দৃশ্য, স্মৃতি আর কাহিনী এগিয়ে যায়।
ঘরের মানুষ
আমার উভয় বইয়ের প্রধান চরিত্র অনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন, কিন্তু প্রত্যেকের বিধবা স্ত্রী কিংবা সন্তান বেঁচে ছিলেন। মারা যাওয়া স্বজনদের সম্পর্কে জানতে-বুঝতে তাদের সহায়তা দারুন কাজে এসেছিল।
“দি সার্চার্স”-এর ক্ষেত্রে জন ফোর্ডের পৌত্র ড্যান এবং জন ওয়েনের পুত্র প্যাট্রিক (ইমেলের মাধ্যমে) অনেক সহায়তা করেছিলেন। ড্যান ফোর্ড আমাকে তার দাদার কাগজপত্রে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেন, যা ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত ছিলো। ড্যান আমাকে বলেছিলেন, ওইসব নথির মধ্যে হাতে লেখা নোটসহ তাঁর দাদার “দি সার্চার্স” উপন্যাসের ব্যক্তিগত কপিটি ছিলো। কিন্তু ব্লুমিংটনে গিয়ে, ফাইলে তেমন কোনো নথি বা দলিল পাইনি। পরে একজন উদ্যমী গ্রন্থাগারিক সেটি খুঁজে বের করলেন, যা গ্রন্থাগারের সাধারণ সংগ্রহে অন্তত এক দশক ধরে পড়ে ছিলো – দৃষ্টির আড়ালে, অপঠিত অবস্থায়।
“হাই নুন” বইটিতে প্রধান চরিত্র ছিলেন চিত্রনাট্যকার কার্ল ফোরম্যান। তাঁর বিধবা স্ত্রী ইভ, ছেলে জনাথন, গ্যারি কুপারের মেয়ে মারিয়া, প্রযোজক স্ট্যানলি ক্রামারের বিধবা স্ত্রী ক্যারেন এবং পরিচালক ফ্রেড জিনম্যানের ছেলে টিম- সবাই বেশ উদারভাবে আমাকে সময় দিয়েছিলেন। তাদের জানা সব কথাও খুলে বলেছিলেন। এইসব বিখ্যাত লোকদের সম্পর্কে প্রচুর লেখা পাওয়া যায়। আমি তাদের সবগুলো পড়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে নতুন কিছু জানতে হলে আপনাকে কথা বলতে হবে তাঁদের ঘনিষ্ঠজনদের সাথে। কারণ তাঁরাই বলতে পারেন, সেই ব্যক্তি কীভাবে বিপদ মোকাবেলা করতেন, কী ধরণের সঙ্গীত পছন্দ করতেন অথবা দুপুরের খাবারে কী খেতেন।
১৯৫১ সালের সেপ্টেম্বরের কথা। চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ে মাঝ পর্যায়ে সাবেক কমিউনিস্ট পার্টি সদস্য ফোরম্যানকে হাউস আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিস কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। এক পর্যায়ে তিনিই আমার বইয়ের প্রধান চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হন।
সেই সময়ই বন্ধু এবং সহকর্মী লেখক জন উইভারের বিশাল সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ফোরম্যান। আমাকে ধারাবাহিক এই টেপের সন্ধান দেন তাঁর আত্মীয়রা। ফোরম্যান তাঁর আত্মজীবনী লেখায় টেপগুলো ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু তা শুরু করার আগেই তিনি মারা যান। বছর দশেক আগে একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরির জন্য ফোরম্যানের প্রথম স্ত্রী, এক ডজন বন্ধু ও সহকর্মীর সাক্ষাৎকারও ধারণ করা হয়, পরের বছরগুলোতে যাদের বেশিরভাগই মারা যান। আমাকে সেইসব রেকর্ডও দেয়া হয়। এই সব উপকরণ আমাকে বুঝতে সাহায্য করে, ফোরম্যান কতটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। হয় চলচ্চিত্র শিল্পে কমিউনিস্ট অনুপ্রবেশ তদন্তে গঠিত কমিটিকে সহযোগিতা করতে হবে অথবা নিজের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার ত্যাগ করতে হবে- ওই সময়টাতে তিনি ঠিক এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমার কাছে মনে হচ্ছিলো, ফোরম্যান যেন নিজ ঘরে বসে আমাকে এই উভয়সংকটের গল্প বলছেন।
