জলবায়ু পরিবর্তন গোটা বিশ্বের জন্যই বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই রিসোর্স পেজ তৈরি করেছে জিআইজেএন। এর উদ্দেশ্য হলো, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নতুন নতুন ধারণা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা, যেন তাঁরা বেশি করে রিপোর্ট করতে পারেন।
এই রিসোর্স পেজে তিনটি ভাগ।
প্রথম ভাগে, আমরা তুলে ধরেছি গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ। তাতে পাওয়া যাবে, কীভাবে অনুসন্ধান করতে হয়, সম্ভাব্য বিষয় কী হতে পারে এবং রিপোর্ট করতে গেলে কী মাথায় রাখতে হবে।
দ্বিতীয় ভাগে, আমরা জড়ো করেছি কিছু মন্তব্য প্রতিবেদন। এতে প্রাধান্য পেয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সমসাময়িক সাংবাদিকতার সমালোচনা। পরামর্শ রয়েছে, কীভাবে রিপোর্টিং আরও উন্নত করা যাবে।
তৃতীয় ভাগে, পাওয়া যাবে জলবায়ু নিয়ে সাংবাদিকদের জন্য দরকারি তথ্য ও রিসোর্সের লিংক।
প্রথম ভাগ: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন: যেভাবে অনুসন্ধান করবেন এই শতাব্দীর সবচেয়ে জরুরি স্টোরি; লিখেছেন আর্থ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক জেমস ফান। এখানে তিনি তুলে ধরেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কত রকমের অনুসন্ধানী রিপোর্ট করা যায়।
এখানে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পরামর্শ:
- গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রধান উৎস হিসেবে কয়লা, তেল ও খনিজ গ্যাস উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো হতে পারে আপনার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রধান বিষয়বস্তু।
- আরও অনেক ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ে সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। তাদের নিয়ে গভীর ও বিশ্লেষণী প্রতিবেদন করুন।
- নজর রাখুন, গোষ্ঠীস্বার্থ কীভাবে প্রভাব ফেলছে বিভিন্ন দেশের সরকারি নীতিমালায়। রিপোর্ট করুন সেই নীতিগুলো নিয়ে। প্রশ্ন তুলুন, “সরকার কি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার চেষ্টা করছে, নাকি পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে?”
- “শুধু নিজ দেশে কী ঘটছে, সেদিকে নজর রাখাই যথেষ্ট নয়। খতিয়ে দেখুন, আপনার সরকার অন্য দেশের পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে।”
- সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করুন, আইনকানুনের প্রয়োগ ঠিকভাবে হচ্ছে কি না।
- গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন মোকাবিলায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে নজরে রাখুন।
- জলবায়ু পরিবর্তনের নিয়ে প্রভাব বিষয়ে আরও বেশি বেশি রিপোর্ট করুন।
- অনুসন্ধান করুন জলবায়ু নিয়ে অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপগুলো কী করছে, তাদের লক্ষ্য কী এবং তারা কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে।
- জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ ও অভিযোজনের ক্ষেত্রে সমাধানের উদ্যোগগুলোকেও অনুসন্ধানের আওতায় আনুন।
- জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ বা অভিযোজনের জন্য সামনে কী কী করা দরকার, তা-ও খতিয়ে দেখুন।
দ্য মিডিয়া আর কমপ্লেসেন্ট হোয়াইল দ্য ওয়ার্ল্ড বার্নস। লেখাটির উপশিরোনাম ছিল: “১.৫ ডিগ্রির পৃথিবীর পক্ষে লড়াই করা সাংবাদিকদের জন্য নতুন একটি গাইড।” ২০১৯ সালে প্রবন্ধটি লিখেন দ্য নেশনের পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিক মার্ক হার্টসগার্ড এবং কলাম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক কাইল পোপ। তাঁরা বলেন, “এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যত রিপোর্ট হয়েছে, সেগুলো দেখে মনে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমই এই ইস্যুর গুরুত্ব পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি। ব্রেকবিহীন একটি ট্রেন আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে। এর নাম জলবায়ু পরিবর্তন। এটি কোনো আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয় নয়; এটি বৈজ্ঞানিক তথ্য।”
তাঁদের পরামর্শ:
- পাঠকদের দোষ দেবেন না। আর শিশুদের কথা শুনুন।
- জলবায়ু নিয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেস্ক গড়ে তুলুন, কিন্তু রিপোর্ট যাতে একঘেয়ে না হয়।
- বিজ্ঞান সম্পর্কে জানুন।
- কোনো এক পক্ষের কথায় ভজে যাবেন না।
- ক্ষমতাকেন্দ্রিক মনোভাব পরিহার করুন।
- দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করুন।
- সমাধান নিয়ে কথা বলুন।
- কারও দিকে আঙুল তুলতে ভয় করবেন না।
২০১৯ সালে শীর্ষ সাংবাদিক, বিজ্ঞানী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের এক জায়গায় করেছিল কলাম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউ ও দ্য নেশন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল “বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির নিচে ধরে রাখার যে লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবাদিকতার একটি গাইড বানানো।” এখানে দেখুন পাঁচ ঘণ্টার সেই টাউন হল মিটিং-এর ভিডিও। লন্ডনভিত্তিক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হুয়ান মেয়রগা টুইটারে, তার স্প্যানিশ অনুবাদও প্রকাশ করেছিলেন। এই সম্মেলন থেকেই শুরু হয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, যার নাম: কভারিং ক্লাইমেট নাও।
এখানে দেখুন সেই সম্মেলন নিয়ে সিজেআর-এর সারমর্ম। লিখেছেন জন ওসোপ। এই সম্মেলন নিয়ে অন্যদের মতামত ছিল এ রকম:
- বলিভিয়ার আম্বিয়েদাল ডে ইনফরমেসিয়ন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক এদুয়ার্দো ফ্রাঙ্কো বার্টন বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন জিআইজেসি১৯-এ। এবং নিজের বক্তব্যের সারমর্ম টেনেছিলেন সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। দেখুন সেই টিপশিট।
- লিটারারি হাব-এর কোরিন সেগাল লিখেছেন, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দ্য জার্নালিস্টস হু আর ট্রায়িং টু সেভ ইউ;
- ডেপল বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজ অব কমিউনিকেশনের সহযোগী অধ্যাপক জিল হপকে লিখেছেন: এক্সপার্টিজ অব ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিউনিকেশন রিসার্চার্স নিডেড ইন #কাভারিংক্লাইমেটনাও;
- নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে কমিউনিকেশন, পাবলিক পলিসি অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং এনভায়রনমেন্টাল কমিউনিকেশন জার্নালের প্রধান সম্পাদক ম্যাথিউ সি. নিসবেট লিখেছেন: সায়েন্স, পাবলিকস, পলিটিকস: দ্য ট্রাবল উইথ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি জার্নালিজম।
দ্য মিডিয়া ইজ ফেইলিং অন ক্লাইমেট চেঞ্জ – হিয়ার ইজ হাও দে ক্যান ডু বেটার অ্যাহেড অব ২০২০; গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এই লেখায় কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এমিলি হোল্ডেন:
- সংখ্যায় কম হলেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবে, এমন কনজারভেটিভদের দিকে দৃষ্টি দিন।
- নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীরা সামনে না আনলেও আপনারা সামনে আনুন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি।
- জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আসুন স্থানীয় নিউজ স্টোরি হিসেবে।
- সমাধানের দিকে মনোযোগ দিন।
- লিখুন বা বলুন খুব সাবধানতার সঙ্গে।