পেপার ট্রেইল
বিষয়বস্তু যত পুরনোই হোক, আমার প্রতিটি বইয়ের উদ্দেশ্য থাকে নতুন কিছু খুঁজে বের করা।
পঞ্চাশের দশকে কম্যুনিস্ট হবার অপরাধে অনেক হলিউড তারকাকে ব্ল্যাকলিস্ট বা কালো তালিকাভুক্ত করা হয়, সেই কমিটির সুপারিশে। কমিটি এবং হলিউড ব্ল্যাকলিস্ট সম্পর্কে ততদিনে অনেক ভালো বই বেরিয়েছে। কিন্তু তাদের বেশিরভাগই লিখা হয়েছে, কমিটির গোপন নথি প্রকাশ হওয়ার আগে। কারণ মার্কিন আইন অনুযায়ী ৫০-বছর পুরনো না হলে গোপনীয় কোনো দলিল প্রকাশ করা যায় না। ২০০১ সালে সেই কমিটির নির্বাহী অধিবেশনের ৯৪ বাক্স অনুলিপি, তাদের তদন্তে পাওয়া ৮৯ বাক্স তথ্য-প্রমাণ এবং ৬৮২ ফুট দীর্ঘ “ফাইল ও রেফারেন্স” প্রকাশ করে জাতীয় আর্কাইভ। কিন্তু খুব কম গবেষকই সেগুলো বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছিলেন। সেখানেই আমি এমন এক চরিত্রকে খুঁজে পাই, যার সম্পর্কে আগে বিস্তারিত কোনো কিছু লেখা হয়নি। যার জীবন কার্ল ফোরম্যানের সেই বছরগুলিকে স্পর্শ করেছিল। আমার গল্পে এই চরিত্র বড় ভূমিকা রেখেছিল।
সেই চরিত্রের নাম মার্টিন বার্কলে। ১৯৫১ সালের শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের মধ্যে একজন ছিলেন এই চিত্রনাট্যকার এবং সাবেক কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। তিনি কমিটির নির্বাহী অধিবেশনে, কমিউনিস্ট ও তাদের সহচর হিসেবে ফোরম্যানসহ কমপক্ষে ১৮৯ জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় কোনো গণমাধ্যমই বার্কলের সাক্ষাৎকার নেয়নি। শুনানির পরপরই তিনি হলিউড ছেড়ে চলে যান এবং নিজের কোনো অভিজ্ঞতা না লিখেই মারা যান। ওয়াশিংটনে জাতীয় আর্কাইভে বার্কলের দেয়া সাক্ষ্যের তিনটি অনুলিপি ছিলো, যা আগে প্রকাশ করা হয়নি। আমি উত্তর ক্যারোলিনায় তাঁর ছেলেকে খুঁজে বের করি এবং ফোনে সাক্ষাৎকার নিই। সাক্ষ্য দেয়ার পর বার্কলে, কমিউনিস্ট-বিদ্বেষী প্রচারণার জন্য যেসব লেখা লিখেন, আমি তা-ও পড়েছি। এইসব উপকরণ থেকে আমি বুঝতে পারি হলিউড ব্ল্যাকলিস্টের প্রধান তথ্যদাতা ছিলেন আসলে, বার্কলে।
আমি জাতীয় আর্কাইভে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি খুঁজে পাই। সেটি ছিল ১৯৫৭ সালে কমিটির নির্বাহী অধিবেশনে ফোরম্যানের দেয়া সাক্ষ্যের অনুলিপি। সেখানে তিনি কমিউনিস্ট দলের সাবেক সদস্যপদের জন্য অনুতপ্ত বলে স্বীকার করে নেন। বাজারে গুজব ছিল, ফোরম্যান ওই ব্ল্যাকলিস্ট থেকে নিজের নাম কাটাতে এবং আবার হলিউডে কাজ করার সুযোগ পাওয়ার জন্য বাকিদের নাম বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বরাবরই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। অনুলিপিগুলো তাঁর অবস্থানকেই সমর্থন করে।
একটি নিখুঁত দিন
আর্কাইভের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐতিহাসিক তথ্য সংরক্ষণ ও তার সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। বেভারলি হিলসে অবস্থিত মোশন পিকচার একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের মার্গারেট হেরিক লাইব্রেরি, ইউসিএলএ, সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডনের ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট এবং লিংকন সেন্টারের নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি’স থিয়েটার আর্টস শাখা আমার খুব