কলাম্বিয়া জার্নালিজম স্কুলের ডক্টোরাল ক্যান্ডিডেট রোসলিন্ড ডোনাল্ড তাঁর দ্য ক্লাইমেট ক্রাইসিস ইজ আ স্টোরি ফর এভরি বিট প্রবন্ধে আলোচনা করেছেন কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনকে নিউজরুমের প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। তাঁর তালিকায় আছে: স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, রাজনীতি, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিবাসনের সম্পর্ক, জাতীয় নিরাপত্তা, খেলাধুলা, খাদ্য ও কৃষি। লেখাটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কলাম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউয়ে। একই বিষয়ে ২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া একটি বক্তৃতা নিয়ে লেখা এই প্রবন্ধও দেখতে পারেন: এইট নিউজরুম বিটস ইউ ডিডন্ট নো কভারড ক্লাইমেট চেঞ্জ।
১০টি “বেস্ট প্র্যাকটিসের” তালিকা তৈরি করেছে কভারিং ক্লাইমেট নাও। সহযোগিতামূলক এই প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে আছে ৪০০টি সংবাদমাধ্যম।
১. বিজ্ঞানকে হ্যাঁ বলুন
২. জলবায়ু সংকট প্রতিটি বিটেরই আলোচ্য বিষয়।
৩. “তিনি বলেছেন, তিনি বলেন” এ জাতীয় বাক্য পরিহার করুন।
৪. হতাশা বা নিরাশাবাদী ভাষ্য এড়িয়ে চলুন।
৫. বিশেষায়িত শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।
৬. দরিদ্র, বর্ণভিত্তিক সম্প্রদায় এবং আদিবাসীদের অভিজ্ঞতা ও কাজকে প্রাধান্য দিন।
৭. “গ্রিনওয়াশিং”-এর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
৮. তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিবেদনগুলো আসলে জলবায়ুসংক্রান্ত প্রতিবেদন।
৯. জলবায়ু নিয়ে কাভারেজ পাঠকের অপছন্দ এবং এতে খরচ হয় বেশি, এমন সেকেলে বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলুন।
১০. ঈশ্বরের দোহাই, জলবায়ু পরিবর্তনকে যারা অস্বীকার করে, তাদের জায়গা দেবেন না।
২০১৯ সালের নভেম্বরে জলবায়ু পরিবর্তন কাভার করা বিষয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করেছিল নিম্যান ফাউন্ডেশন। তারা সেখানকার কিছু ভিডিও এবং রিসোর্স প্রকাশ করেছে।
হাও দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্টেড অন ‘দ্য প্রাইস অব ক্লাইমেট’– এই লেখায় বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে “দ্য প্রাইস অব ক্লাইমেট” নামের গ্রাফিকস সমৃদ্ধ সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। এই সিরিজে জলবায়ুসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে; যেমন জায়গার দাম ও বিমার খরচ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কীভাবে জড়িত। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কয়েকজন সম্পাদকের সাক্ষাৎকারও ছিল লেখাটিতে। এটি প্রকাশিত হয় ক্লাইমেট জার্নালিজম ল্যাব-এ, যা নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব জার্নালিজম থেকে পরিচালিত স্টোরিবেঞ্চ-এর একটি অংশ। এখানে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সাংবাদিকতা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট (২০১৯)-এর পরিচালক, অধ্যাপক ড্যানিয়েল শ্রাগ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন রিপোর্টিং অন ক্লাইমেট চেঞ্জ লেখায়:
- সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো বুঝুন।
- মানুষ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন সামাল দিতে পারে, তা নিয়ে বেশি ভাবুন। কীভাবে এটি রুখে দেওয়া যায়, তা নিয়ে নয়।
- সঠিক প্রেক্ষাপট যুক্ত করুন।
- মানুষের গল্প বলুন।
- নেতাদের চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য গবেষণা করুন।
- রাজনৈতিক বিভাজনের বিষয়টি মেনে নিন।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফ, তাদের পাঠকদের মধ্যে একটি জরিপ চালিয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মিডিয়া কাভারেজের ওপর। তারা দেখেছে, পাঠকেরা মিডিয়ার সমালোচনাই বেশি করেছেন। পাঁচ পয়েন্টের স্কেলে ১ ছিল “ভীষণ বাজে”, এবং ৫ ছিল “খুবই ভালো”। মাত্র ৫১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তিন বা তার চেয়ে বেশি রেটিং দিয়েছেন গণমাধ্যমকে। পাঠকেরা বলেছেন, তারা নেতিবাচক বিষয় কম দেখতে চান। তাদের আগ্রহ “ব্যক্তি অভিজ্ঞতার” স্টোরি এবং এমন গল্প, যা সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। এই জরিপের পর স্টাফ, তাদের পাঠকদের জবাব দিয়েছিল এভাবে: “আমরা নতুন কিছু ফিচার ও স্টোরিটেলিং ফরম্যাট নিয়ে আসব। পাঠকেরা যে ধরনের প্রতিবেদনের ধারণা দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে কাজ করব। কীভাবে আমাদের কাভারেজ-এর দৃষ্টিকোণ ও কাঠামো তৈরি হচ্ছে, তা মূল্যায়ন করব। এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্রতিবেদনে আরও গুরুত্ব দেব।
কাভারিং ক্লাইমেট চেঞ্জ: হোয়াট রিপোর্টার্স গেট রং অ্যান্ড হাও টু গেট ইট রাইট। ২০১৮ সালে প্রকাশিত নিম্যান রিপোর্টসের এই লেখা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক এলিজাবেথ আর্নল্ড-এর সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে। সেখানে তাঁর বার্তা ছিল: শুধুই প্রভাব আর হুমকির ওপর মনোযোগ দেবেন না। সেগুলো মোকাবিলায় মানুষ কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা-ও তুলে আনুন।
বেস্ট প্র্যাকটিস ফর কাভারিং ক্লাইমেট চেঞ্জ উইথ ডেটা। ২০১৭ সালে গ্লোবাল এডিটরস নেটওয়ার্কের এই প্রবন্ধে ছয়জন ডেটা সাংবাদিক আলোচনা করেছেন কীভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে রিপোর্ট করা যায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে।
সিক্স ওয়েজ টু রিচ ক্লাইমেট চেঞ্জ ডিনায়ার্স উইথ ইওর রিপোর্টিং। আর্থার ওয়েনস-এর এই লেখা প্রকাশিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন ওয়েন। তিনি দিয়েছেন নিম্নোক্ত পরামর্শ:
- “অপর পক্ষের” কথা শোনাতে বেশি সময় দিন
- অভিন্ন মূল্যবোধ খুঁজে বের করুন
- আঞ্চলিক ও স্থানীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবেদন তৈরি করুন
- জলবায়ু পরিবর্তনকে তুলে আনুন মানুষের ওপর প্রভাবের জায়গা থেকে।
- ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করুন।
- নিজ দেশের সীমা ছাড়িয়ে দেখুন।
হাও আ স্মল সার্ট-আপ ইন প্যারাগুয়ে বিকেইম গ্লোবালি নোন ফর ইটস ক্লাইমেট চেঞ্জ রিপোর্টিং। এই সাক্ষাৎকারে এল সুর্তিদোর-এর সম্পাদকেরা বলেছেন, তারা কোন কোন কৌশলে জলবায়ু পরিবর্তন কাভার করেন। প্যারাগুয়ের চাকো অঞ্চলের বনভূমি ধ্বংস নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য প্রথম “প্ল্যানেট অ্যাওয়ার্ড” জিতেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দ্বিতীয় ভাগ: জলবায়ু পরিবর্তনের মিডিয়া কাভারেজ কেমন
ওয়ার অল দ্য টাইম? ক্লাইমেট রিপোর্টার্স ওয়েই কাভারেজ কোয়ানটিটি অ্যাগেইনস্ট কোয়ালিটি। কলাম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউ (২০১৯)-এ এই লেখা লিখেছিলেন অ্যাবি রবিনোউইটজ। জলবায়ু পরিবর্তনের কাভারেজ পর্যালোচনা করে তিনি লিখেছেন, “প্রথম সারির অনেক জলবায়ু সাংবাদিক একমত হয়েছেন, নিউজরুমগুলো জলবায়ু নিয়ে পর্যাপ্ত কাভারেজ দিচ্ছে না। তবে সিজেআরকে অনেকে এ-ও বলেছেন যে, জলবায়ু নিয়ে বেশি বেশি প্রতিবেদন করলেই যে মানসম্পন্ন কাভারেজ নিশ্চিত করা যাবে, এমনটা নয়।” তিনি বিভিন্ন পদ্ধতি-পন্থা নিয়ে কথা বলেছেন।
ট্যাকলিং ক্লাইমেট চেঞ্জ: ডাজ দ্য মিডিয়া হ্যাভ আ ক্যাম্পেইনিং রোল? ২০১৮ সালে রয়টার্স ইনস্টিটিউটের ফেলো ইঙ্গরি সালভেসন এই লেখায় খতিয়ে দেখেছেন গার্ডিয়ানের “কিপ ইট ইন দ্য গ্রাউন্ড” ক্যাম্পেইনকে। জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন থেকে সরে আসার জন্য পত্রিকাটির এই প্রচারণা। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন যে, অ্যাডভোকেসি জার্নালিজম কি বস্তুনিষ্ঠতার প্রধান নীতির সঙ্গে আপোস করে নাকি এটিই হওয়া উচিত সংবাদমাধ্যমের কেন্দ্রীয় ভূমিকা?