প্রিয়। এসব জায়গায় হরহামেশাই পুরোনো স্ক্রিপ্ট, চিঠি, চুক্তি এবং মেমোর খসড়া পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, মার্গারেট হেরিক লাইব্রেরিতে হেডা হপার পেপারস শাখায় গেলে এই অভিনেত্রীর ডানপন্থি গসিপ কলামের পেপারকাটিং, তার অনিয়ন্ত্রিত জীবনাচরণ ও রাজনৈতিক মিথ্যাচার সম্পর্কে বিশদ নোট পাওয়া যায়। কিন্তু আমি সাধারণত নথিপত্রের ফাইল দিয়ে শুরু করি না। এই আর্কাইভগুলোতে এমন কিছু নিবেদিতপ্রাণ কর্মী পাবেন, যারা প্রকৃত গবেষকদের সাহায্য করাকে নিজেদের কতর্ব্য বলে মনে করেন। আমি শুরু করি তাদের কাছ থেকে। এখন নথিপত্র অনুসন্ধানের অনেক টুলস এবং সূচী অনলাইনে পাওয়া যায়। কিন্তু মহাফেজখানার রক্ষকরা প্রায়ই আমাকে এমন সব জিনিস খুঁজে বের করে দেন, যার নাম এখনো তালিকাতেই ওঠেনি।
যেমন, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ডোহেনি লাইব্রেরির বিখ্যাত আর্কাইভিস্ট নেড কমস্টক। “হাই নুন” লেখার সময় আমি তাঁর সহায়তায় তিনজন বড় ব্যক্তিত্বের টেপ খুঁজে পাই। তখনো তাদের সেই সাক্ষাৎকারের টেপ লিপিবদ্ধ করা হয়নি। এদের মধ্যে একটি ছিল অসাধারণ – ১৯৭৩ সালে ধারণ করা ৯০ মিনিটের সেই সাক্ষাৎকার ছিলো স্ট্যানলি ক্রামারের। আমার জানা মতে, ক্রামার সেখানেই প্রথম এবং একবারই স্বীকার করেন, তিনি “হাই নুন” প্রযোজনা এবং সম্পাদনার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেননি। চলচ্চিত্রটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, বক্স অফিস সফল এবং বড় বড় চলচ্চিত্রগুলোর উপরে স্থান করে নিয়েছিলো সে বিষয়টিও তিনি ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
“দি সার্চার্স” বইয়ের ক্ষেত্রে আমার প্রিয় গবেষণা অভিজ্ঞতার একটি স্মৃতিচারণ দিয়ে শেষ করা যাক। ইউসিএলএ-এর বিশেষ সংগ্রহশালায় ড্যান লীমে এবং তার ছোট বোন মলির সাথে আমি সকালটি অতিবাহিত করছিলাম। সেখানেই তাদের পিতা ঔপন্যাসিক অ্যালান লীমের রেখে যাওয়া ২৩ বাক্স নথিপত্র পেলাম। যখন শেষ করলাম, তখন একটি গাড়ী নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। উদ্দেশ্য ঔপন্যাসিক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে অ্যালেন লীমে যখন খ্যাতির চূড়ায় আরোহন করছেন, সেই দিনগুলোতে তাদের পিতা-মাতা যেসব বাড়িতে থাকতেন সেগুলো ঘুরে দেখা। সবশেষে আমরা সাগর তীরের প্যাসিফিক প্যালিসেডস শহরের একটি বাড়ীতে পৌঁছুলাম, যেখানে মালিক আন্তরিকভাবে আমাদের সেই ঘর ঘুরে দেখার অনুমতি দিলেন, যেখানে তাদের বাবা “দি সার্চার্স” উপন্যাসের বেশিরভাগটাই লিখেছিলেন।
সেটাই আমার নিখুঁত দিন – অসাধারণ একটি গল্পের সন্ধানে বেরিয়ে তার সাথে জড়িত সব মানুষ, স্থান এবং নথিপত্র – নিজ চোখে দেখা।
গ্লেন ফ্রাঙ্কেল ওয়াশিংটন পোস্টে আন্তর্জাতিক রিপোর্টিংয়ের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছিলেন এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াতেন। পরে অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা স্কুলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বই দি সার্চার্স ছিলো জাতীয়ভাবে সর্বোচ্চ বিক্রিত বই। সেটি বছরের সেরা দশটি গ্রন্থাগার জার্নালের মধ্যে জায়গা করে নেয়। তিনি ১৯৬০-এর দশকের নিউইয়র্ক এবং “মিডনাইট কাউবয়” ছবির নির্মাণ নিয়ে নতুন বই লিখছেন।