ডুম অ্যান্ড গ্লুম: দ্য রোল অব দ্য মিডিয়া ইন পাবলিক ডিসএনগেজমেন্ট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ। ২০১৮ সালের এই লেখায় ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কার সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এলিজাবেথ আর্নল্ড লিখেছেন, “শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসংক্রান্ত সংকীর্ণ ন্যারেটিভ বারবার তুলে ধরার মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে একধরনের ক্ষমতাহীনতার বোধ তৈরি করা হয়।”
দ্য মিডিয়া’স ফেইলিওর টু কানেক্ট দ্য ডটস অন ক্লাইমেট চেঞ্জ। ২০১৮ সালে নিউ রিপাবলিকের এই লেখায় এমিলি অ্যাটকিন বলেছেন, কীভাবে চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংবাদ পরিবেশনের সময় অগ্রাহ্য করা হয় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে।
দ্য প্ল্যানেট ইজ সাফারিং। হাও ডু উই রাইট অ্যাবাউট ইট? ২০১৯ সালে জেমস ফান ও মার্ক শাপিরোর এই সাক্ষাৎকার নিয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া ম্যাগাজিন। তাঁরা দুজনেই পরিবেশবিষয়ক লেখক। অধ্যাপনা করছেন ইউসি বার্কলি স্কুল অব জার্নালিজমে “আর্থ জার্নালিজম” শিরোনামে একটি গ্র্যাজুয়েট কোর্সে।
ওয়াইল্ডফায়ার রিপোর্টস ইগনাইট ডিবেট ওভার ক্লাইমেট চেঞ্জ কাভারেজ। এই লেখায় এনপিআরের পরিবেশবিষয়ক কাভারেজ পর্যালোচনা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পাবলিক এডিটর এলিজাবেথ জেনসেন।
ডিয়ার জার্নালিস্টস অব কানাডা: স্টার্ট রিপোর্টিং ক্লাইমেট চেঞ্জ এজ এন ইমার্জেন্সি। কানাডার মাউন্ট রয়্যাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল হোলম্যান ২০১৯ সালে কানাডিয়ান প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের কাছে লেখা এই খোলা চিঠিতে, যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের চেয়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে বেশি কাভারেজ দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
দ্য রোল অব ইউএস নেটওয়ার্ক নিউজ ইন কমিউনিকেটিং দ্য আর্জেন্সি অব ক্লাইমেট চেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক ইন্টারেস্ট গ্রুপ, পাবলিক সিটিজেন-এর ২০১৯ সালের রিপোর্ট।
দ্য প্ল্যানেট ইজ অন আ ফাস্ট পাথ টু ডেসট্রাকশন। দ্য মিডিয়া মাস্ট কভার দিস লাইক ইটস দ্য অনলি স্টোরি দ্যাট ম্যাটার্স। ২০১৮ সালে এই প্রবন্ধ লিখেছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট মার্গারেট সুলিভান এবং এটি ব্যাপকভাবে উদ্ধৃত হয়েছিল।
হোয়াট কাইন্ড অব ক্লাইমেট চেঞ্জ কাভারেজ ডু ইউ রিড ইন দ্য নিউজ? ইট ডিপেন্ডস অন হোয়েদার ইউ লিভ ইন আ রিচ কান্ট্রি অর আ পুওর ওয়ান। ২০১৯ সালের গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল চেঞ্জ-এর সেপ্টেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত একটি গবেষণার বিবরণ দিয়ে লেখাটি লিখেছেন নিম্যান ল্যাব-এর লরা হ্যাজার্ড ওয়েন। তার সারমর্ম ছিল এ রকম: “ধনী দেশগুলোর সংবাদমাধ্যম জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে আনে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে। অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে রিপোর্টিং হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে।”
মেজর ব্রডকাস্ট টিভি নেটওয়ার্ক মেনশনড ক্লাইমেট চেঞ্জ জাস্ট ওয়ানস ডিউরিং টু উইক অব হিট ওয়েভ কাভারেজ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ম্যাটার্স-এর একটি বিশ্লেষণ।
‘উই আর নট ডুইং এনাফ’: ২৭ ল্যাটিন আমেরিকান মিডিয়া আউটলেটস পেন এডিটোরিয়াল রিগার্ডিং ক্লাইমেট চেঞ্জ। এটি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস-এর নাইট সেন্টারের জার্নালিজম ইন দ্য আমেরিকাস ব্লগ-এর একটি প্রবন্ধ। লেখাটি পড়তে পারেন স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষাতেও।
হাও জার্নালিস্টস ক্যান এনগেজ নিউজ অডিয়েন্স অন ক্লাইমেট চেঞ্জ। এটি লিখেছেন সাংবাদিক ও পিএইচডি ক্যান্ডিডেট কাময়ার রাজাভি। তিনি গবেষণা করছেন জলবায়ুসংক্রান্ত যোগাযোগ ও সমাধানভিত্তিক সাংবাদিকতার মধ্যকার সংযোগ নিয়ে।
রিশেপিং ক্লাইমেট রিপোর্টিং: ফোর চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ান সাইন অব হোপ। গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ ফাউন্ডেশনের জন্য এই লেখা লিখেছেন সাংবাদিক ক্রিস্টিন অ্যাঞ্জেলি সাবিলো। তিনি ফিলিপাইনের এবিএস-সিবিএন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার।
কমিউনিকেটিং অ্যাবাউট ক্লাইমেট চেঞ্জ উইথ জার্নালিস্টস অ্যান্ড মিডিয়া প্রডিউসার। অনেক কেস স্টাডি সংবলিত এই গবেষণাপত্র ২০১৬ সালে লিখেছেন জন উইবি ও বাড ওয়ার্ড।
ন্যারেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ। ২০১৪ সালে কলাম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউয়ে লেখাটি লিখেছিলেন অ্যালেক্স সোবেল ফিটস। এর উপশিরোনাম এমন: “সাংবাদিকতা বাড়লেও তা জলবায়ুর করুণ অবস্থা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারছে না; তাই গবেষক ও গণমাধ্যমগুলো তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে নতুন ধারার স্টোরিটেলিং দিয়ে।”
এনভায়রনমেন্টাল কমিউনিকেশন ২০১৯ সালের শুরুতে প্রকাশ করেছিল চারটি প্রবন্ধ। সেগুলোর সূচনা প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল: “ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিজম: টাইম টু অ্যাডাপ্ট।” (প্রবন্ধগুলো পেতে অর্থ খরচ করতে হবে। কিন্তু এই ওয়েবসাইটে মাঝেমধ্যে কিছু প্রবন্ধ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে, বিনা মূল্যে।)
কিপ ইন দ্য গ্রাউন্ড। এটি গার্ডিয়ানের পরিবেশবিষয়ক একটি সিরিজ। তাদের অভ্যন্তরীণ একটি আলোচনা থেকে শুরু হয়েছিল গার্ডিয়ানের এই বিশেষ কাভারেজ। শুনতে পারেন সেটি নিয়ে ২০১৫ সালের এই পডকাস্ট সিরিজ। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রিপোর্ট করার নতুন পথ খুঁজে বের করা নিয়ে আলোচনা করেছেন গার্ডিয়ানের সাবেক প্রধান সম্পাদক অ্যালান রুসব্রিজার।
এনভায়রনমেন্টাল রিপোর্টিং ক্যান হেল্প প্রটেক্ট সিটিজেনস ইন ইমার্জিং ডেমোক্রেসিস। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নাইট সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিজম-এর প্রধান এবং সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এরিক ফ্রিডম্যানের এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে জর্জিয়াতে পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিকতার দুর্বলতা নিয়ে।
তৃতীয় ভাগ: দরকারি রিসোর্স
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দারুণ কিছু তথ্যভান্ডার আছে। এগুলো তৈরি করেছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, জাতীয় এজেন্সি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
একেবারে প্রাথমিক আন্তর্জাতিক ফোরাম হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। এ ছাড়া আছে প্রধান কিছু সংগঠন: দ্য ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসি), ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও), ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)। দ্য গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিএফসি) একটি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল, এটি প্রধানত কাজ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগে অর্থ জোগানোর লক্ষ্যে। গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাসিলিটিও অর্থায়নের এমন আরেকটি যৌথ প্রকল্প।
আন্তর্জাতিক এই সংগঠনগুলো বিভিন্ন গ্রুপকে তাদের বৈঠক-সম্মেলনগুলোতে পর্যবেক্ষক হিসেবে রাখে। তাদের তালিকা করা এই গ্রুপগুলোও তথ্য প্রাপ্তির দারুণ জায়গা। এখানে থাকছে আইপিসিসি, ইউএনইপি ও ইউএনএফসিসির পর্যবেক্ষকদের তালিকা।
শুধুই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে কিছু সংবাদমাধ্যম। এদের মধ্যে আছে ইনসাইড ক্লাইমেট নিউজ, আর্থ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক, দ্য ডেইলি ক্লাইমেট, ইএন্ডই নিউজ, এনসিয়া (এরা সমাধানভিত্তিক কাভারেজের দিকে বেশি নজর দেয়) এবং চায়না ডায়ালগ (ইংরেজি ও চীনা ভাষায়)। দেখতে পারেন সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিস্টস-এর করা একটি তালিকা। আরও একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেছে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মিলকেন ইনস্টিটিউট স্কুল অব পাবলিক হেলথ।
সাংবাদিকদের কথা মাথায় রেখে এখানে থাকছে কিছু দরকারি ওয়েবসাইটের খবর। জলবায়ু পরিবর্তন, এর উৎস এবং আগামী দিনগুলোতে কী আসতে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিতর্ক ইত্যাদি অনেক কিছুই আপনি এখানে পাবেন।
কভারিং ক্লাইমেট নাও। জলবায়ু নিয়ে রিপোর্টিংয়ের জন্য ২০১৯ সালে শুরু হয় এই যৌথ উদ্যোগ। বর্তমানে এই জোটে আছে ৪০০টির বেশি সংবাদমাধ্যম। তাদের খুবই সমৃদ্ধ একটি রিসোর্স পেজ আছে। যেখানে মৌলিক বিষয়াবলি থেকে শুরু করে গভীর অনুসন্ধান, ডেডলাইন এবং সমাধানভিত্তিক অনেক বিষয় আছে।
ক্লাইমেট চেঞ্জ: আ গাইড টু দ্য ইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন। গুরুত্বপূর্ণ এই রিসোর্সটি তৈরি করেছে সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিজম (এসইজে)। এসইজের সম্পাদক অ্যাডাম গ্লেন লিখেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে রিপোর্টিংয়ের এই গাইড। এ ছাড়া এসইজে প্রকাশ করেছে জলবায়ু রিপোর্টিংয়ের অনেক টিপশিট ও প্রাসঙ্গিক তথ্য।
ক্লাইমেট ট্র্যাকার সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। মিডিয়া কাভারেজের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে। সাংবাদিকদের আর্থিক সাহায্য দেয় এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে থাকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আলোচনা-দেনদরবারের খবর।
ইয়েল ক্লাইমেট কানেকশন এক জায়গায় করে সেসব প্রতিবেদন, যেগুলোতে বলা হয় কীভাবে জলবায়ুর ইস্যু নিয়ে কাজ করছে সংবাদমাধ্যম। এবং কীভাবে তা আরও ভালোভাবে করা যায়। এখানে একটি আলাদা পেজ আছে মিডিয়া কাভারেজের ওপর। এটি পরিচালিত হয় ইয়েল ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিউনিকেশন থেকে।
ক্লাইমেট কমিউনিকেশন; যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক প্রকল্প। তারা বিভিন্ন ওয়ার্কশপ আয়োজন করে, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত তৈরি করে এবং “সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদান করে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়ে।”
ক্লাইমেট সেন্ট্রাল “অগ্রণী বিজ্ঞানী ও সাংবাদিকদের একটি স্বাধীন সংগঠন, যারা পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি কীভাবে সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে গবেষণা ও রিপোর্টিং করে।”
দ্য সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিউনিকেশন পরিচালিত হয় জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি থেকে। তাদের একটি সেকশন আছে ক্লাইমেট ম্যাটারস নামে। “জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে স্থানীয় ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে, তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য নানাবিধ রিসোর্স দিয়ে সহায়তা করা হয় আবহাওয়াবিদ ও সাংবাদিকদের।” এখানে জলবায়ু ও স্বাস্থ্য বিষয়েও নানাবিধ রিসোর্স রয়েছে।